পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬৩. জুমু‘আর দিনে সওম করা। যদি জুমু‘আর দিনে সওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সওম ছেড়ে দেয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
১৯৮৪. মুহাম্মাদ ইবনু ‘আব্বাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি জুমু‘আর দিনে (নফল) সওম পালন করতে নিষেধ করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, হাঁ। আবূ ‘আসিম (রহ.) ব্যতীত অন্যেরা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, পৃথকভাবে জুমু‘আর দিনের সওম পালন (-কে নিষেধ করেছেন)। (মুসলিম ১৩/২৩, হাঃ ১১৪৩, আহমাদ ১৪১৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৫৮)
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ نَعَمْ زَادَ غَيْرُ أَبِي عَاصِمٍ يَعْنِي أَنْ يَنْفَرِدَ بِصَوْمٍ
Narrated Muhammad bin `Abbas:
I asked Jabir "Did the Prophet (ﷺ) forbid fasting on Fridays?" He replied, "Yes." (Other narrators added, "If he intends to fast only that day.")
পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬৩. জুমু‘আর দিনে সওম করা। যদি জুমু‘আর দিনে সওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সওম ছেড়ে দেয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
১৯৮৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যেন শুধু জুম‘আর দিনে সওম পালন না করে কিন্তু তার পূর্বে একদিন অথবা পরের দিন (যদি পালন করে তবে জুমু‘আর দিনে সওম পালন করা যায়)। (মুসলিম ১৩/২৪, হাঃ ১১৪৪, আহমাদ ১০৮০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৫৯)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে শুধু শুক্রবারে বা জুমার দিনে রোজা রাখবে। তবে কোনো ব্যক্তির কোনো রোজা রাখার অভ্যাস থাকলে, সে ব্যক্তি শুধু জুমার দিনে রোজা রাখতে পারবে।
২। শুক্রবার বা জুমার দিনটি হলো দোয়া, জিকির এবং আল্লাহর উপাসনা বা ইবাদতে মগ্ন থাকার দিন এবং পবিত্র ও হালাল রুজি উপার্জন করার দিন; সুতরাং শুধু এই দিনে রোজা রাখা ভালো কর্ম নয়। তাই মহান আল্লাহ বলেছেন:
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَ ابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ اللّٰهِ وَ اذۡکُرُوا اللّٰهَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “অতএব যখন জুমার নামাজ পড়া শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর প্রদত্ত জীবিকার্জনের কাজে তৎপর থাকবে। এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে” । (সূরা আল জুমুয়া, আয়াত নং ১০ এর অংশবিশেষ) ।
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَصُومَنَّ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ يَوْمًا قَبْلَهُ أَوْ بَعْدَهُ
Narrated Abu Huraira:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "None of you should fast on Friday unless he fasts a day before or after it."
পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬৩. জুমু‘আর দিনে সওম করা। যদি জুমু‘আর দিনে সওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সওম ছেড়ে দেয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
১৯৮৬. জুয়াইরিয়া বিনতে হারিস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আর দিনে তাঁর নিকট প্রবেশ করেন তখন তিনি (জুয়াইরিয়া) সওম পালনরত ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল সওম পালন করেছিলে? তিনি বললেন, না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি আগামীকাল সওম পালনের ইচ্ছা রাখ? তিনি বললেন, না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে সওম ভেঙ্গে ফেল। হাম্মাদ ইবনুল জা‘দ (রহ.) স্বীয় সূত্রে জুয়াইরিয়া (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে আদেশ দেন এবং তিনি সওম ভঙ্গ করেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৬০)
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ ح وحَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهِيَ صَائِمَةٌ فَقَالَ أَصُمْتِ أَمْسِ قَالَتْ لاَ قَالَ تُرِيدِينَ أَنْ تَصُومِي غَدًا قَالَتْ لاَ قَالَ فَأَفْطِرِي وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ الْجَعْدِ سَمِعَ قَتَادَةَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ أَنَّ جُوَيْرِيَةَ حَدَّثَتْهُ فَأَمَرَهَا فَأَفْطَرَتْ
Narrated Abu Aiyub from Juwairiya bint Al-Harith:
The Prophet (ﷺ) visited her (Juwairiya) on a Friday and she was fasting. He asked her, "Did you fast yesterday?" She said, "No." He said, "Do you intend to fast tomorrow?" She said, "No." He said, "Then break your fast." Through another series of narrators, Abu Aiyub is reported to have said, "He ordered her and she broke her fast."