পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মুমতাহিনা

৩৩০৫. ইবন আবু উমর (রহঃ) ..... উবায়দুল্লাহ ইবন আবু রাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি আলী ইবন আবু তালিবকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এবং যুবায়র ও মিকদাদ ইবন আসওয়াদকে এক অভিযানে প্রেরণ করেন। তিনি বললেন তোমরা "রওযা এ খাখ" নামক স্থানে যবে। সেখানে এক উষ্ট্রারহীনী মহীলা পাবে। তার কাছে একটি (গোপন) পত্র আছে। তা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করে আমার নিকট নিয়ে আসবে। আমরা বের হয়ে পড়লাম। এবং আমাদের ঘোড়া দ্রুত ছুটিয়ে রাওযা-এ-খাখে এসে সেখানে এক উষ্ট্রারহীনী মহিলা পেলাম। আমরা বললাম পত্রটি বের কর।

সে বলল আমার সাথে কোন চিঠি নেই। আমরা বললামঃ পত্রটি বের কর নয়তো কাপড় খুলে ফেলা হবে।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ সে তার চুলের বেনীর ভিতর থেকে পত্রটি বের করে দিল। আমরা সেটি নিয়ে রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। দেখা গেল যে হাতিব ইবন আবূ বালতা’আ এর পক্ষ থেকে মক্কার কতিপয় মুশরিকের কাছে এটি লেখা হয়েছে এবং এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু বিশেষ বিষয় (মক্কা অভিযান) সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন হে হাতিব! এটা কি?

হাতিব বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার ক্ষেত্রে (ফায়সালা দিতে) ত্বরা করবেন না। আমি মূলত কুরায়শী নই। তাদের সঙ্গে সংযুক্ত এক ব্যক্তি মাত্র। আপনার সঙ্গে যে সকল মুহাজির রয়েছেন, তাদের সবারই কুরায়শদের নিকট আত্মিয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে কুরায়শরা তাদের মক্কাস্থিত পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের হেফাজত করে থাকে। আমি চাইলাম তাদের সঙ্গে উক্ত সম্পর্ক না থাকায় যখন ঐ সুযোগ আমার নেই, তখন তাদের উপর একটা ইহসান ও দয়ার ব্যাবহার করে রাখি যাতে আমার আত্মীয়-পরিজনদের তারা হেফাযত করে। এ কাজটি আমি কুফরী এবং আমার ধর্মচ্যুতি কুফরীর প্রতি সন্তুষ্টির কারণে করিনি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে সত্য কথা বলেছে। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমাকে ছেড়ে (অনুমতি) দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই মুনাফিকটির গর্দান উড়িয়ে দেই।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ (হাতিব) তো বদরে হাযির ছিল। তোমার কি জানা আছে সম্ভবত আল্লাহ তা’আলা বদরীদেও প্রতি নজর দিবেন এবং বলে দিবেন তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার; তোমাদের আমি মাফ করে দিলাম। এ প্রসঙ্গে এ সূরাটি নাযিল হয়ঃ

يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ

হে মুমিনগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে না। (সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ ১) বর্ণনানাকারী আমর (রহঃ) বলেনঃ আমি ইবন আবু রাফি’ (রহঃ)-কে দেখেছি। তিনি ছিলেন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর লিপিকার।

সহীহ, সহীহ আবু দাউদ ২৩৮১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয় উমার ও জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। একাধিক রাবী এই হাদীসটি সুফয়ান ইবন উরয়ায়না (রহঃ) এর বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তারা তাতে এ বাক্যটিরও উল্লেখ করেছেন (لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ) এটি আবু আবদুর রাজ্জাক সুলামী (রহঃ) সূত্রে আলী ইবন আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কোন রাবী এতে উল্লেখ করেছেনঃ (لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ)।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَالزُّبَيْرَ وَالْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَقَالَ ‏"‏ انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا فَائْتُونِي بِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَخَرَجْنَا تَتَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَةَ فَإِذَا نَحْنُ بِالظَّعِينَةِ فَقُلْنَا أَخْرِجِي الْكِتَابَ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا مَعِي مِنْ كِتَابٍ ‏.‏ فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ ‏.‏ قَالَ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ بِمَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا هَذَا يَا حَاطِبُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ تَعْجَلْ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا وَكَانَ مَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِمَكَّةَ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنْ نَسَبٍ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ كُفْرًا وَلاَ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي وَلاَ رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا فَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِيهِ أُنْزِلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ ‏:‏ ‏(‏يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ ‏)‏ السُّورَةَ ‏.‏ قَالَ عَمْرُو وَقَدْ رَأَيْتُ ابْنَ أَبِي رَافِعٍ وَكَانَ كَاتِبًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِيهِ عَنْ عُمَرَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ هَذَا الْحَدِيثَ نَحْوَ هَذَا وَذَكَرُوا هَذَا الْحَرْفَ فَقَالُوا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ نَحْوُ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ فِيهِ فَقَالَ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن عمرو بن دينار، عن الحسن بن محمد، هو ابن الحنفية عن عبيد الله بن ابي رافع، قال سمعت علي بن ابي طالب، يقول بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا والزبير والمقداد بن الاسود فقال ‏"‏ انطلقوا حتى تاتوا روضة خاخ فان بها ظعينة معها كتاب فخذوه منها فاىتوني به ‏"‏ ‏.‏ فخرجنا تتعادى بنا خيلنا حتى اتينا الروضة فاذا نحن بالظعينة فقلنا اخرجي الكتاب ‏.‏ فقالت ما معي من كتاب ‏.‏ فقلنا لتخرجن الكتاب او لتلقين الثياب ‏.‏ قال فاخرجته من عقاصها ‏.‏ قال فاتينا به رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا هو من حاطب بن ابي بلتعة الى ناس من المشركين بمكة يخبرهم ببعض امر النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ ما هذا يا حاطب ‏"‏ ‏.‏ قال لا تعجل على يا رسول الله اني كنت امرا ملصقا في قريش ولم اكن من انفسها وكان من معك من المهاجرين لهم قرابات يحمون بها اهليهم واموالهم بمكة فاحببت اذ فاتني ذلك من نسب فيهم ان اتخذ فيهم يدا يحمون بها قرابتي وما فعلت ذلك كفرا ولا ارتدادا عن ديني ولا رضا بالكفر بعد الاسلام ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ فقال عمر بن الخطاب رضى الله عنه دعني يا رسول الله اضرب عنق هذا المنافق ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انه قد شهد بدرا فما يدريك لعل الله اطلع على اهل بدر فقال اعملوا ما شىتم فقد غفرت لكم ‏"‏ ‏.‏ قال وفيه انزلت هذه السورة ‏:‏ ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا تتخذوا عدوي وعدوكم اولياء ‏)‏ السورة ‏.‏ قال عمرو وقد رايت ابن ابي رافع وكان كاتبا لعلي بن ابي طالب ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وفيه عن عمر وجابر بن عبد الله ‏.‏ وروى غير واحد عن سفيان بن عيينة هذا الحديث نحو هذا وذكروا هذا الحرف فقالوا لتخرجن الكتاب او لتلقين الثياب ‏.‏ وقد روي ايضا عن ابي عبد الرحمن السلمي عن علي نحو هذا الحديث ‏.‏ وذكر بعضهم فيه فقال لتخرجن الكتاب او لنجردنك ‏.‏


Al-Hasan bin Muhammad – and he is Al-Hanafiyyah- narrated from Ubaidallah bin Abi Rafi who said:
“I heard Ali bin Abi Talib saying: “the Messenger of Allah dispatched us – myself, Az-Zubair, and Al-Miqad bin Al- Aswad. He said: “Proceed until you reach Rawdah Khakh, where there is a lady carrying a letter. Take the letter from her and bring it to me.” So we proceeded on our way with our horses galloping until we reached the Rawdah. There we found the lady and said to her: “Give me the letter.” She said: “I have no letter.” We said: “Either you take out the letter, or we shall take off your clothes.’” He said: ‘So she took it out of her braid.’ He said: ‘We brought it to the Messenger of Allah, and it was from Hatib bin Abi Balta’ah, addressed to some of people among the idolaters of Makkah, infrmed them of some matter regarding the Prophet. So he said: “What is this O Hatib?” He said: “Do not be hasty with me O Messenger of Allah! I was a person who is an ally to the Quraish, not being related to them. The Muhajirun who are with you have relatives who can protect their families and their wealth in Makkah. So since I have no lineage among them, I wanted to do them a favor, so they might protect my relatives. I did not do this out of disbelief, nor to renegade from my religion, nor did I do it to chose disbelief [after Islam].” The Prophet said: “He said the truth.” Umar bin Al-Khattab said: “Allow me to chop off the head of this hypocrite!” The Prophet said: “Indeed he participated in (the battle of) Badr. You do not know, perhaps Allah looked at those who attended Badr and said: ‘O people of Badr! Do as you like, for I have forgiven you.’” He said: ‘It was about him, that this Surah was revealed: O you who believe! Do not take My enemies and your enemies as protecting friends showing affection towards them.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মুমতাহিনা

৩৩০৬. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ (‏إذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ) যখন মুমিন নারীগণ আপনার কাছে বায়াত হতে আসে (সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ ১২) আয়াতের বক্তব্যানুসারেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিক্ষা করতেন।

মা’মার (রহঃ) বলেনঃ আমাকে ইবন তাউস তার পিতা তাউস (রহঃ) এর বারাতে আবহিত করেছেন যে, নিজ কর্তৃত্বাধীন মহিলাদের ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাত অন্য কোন মহিলার হাত স্পর্শ করে নি।

সহীহ, বুখারি ৪৮৯১, মুসলিম ৬/২৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْتَحِنُ إِلاَّ بِالآيَةِ الَّتِي قَالَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏إذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏
قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ امْرَأَةٍ إِلاَّ امْرَأَةً يَمْلِكُهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يمتحن الا بالاية التي قال الله ‏:‏ ‏(‏اذا جاءك المومنات يبايعنك ‏)‏ الاية ‏.‏ قال معمر فاخبرني ابن طاوس، عن ابيه، قال ما مست يد رسول الله صلى الله عليه وسلم يد امراة الا امراة يملكها ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ma’mar narrated from Az-Zuhri, from Urwah that Aishah said:
“The Messenger of Allah would not have examined (the women) except for the Ayah in which Allah said: When believing come to you pledging to you.” Ma’mar said: “Ibn Tawus informed me from his father who said: ‘The hand of the Messenger of Allah did not touch the hand of a women he had not acquired.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মুমতাহিনা

৩৩০৭. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) .... উম্মু সালামা আনসারীয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈকা মহিলা বললঃ আমাদের নাফরমানী করা উচিত নয় বলে যে সৎকাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সেই সৎকাজটি কি? নবীজী বললেনঃ তোমরা (মৃতের জন্য) বিলাপ করবে না।

আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! উমুক! গোত্রের মেয়েরা আমার চাচার (বিলাপের) ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছিল। আমাকেও তো তাদের এ কাজের বদলা দিতে হবে। কিন্তু নবীজী আমাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলেন। আমি বার বার তাকে অনুরোধ করতে থাকলে শেষে তিনি আমাকে এর বদলা দিতে অনুমতি দেন। সেই ব্যক্তির বদলা হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি কারো জন্য আর বিলাপ করিনি। ঐ মহিলাদের মধ্যে আমি ছাড়া এমন কেউ ছিল না যে বিলাপ করেনি।

হাসান, তা’লীক আলা ইবনু মাজাহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব। এ বিষয়ে উম্মে আতিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ও হাদীস বর্ণিত আছে। উম্মু সালামা আনসারীয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হলেন আসমা বিনত ইয়াযীদ ইবন সাকান।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ، قَالَ حَدَّثَتْنَا أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ، قَالَتْ قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ مَا هَذَا الْمَعْرُوفُ الَّذِي لاَ يَنْبَغِي لَنَا أَنْ نَعْصِيَكَ فِيهِ قَالَ ‏ "‏ لاَ تَنُحْنَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بَنِي فُلاَنٍ قَدْ أَسْعَدُونِي عَلَى عَمِّي وَلاَ بُدَّ لِي مِنْ قَضَائِهِنَّ فَأَبَى عَلَىَّ فَعَاتَبْتُهُ مِرَارًا فَأَذِنَ لِي فِي قَضَائِهِنَّ فَلَمْ أَنُحْ بَعْدُ عَلَى قَضَائِهِنَّ وَلاَ غَيْرِهِ حَتَّى السَّاعَةِ وَلَمْ يَبْقَ مِنَ النِّسْوَةِ امْرَأَةٌ إِلاَّ وَقَدْ نَاحَتْ غَيْرِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَفِيهِ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رضى الله عنها ‏.‏ قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ هِيَ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا ابو نعيم، حدثنا يزيد بن عبد الله الشيباني، قال سمعت شهر بن حوشب، قال حدثتنا ام سلمة الانصارية، قالت قالت امراة من النسوة ما هذا المعروف الذي لا ينبغي لنا ان نعصيك فيه قال ‏ "‏ لا تنحن ‏"‏ ‏.‏ قلت يا رسول الله ان بني فلان قد اسعدوني على عمي ولا بد لي من قضاىهن فابى على فعاتبته مرارا فاذن لي في قضاىهن فلم انح بعد على قضاىهن ولا غيره حتى الساعة ولم يبق من النسوة امراة الا وقد ناحت غيري ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وفيه عن ام عطية رضى الله عنها ‏.‏ قال عبد بن حميد ام سلمة الانصارية هي اسماء بنت يزيد بن السكن ‏.‏


Shahr bin Hawshab said:
“Umm Salamah Al-Ansariyyah narrated to us, she said: ‘A woman said: “What is this Ma’ruf for which we are not to disobey in?” He (pbuh) said: “[That you not wail.]” I said: “O Messenger of Allah! Verily Banu so-and-so comforted me in the case of my uncle, and I must reciprocate for them.’ But he refused to allow me. So I asked him again numerous times, then he permitted me to reciprocate for them. So after reciprocating for the, I did not wail for anyone else until this time. And there does not remain a woman except that she has wailed besides me.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মুমতাহিনা

৩৩০৮. সালামা ইবন শাবীর (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহ তা’য়ালার বাণীঃ (إذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ) - প্রসঙ্গে বলেনঃ ইসলাম গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে সকল মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসতেন, তিনি তাদের আল্লাহর নামে শপথ করাতেন যে, আমি আমার স্বামীর প্রতি বিদ্বেষবশতঃ বের হইনি। আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ভালবাসা ব্যতীত আর কোন উদ্দেশ্যে বের হইনি।

যঈফ, বিচ্ছিন্ন, ইতহাফুল খাইরাহ আল মাহরাহ ৮/১৭৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩০৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি গারীব।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُمْتَحِنَةِ

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ إذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ ‏)‏ قَالَ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا جَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لِتُسْلِمَ حَلَّفَهَا بِاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْ بُغْضِ زَوْجِي مَا خَرَجْتُ إِلاَّ حُبًّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا سلمة بن شبيب، حدثنا محمد بن يوسف الفريابي، حدثنا قيس بن الربيع، عن الاغر بن الصباح، عن خليفة بن حصين، عن ابي نصر، عن ابن عباس، في قوله تعالى ‏:‏ ‏(‏ اذا جاءكم المومنات مهاجرات فامتحنوهن ‏)‏ قال كانت المراة اذا جاءت النبي صلى الله عليه وسلم لتسلم حلفها بالله ما خرجت من بغض زوجي ما خرجت الا حبا لله ولرسوله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏


[Abu An-Nasr narrated :
from Ibn Abbas, regarding the saying of Allah, the Most High: When believing women come to you as emigrants, examine them. He said: “When a woman come to the Prophet to accept Islam, she would have to take and an oath by Allah: ‘I have not left out of anger with my husband, I have not left except out of love for Allah and His Messenger.’”]


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে