পরিচ্ছেদঃ কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের সালাত।

৫৬০. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুসূফের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এতে তিনি কিরাআত পাঠ এবং রুকূ করলেন। এরপর দুই সিজদা দিলেন। পরবর্তী রাকআতও তদ্রূপভাবে আদায় করলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭২, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, আয়িশা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, নু’মান ইবনু বাশীর, মুগীরা ইবনু শু’বা, আবূ মাসঊদ, আবূ বকরা, সামুরা ইবনু জুনদুব, ইবনু মাসঊদ, আসমা বিনতে আবী বাকর, ইবনু উমর, কাবীসা আল-হিলালী, জাবির ইবনু আবদিল্লাহ, আব্দুর রহমান ইবনু সামুরা এবং উবাই ইবনু কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার সিজদায় চার রাকআত কুসূফ সালাত আদায় করেছেন। এ হ’ল ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর বক্তব্য।

সালাতুল কুসূফের কিরাআত সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, দিনে সালাতের রীতি অনুসারে এতে অনুচ্চ স্বরে কিরাআত পাঠ করা হবে। আর কতক আলিম বলেন, সালাতুল ঈদায়ন ও জুমুআর মত এতে কিরাআত পাঠ করতে হবে। এ’হল ইমাম মালিক, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর বক্তব্য। তারা এতে সশব্দে কিরাআত পাঠ করতে হবে বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এতে সশব্দে কিরাআত হবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উভয় ধরনের রিওয়ায়াত সহীহ সনদে প্রমাণিত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় চার রাক’আত কুসূফ সালাত আদায় করেছেন।

আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় ছয় রাকআত সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। কুফূফ বা সূর্য গ্রহণের সময়ের পরিমাণ অনুসারে আলিমদের নিকট তদ্রূপ সালাত জায়েয আছে। আর যদি কুসূফ চার সিজদায় চার রাক’আত আদায় করে এবং কিরা’আত দীর্ঘ করে তবে তা-ও জায়েজ আছে। আমাদের ইমামগণ সূর্য গ্রহণ হোক বা চন্দ্র গ্রহণ, উভয় সালাতই জামাআতে আদায় করতে হবে বলে মনে করেন।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي بَكْرَةَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عُمَرَ وَقَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ قَالَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسِرَّ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا بِالنَّهَارِ ‏.‏ وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا كَنَحْوِ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ الْجَهْرَ فِيهَا ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَجْهَرُ فِيهَا ‏.‏ وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَصَحَّ عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَهَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ جَائِزٌ عَلَى قَدْرِ الْكُسُوفِ إِنْ تَطَاوَلَ الْكُسُوفُ فَصَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ وَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ فَهُوَ جَائِزٌ ‏.‏ وَيَرَوْنَ أَصْحَابُنَا أَنْ تُصَلَّى صَلاَةُ الْكُسُوفَ فِي جَمَاعَةٍ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، عن سفيان، عن حبيب بن ابي ثابت، عن طاوس، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى في كسوف فقرا ثم ركع ثم قرا ثم ركع ثم قرا ثم ركع ثلاث مرات ثم سجد سجدتين والاخرى مثلها ‏.‏ قال وفي الباب عن علي وعاىشة وعبد الله بن عمرو والنعمان بن بشير والمغيرة بن شعبة وابي مسعود وابي بكرة وسمرة وابي موسى الاشعري وابن مسعود واسماء بنت ابي بكر الصديق وابن عمر وقبيصة الهلالي وجابر بن عبد الله وعبد الرحمن بن سمرة وابى بن كعب ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى في كسوف اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وبه يقول الشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ قال واختلف اهل العلم في القراءة في صلاة الكسوف فراى بعض اهل العلم ان يسر بالقراءة فيها بالنهار ‏.‏ وراى بعضهم ان يجهر بالقراءة فيها كنحو صلاة العيدين والجمعة وبه يقول مالك واحمد واسحاق يرون الجهر فيها ‏.‏ وقال الشافعي لا يجهر فيها ‏.‏ وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم كلتا الروايتين صح عنه انه صلى اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وصح عنه ايضا انه صلى ست ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وهذا عند اهل العلم جاىز على قدر الكسوف ان تطاول الكسوف فصلى ست ركعات في اربع سجدات فهو جاىز وان صلى اربع ركعات في اربع سجدات واطال القراءة فهو جاىز ‏.‏ ويرون اصحابنا ان تصلى صلاة الكسوف في جماعة في كسوف الشمس والقمر ‏.‏


Ibn Abbas narrated:
"The Prophet prayed during the eclipse. He recited, then bowed, then recited, then bowed, then recited, then bowed. (three times), then he performed two prostrations, and the next one (Rak'ah) was the same."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling

পরিচ্ছেদঃ কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের সালাত।

৫৬১. মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল মালিক ইবনু আবিশ্ শাওয়ারিব (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সূর্য গ্রহণ দেখা দেয়। তখন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলেন। এতে তিনি দীর্ঘ কিরাআত তিলাওয়াত করেন, এর পর দীর্ঘ রুকূ করেন। পরে মাথা উঠালেন, পরে দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন তবে প্রথমবারের তুলনায় কিছু কম দীর্ঘ পরে মাথা তুললেন এবং সিজদা করলেন। এরপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীস অনুসারেই শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা সালাতুল কুসূফ (সুর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ) চার সিজদায় চার রাক’আতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা এবং দিনের বেলায় (সূর্য গ্রহণের সময়) হলে অনুচ্চ শব্দে সূরাতুল বাকারা পরিমাণ কিরাআত করবে এবং কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর দিয়ে মাথা তুলবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং উম্মুল কুরআন সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে আলে-ইমরানের পরিমাণ কিরাআত তিলাওয়াত করবে। পরে কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে, পরে মাথা তুলবে বলবে, ’’সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ এর পর পূর্ণ দুই সিজদা দিবে এবং রুকূতে যতক্ষণ অবস্থান করেছিল, সিজদায়ও ততক্ষণ অবস্থান করবে। পরে সিজদা থেকে দাঁড়াবে। উম্মুল কুরআন ও সূরাতুন নিসা পরিমাণ কিরাআত করবে। এর পর কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর বলে মাথা তুলবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং সূরাতুল মায়িদা পরিমাণ কিরআত পাঠ করবে, এরপর কিরাআত পরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। অতঃপর মাথা তুলবে। বলবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ পরে দুই সিজদা দিবে। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে ও সালাম ফিরাবে।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا معمر، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، انها قالت خسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناس فاطال القراءة ثم ركع فاطال الركوع ثم رفع راسه فاطال القراءة وهي دون الاولى ثم ركع فاطال الركوع وهو دون الاول ثم رفع راسه فسجد ثم فعل مثل ذلك في الركعة الثانية ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وبهذا الحديث يقول الشافعي واحمد واسحاق يرون صلاة الكسوف اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ قال الشافعي يقرا في الركعة الاولى بام القران ونحوا من سورة البقرة سرا ان كان بالنهار ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه بتكبير وثبت قاىما كما هو وقرا ايضا بام القران ونحوا من ال عمران ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه ثم قال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ ثم سجد سجدتين تامتين ويقيم في كل سجدة نحوا مما اقام في ركوعه ثم قام فقرا بام القران ونحوا من سورة النساء ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه بتكبير وثبت قاىما ثم قرا نحوا من سورة الماىدة ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع فقال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ ثم سجد سجدتين ثم تشهد وسلم ‏.‏


Aishah narrated:
"The sun was eclipsed during the time of the Messenger of Allah, so the Messenger of Allah led the people in prayer. He recited a lengthy recitation, then he bowed a lengthy bowing, then he raised his head and recited a lengthy recitation that was less than the first. Then he bowed a lengthy bowing that was less than the first. Then he raised his head and prostrated. Then he did (similar to) that in the second Rak'ah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে