পরিচ্ছেদঃ গরমের দিনে বিলম্ব করে যুহর আদায় করা।

১৫৭. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন প্রচন্ড গরম পড়লে (কিছুটা) শীতল সময়ে সালাত আদায় করবে। কারণ, জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে হয় গরমের তীব্রতা। - ইবনু মাজাহ ৬৭৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ সাঈদ, আবূ যার, ইবনু মুগীরা, কাসিম ইবনু সাফওয়ান তাঁর পিতাঁর বরাতে, আবূ মূসা, ইবনু আব্বাস এবং আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত রয়েছে। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রেও এই বিষয়ে একটি হাদিস বর্ণিত রয়েছে কিন্তু সেটি সহীহ নয়। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান সহীহ। আলিমদের একদল তীব্র গরমের সময় যুহরের সালাত বিলম্ব করে পড়ার বিধান গ্রহণ করেছেন।

ইবন মুবারক, আহমদ এবং ইসহাকও এই অভিমত পোষণ করেন। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, দূর থেকে মুসল্লীদের আসতে হলে যুহরের সালাত বিলম্ব করে ঠান্ডা সময়ে পড়া যায়। মুসুল্লি যদি একা সালাত আদায় করে বা স্বীয় মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করে ততে তীব্র গরমের সময়ও সালাত আদায়ে বিলম্ব না করা আমার মতে পছন্দনীয়। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন তীব্র গরমের সময় যুহরের সালাত বিলম্ব করে আদায় করার অভিমতটি অধিকতর উত্তম ও অনুসরণগোয্য। যার কষ্ট হয় এবং যাকে মসজিদে দূর থেকে আসতে হয় শুধু তাঁর জন্যই বিলম্ব করার অনুমতি আছে বলে ইমাম শাফিঈ যে মত ব্যক্ত করেছেন তা আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীছের বিপরীত। আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমরা এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। বিলাল যুহরের আযান দিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে বিলাল! ঠাণ্ডা কর, আরো ঠাণ্ডা কর। ইমাম শাফিঈ যে মত ব্যক্ত করেছেন, ব্যাপার যদি আসলে তা-ই হত তবে এই ক্ষেত্রে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ঠান্ডা কর বলার কোন অর্থ থাকতনা। কেননা, সফরে তাঁরা সকলেই একত্রে ছিলেন, দূর থেকে আসার কোন প্রয়োজন ছিল না।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَالْمُغِيرَةِ وَالْقَاسِمِ بْنِ صَفْوَانَ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ تَأْخِيرَ صَلاَةِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا الإِبْرَادُ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ إِذَا كَانَ مَسْجِدًا يَنْتَابُ أَهْلُهُ مِنَ الْبُعْدِ فَأَمَّا الْمُصَلِّي وَحْدَهُ وَالَّذِي يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ قَوْمِهِ فَالَّذِي أُحِبُّ لَهُ أَنْ لاَ يُؤَخِّرَ الصَّلاَةَ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَمَعْنَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ هُوَ أَوْلَى وَأَشْبَهُ بِالاِتِّبَاعِ وَأَمَّا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ أَنَّ الرُّخْصَةَ لِمَنْ يَنْتَابُ مِنَ الْبُعْدِ وَالْمَشَقَّةِ عَلَى النَّاسِ فَإِنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلاَفِ مَا قَالَ الشَّافِعِيُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو ذَرٍّ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَذَّنَ بِلاَلٌ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا بِلاَلُ أَبْرِدْ ثُمَّ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ لَمْ يَكُنْ لِلإِبْرَادِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ مَعْنًى لاِجْتِمَاعِهِمْ فِي السَّفَرِ وَكَانُوا لاَ يَحْتَاجُونَ أَنْ يَنْتَابُوا مِنَ الْبُعْدِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، عن سعيد بن المسيب، وابي، سلمة عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا اشتد الحر فابردوا عن الصلاة فان شدة الحر من فيح جهنم ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي سعيد وابي ذر وابن عمر والمغيرة والقاسم بن صفوان عن ابيه وابي موسى وابن عباس وانس ‏.‏ قال وروي عن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم في هذا ولا يصح ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد اختار قوم من اهل العلم تاخير صلاة الظهر في شدة الحر وهو قول ابن المبارك واحمد واسحاق ‏.‏ قال الشافعي انما الابراد بصلاة الظهر اذا كان مسجدا ينتاب اهله من البعد فاما المصلي وحده والذي يصلي في مسجد قومه فالذي احب له ان لا يوخر الصلاة في شدة الحر ‏.‏ قال ابو عيسى ومعنى من ذهب الى تاخير الظهر في شدة الحر هو اولى واشبه بالاتباع واما ما ذهب اليه الشافعي ان الرخصة لمن ينتاب من البعد والمشقة على الناس فان في حديث ابي ذر ما يدل على خلاف ما قال الشافعي ‏.‏ قال ابو ذر كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فاذن بلال بصلاة الظهر فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يا بلال ابرد ثم ابرد ‏"‏ ‏.‏ فلو كان الامر على ما ذهب اليه الشافعي لم يكن للابراد في ذلك الوقت معنى لاجتماعهم في السفر وكانوا لا يحتاجون ان ينتابوا من البعد ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "In very hot weather, delay the (Zuhr) prayer until it becomes (a bit) cooler, because the severity of heat is from the raging of the Hell."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ The Book on Salat (Prayer)

পরিচ্ছেদঃ গরমের দিনে বিলম্ব করে যুহর আদায় করা।

১৫৮. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। যুহরের ওয়াক্তে বিলাল ইকামত দিতে চাইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন ঠান্ডা করে পড়। পরে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু আবার ইকামত দিতে চাইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যুহরের সালাতের বেলায় আরো ঠান্ডা করে পড়। আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন এত বিলম্ব করা হল যে, এমন কি আমরা মাটিতে নেতিয়ে থাকা বালির টিলাগুলোর ছায়া পড়তে দেখতে পেলাম। এরপর ইকামত দেয়া হল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করলেন। পরে তিনি বললেন গরমের তীব্রতা হল জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। সুতরাং তোমরা সালাত ঠান্ডা সময়ে আদায় কর। - সহিহ আবু দাউদ ৪২৯, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেন এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏ ‏

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُهَاجِرٍ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ ‏"‏ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبْرِدْ فِي الظُّهْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حَتَّى رَأَيْنَا فَىْءَ التُّلُولِ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود الطيالسي، قال انبانا شعبة، عن مهاجر ابي الحسن، عن زيد بن وهب، عن ابي ذر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان في سفر ومعه بلال فاراد بلال ان يقيم فقال ‏"‏ ابرد ‏"‏ ‏.‏ ثم اراد ان يقيم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابرد في الظهر ‏"‏ ‏.‏ قال حتى راينا فىء التلول ثم اقام فصلى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان شدة الحر من فيح جهنم فابردوا عن الصلاة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Dharr narrated:
"Allah's Messenger was on a journey and Bilal was with him. So he wanted to call for the prayer, but he (the Prophet) said: 'Let it get cooler.' Then he wanted to call for the prayer, so Allah's Messenger said: 'Let it get to the cooler time of Zuhr.'" He (i.e., Abu Dharr) said: "Until we saw the shadows of the hillocks, then he commanded that the Iqamah be called and then led the people in prayer. Allah's Messenger said: 'The severity of heat is from the raging of Hell, so wait until it becomes cooler for the (Zuhr) prayer.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ The Book on Salat (Prayer)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে