পরিচ্ছেদঃ বেশি বেশি রুকূ-সিজদা করা এবং-এর ফযীলত

৩৮৮. আবূ আম্মার (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু তালহা আল-ইয়ামুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করেছিলাম। তখন তাকে বললাম, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যদ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন এবং আমাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। তিনি কতক্ষন চুপ রইলেন। এরপর আমার দিকে ফিরে বললেনঃ তুমি সিজদা করবে। কেননা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখনই কোন বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখনই এতে আল্লাহ্ তা’আলা তার দরজা বুলন্দ করে দেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দেন। - ইবনু মাজাহ ১৪২৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ، رَجَاءٌ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهِ وَيُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ فَسَكَتَ عَنِّي مَلِيًّا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو عمار، حدثنا الوليد، قال وحدثنا ابو محمد، رجاء قال حدثنا الوليد بن مسلم، عن الاوزاعي، قال حدثني الوليد بن هشام المعيطي، قال حدثني معدان بن طلحة اليعمري، قال لقيت ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت له دلني على عمل ينفعني الله به ويدخلني الجنة فسكت عني مليا ثم التفت الى فقال عليك بالسجود فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ما من عبد يسجد لله سجدة الا رفعه الله بها درجة وحط عنه بها خطيىة ‏"‏ ‏.‏


Ma'dan bin Talhah Al Yamari said:
"I met Thawban the freed slave of Allah's Messenger (S) and said to him, 'Guide me to a deed by which Allah benefit me, and for which Allah will admit me into Paradise.' He was silent for quite a while, then he turned to me and said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger (S) saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it, Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ The Book on Salat (Prayer)

পরিচ্ছেদঃ বেশি বেশি রুকূ-সিজদা করা এবং-এর ফযীলত

৩৮৯. মা’দান ইবনু তালহা (রহঃ) বলেনঃ পরে আবূদ-দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথেও আমি সাক্ষাৎ করি এবং সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে যা প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁকেও সেই প্রশ্ন করি। তখন তিনি বললেনঃ তুমি সিজদা করবে। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যখনই বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখন আল্লাহ তা’আলা এতে তার দরজা বুলন্দ করে দেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আবূ উমামা ও আবূ ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, বেশি করে সিজদা করা সম্পর্কিত সাওবান ও আবূদ্ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলেনঃ বেশি রুকূ-সিজদা করা অপেক্ষা সালাতে দীর্ঘ কিয়াম করা অধিকতর উত্তম। কোন কোন আলিম বলেনঃ দীর্ঘ কিয়াম অপেক্ষা বেশি রুকূ-সিজদা করা উত্তম। আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুটি হাদীস বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু তিনি (ইমাম আহমদ) এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ইমাম ইসহাক বলেনঃ দিনের সালাতে বেশি করে রুকূ-সিজদা করা আর রাতের সালাতে দীর্ঘ কিয়াম করা উত্তম কিন্তু কেউ যদি তা রাত্রিকালীন নাফলের নির্ধারিত অংশ আদায় করে নেয়, তবে এই অবস্থায় বেশি রুকূ-সিজদা করা আমার নিকট অধিক প্রিয়। কারণ সে একদিকে তার নির্ধারিত অংশও আদায় করে নিল, অপরদিকে বেশি রুকূ-সিজদা করেও লাভবান হতে পারল। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইসহাক (রহঃ)-এর ইদৃশ অভিমতের কারণ হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাত্রিকালীন (নাফল) সালাতের বিবরণে এইরূপ দীর্ঘ কিয়ামের কথা উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু দিনের সালাতের ক্ষেত্রে রাতের সালাতের মত এত দীর্ঘ কিয়ামের বিবরণ নেই।

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ ثَوْبَانَ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي فَاطِمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْبَابِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ طُولُ الْقِيامِ فِي الصَّلاَةِ أَفْضَلُ مِنْ كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ أَفْضَلُ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا حَدِيثَانِ وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ أَمَّا فِي النَّهَارِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَمَّا بِاللَّيْلِ فَطُولُ الْقِيَامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ لَهُ جُزْءٌ بِاللَّيْلِ يَأْتِي عَلَيْهِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فِي هَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ لأَنَّهُ يَأْتِي عَلَى جُزْئِهِ وَقَدْ رَبِحَ كَثْرَةَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا قَالَ إِسْحَاقُ هَذَا لأَنَّهُ كَذَا وُصِفَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ وَوُصِفَ طُولُ الْقِيَامِ وَأَمَّا بِالنَّهَارِ فَلَمْ يُوصَفْ مِنْ صَلاَتِهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ مَا وُصِفَ بِاللَّيْلِ ‏.‏

قال معدان بن طلحة فلقيت ابا الدرداء فسالته عما سالت عنه ثوبان فقال عليك بالسجود فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ما من عبد يسجد لله سجدة الا رفعه الله بها درجة وحط عنه بها خطيىة ‏"‏ ‏.‏ قال معدان بن طلحة اليعمري ويقال ابن ابي طلحة ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي هريرة وابي امامة وابي فاطمة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ثوبان وابي الدرداء في كثرة الركوع والسجود حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد اختلف اهل العلم في هذا الباب فقال بعضهم طول القيام في الصلاة افضل من كثرة الركوع والسجود ‏.‏ وقال بعضهم كثرة الركوع والسجود افضل من طول القيام ‏.‏ وقال احمد بن حنبل قد روي عن النبي صلى الله عليه وسلم في هذا حديثان ولم يقض فيه بشيء ‏.‏ وقال اسحاق اما في النهار فكثرة الركوع والسجود واما بالليل فطول القيام الا ان يكون رجل له جزء بالليل ياتي عليه فكثرة الركوع والسجود في هذا احب الى لانه ياتي على جزىه وقد ربح كثرة الركوع والسجود ‏.‏ قال ابو عيسى وانما قال اسحاق هذا لانه كذا وصف صلاة النبي صلى الله عليه وسلم بالليل ووصف طول القيام واما بالنهار فلم يوصف من صلاته من طول القيام ما وصف بالليل ‏.‏


Madan [bin Talhah] said:
"I met Abu Ad-Darda, and I asked him what I had asked Thawban, so he said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ The Book on Salat (Prayer)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে