পরিচ্ছেদঃ সূরা বুরুজ
৩৩৩৯. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (الْيَوْمُ الْمَوْعُود) প্রতিশ্রুত দিন হল কেয়ামতের দিন। (الْيَوْمُ الْمَشْهُودُ) হল আরাফা দিবস এবং (الشَّاهِد) হল জুম’আর দিন।
তিনি আরো বলেনঃ এই (জুম’আর) দিনের চেয়ে উত্তম কোন দিন নাই যার উপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়। এ দিনের মাঝে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোন মুমি’ন বান্দা সে মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কোন কল্যাণ কামনা করে তবে আল্লাহ তা’আলা তা কবুল করেন। কোন বিষয় যদি সে আল্লাহর কাছে পানাহ চায় তবে তিনি তা থেকে তাক পানাহ দেন।
হাসান, মিশকাত, তাহকিক ছানী ১৩৬২, সহীহ হাদিস সিরিজ ১৫০২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মূসা ইবন উবায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্র ছাড়া এ হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। মূসা ইবন উবায়দা (রহঃ) হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যঈফ। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ প্রমুখ (রহঃ) তার স্মরণশক্তির ক্ষেত্রে তাঁকে যঈফ বলেছেন। শু’বা, সুফওয়ান ছাওরী ও আরো অনেক হাদীসের ইমাম মূসা ইবন উবায়দা (রহঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... মূসা ইবন উবায়দা (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। মুসা ইবন উবায়দা আর রাযী (রহঃ) এর উপনাম হল আবদুল আযীয। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ কাত্তান প্রমুখ তার স্মরণশক্তির ব্যাপারে তাঁর সমালোচনা করেছেন।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ البُرُوجِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْيَوْمُ الْمَوْعُودُ يَوْمُ الْقِيَامَةِ وَالْيَوْمُ الْمَشْهُودُ يَوْمُ عَرَفَةَ وَالشَّاهِدُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَمَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَلاَ غَرَبَتْ عَلَى يَوْمٍ أَفْضَلَ مِنْهُ فِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُؤْمِنٌ يَدْعُو اللَّهَ بِخَيْرٍ إِلاَّ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ وَلاَ يَسْتَعِيذُ مِنْ شَرٍّ إِلاَّ أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ . وَمُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَغَيْرُهُ
Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: “Al-Yawmul-Maw’ud (the Promised Day) is the Day of Resurrection, and Al-Yawmul-Mashhud (the Attended Day) is the Day of Arafah, and Ash-Shahid (the witness) is Friday.” He said: “The sun does not rise nor set, upon a day that is more virtuous than it. In it, there is an hour in which no believing worshipper makes a supplication to Allah for good, except that Allah answers it for him, and he does not seek Allah’s aid for something, except that He aids him in it.”
পরিচ্ছেদঃ সূরা বুরুজ
৩৩৪০. মুহাম্মদ ইবন গায়লান ও আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত (নামায) আদায় করে ঠোঁট নাড়াচড়া করতেন। তিনি যেন কথা বলছেন। তাঁকে বলা হল ইয়া রাসুলাল্লাহ! আসরের সালাত (নামায) শেষে আপনি যেন চুপে চুপে কথা বলেন?
তিনি বললেন নবীগণের কোন একজন তাঁর উম্মত নিয়ে গৌরববোধ করছিলেন। বলেছিলেনঃ এদের মুকাবিলায় কে দাঁড়াতে পারবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ আমি তাদের শাস্তি দিব বা তাদের উপর শত্রু চাপিয়ে দিব। এ দুয়ের একটি গ্রহন করার জন্য তাদের ইখতিয়ার দিন। তারা শাস্তিকেই গ্রহণ করে নিল। সে মতে আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর মৃত্যু চাপিয়ে দিলেন। ফলে একদিনেই তাদের সত্তর হাজার লোকের মৃত্যু হল।
এ হাদীসটি বর্ণনার সাথে তিনি পরবর্তী এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন। তিনি বলেনঃ কোন এক বাদশা ছিল। তার ছিল একজন গনক। সে তার জন্য ভবিষ্যৎ গণনা করত। একবার তাকে ঐ গণক বললঃ একটি বুদ্ধিমান শক্তি সম্পন্ন বালক তালাশ করুন। আমি তাকে আমার এ জ্ঞান শিক্ষা দিব। কারণ আমার আশংকা হয় যদি আমি মারা যাই তবে আপনাদের থেকে এ জ্ঞান শেষ হয়ে যাবে। এই জ্ঞানের আধিকারী আপনাদের মধ্যে কেউ থাকবে না। তাদের বর্ণনানুযায়ি এক বালক তারা তালাশ করে বের করল। তারা তাকে গনকের কাছে হাযির হতে নির্দেশ দিল এবং তার কাছে আসা-যওয়া করতে বলল। সে মতে বালকটি তার কাছে আসা-যাওয়া করলে লাগল। আসা-যাওয়ার পথে এক গীর্জায় এক জন পাদ্রী থাকত। (বর্ণনাকারী মা’মার (রহঃ) বলেন, তৎকালে গীর্জার উপাসনাকারিগণ সত্য দ্বীন বিশ্বাসী ছিলেন)। বালকটি যখনই সেখান দিয়ে যেত সে পাদ্রীকে তার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করত। শেষে পাদদ্রী তাকে জানালঃ আমি আল্লাহর ইবাদত করি।
বালকটি পাদ্রীর কাছে সময় দিতে লাগল এবং উক্ত গনকের কাছে যেতে দেরী করতে লাগল। এতে গণক বালকটির পরিবার পরিজনকে খবর পাঠায় যে সে প্রায়ই হাজির হয় না। বালকটি পাদ্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করে। পাদ্রী তাকে বললঃ গণক যদি তোমাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তুমি কোথায় ছিলে, তবে তুমি বলবে যে, তুমি তোমার পরিবারের লোকদের কাছেই ছিলে। আর তোমার পরিবারের লোকরা যখন জিজ্ঞাসা করবে তখন বলবে গণকের কাছে ছিলে।
এভাবেই চলছিল। একদিন বালকটি মানুষের এক বিরাট ভিড়ের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। লোকদেরকে একটা হিংস্র জন্তু পথ আটকে রেখেছিল। কোন কোন রাবী বলেছেন। এ জন্তুটি ছিল একটা সিংহ। বালকটি একটা পাথর হাতে নিয়ে বললঃ হে আল্লাহ! পাদ্রী যা বলে তা যদি সত্য হয়ে থাকে তবে তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আমি যেন জন্তুটিকে হত্যা করতে পারি। এরপর সে পাথরটি ছুড়ে মারল এবং জন্তুটি মারা গেল। লোকেরা বলতে লাগল কে এ জন্তুটি হত্যা করেছে? অন্যরা বলল এ বালকটি। মানুষের মাঝে এতে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। তারা বলাবলি করতে থাকে যে, এই বালকটি এমন কিছু জ্ঞান শিখেছে যা অন্যরা শিখেনি। এক অন্ধও বালকটির কথা শুনতে পায়। সে তাকে বললঃ তুমি যদি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পার তবে তুমি অমুক অমুক জিনিস পাবে।
বালকটি বললঃ আমি তোমার কাছে এই আর্থ চাই না। কিন্তু তুমি যদি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাও তবে কি তুমি সেই সত্তার উপর ঈমান আনবে যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিবেন? সে বললঃ হ্যাঁ। তখন বালকটি আল্লাহর কাছে দু’আ করল। আল্লাহ এ অন্ধের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন। তারপর এ অন্ধ ঈমান গ্রহণ করল।
সেই বাদশাহর কাছে তাদের এ ঘটনার সংবাদ পৌঁছল। সে তখন লোক পাঠিয়ে তাদের ধরে আনল। বললঃ তোমাদের প্রত্যেককে আমি এমন ভাবে হত্যা করব যে, কাউকে এমনভাবে আমি আর হত্যা করিনি। তার নির্দেশে পাদ্রী এবং অন্ধ লোকটির একজনকে মাথার সিথি থেকে করাত দিয়ে চিরে শহীদ করে দেওয়া হল এবং আন্যজনকে অন্য একভাবে হত্যা করা হল।
পরে বালকটি সম্পর্কে সে নির্দেশ দিয়ে বলরঃ তাকে নিয়ে অমুক পাহাড়ে যাও এবং চূড়া থেকে তাকে ফেলে দিবে। লোকেরা তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেল। যে স্থান থেকে তাকে ফেলে দেওয়ার ইচ্ছা করছিল। সে স্থানে তারা পৌছার পর নিজেরাই গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে গেল। বালকটি ছাড়া আর কেউ তাদের বাকী রইল না। শেষে বালকটি ফিরে এল। বাদশাহ তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। তদনুসারে তাকে সাগরে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু যারা সঙ্গে গিয়েছিল তাদেরকে আল্লাহ ডুবিয়ে দিলেন আর বালকটিকে বাঁচিয়ে দিলেন।
শেষে বালকটি বাদশাহকে বললঃ শূলীতে ঝুলিয়ে তীর নিক্ষেপ করে মারা ভিন্ন তুমি আমাকে হত্যা করতে পারবে না। আর যখন তীর নিক্ষেপ করবে তখন বলবেঃ ’’এই বালকটির প্রতিপালক আল্লাহর নামে’’। যা হোক, বাদশা উক্ত মর্মে নির্দেশ জারি করে এবং বালকটিকে শূলীতে ঝুলিয়ে ’এই বালকটির রব আল্লাহর নামে’ বলে তাকে তীর ছোড়া হল। তীর নিক্ষেপের সময় বালকটি তার হাত কানপট্রিতে স্থাপন করে রেখেছিল।
লোকেরা বললঃ এ বালকটি এমন এক জ্ঞানর অধিকারী - যা আর কেউ জানে না। এই বালকের রবের উপর আমরা ঈমান আনলাম। বাদশাহকে বালা হল মাত্র তিন ব্যাক্তি তোমার বিরোধিতা করায় তুমি ঘাবড়িয়ে গিয়েছিলে আর এখন পৃথিবীর সবাই তোমার বিরোধী হয়ে উঠেছে।
তারপর এই বাদশা আনেকগুলো গর্ত খনন করে এবং এতে লাকড়ি ফেলে আগুন জ্বালায়। পরে সে লোকদের একত্রিত করে বললঃ যে এই ধর্ম থেকে ফিরে আসবে তাকে ছেড়ে দিব আর যে ব্যক্তি ফিরে আসবে না তাকে এই অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করব। অতপর সে মু’মিনদেও অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ - (العَزِيزِ الْحَمِيدِ)
ধ্বংস হয়েছে কুন্ড অধিপতিরা। ইন্ধনপূর্ণ যে কুন্ডে ছিল অগ্নি ...... যিনি পরাক্রমশালী এবং প্রশংসিত। (সূরা বুরুজ ৮৫ঃ ৪-৮)
বালকটিকে পরে দাফন করা হয়। বর্ণনা করা হয় যে, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফত আমলে তার লাশ বের করা হয়। শহীদ হওয়ার সময় তার আঙুলগুলি যে কানপট্রিতে রাখা ছিল, তখনও ঠিক তেমনই ছিল।
সহীহ, মুসলিম ৮/২২৯-২৩১ (আয়াতের উল্লেখ ব্যাতিত), তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- গারীব।
পরিচ্ছেদ সূরা আল-গাশিয়া
بَاب وَمِنْ سُورَةِ البُرُوجِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ هَمَسَ - وَالْهَمْسُ فِي قَوْلِ بَعْضِهِمْ تَحَرُّكُ شَفَتَيْهِ كَأَنَّهُ يَتَكَلَّمُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا صَلَّيْتَ الْعَصْرَ هَمَسْتَ قَالَ . " إِنَّ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ كَانَ أُعْجِبَ بِأُمَّتِهِ فَقَالَ مَنْ يَقُولُ لِهَؤُلاَءِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ خَيِّرْهُمْ بَيْنَ أَنْ أَنْتَقِمَ مِنْهُمْ وَبَيْنَ أَنْ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوَّهُمْ فَاخْتَارَ النِّقْمَةَ فَسَلَّطَ عَلَيْهِمُ الْمَوْتَ فَمَاتَ مِنْهُمْ فِي يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا " . قَالَ وَكَانَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ الآخَرِ . قَالَ " كَانَ مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ وَكَانَ لِذَلِكَ الْمَلِكِ كَاهِنٌ يَكْهَنُ لَهُ فَقَالَ الْكَاهِنُ انْظُرُوا لِيَ غُلاَمًا فَهِمًا أَوْ قَالَ فَطِنًا لَقِنًا فَأُعَلِّمُهُ عِلْمِي هَذَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ أَمُوتَ فَيَنْقَطِعَ مِنْكُمْ هَذَا الْعِلْمُ وَلاَ يَكُونُ فِيكُمْ مَنْ يَعْلَمُهُ . قَالَ فَنَظَرُوا لَهُ عَلَى مَا وَصَفَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَحْضُرَ ذَلِكَ الْكَاهِنَ وَأَنْ يَخْتَلِفَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ وَكَانَ عَلَى طَرِيقِ الْغُلاَمِ رَاهِبٌ فِي صَوْمَعَةٍ " . قَالَ مَعْمَرٌ أَحْسِبُ أَنَّ أَصْحَابَ الصَّوَامِعِ كَانُوا يَوْمَئِذٍ مُسْلِمِينَ قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَسْأَلُ ذَلِكَ الرَّاهِبَ كُلَّمَا مَرَّ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخْبَرَهُ فَقَالَ إِنَّمَا أَعْبُدُ اللَّهَ " . قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَمْكُثُ عِنْدَ الرَّاهِبِ وَيُبْطِئُ عَلَى الْكَاهِنِ فَأَرْسَلَ الْكَاهِنُ إِلَى أَهْلِ الْغُلاَمِ إِنَّهُ لاَ يَكَادُ يَحْضُرُنِي فَأَخْبَرَ الْغُلاَمُ الرَّاهِبَ بِذَلِكَ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ إِذَا قَالَ لَكَ الْكَاهِنُ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْ عِنْدَ أَهْلِي . وَإِذَا قَالَ لَكَ أَهْلُكَ أَيْنَ كُنْتَ فَأَخِبِرْهُمْ أَنَّكَ كُنْتَ عِنْدَ الْكَاهِنِ " . قَالَ " فَبَيْنَمَا الْغُلاَمُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ مَرَّ بِجَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ كَثِيرٍ قَدْ حَبَسَتْهُمْ دَابَّةٌ " . فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ تِلْكَ الدَّابَّةَ كَانَتْ أَسَدًا قَالَ " فَأَخَذَ الْغُلاَمُ حَجَرًا قَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَقُولُ الرَّاهِبُ حَقًّا فَأَسْأَلُكَ أَنْ أَقْتُلَهَا . قَالَ ثُمَّ رَمَى فَقَتَلَ الدَّابَّةَ . فَقَالَ النَّاسُ مَنْ قَتَلَهَا قَالُوا الْغُلاَمُ فَفَزِعَ النَّاسُ وَقَالُوا لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا لَمْ يَعْلَمْهُ أَحَدٌ . قَالَ فَسَمِعَ بِهِ أَعْمَى فَقَالَ لَهُ إِنْ أَنْتَ رَدَدْتَ بَصَرِي فَلَكَ كَذَا وَكَذَا . قَالَ لَهُ لاَ أُرِيدُ مِنْكَ هَذَا وَلَكِنْ أَرَأَيْتَ إِنْ رَجَعَ إِلَيْكَ بَصَرُكَ أَتُؤْمِنُ بِالَّذِي رَدَّهُ عَلَيْكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ عَلَيْهِ بَصَرَهُ فَآمَنَ الأَعْمَى فَبَلَغَ الْمَلِكَ أَمْرُهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ فَأُتِيَ بِهِمْ فَقَالَ لأَقْتُلَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ قِتْلَةً لاَ أَقْتُلُ بِهَا صَاحِبَهُ فَأَمَرَ بِالرَّاهِبِ وَالرَّجُلِ الَّذِي كَانَ أَعْمَى فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ عَلَى مَفْرِقِ أَحَدِهِمَا فَقَتَلَهُ وَقَتَلَ الآخَرَ بِقِتْلَةٍ أُخْرَى . ثُمَّ أَمَرَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ انْطَلِقُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَأَلْقُوهُ مِنْ رَأْسِهِ فَانْطَلَقُوا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْجَبَلِ فَلَمَّا انْتَهَوْا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادُوا أَنْ يُلْقُوهُ مِنْهُ جَعَلُوا يَتَهَافَتُونَ مِنْ ذَلِكَ الْجَبَلِ وَيَتَرَدَّوْنَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ الْغُلاَمُ " . قَالَ " ثُمَّ رَجَعَ فَأَمَرَ بِهِ الْمَلِكُ أَنْ يَنْطَلِقُوا بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَيُلْقُونَهُ فِيهِ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَغَرَّقَ اللَّهُ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ وَأَنْجَاهُ فَقَالَ الْغُلاَمُ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لاَ تَقْتُلُنِي حَتَّى تَصْلُبَنِي وَتَرْمِيَنِي وَتَقُولَ إِذَا رَمَيْتَنِي بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَصُلِبَ ثُمَّ رَمَاهُ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَوَضَعَ الْغُلاَمُ يَدَهُ عَلَى صُدْغِهِ حِينَ رُمِيَ ثُمَّ مَاتَ . فَقَالَ أُنَاسٌ لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا مَا عَلِمَهُ أَحَدٌ فَإِنَّا نُؤْمِنُ بِرَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَقِيلَ لِلْمَلِكِ أَجَزِعْتَ أَنْ خَالَفَكَ ثَلاَثَةٌ فَهَذَا الْعَالَمُ كُلُّهُمْ قَدْ خَالَفُوكَ . قَالَ فَخَدَّ أُخْدُودًا ثُمَّ أَلْقَى فِيهَا الْحَطَبَ وَالنَّارَ ثُمَّ جَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ مَنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ تَرَكْنَاهُ وَمَنْ لَمْ يَرْجِعْ أَلْقَيْنَاهُ فِي هَذِهِ النَّارِ فَجَعَلَ يُلْقِيهِمْ فِي تِلْكَ الأُخْدُودِ . قَالَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : (قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ ) حَتَّى بَلَغَ : (العَزِيزِ الْحَمِيدِ ) " . قَالَ " فَأَمَّا الْغُلاَمُ فَإِنَّهُ دُفِنَ " . قَالَ فَيُذْكَرُ أَنَّهُ أُخْرِجَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأُصْبُعُهُ عَلَى صُدْغِهِ كَمَا وَضَعَهَا حِينَ قُتِلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Suhaib narrated:
“When the Messenger of Allah had performed Asr, Hamasa (he began mumbling)” – and Al—Hams according to some of them, is moving the lips as if he is speaking – “It was said to him: ‘O Messenger of Allah! After you performed Asr, you were mumbling?’ He said: ‘There was a Prophet among the Prophets, he was amazed with his people, so he said: “Who can stand against these people?” Then Allah revealed to him, that they must choose between some of them suffering from wrath, and between enemies of theirs assaulting them. They chose the wrath. So death was inflicted upon them such that seventy-thousand of them died in one day.’”He said: And when he would narrated this Hadith, he would also narrated another: “There was a king among the kings, and that king had a fortune-teller (Kahin) who would see for him. The fortune teller said: ‘Search for a boy for me, he must be understanding” or he said: “clever and quick, so that I can teach him this knowledge of mine. For verily, I fear that I shall die, and this knowledge will be removed from you, and there will be no one among you who knows it.” He said: “They looked for a boy fitting his description. (After finding one) they ordered him to tend to that fortune teller, and to continue visiting him. So he began his frequent visits, and on the boy’s route, there was a monk at his hermitage.” – Ma’mar said: “I think that during that time, the people at the hermitage were Muslims.” – He said: “They boy began asking that monk questions each time he passed him, and he would not leave him until he informed him, so he said: ‘I only worship Allah.’” He said: “So the boy began spending more time with the monk and arriving late to the fortune-teller. The fortune-teller sent a message to the boy’s family saying: ‘He hardly ever attends me.’ The boy told that to the monk, so the monk said to him: ‘When the fortune-teller asks you where you’ve been, tell him: “I was with my family.” And when your family asks you where you’ve been, then tell them that you were with the fortune-teller.’” He said: “One day, the boy passed by a large group of people being held back by a beast.” Some of them said, it was a lion. He said: “So the boy took a rock and said: ‘O Allah, if what the monk says is true, then I ask you to kill it.’” [He said:] “Then he threw the rock, killing the beast. The people began asking who killed it and some of them replied: ‘It was the boy.’ They were terrified and said: ‘This boy has learned a knowledge that no one else has learned.’” He said: “A blind man heard about him so he said to him: ‘If you can return my sight, I shall give you this and that.’ He said to him: ‘I do not want this from you. However, if your sight is returned to you, would you believe in the One who gave it back to you?’ He said: ‘Yes.’” He said: “So he supplicated to Allah, and He returned his sight to him, and the blind man believed. His case was conveyed to the king, so he sent for him to be brought before him. He said: ‘I shall kill each of you in a manner different than his comrade was killed.’ He called for the monk and the man who used to be blind. He placed a saw upon the forehead of one of them and killed him. Then he killed the other one by a different means. Then he gave orders for the boy, he said: ‘Take him to this or that mountain, and throw him from its peak.’ They brought him to that mountain, and when they reached the place from where they intended to cast him off, they began tumbling off of that mountain, and all of them fell down until none of them remained except for the boy.” He said: “Then he returned and the king ordered that he be brought out to sea and cast into it. So he was brought out to sea, but Allah drowned those who were with him, and He saved him. Then the boy said to the king: ‘You will not kill me until you tie me to the trunk of a tree and shoot me, and when you shoot me, you said: “In the Name of Allah, the Lord of this boy.’” He said: “So he ordered that he be tied, then when he shot him, he said: ‘In the Name of Allah, the Lord of this boy.’ The boy placed his hand upon his temple where he was shot, then he died. The people said: “This boy had knowledge that no one else had! Verily we believe in the Lord of this boy!” He said: It was conveyed to the king “Your efforts have been thwarted by the opposition of these three, now all of these people have opposed you.” He said: “So he had ditches dug, then fire wood was filled into it and a fire was lit. Then he (the king) had all of the people gathered and he said: ‘Whoever leaves his religion, then we shall leave him. And whoever does not leave, we shall cast him into this fire.’ So he began casting them into that ditch.” He said: “Allah, Blessed is He and Most High, said about that: ‘Cursed were the People of the Ditch. Of fire fed with fuel…’ until he reached: ‘…The Almighty, Worthy of all praise!’” He said: “As for the boy, he was buried.” He said: “It has been mentioned, that he was excavated during the time of Umar bin Al-Khattab, and his finger was at his temple, just as he had placed it when he was killed.”