পরিচ্ছেদঃ রামাযানের সিয়াম- এর প্রতি উৎসাহিত করা এবং এর ফযীলত।

৬৯১. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রহঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০২১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ গরীব। আলিমগণের এ হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে যে, প্রত্যেক শহরবাসীর জন্য তাদের চন্দ্র দর্শনই কার্যকর।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَمَا جَاءَ فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ ‏.‏ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ هِلاَلُ رَمَضَانَ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْنَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَأَنْتَ رَأَيْتَهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ رَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَ لَكِنْ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ يَوْمًا أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ لِكُلِّ أَهْلِ بَلَدٍ رُؤْيَتَهُمْ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا اسماعيل بن جعفر، حدثنا محمد بن ابي حرملة، اخبرني كريب، ان ام الفضل بنت الحارث، بعثته الى معاوية بالشام ‏.‏ قال فقدمت الشام فقضيت حاجتها واستهل على هلال رمضان وانا بالشام فراينا الهلال ليلة الجمعة ثم قدمت المدينة في اخر الشهر فسالني ابن عباس ثم ذكر الهلال فقال متى رايتم الهلال فقلت رايناه ليلة الجمعة ‏.‏ فقال اانت رايته ليلة الجمعة فقلت راه الناس وصاموا وصام معاوية ‏.‏ قال لكن رايناه ليلة السبت فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين يوما او نراه ‏.‏ فقلت الا تكتفي بروية معاوية وصيامه قال لا هكذا امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ والعمل على هذا الحديث عند اهل العلم ان لكل اهل بلد رويتهم ‏.‏


Muhammad bin Abi Harmalah narrated:
"Kuraib informed me that Umm Al-Fadl bin Al-Harith sent him to Mu'awiyah in Ash-Sham. He said: 'So I arrived in Ash-Sham and finished her errand, and I saw the crescent of Ramadan while I was in Ash-Sham. We saw the crescent on the night of Friday. Then I arrived in Al-Madinah at the end of the month. Ibn Abbas was questioning me, then he mentioned the crescent and he said: "When did you see the crescent?" I said: "We saw it n the night of Friday." He said: "Did you see it on the night of Friday?" I said: "The people saw it, so they fasted, and Mu'awiyah fasted." He said: "But we saw it on the night of Saturday, so we will not stop fasting until we complete thirty days or we see it." So I said: "Is not the sighting and fasting of Mu'awiyah enough for you?" He said: "This is not how the Messenger of Allah ordered us."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সাওম (রোজা) (كتاب الصوم عن رسول الله ﷺ) 8/ The Book on Fasting

পরিচ্ছেদঃ রামাযানের সিয়াম- এর প্রতি উৎসাহিত করা এবং এর ফযীলত।

৮০৬. আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযান মাসের কিয়াম সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতেন। তবে তা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দেননি। তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং সাওয়াবের আশা নিয়ে রামাযান মাসের কিয়াম করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। বিষয়টি এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। পরে আবূ বকর (রাঃ) এর খিলাফত এবং উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও বিষয়টি তদ্রুপই ছিল। - সহিহ আবু দাউদ ১২৪১, নাসাঈ, ইমাম বুখারির মতে ইন্তেকাল পর্যন্ত ...... এই বাক্যাংশটি যুহরি হাদিসে সংযোগ করেছেন, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আয়িশা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। এই হাদিসটি সহীহ্। এই হাদিসটি যুহরী-উরওয়া-আয়িশা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَمَا جَاءَ فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ وَيَقُولُ ‏ "‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ كَذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ ‏عن النبي قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يرغب في قيام رمضان من غير ان يامرهم بعزيمة ويقول ‏ "‏ من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏ ‏.‏ فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم والامر على ذلك ثم كان الامر كذلك في خلافة ابي بكر وصدرا من خلافة عمر بن الخطاب على ذلك ‏.‏ وفي الباب عن عاىشة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏ وقد روي هذا الحديث ايضا عن الزهري عن عروة عن عاىشة ‏عن النبي قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح.‏


Abu Hurairah narrated:
"The Messenger of Allah would encourage the night prayer in Ramadan without firmly ordering it, and he would say: "Whoever stands (in the night prayer) for Ramadan with faith and seeking the reward (from Allah), then he will be forgiven what has preceded of his sins.' So the Messenger of Allah died and the matter was like that. Then the matter was the same during the Khilafah of Abu Bakr and it continued during a portion of the Khilafah of Umar bin Al-Khattab."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সাওম (রোজা) (كتاب الصوم عن رسول الله ﷺ) 8/ The Book on Fasting
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে