পরিচ্ছেদঃ সাওম পালনকারীর জন্য শিংগা লাগান মাকরূহ।
৭৭২. মুহাম্মদ ইবনু রাফি আন-নায়সাবূরী, মাহমুদ ইবনু গায়লান ও ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) .... রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি শিংগা লাগায় এবং যাকে শিংগা লাগানো হয় উভয়ের সাওমই বিনষ্ট হয়ে গেল। - ইবনু মাজাহ ১৬৭৯-১৬৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৭৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে সা’দ, আলী, শাদ্দাদ ইবনু আওস, সাওবান, উসামা ইবনু যায়িদ, আয়িশা, মাকিল ইবনু ইয়াসার, আবূ হুরায়রা, ইবনু আব্বাস, আবূ মূসা ও বিলাল (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, এই বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হাদীস আল রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস এবং আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেন, সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) কর্তৃক এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসটি অধিকতর সহীহ।
ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) আবূ কিলাবা (রাঃ) থেকে দুটো হাদীসই রিওয়ায়াত করেছেন। আর এই উভয়টই হল সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনু আওসের দুটো হাদীস। সাহাবী ও পরবর্তী আলিমদর একদল সিয়াম পালনকারীর জন্য শিংগা লাগান মাকরূহ বলে মনে করেন। এমন কি কতক সাহাবী যেমন আবূ মূসা আল-আশআরী ও ইবনু উমার (রাঃ) রাত্রিতে শিংগা লাগাতেন। ইবনু মুবারক ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আমি ইসহাক ইবনু মনসুরকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী বলেছেন, সিয়ামরত অবস্থায় যদি কেউ শিংগা লাগায় তবে তাকে তা কাযা করতে হবে। ইসহাক ইবনু মানসুর বলেন, আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সিয়াম অবস্থায়ও শিংগা লাগিয়েছেন, আর তাঁর থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি শিংগা লাগায় এবং যাকে শিংগা লাগানো হয় তাদের উভয়ের সাওমই বিনষ্ট হয়ে গেল। এই রিওয়াতদ্বয়ের একটিও সঠিক বলে আমার জানা নাই। সিয়াম অবস্থায় কেউ যদি শিংগা পালন থেকে বেঁচে থাকে তবে তা আমার মতে অধিক পছন্দনীয়। আর কেউ যদি শিংগা লাগায় তবে এতে তার সিয়াম ভেঙ্গে গেল বলে আমি মনে করি না। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এ ছিল বাগদাদ থাকা অবস্থায় ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এর বক্তব্য। কিন্তু মিসরে গমনের পর তিনি এই বিষয়ে অনুমতি প্রদানের অভিমতের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং সিয়াম অবস্থায় শিংগা লাগানোতে কোনরূপ দোষ আছে বলে আর তিনি মনে করেননি। এ বিষয়ে তিনি দলীল হিসাবে বলেন যে, বিদায় হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম এবং ইহরাম অবস্থায় শিংগা লাগিয়েছেন।
باب كَرَاهِيَةِ الْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَسَعْدٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَثَوْبَانَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَعَائِشَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ سِنَانٍ وَيُقَالُ ابْنُ يَسَارٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي مُوسَى وَبِلاَلٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَذُكِرَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ . وَذُكِرَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ لأَنَّ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ رَوَى عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا حَدِيثَ ثَوْبَانَ وَحَدِيثَ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ حَتَّى أَنَّ بَعْضَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِاللَّيْلِ مِنْهُمْ أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ وَابْنُ عُمَرَ وَبِهَذَا يَقُولُ ابْنُ الْمُبَارَكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ إِسْحَاقَ بْنَ مَنْصُورٍ يَقُولُ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ مَنِ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . وَقَالَ أَبُو عِيسَى وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ قَالَ الشَّافِعِيُّ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . وَلاَ أَعْلَمُ وَاحِدًا مِنْ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ ثَابِتًا وَلَوْ تَوَقَّى رَجُلٌ الْحِجَامَةَ وَهُوَ صَائِمٌ كَانَ أَحَبَّ إِلَىَّ وَلَوِ احْتَجَمَ صَائِمٌ لَمْ أَرَ ذَلِكَ أَنْ يُفْطِرَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا كَانَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ بِبَغْدَادَ وَأَمَّا بِمِصْرَ فَمَالَ إِلَى الرُّخْصَةِ وَلَمْ يَرَ بِالْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ بَأْسًا وَاحْتَجَّ بِأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ مُحْرِمٌ صَائِمٌ .
Rafi bin Khadi narrated that:
The Prophet said: "The cupper and the one cupped have broke the fast."