পরিচ্ছেদঃ ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করা।
১২৬. কুতায়বা (রহঃ) .... আদী ইবনু ছাবিত তার পিতা পিতামত এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইসতিহাযায় আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, পূর্বে তার হায়যের যে নির্ধারিত দিনগুলি ছিল সেই দিনগুলির সালাত সে ছেড়ে দিবে। সে দিনগুলো অতিক্রান্ত হওয়ার পর সে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে আর যথারীতি সিয়াম ও সালাত আদায় করতে থাকবে। - ইবনু মাজাহ ৬২৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي " .
Adiyy bin Thabit narrated from his father, that :
the Prophet said about the Mustahadah that she should: "Leave the Salat for the days of her period which she menstruates in, then perform Ghusl, and perform Wudu for every Salat, and observe Saum and perform Salat."
পরিচ্ছেদঃ ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করা।
১২৭. আলী ইবনু হুজরের বরাতেও অনুরূপ মর্মে এই হাদিসটি বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ আবূল ইয়াকযানের সূত্রে কেবলমাত্র শরীকই এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ আল-বুখারীকে এই হাদিসটি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আদী ইবনু ছাবিতের পিতামহের নাম কি? তিনি তার নাম জানেন না। আমি বললামঃ ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন বলেছেন, তার নাম হল দ্বীনার। কিন্তু মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ) এইদিকে দৃকপাত করলেন না। ইমাম আহমদ ও ইসহাক বলেছেনঃ মুস্তাহাযা মহিলা যদি প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করে নেয় তবে সেটি হবে তার জন্য সতর্কতামূলক পন্থা। তবে প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিলে তার জন্য যথেষ্ট হবে। দুই সালাতের জন্য যদি একবার গোসল করে তবে তাও যথেষ্ট হবে। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ تَفَرَّدَ بِهِ شَرِيكٌ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقُلْتُ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ جَدُّ عَدِيٍّ مَا اسْمُهُ فَلَمْ يَعْرِفْ مُحَمَّدٌ اسْمَهُ وَذَكَرْتُ لِمُحَمَّدٍ قَوْلَ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّ اسْمَهُ دِينَارٌ فَلَمْ يَعْبَأْ بِهِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِنِ اغْتَسَلَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ هُوَ أَحْوَطُ لَهَا وَإِنْ تَوَضَّأَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ أَجْزَأَهَا وَإِنْ جَمَعَتْ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ أَجْزَأَهَا .
A similar narration as no. 120. :
Abu Eisa said: Sharik is alone in narrating this Hadith from Abu Al Yaqzan.[He said:] I asked Muhammad (ibn Isma'il AI-Bukhari) about this Hadlth. I said: "Adiyy bin Thabit from his father, from his grandfather; what is the name of Adiyy's grandfather?" But Muhammad did not know his name. And I mentioned to Muhammad that Yahya bin Ma'in said his name is Dinar, and he did not contradict him. Ahmad and 1shaq said ahout the Mustahadah: If she performs Ghusl for every prayer that is more prudent for her, and if she performs Wudu for each prayer, then that is acceptable from her, and if she combines between two prayers with (one) Ghusl then that is acceptable.
পরিচ্ছেদঃ ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করা।
১২৮. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... হামনা বিনত জাহশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি খুব ভীষণভবে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলাম। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বিষয়ে ফতওয়া জানতে এলাম। তাঁকে আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন যয়নাব বিনত জাহাশের ঘরে পেলাম। বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো ভীষণভাবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত। এ বিষয়ে আপনি কি করতে বলেন? এ তো আমাকে সালাত ও সওম থেকে ফিরিয়ে রাখছে। তিনি বললেনঃ তোমাকে আমি তুলা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এতে রক্ত শুষে নিবে। আমি বললামঃ রক্তের পরিমান এর থেকেও বেশি। তিনি বললেনঃ তবে তা দিয়ে লাগমের মত বেধে নাও। আমি বললামঃ না, রক্তের পরিমাণ তো আরো বেশি। তিনি বললেন তবে এর নীচে আর একটি কাপড়ের পট্টি লাগিয়ে নাও। বললাম, রক্ততো আরো বেশি। স্রোতের মত তা ধেয়ে বেরুচ্ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাকে আমি দু’টো বিষয়ের কথা বলছি। এ দু’টোর যে কোন একটি করতে পারলে তোমার জন্য যথেষ্ট। আর উভয়টি করতে তোমার শক্তি হলে তুমিই ভাল জান কোনটি তুটি গ্রহণ করবে। শোন, এ হলো শয়তানের গুতো।
যা হোক, ছয়দিন বা সাতদিন আল্লাহর জ্ঞানে বা তোমার জন্য নির্ধারিত সেদিনগুলো হায়েয হিসাবে ধরবে পরে তা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে গোসল করে নিবে। যখন তুমি দেখবে যে, তুমি পাক হয়ে গেছ এবং পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছ তখন চব্বিশ দিন বা তেইশ দিন সালাত ও সিয়াম পালন করবে। আর এ-ই তোমার জন্য যথেষ্ট। সাধারণভাবে মহিলারা হাযেয ও তুহরের (পাক থাকার) নির্ধারিত দিনগুলোতে যা করে তুমিও সেদিনগুলোতে তা করবে।
আর পাক থাকার নির্ধারিত দিনগুলোতে তোমার জন্য যুহরের সালাত পিছিয়ে এবং আছরের সালাত কিছুটা এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের একবার গোসল করেলে দুই ওয়াক্তের সালাত আদায় করা সম্ভব হলে তা করবে। এমনিভাবে মাগরিবের সালাত পিছিয়ে এবং ’ইশার সালাত এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের জন্য একবার গোসল করে দু’টো আদায় করো এবং ফজরের সময় গোসল করে তা আদায় করা সম্ভব হলে তদ্রম্নপভাবে সালাত ও সিয়াম পালন করবে। হ্যাঁ, তোমার শক্তিতে কুলালে তা-ই করো। আর দুটো বিষয়ের মধ্যে এই বিষয়টই আমার নিকট অধিক পছন্দের। - ইবনু মাজাহ ৬২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ। উবায়দুল্লাহ ইবনু আমর আর রাক্কী, ইবনুুর জুরাইজ এবং শরীক (রহঃ) ও হামনা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তবেত ইবনু জুরাইজ তাঁর সনদে জনৈক রাবীল নাম উমর ইবনু তালহা বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ শুদ্ধ হল ইমরান ইবনু তালহা।
মুহাম্মাদ আল বুখারী (রহঃ) কে এই হাদিসটি সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছিলেন এই হাদিসটি হাসান। ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ)ও উক্তরূপ অভিমত প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।
ইমাম আহমদ ও ইসহাক বলেন ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা যদি হায়যের আগমন ও এর অতিক্রান্ত হওয়া বুঝতে পারে তবে ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ বিধান তার জন্য প্রযোজ্য হবে। সাধারণতঃ হায়যের আগমন বুঝার উপায় হল, এই সময় এর রং থাকে কাল আর অতিক্রন্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝার উপায় হল তখন এর রং হয়ে যায় হরিদ্রাভ। আর সেই মহিলার যদি ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে হায়যের নির্ধারিত দিন থেকে থাকে তবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সে উক্ত নির্ধারিত দিন সমূহের সালাত আদায় ছেড়ে দিবে। এই দিনগুলি অতিক্রান্ত হওয়ার পর সে পাক হওয়ার জন্য গোসল করবে এবং পরে প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে তা আদায় করবে। কিন্তু তার যদি সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, হায়যের কোন নির্দিষ্ট দিন না থাকে, রক্তের রঙ্গের মাধ্যমে হায়যের শুরু ও শেষ বুঝতে না পারে তবে তার জন্য বিধান হামনা বিনত জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত (১২৮ নং) হাদীছের অনুরূপ।
আবূ উবায়দাও অনুরূপ কথা বলেছেন। ইমাম শাফিঈ বলেনঃ শুরু থেকে ই যদি কোন মহিলার রক্ত প্রবাহিত হতে থাক আর তা বন্ধ না হয় তবে পনের দিনের মাঝের দিনগুলির সালাত সেছেড়ে দিবে। পনেরতম দিন বা এর পূর্বে সে যদি পাক হয়ে যায় তবে এই দিনগুলি হায়যের দিন হিসাবে গণ্য হবে। পনের দিনের পরও যদি রক্ত দেখে তবে সে চৌদ্দ দিনের সালাত কাযা করবে। পরবর্তীতে হায়বের সর্বনিম্ন সময় একদিন ও একরাতের সালাত ছেড়ে দিবে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ হায়যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মুদ্দত সম্পর্কে আলিমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন সর্বনিম্ন মুদ্দত হল তিনদিন আর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল দশদিন। এ হল সুফইয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের অভিমত। ইবনু মুবারকও এই অভিমত গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁর নিকট থেকে ভিন্নরূপ বর্ণনাও রয়েছে। অপর একদল আলিম যাদের মধ্যে আতা ইবনু আবী রাবাহও রয়েছেন তারা বলেন হায়যের সর্বনিম্ন মুদ্দত হল একদিন একরাত আর সর্বোচ্চ পারমান হল পনের দিন। ইমাম মালিক, আওযোঈ, শাফিঈ, আহমদ, সিহাক ও আবূ উবয়দা (রহঃ) এর অভিমতও এ-ই।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشَرِيكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ إِلاَّ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ طَلْحَةَ وَالصَّحِيحُ عِمْرَانُ بْنُ طَلْحَةَ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا كَانَتْ تَعْرِفُ حَيْضَهَا بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ وَإِقْبَالُهُ أَنْ يَكُونَ أَسْوَدَ . وَإِدْبَارُهُ أَنْ يَتَغَيَّرَ إِلَى الصُّفْرَةِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ وَإِنْ كَانَتِ الْمُسْتَحَاضَةُ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ قَبْلَ أَنْ تُسْتَحَاضَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّي وَإِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ وَلَمْ يَكُنْ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ وَلَمْ تَعْرِفِ الْحَيْضَ بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ . وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ الْمُسْتَحَاضَةُ إِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ فِي أَوَّلِ مَا رَأَتْ فَدَامَتْ عَلَى ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِذَا طَهُرَتْ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ حَيْضٍ فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ أَكْثَرَ مِنْ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِنَّهَا تَقْضِي صَلاَةَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا ثُمَّ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقَلَّ مَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَهُوَ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَقَلِّ الْحَيْضِ وَأَكْثَرِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلاَثَةٌ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَأْخُذُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَرُوِيَ عَنْهُ خِلاَفُ هَذَا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ أَقَلُّ الْحَيْضِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَأَكْثَرُهُ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَأَبِي عُبَيْدٍ .
Hamnah bint Jahsh narrated:
"I had a case of blood flow that was severe and excessive. So I went to the Prophet to inform him and ask him about it. I found him in the house of my sister Zainab bint Jahsh. I said, 'O Messenger of Allah! I suffer from a case of severe and excessive blood flow. So what do you order me to do for it, and does this prevent me from fasting and performing Salat?' He said: 'Tie a cotton rag around yourself and the bIood will go away.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Make it tight.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Then use a cloth (to bind it).' I said, it is more than that. It flows too much.' So the Prophet said: 'I will order you to do one of two things, which ever of them you do, it will be acceptable for you. You should know which of them you are able to do.' Then he said: 'This is only a blow from Shaitan. Menstruate for six or seven days, which Allah knows, then perform Ghusl. When you see that you have become pure and clean, then perform Salat for twenty-three or twenty-four nights and their days. Perform Salat and fast, and that will be acceptable for you. So do this (if you can) just as (other) women who menstruate and become pure during their periods of menstruation and purity. If (not, and) you are able to delay Zuhr and hasten Asr then perform Ghusl when you have become pure, and pray Zuhr and Asr together. Then delay Maghrib and hasten Isha, then perform Ghusl and combine the two prayers. So do this (if you are able). Then perform Ghusl with the dawn and pray. Do this, and fast if you are able to do so.' Then Allah's Messenger said: 'That is what is preferable to me of the two.'"