পরিচ্ছেদঃ তাহারাতের ফযীলত।

২. ইসাহাক ইাবন মূসা আনসারী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন কোন মুসলিম অথবা মু’মিন বান্দা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন উযূর পানি অথবা উযূর পানির শেষ ফোটার সাথে সাথে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে তার দু’চোখ দিয়ে দেখে ছিল; যখন সে তার দু’হাত ধোয় তখন উযূর পানি বা উযূর পানির শেষ ফোটার সাথে সাথে তার উভয় হাত থেকে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে হাত দিয়ে ধরে ছিল; এমনি কি শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। - আত তা’লিকুর রাগীব ১/৯৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই হাদীছটি ’’হাসান’’।

এই রিওয়ায়াতটি হল মালিক-সুহাইল-সুহাইলের পিতা আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। সুহাইলের পিতা আবূ সালিহ হচ্ছেন আবূ সালিহ আস্-সম্মান। তাঁর নাম হল যাকওয়ান। আবূ হুরায়রা (রা ) এর প্রকৃত নাম সম্পর্কে মত বিরোধ বিদ্যামান। কেউ কেউ বলেন, আবদ শামস; আবার কেউ কেউ বলেন, আবূল্লাহ ইবনু আমর। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীও এইরূপ বলেছেন। আর এটই অধিকতর শুদ্ধ।

এই বিষয়ে ইছমান, ছারবান, সুনাবিহী, আমর ইবনু আবাসা, সালমান এবং আবদুলুাহ ইাবন আমর (রা ) থেকে ও হাদীছ বর্ণিত আছে। যে সুনাবিহী তাহারাতের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ইনি হলেন আবদুল্লাহ সুনাবিহী। আর আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে যে সুনাবিহী রিওয়ায়াত করেন তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু শোনার সুযোগ পানটি। তাঁর নাম হল আবদুর রহমান ইবনু উসায়লা। উপনাম হল আবূ আবদিল্লাহ। ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যখন মদ্বীনার পথে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনি কিছু সংখ্যক হাদীছ (অন্যের সূত্রে) রিওয়াত করেছেন। সুনাবিহ ইবনুল আ’সার আল-আহমাসী ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী তাঁকেও সুনাবিহী বলা হয়। তাঁর বর্ণিত হাদীছটি হল, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে,তিনি ইরশাদ করেন, তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের সামনে গৌরব করব। সুতরাং তোমরা আমার পরে পরস্পরে খুন-খারাবী করো না।

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الطُّهُورِ ‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ أَوْ نَحْوِ هَذَا وَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَأَبُو صَالِحٍ وَالِدُ سُهَيْلٍ هُوَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ وَاسْمُهُ ذَكْوَانُ ‏.‏ وَأَبُو هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فَقَالُوا عَبْدُ شَمْسٍ وَقَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ الأَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَثَوْبَانَ وَالصُّنَابِحِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ وَالصُّنَابِحِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ لَيْسَ لَهُ سَمَاعٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ رَحَلَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الطَّرِيقِ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ ‏.‏ وَالصُّنَابِحُ بْنُ الأَعْسَرِ الأَحْمَسِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ الصُّنَابِحِيُّ أَيْضًا وَإِنَّمَا حَدِيثُهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن موسى الانصاري، حدثنا معن بن عيسى القزاز، حدثنا مالك بن انس، ح وحدثنا قتيبة، عن مالك، عن سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا توضا العبد المسلم او المومن فغسل وجهه خرجت من وجهه كل خطيىة نظر اليها بعينيه مع الماء او مع اخر قطر الماء او نحو هذا واذا غسل يديه خرجت من يديه كل خطيىة بطشتها يداه مع الماء او مع اخر قطر الماء حتى يخرج نقيا من الذنوب ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وهو حديث مالك عن سهيل عن ابيه عن ابي هريرة ‏.‏ وابو صالح والد سهيل هو ابو صالح السمان واسمه ذكوان ‏.‏ وابو هريرة اختلف في اسمه فقالوا عبد شمس وقالوا عبد الله بن عمرو وهكذا قال محمد بن اسماعيل وهو الاصح ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عثمان بن عفان وثوبان والصنابحي وعمرو بن عبسة وسلمان وعبد الله بن عمرو ‏.‏ والصنابحي الذي روى عن ابي بكر الصديق ليس له سماع من رسول الله صلى الله عليه وسلم واسمه عبد الرحمن بن عسيلة ويكنى ابا عبد الله رحل الى النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فقبض النبي صلى الله عليه وسلم وهو في الطريق وقد روى عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم احاديث ‏.‏ والصنابح بن الاعسر الاحمسي صاحب النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يقال له الصنابحي ايضا وانما حديثه قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ اني مكاثر بكم الامم فلا تقتتلن بعدي ‏"‏ ‏.‏

(2) Chapter: What Has Been Related About The Virtue Of Purification


Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "When a Muslim, or believer, performs Wudu', washing his face, every evil that he looked at with his eyes leaves with the water - or with the last drop of water, or an expression similar to that - and when he washes his hands, every evil he did with his hands leaves with the water - or with the last drop of water - until he becomes free of sin." (Grade: Sahih)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ পবিত্রতা ( كتاب الطهارة عن رسول الله ﷺ) 1/ The Book on Purification