পরিচ্ছেদঃ ই‘তিকাফ ছেড়ে বের হয়ে পড়লে।
৮০১. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযানের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর তিনি ইতিকাফ করতে পারেননি। ফলে পরবর্তী বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন। - সহিহ আবু দাউদ ২১২৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ। নিয়্যাত অনুসারে ইতিকাফ পূর্ণ করার পূর্বেই ইতিকাফ ছেড়ে দেওয়া সম্পর্কে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। যদি সে নিয়্যাত অনুসারে পূর্ণ করার আগেই ইতিকাফ ছেড়ে দেয়, আলিম বলেন, সে যদি তার ইতিকাফ ভঙ্গ করে তবে তার কাযা ওয়াজিব। তারা এই হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ ছেড়ে বের হয়ে পড়েছিলেন, পরে শাওয়ালের দশ দিন ইতিকাফ করে। এ হল মালিক (রহঃ) এর বক্তব্য। কোন কোন আলিম বলেন, যদি মানত বা নিজেরে জন্য অবশ্য কর্তব্য হিসাবে নির্ধারণকৃত ইতিকাফ না হয়ে থাকে এবং সে নফল ইতিকাফ আদায়কারী হয়ে থাকে তবে এমতাবস্থায় ইতিকাফ ছেড়ে বের হয়ে গেলে তার উপর ওয়াজিব নয় যে সে কাযা করবে। তবে যদি সে স্বেচ্ছায় কাযা করতে পছন্দ করে, তা ভিন্ন কথা। কিন্তু তা তার উপর ওয়াজিব নয়। এ হল ইমাম শাফেঈ (রহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফেই (রহঃ) বলেন, যে আমল তোমর জন্য ওয়াজিব নয় এমন কোন আমল যদি তুমি করতে শুরু কর আর পূর্ণ না করে তা ছেড়ে দাও তা হলে হজ্জ ও উমরা ছাড়া আর কোন আমলের কাযা করা তোমার উপর ওয়াজিব নয়। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي الاِعْتِكَافِ إِذَا خَرَجَ مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ عَامًا فَلَمَّا كَانَ فِي الْعَامِ الْمُقْبِلِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْمُعْتَكِفِ إِذَا قَطَعَ اعْتِكَافَهُ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّهُ عَلَى مَا نَوَى فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا نَقَضَ اعْتِكَافَهُ وَجَبَ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنِ اعْتِكَافِهِ فَاعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ نَذْرُ اعْتِكَافٍ أَوْ شَيْءٌ أَوْجَبَهُ عَلَى نَفْسِهِ وَكَانَ مُتَطَوِّعًا فَخَرَجَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْضِيَ إِلاَّ أَنْ يُحِبَّ ذَلِكَ اخْتِيَارًا مِنْهُ وَلاَ يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . قَالَ الشَّافِعِيُّ فَكُلُّ عَمَلٍ لَكَ أَنْ لاَ تَدْخُلَ فِيهِ فَإِذَا دَخَلْتَ فِيهِ فَخَرَجْتَ مِنْهُ فَلَيْسَ عَلَيْكَ أَنْ تَقْضِيَ إِلاَّ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
Anas bin Malik narrated:
"The Prophet would perform I'tikaf during the last ten (nights) of Ramadan. One year he did not perform I'tikaf, so he performed I'tikaf for twenty (nights) in the following year."