পরিচ্ছেদঃ সূরা নূর
৩১৭৭. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) .... আমর ইবন শুআয়ব তার পিতা তার পিতামহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারছাদ ইবন আবূ মারছাদ নামে এক ব্যক্তি ছিল। সে বন্দীদের বহন করে মদীনায় নিয়ে আসত। রাবী বলেন, মক্কায় ছিল এক ব্যাভিচারিণী নারী। তার নাম ছিল ’আনাক। সে ছিল মারছাদের বান্ধবী। একবার মারছাদ মক্কার জনৈক বন্দীকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার ওয়াদা করে।
মারছাদ বলেন, এক চাঁদনী রাতে আমি এলাম এবং মক্কার দেওয়ালসমূহের এক দেওয়ালের ছায়ায় এসে পৌঁছলাম। তখন আনাক এল এবং উক্ত দেওয়ালের পার্শ্বে আমার ছায়া আকৃতি দেখতে পেল। সে আমার নিকটবর্তী হয়ে আমাকে চিনতে পারল। তখন সে বলল, মারছাদ? আমি বললামঃ মারছাদ।
সে বললঃ শুভেচ্ছা, স্বীয় পরিজনের কাছে আসলে। এস, আমাদের কাছেই আজ রাত্রি যাপন করবে। সে বলল, আমি বললামঃ হে আনাক, আল্লাহ তা’আলা যিনা হারাম করে দিয়েছে।
সে তখন (চিৎকার করে) বলতে লাগল, হে খিমাবাসিগণ, এ লোকটি তোমাদের বন্দীদের বহন করে নিয়ে যায়।
তখন আটজন লোক আমাকে পশ্চাৎধাবন করে। আমি দৌড়ে খুন্দামা পাহাড়ে গেলাম, একটি গুহায় আত্মগোপন করলাম। এরা পেছনে পেছনে এসে আমার মাথার উপর দাঁড়িয়ে গেল। তারপর এরা পেশাব করলে আমার মাথায় তাদের পেশাব গিয়ে পড়তে লাগল কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলা আমার থেকে তাদের অন্ধ করে রাখলেন, (তারা আমাকে দেখল না)। পরে তারা ফিরে গেল। তখন আমি আমার ওয়াদাকৃত লোকটির কাছে ফিরে এলাম এবং তাকে বহন করে নিয়ে চললাম। সে ছিল বেশ ভারী। তারপর ইযখীর ঘাসের জঙ্গলে পৌঁছে তার বেল্টগুলো খুলে দিলাম। অতিকষ্টে তাকে বয়ে নিতে লাগলাম। অবশেষে মদীনায় পৌঁছলাম। তারপর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আনাককে বিয়ে করে নিব? কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন। আমাকে কোন উত্তর দিলেন না। অবশেষে নাযিল হলঃ
الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
ব্যাভিচারী, ব্যাভিচারিণী বা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করে না এবং ব্যভিচারিণী - তাকে ব্যভিচারী বা মুশরিক ছাড়া কেউ বিয়ে করে না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে মারছাদ, ব্যাভিচারী ব্যাভিচারিণী বা মুশরিক নারী ভিন্ন কাউকে বিয়ে করবে না আর ব্যাভিচারিণীও ব্যভিচারী বা মুশরিক ভিন্ন কাউকে বিয়ে করবে না। সুতরাং তুমি তাকে (আনাককে) বিয়ে করতে পার না।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ وَكَانَ رَجُلاً يَحْمِلُ الأَسْرَى مِنْ مَكَّةَ حَتَّى يَأْتِيَ بِهِمُ الْمَدِينَةَ قَالَ وَكَانَتِ امْرَأَةٌ بَغِيٌّ بِمَكَّةَ يُقَالُ لَهَا عَنَاقُ وَكَانَتْ صَدِيقَةً لَهُ وَإِنَّهُ كَانَ وَعَدَ رَجُلاً مِنْ أُسَارَى مَكَّةَ يَحْمِلُهُ قَالَ فَجِئْتُ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى ظِلِّ حَائِطٍ مِنْ حَوَائِطِ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ . قَالَ فَجَاءَتْ عَنَاقُ فَأَبْصَرَتْ سَوَادَ ظِلِّي بِجَنْبِ الْحَائِطِ فَلَمَّا انْتَهَتْ إِلَىَّ عَرَفَتْهُ فَقَالَتْ مَرْثَدُ فَقُلْتُ مَرْثَدُ . فَقَالَتْ مَرْحَبًا وَأَهْلاً هَلُمَّ فَبِتْ عِنْدَنَا اللَّيْلَةَ . قَالَ قُلْتُ يَا عَنَاقُ حَرَّمَ اللَّهُ الزِّنَا . قَالَتْ يَا أَهْلَ الْخِيَامِ هَذَا الرَّجُلُ يَحْمِلُ أَسْرَاكُمْ . قَالَ فَتَبِعَنِي ثَمَانِيَةٌ وَسَلَكْتُ الْخَنْدَمَةَ فَانْتَهَيْتُ إِلَى كَهْفٍ أَوْ غَارٍ فَدَخَلْتُ فَجَاءُوا حَتَّى قَامُوا عَلَى رَأْسِي فَبَالُوا فَطَلَّ بَوْلُهُمْ عَلَى رَأْسِي وَأَعْمَاهُمُ اللَّهُ عَنِّي . قَالَ ثُمَّ رَجَعُوا وَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَحَمَلْتُهُ وَكَانَ رَجُلاً ثَقِيلاً حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى الإِذْخِرِ فَفَكَكْتُ عَنْهُ كَبْلَهُ فَجَعَلْتُ أَحْمِلُهُ وَيُعِينُنِي حَتَّى قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْكِحُ عَنَاقًا مَرَّتَيْنِ فَأَمْسَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ شَيْئًا حَتَّى نَزَلَتِ : (الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَرْثَدُ الزَّانِي لاَ يَنْكِحُ إِلاَّ زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لاَ يَنْكِحُهَا إِلاَّ زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ فَلاَ تَنْكِحْهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated 'Amr bin Shu'aib:
from his father, from his grandfather, who said "There was a man named Marthad bin Abi Marthad, and he was a man who would carry captives from Makkah to Al-Madinah." He said: "And there was a prostitute woman in Makkah called 'Anaq, who was a friend of his. He had promised a man from the captives of Makkah that he would transport him, and he said: 'So I came until I reached one of the walls of Makkah on a moon-lit night.' He said "'Anaq came along and she saw the darkness of my shadow next to the wall. When she reached me she recognized me and said: "Marthad?" So I replied: "(Yes it is) Marthad." She said: "Welcome, come and spend the night with us." I said: "O 'Anaq! Allah has made illicit sexual relations unlawful." So she said: "O people of the tents! That is the man who takes your captives away!" He said: "Eight people followed me, and I went through the passes of Al-Khandamah. I stopped at a cave and entered it. They came until they stood over my head, and they began urinating, their urine falling on my head. Yet Allah made them unable to see me. He said: 'Then I went back. I returned to my companion to transport him - and he was a heavy man - until I reached Al-Idhkir. There I removed his shackles to make him easier to carry, since he was exhausting me, until I arrived at Al-Madinah. I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and I said "O Messenger of Allah! May I marry 'Anaq? [I said this, two times] but the Messenger of Allah (ﷺ) was silent, and he did not reply to me at all until (the following) was revealed: The Zani marries not but a Zaniyah or a Mushrikah; and the Zaniyah, none marries her except a Zani or a Mushrik (24:3). So do not marry her.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা নূর
৩১৭৮. হান্নাদ (রহঃ) ...... সাঈদ ইবন জুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুসআব ইবন যুবায়র (রহঃ)-এর আমীর থাকা কালে আমাকে লিআন কারীদ্বয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, এই দুই জনের মাঝে বিচ্ছেদ করে দেওয়া হবে কি না! কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না, কি বলব, তখন আমি আমার বাসস্থান থেকে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বাড়ি গেলাম এবং তাঁর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলাম, আমাকে বলা হল তিনি দুপুরের বিশ্রাম নিচ্ছেন। (ইতিমধ্যে) তিনি আমার কথা শুনতে পেয়ে বললেনঃ ইবন জুবায়র? ভিতরে এস, অবশ্য বিশেষ প্রয়োজনই তোমাকে নিয়ে এসেছে। ভিতরে প্রবেশ করে দেখি তিনি তাঁর হাওদার একটি ছাল বিছিয়ে শুয়ে আছেন। আমি বললামঃ হে আবূ আবদির রাহমান, লিআন কারী স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পর বিচ্ছেদ করে দিতে হবে কি?
তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্, হ্যাঁ। প্রথম এই বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলেছিলেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখে তবে সে কি করবে? যদি কিছু বলে, তবে তো তাকে সাংঘাতিক কথা বলতে হবে, আর যদি চুপ করে থাকে তবেও সাংঘাতিক এক বিষয়ে সে চুপ রইল।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে রইলেন। তাকে তিনি উত্তর দিলেন না। পরে সে প্রশ্নকর্তা আবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেনঃ যে বিষয়ে আপনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম আমি নিজেই তাতে নিপতিত। তখন আল্লাহ্ তা’আলা সূরা নূর নাযিল করেনঃ
والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিটিকে ডাকলেন এবং তাকে এই আয়াতগুলি তেলাওয়াত করে শুনালেন। তিনি তাঁকে নসীহত করলেন। উপদেশ দিলেন এবং অবহিত করলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর, তখন লোকটি বলল: না, কসম ঐ সত্তার যিনি সত্যসহ আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আমি এই মহিলা সম্পর্কে মিথ্যা বলিনি।
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েটির দিকে ফিরলেন, তাকে ওয়াজ করলেন, উপদেশ দিলেন এবং অবহিত করলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর। সে বললঃ না কসম ঐ সত্তার, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! এই পুরুষ সত্য কথা বলে নি।
তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষটির থেকে লিআন শুরু করলেন। সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে এই কথার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। পঞ্চম বার বললঃ সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে যেন তার উপর আল্লাহর লা’নত হয়। অতঃপর মহিলাটির দিকে ফিরলেন। সেও চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, পুরুষটি মিথ্যাবাদী। পঞ্চম বারে বলল, পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয় তবে যেন তার উপর আল্লাহর গযব হয়। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সহীহ, মুসলিম ২০৬, ২০৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে সাহল ইবন সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، فِي إِمَارَةِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَقُمْتُ مِنْ مَكَانِي إِلَى مَنْزِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَقِيلَ لِي إِنَّهُ قَائِلٌ فَسَمِعَ كَلاَمِي فَقَالَ لِي ابْنَ جُبَيْرٍ ادْخُلْ مَا جَاءَ بِكَ إِلاَّ حَاجَةٌ قَالَ فَدَخَلْتُ فَإِذَا هُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْدَعَةَ رَحْلٍ لَهُ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلاَعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ أَحَدَنَا رَأَى امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدِ ابْتُلِيتُ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ : (والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) حَتَّى خَتَمَ الآيَاتِ قَالَ فَدَعَا الرَّجُلَ فَتَلاَهُنَّ عَلَيْهِ وَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا . ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ وَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ فَقَالَتْ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا صَدَقَ . فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Sa'eed bin Jubair:
"I was asked about those who were involved in the case of Li'an and if they are to be separated, during the leadership of Mus'ab bin Az-Zubair. I did not know what to say. So I went to the house of 'Abdullah bin 'Umar and I sought permission to enter. I was told he was taking a nap, but he heard me taking and he said: 'Is it Ibn Jubair? Enter. You would not have come except for a need.'" He said: "So I entered and found him laying on a saddlecloth from his mount. I said: 'O Abu 'Abdur-Rahman! Are those involved in Li'an separated?' He said: 'Glorious is Allah! Yes. The first who asked about hat was so-and-so the son of so-and-so. He came to the Prophet (ﷺ) and said "O Messenger of Allah! If one of us saw his wife committing adultery, what should he do? If he were to say anything, his statement would be a horrible matter, and if he were to remain silent, his silence about the matter would be horrible." He said: 'So the Prophet (ﷺ) remained silent and did not answer him. Afterwards he came to the Prophet (ﷺ) and said: "The one who asked you about it has been tried by it." So Allah revealed these Ayat from Surat An-Nur: 'And those who accuse their wives and have no witnesses except themselves, let the testimony of one of them be four testimonies by Allah (24:6-10)' - until the end of those Ayat. He said: 'So he called for the man and recited the Ayat to him and admonished him, reminded him, and he told him: "Indeed the punishment of the world is less than the punishment of the Hereafter." So he said: "Nay! By the One Who sent you with the Truth! I did not lie about her." Then he (ﷺ) did the same with the woman, admonishing her and reminding her and he told her: "Indeed the punishment of the world is less than the punishment of the Hereafter." She said: "Nay! By the One Who sent you with the Truth! He is not telling the truth.'" "He said: 'So he started with the man: He testified four times, by Allah that he is one of the truthful, and the fifth time that the curse of Allah be upon him if he was one of the liars. Then the same with the woman: She testified four times by Allah, that he was one of the liars, and the fifth time that the wrath of Allah be upon her if he was one of the truthful. Then he separated the two of them.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা নূর
৩১৭৯. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হিলাল ইবন উমাইয়া তাঁর স্ত্রীকে শারীক ইবন সাহমার সঙ্গে জড়িয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যিনার অপবাদ দেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাক্ষী পেশ কর। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।
হিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কেউ যদি তার স্ত্রীর উপর কোন ব্যক্তিকে আপতিত দেখতে পায় তবে কি সে সাক্ষী তালাশ করতে যায়? কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলতে লাগলেনঃ সাক্ষী আন। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।
হিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ কসম সেই সত্তার যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। আমি অবশ্যই সত্যবাদী। আমার এই বিষয়ে অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা এমন কিছু নাযিল করবেন যদ্বারা হদ প্রয়োগ থেকে আমার পিঠ বেঁচে যাবে। অনন্তর আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেনঃ
والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের দুই জনকে ডেকে নিয়ে আসলেন। হিলাল ইবন উমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছিলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মাঝে তওবা করার কেউ আছে কি?
এরপর মেয়েটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেয়। পঞ্চম বারে যখন ’’পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয় তবে তার (মেয়েটির) উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক’’, বলার সময় এল তখন উপস্থিত লোকেরা বললঃ এ গযব অবশ্যম্ভাবী হবে।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ মেয়েটি তখন থেমে গেল এবং মাথা নীচু করে ফেলল। এমন কি আমাদের ধারণা হয় যে, সে বুঝি তার কথা প্রত্যাহার করবে। এরপর সে বললঃ আমি আমার কওমকে সকল সময়ের জন্য বেইজ্জত করতে পারি না।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মেয়েটিকে লক্ষ্য কর। সে যদি সুরমা টানা দু’চোখ, ভারি নিতম্ব এবং সুস্পষ্ট জংঘা বিশিষ্ট বাচ্চা প্রসব করে তবে শারীক ইবন সাহমার। শেষে মেয়েটি এই ধরণের বাচ্চা প্রসব করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই বিষয়ে কিতাবুল্লাহর বিধান যদি আগে থেকেই না থাকত তবে এই মেয়েটির ক্ষেত্রে আমাদের একটা দৃষ্টান্তমূলক বিষয় ঘটত।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ২০৬৭, বুখারি ৪৭৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-গারীব। আব্বাস ইবন মানসূর (রহঃ) এই হাদীসটি ইকরিমা-ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ রিওয়ায়ত করেছেন। আয়্যূব (রহঃ) এটি ইকরিমা (রহঃ) থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর উল্লেখ করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبِيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلاً عَلَى امْرَأَتِهِ أَيَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْبَيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيَنْزِلَنَّ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنَ الْحَدِّ فَنَزَلَ : (والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ : ( والْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلاَلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ " . ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَتْ عِنْدَ الْخَامِسَةِ : ( أنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالُوا لَهَا إِنَّهَا مُوجِبَةٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَسَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ لاَ أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ " . فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَانَ لَنَا وَلَهَا شَأْنٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ وَهَكَذَا رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated 'Aishah:
"What was said about me had been said, and I myself was unaware of it, the Messenger of Allah (ﷺ) got up and addressed the people. He recited the Tashahhud and after praising and expressing gratitude to Allah, as He deserved, he said: 'To proceed: O people! Give me your opinion regarding those people who made a forged story against my wife. By Allah, I do not know anything bad about her at all. By Allah, they accused her of being with a man about whom I have never known anything bad, and he never entered my house unless I was present there, and whenever I went on a journey, he went with me.' Sa'd bin Mu'adh [may Allah be pleased with him] got up and said: 'O Messenger of Allah (ﷺ)! Allow me to chop their heads off!' Then a man from Al-Khazraj, to whom the mother of Hassan bin Thabit was a relative, got up and said (to Sa'd): 'You have told a lie! By Allah, if those persons were from Al-Aws, you would not like to chop their heads.' It was probable that some evil would take place between Aws and Khazraj in the Masjid while I was unaware of that. In the evening of that day, I went out for some of my needs, and Umm Mistah was accompanying me. On our return, Umm Mistah stumbled and said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her, 'O mother! Why do you abuse your son?' On that Umm Mistah became silent for a while, and stumbling again, she said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her: 'O mother! Why do you abuse your son?' She stumbled for the third time and said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her: 'O mother! Why do you abuse your son?' Upon that she said: 'By Allah! I do not abuse him except because of you.' I asked her: 'Concerning what of my affairs?' So she disclosed the whole story to me. I said: 'Has this really happened?' She replied: 'Yes, by Allah!' I returned to my house, so astonished, that I did not know for what purpose I had gone out. Then I became sick and said to the Messenger of Allah (ﷺ) 'Send me to my father's house.' So he sent a servant with me, and when I entered the house, I found Umm Ruman downstairs, while Abu Bakr was reciting something upstairs. My mother asked: 'What has brought you, O daughter?' She said: "I informed her and mentioned the whole story to her, but she did not feel as I did about it. She said: 'O my daughter! Do not worry much about this matter, for there is never a charming lady loved by her husband who has other wives, but that they feel jealous of her and speak badly of her.' But she did not feel the same about it as I did. I asked her: 'Does my father know about it?' She said 'Yes.' I asked: 'Does the Messenger of Allah (ﷺ) know about it too?' She said 'Yes, the Messenger of Allah (ﷺ) also knows about it.' Tears filled my eyes and I wept. Abu Bakr, who was reading upstairs, heard my voice, and came down asking my mother: 'What is the matter with her?' She said: 'She has heard what has been said about her.' On that Abu Bakr wept and said: 'I beseech you, by Allah, O my daughter, to go back to your home.' I went back to my home, and the Messenger of Allah (ﷺ) had come to my house asking my maid-servant about me. The maid-servant said: 'By Allah! I do not know of any fault or defect in her character except that she sleeps and lets the sheep enter and eat her dough.' On that, some of the Prophet's Companions spoke harshly to her and said: 'Tell the truth to the Messenger of Allah (ﷺ).' Finally, they told her of the slander and she said: 'Subhan Allah! By Allah, I know nothing against her except what a goldsmith knows about a piece of pure gold.' Then this news reached the man who was accused, and he said: 'Subhan Allah! By Allah, I have never uncovered the private parts of any woman.' Later, that man was martyred in Allah's Cause. Then the next morning, my parents came to pay me a visit and they stayed with me until the Messenger of Allah (ﷺ) came to me, after he performed the 'Asr prayer. He came to me and while my parents were sitting around me on my right and my left. The Prophet (ﷺ) said the Tashahhud, praised and glorified Allah and said: 'Now then, O 'Aishah! If you have committed a bad deed, or you have wronged (yourself), then repent to Allah, as Allah accepts the repentance from His worshipers.' An Ansari woman had come and was sitting near the gate. I said to the Prophet (ﷺ): 'Isn't it improper that you speak in such a way in the presence of this lady?' The Messenger of Allah (ﷺ) then gave a piece of advice and I turned to my father and requested him to reply to him. My father said: 'What should I say?' Then I turned to my mother and asked her to answer him. She said: 'What should I say?' When my parents did not reply to the Prophet (ﷺ), I said the Tashahhud, praised and glorified Allah as His due, and I said: 'Then, by Allah! If I were to tell you that I have not done (this) and Allah, the Mighty and Sublime, is witness that I am telling the truth, that would not be of any use to me on your part, because you (people) have spoken about it and your hearts have absorbed it (as truth); and if I were to tell you that I have done this sin, and Allah knows that I have not done it, then you will say: 'She has confessed her guilt.' By Allah! I do not see a suitable example for me and you except the example of - and I could not remember Ya'qbus name - Yusuf's father when he said: So patience is most fitting. And it is Allah Whose help can be sought against that which you describe (12:18). She said: "It was at that time that Revelation came to the Messenger of Allah (ﷺ), and we remained silent. Then the Revelation was over, and I noticed the signs of happiness on his face while he was wiping (the sweat) from his forehead, and saying: 'Have the good tidings O 'Aishah! Allah has revealed your innocence.' At that time I was extremely angry. My parents said to me: 'Get up and go to him.' I said: 'By Allah, I will not do it,and will not thank him nor either of you, but I will thank Allah, Who has revealed my innocence. You have heard (this story) but neither of you have denied it, nor have you changed it (to defend me).'" 'Aishah used to say: "But as regards to Zainab bint Jahsh, Allah protected her because of her piety. She did not say anything except good (about me). But her sister, Hamnah was ruined among those who were ruined. Those who used to speak evil about me were Mistah, Hassan bin Thabit, and the hypocrite 'Abdullah bin Ubayy [bin Salul] and [it is he who] used to spread that news and tempt others to speak of it, and it was he and Hamnah who had the greater share therein. Abu Bakr took an oath that he would never do any favor for Mistah at all. Then Allah, Most High, revealed this Ayah: 'Let not those among you who are blessed with graces and wealth' [until the end of the Ayah] referring to Abu Bakr: 'to give their kinsmen, the poor, and those who left their homes for Allah's Cause.' - meaning Mistah - up to His saying: Do you not love that Allah should forgive you? And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful (24:22).' On that, Abu Bakr said: 'Yes, by Allah! O our Lord! We wish that You forgive us.' So he returned to what he had been doing."
পরিচ্ছেদঃ সূরা নূর
৩১৮০. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার সম্পর্কে যখন অপবাদ রটনা হচ্ছিল অথচ এর কিছুই আমি জানতাম না। তখন একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। তিনি তাশাহহুদ পাঠ করলেন। আল্লাহর যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলেন। পরে বললেনঃ আম্মা বাদ, এই সব লোকদের বিষয়ে তোমরা আমাকে পরামর্শ দাও যারা আমার স্ত্রী সম্পর্কে অপবাদ রটাচ্ছে। অথচ আল্লাহর কসম, আমার স্ত্রীর সম্পর্কে কখনও মন্দ কিছু আমি জানি না। এরা এমন এক ব্যক্তিকে জড়িয়ে অপবাদ দিচ্ছে আল্লাহর কসম, তার সম্পর্কেও আমি মন্দ বলতে কখনো কিছু জানি না। আর আমার উপস্থিতি ভিন্ন সে আমার ঘরে কোন দিন আসেনি। কোন সফর ব্যাপদেশে আমি যখন অনুপস্থিত থেকেছি সে-ও আমার সঙ্গেই অনুপস্থিত থেকেছে।
সা’দ ইবন মুআয উঠে দাঁড়ালেন। বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এদের গর্দান উড়িয়ে দিতে আপনি আমাকে অনুমতি দিন। খাযরাজ কাবীলার জনৈক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। হাসসান ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু (যিনি প্রপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে রটনাকারীদের মধ্যে শামিল হয়ে পড়েছিলেন)-এর মা ছিলেন ঐ ব্যক্তিটির কাবীলার, সে বললঃ তুমি ঠিক বলনি। আওস গোত্রের যদি কোন ব্যক্তি হত তবে আর তাদের গর্দানে আঘাত করা তুমি পছন্দ করতে না।
শেষে আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মাঝে সমজিদেই মন্দ পরিস্থিতি সৃষ্টির উপক্রম হয়ে দাঁড়াল। অথচ আমি কিছুই জানতে পারি নি। ঐ দিন বিকালে আমি আমার কোন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজনে বের হই। আমার সঙ্গে ছিলেন মিসতাহ-এর মা। হঠাৎ তাঁর পা পিছলে যায়। তিনি বলে উঠলেনঃ মিসতাহ ধ্বংস হোক।
আমি বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন? তিনি চুপ রইলেন। দ্বিতীয়বার তাঁর পা পিছলে যায়। তিনি বললেনঃ মিসতাহ-এর ধ্বংস হোক।
আমি তাঁকে বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন?
তিনি চুপ করে গেলেন। এরপর তৃতীয়বার তাঁর পা জড়িয়ে যায়। তিনি বললেনঃ মিসতাহ-এর ধ্বংস হোক। আমি এইবার তাঁকে ধমক দিয়ে বললামঃ হে মা, আপনি আপনার পুত্রকে ভৎর্সনা করছেন?
তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম, তোমার জন্যই তো তাকে ভৎর্সনা করছি।
আমি বললাম আমার কি বিষয়ে?
তিনি তখন আমার কাছে পুরা বিষয়টি খুলে বললেন। আমি বললাম, এই ধরনের কথা হয়েছে!
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহর কসম!
আমি আমার ঘরে ফিরে আসলাম। যে বিষয়ে বের হয়েছিলাম সে জন্য বেরই হই নি। কম বা বেশী কোন প্রয়োজনই টের পাচ্ছিলাম না। আমি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললামঃ আমাকে আমার পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দিন। তিনি আমার সঙ্গে একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। আমি ঘরে প্রবেশ করলাম এবং উম্মু রূমান (আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর মা)-কে নীচে পেলাম। আর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু উপরে (কুরআন) তিলাওয়াত করছিলেন। আমার মা আমাকে বললেনঃ প্রিয় কন্যা, কি জন্য এসেছ?
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি তাকে অবহিত করলাম এবং তাঁকে ঘটনা বর্ণনা করলাম। দেখি যে খবরটি তাঁর কাছে সেভাবে আছর করেনি আমার উপর যেভাবে আছর করেছে। তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা, বিষয়টি তোমার জন্য একটু হালকা করে দেখ। কেননা, আল্লাহর কসম, মহিলা যদি সুন্দরী হয় এবং স্বামী যদি তাকে ভালবাসে আর তার যদি কতিপয় সতীন থাকে তবে খুব কমই সে হিংসা থেকে বাঁচতে পারে। তার সম্বন্ধে (কিছু কিছু কথার) রটনা হয়েই থাকে।
যা হোক, যখন দেখলাম যে, আমার কাছে খবরটির যে প্রভাব পৌঁছেছে তাঁর উপর সে প্রভাব পড়েনি, তিনি বলেন, তখন তাঁকে আমি বললাম, আমার পিতাকে তা জানান হয়েছে কি?
তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি কান্নাকাটি করতে লাগলাম।
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি ঘরের উপর কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তিনি নীচে নেমে এলেন এবং আমার মাকে বললেনঃ এর ব্যাপার কি? তিনি বললেনঃ এর বিষয়ে যে রটনা চলছে তা তার কাছে পৌঁছে গেল। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর দুই চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে এল। তিনি বললেনঃ হে প্রিয় কন্যা, তোমার উপর কসম দিয়ে বলছি অবশ্য তুমি তোমার বাড়ি ফিরে যাও।
অনন্তর আমি ফিরে আসলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে এলেন এবং আমার সম্পর্কে তিনি আমার খাদিমকে জিজ্ঞাসা করলেন। সে বলল, আল্লাহর কসম, তাঁর কোন ধরনের কোন দোষ আছে বলে আমি জানি না। তবে তিনি এত সরলা যে, অনেক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন আর বকরী তাঁর আটার খামির খেয়ে ফেলে। তখন কোন সাহাবী খাদিমা মেয়েটিকে ধমক দিয়ে বললেনঃ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সত্য কথা বল। এমনকি তিনি এই বিষয়ে তাকে গালাগালিও করলেন। খাদিমা মেয়েটি তখন বিস্ময় প্রকাশ করে বলল, সুবহানাল্লাহ্, আল্লাহর কসম, স্বর্ণকার লাল স্বর্ণের খাঁটিত্ব সম্পর্কে যতটুকু জানে আমিও এই মহিলার নির্দোষ হওয়া সম্পর্কে ততটুকু জানি।
যে পুরুষটিকে জড়িয়ে এই অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তার কাছে যখন বিষয়টি পৌঁছল তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্, আল্লাহর কসম, আমি তো কখনও কোন মহিলার অর্ন্তবাস খুলিনি!
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ইনি পরে আল্লাহর পথে শহীদ হন।
তিনি আরো বলেন, সকালে আমার পিতা-মাতা আমার কাছে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আসা পর্যন্ত তাঁরা আমার কাছেই থাকলেন। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন এবং আসরের সালাত (নামায)আদায় করলেন। তারপর তিনি আমার কাছে এলেন। আমার পিতা এবং মাতা আমার ডান পাশে আমাকে ঘিরে বসেছিলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহহুদ পাঠ করলেন এবং আল্লাহ্ তা’আলার যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলেন। এরপর বললেনঃ আম্মা বাদ, হে আয়িশা, যদি কোন মন্দ কিছু তোমার হয়ে গিয়ে থাকে বা নিজের উপর কোন জুলুম করে থাক তবে তুমি আল্লাহর কাছে তওবা কর। কেনন, আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর বান্দাদের তওবা অবশ্যই কবুল করে থাকেন।
এই সময় একজন আনসারী মহিলাও সেখানে এসেছিলেন। তিনি দরজায় বসা ছিলেন। আমি বললাম, এই মহিলাও কোন কিছু রটনা করতে পারেন ভেবে এর সামনেও কি এই কথা বলতে আপনাদের কোন লজ্জা করছে না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু নসীহত করলেন আমি তখন আমার পিতার দিকে ফিরে বললাম, আপনি এর উত্তর দিন।
তিনি বললেনঃ আমি কি বলব?
আমি আমার মায়ের দিকে ফিরে বললামঃ আপনি এর জওয়াব দিন।
তিনি বললেনঃ কি বলব আমি?
এরা কেউই যখন কোন উত্তর দিলেন না তখন আমি তাশাহহুদ পাঠ করলাম এবং আল্লাহ্ তা’আলার যথোপযুক্ত হামদ ও ছানা করলাম। পরে বললামঃ শুনুন, আল্লাহর কসম, আমি যদি আপনাদের বলি যে, আমি তা করিনি, আর আল্লাহ্ সাক্ষী আমি আমার বক্তব্যে সত্যবাদী, কিন্তু আমার ঐ কথা আপনাদের কাছে আমার কোন উপকারে আসবে না। এই বিষয়ে আপনারা আলাপ-আলোচনা করেছেন আর আপনাদের হৃদয়ে তা গেঁথে গেছে। আর যদি বলি আমি এই কাজ করেছি, আর আল্লাহ্ তা’আলা জানেন যে আমি তা করিনি। কিন্তু আপনারা বলবেন যে, মেয়েটির স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। আল্লাহর কসম, আমি আমার ও আপনাদের ক্ষেত্রে ইউসূফ (আঃ) এর পিতার দৃষ্টান্ত ছাড়া আর কোন উপমা পাচ্ছি না।
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি তখন ইয়াকূব (আঃ)-এর নাম মনে করতে খুব প্রয়াস পেলাম, কিন্তু তা না পেরে ইউসুফ (আঃ)-এর পিতা বলেছিলাম।
যা হোক, ইয়াকুব (আঃ) বলেছিলেনঃ (فصبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ) পূর্ণ ধৈর্যই উত্তম। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে আল্লাহ্ই একমাত্র আশ্রয়স্থল। (সূরা ইউসূফ ১২ঃ ১৮)
আয়িশা বলেন, এই সময়েই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ওহী নাযিল শুরু হল। আমরা চুপ করে রইলাম সব শেষে তাঁর এই অবস্থা অপসৃত হল। আমি তাঁর চেহারায় আনন্দের আভাস বুঝতে পারছিলাম। তিনি তাঁর কপাল থেকে ঘাম মুছলেন এবং বলতে লাগলেনঃ হে আয়িশা, সুসংবাদ গ্রহণ কর। আল্লাহ্ তা’আলা তোমার ক্রটিহীনতার বিবরণ নাযিল করেছেন।
আমি আগের চেয়েও বেশি ক্ষুদ্ধ ছিলাম। আমার পিতা-মাতা আমাকে বললেনঃ উঠ তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে যাও।
আমি বললামঃ না, আল্লাহর কসম, আমি উঠে তাঁর কাছে যাব না। তাঁর তা’রীফ করব না এবং আপনাদের দু’জনেরও তা’রীফ করব না। বরং আল্লাহ তা’আলারই হামদ ও তা’রীফ করছি, যিনি আমার ক্রটিহীনতার বিবরণ নাযিল করেছেন। আপনারা তো বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু তার কোন প্রতিবাদ করেন নি এবং তার কোন প্রতিকার করেন নি।
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যায়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে তার দ্বীনদারীর দরুন এই বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে হেফাযত করেছেন। তিনি এই ক্ষেত্রে ভাল ছাড়া অন্য কিছু বলেন নি। কিন্তু তাঁর বোন হামনা এ বিষয়ে লিপ্ত হয়েছে এবং যারা হালাক হয়েছে সে ছিল তাদের মধ্যে। এই বিষয়ের রটনায় যারা ছিল তারা হল মিসতাহ, হাসসান ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আর মুনাফিক আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই। সে-ই গুযব সংগ্রহ করত এবং তা রটাত। এই বিষয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল সে-ই আর হামনা।
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহ কসম খেয়ে বসেন যে, মিসতাহের কোন উপকার আর তিনি করবেন না। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
ألاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ অবশ্যই আল্লাহর কসম, হে আমাদের রব। আমরা অবশ্যই পছন্দ করি যে, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। এরপর তিনি মিসতাহ-এর সঙ্গে যে আচরণ করতেন পুনরায় তা করা শুরু করেন।
সহীহ, বুখারি ৪৭৫৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৮০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) এর রিওয়ায়ত হসাবে এই হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব। ইউনুস ইবন ইয়াযীদ, মা’মার (রহঃ) প্রমুখ যুহরী-উরওয়া উবনুয যুবায়র, সাঈদ ইবনুল মুসয়্যাব, আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল-লায়ছী, উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্-আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর সূত্রে এই হাদীসটি হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) এর অপেক্ষা আরো দীর্ঘ এবং পূর্ণাঙ্গ রূপে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ذُكِرَ مِنْ شَأْنِي الَّذِي ذُكِرَ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيَّ خَطِيبًا فَتَشَهَّدَ وَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي أُنَاسٍ أَبَنُوا أَهْلِي وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَى أَهْلِي مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَأَبَنُوا بِمَنْ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَلاَ دَخَلَ بَيْتِي قَطُّ إِلاَّ وَأَنَا حَاضِرٌ وَلاَ غِبْتُ فِي سَفَرٍ إِلاَّ غَابَ مَعِي فَقَامَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ ائْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ أَضْرِبَ أَعْنَاقَهُمْ . وَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْخَزْرَجِ وَكَانَتْ أُمُّ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ مِنْ رَهْطِ ذَلِكَ الرَّجُلِ فَقَالَ كَذَبْتَ أَمَا وَاللَّهِ أَنْ لَوْ كَانُوا مِنَ الأَوْسِ مَا أَحْبَبْتَ أَنْ تُضْرَبَ أَعْنَاقُهُمْ حَتَّى كَادَ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ الأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ شَرٌّ فِي الْمَسْجِدِ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ فَلَمَّا كَانَ مَسَاءُ ذَلِكَ الْيَوْمِ خَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي وَمَعِي أُمُّ مِسْطَحٍ فَعَثَرَتْ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أَمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَسَكَتَتْ ثُمَّ عَثَرَتِ الثَّانِيَةَ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أَمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَسَكَتَتْ ثُمَّ عَثَرَتِ الثَّالِثَةَ فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَانْتَهَرْتُهَا فَقُلْتُ لَهَا أَىْ أُمَّ تَسُبِّينَ ابْنَكِ فَقَالَتْ وَاللَّهِ مَا أَسُبُّهُ إِلاَّ فِيكِ . فَقُلْتُ فِي أَىِّ شَيْءٍ قَالَتْ فَبَقَرَتْ إِلَىَّ الْحَدِيثَ قُلْتُ وَقَدْ كَانَ هَذَا قَالَتْ نَعَمْ . وَاللَّهِ لَقَدْ رَجَعْتُ إِلَى بَيْتِي وَكَأَنَّ الَّذِي خَرَجْتُ لَهُ لَمْ أَخْرُجْ لاَ أَجِدُ مِنْهُ قَلِيلاً وَلاَ كَثِيرًا وَوُعِكْتُ فَقُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسِلْنِي إِلَى بَيْتِ أَبِي فَأَرْسَلَ مَعِي الْغُلاَمَ فَدَخَلْتُ الدَّارَ فَوَجَدْتُ أُمَّ رُومَانَ فِي السُّفْلِ وَأَبُو بَكْرٍ فَوْقَ الْبَيْتِ يَقْرَأُ فَقَالَتْ أُمِّي مَا جَاءَ بِكِ يَا بُنَيَّةُ قَالَتْ فَأَخْبَرْتُهَا وَذَكَرْتُ لَهَا الْحَدِيثَ فَإِذَا هُوَ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهَا مَا بَلَغَ مِنِّي قَالَتْ يَا بُنَيَّةُ خَفِّفِي عَلَيْكِ الشَّأْنَ فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَقَلَّمَا كَانَتِ امْرَأَةٌ حَسْنَاءُ عِنْدَ رَجُلٍ يُحِبُّهَا لَهَا ضَرَائِرُ إِلاَّ حَسَدْنَهَا وَقِيلَ فِيهَا فَإِذَا هِيَ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهَا مَا بَلَغَ مِنِّي قَالَتْ قُلْتُ وَقَدْ عَلِمَ بِهِ أَبِي قَالَتْ نَعَمْ . قُلْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ نَعَمْ . وَاسْتَعْبَرْتُ وَبَكَيْتُ فَسَمِعَ أَبُو بَكْرٍ صَوْتِي وَهُوَ فَوْقَ الْبَيْتِ يَقْرَأُ فَنَزَلَ فَقَالَ لأُمِّي مَا شَأْنُهَا قَالَتْ بَلَغَهَا الَّذِي ذُكِرَ مِنْ شَأْنِهَا . فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ أَقْسَمْتُ عَلَيْكِ يَا بُنَيَّةُ إِلاَّ رَجَعْتِ إِلَى بَيْتِكِ . فَرَجَعْتُ وَلَقَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي فَسَأَلَ عَنِّي خَادِمَتِي فَقَالَتْ لاَ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا عَيْبًا إِلاَّ أَنَّهَا كَانَتْ تَرْقُدُ حَتَّى تَدْخُلَ الشَّاةُ فَتَأْكُلَ خَمِيرَتَهَا أَوْ عَجِينَتَهَا وَانْتَهَرَهَا بَعْضُ أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَصْدِقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَسْقَطُوا لَهَا بِهِ فَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا إِلاَّ مَا يَعْلَمُ الصَّائِغُ عَلَى تِبْرِ الذَّهَبِ الأَحْمَرِ فَبَلَغَ الأَمْرُ ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي قِيلَ لَهُ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا كَشَفْتُ كَنَفَ أُنْثَى قَطُّ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُتِلَ شَهِيدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَتْ وَأَصْبَحَ أَبَوَاىَ عِنْدِي فَلَمْ يَزَالاَ عِنْدِي حَتَّى دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَقَدِ اكْتَنَفَنِي أَبَوَاىَ عَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَتَشَهَّدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ يَا عَائِشَةُ إِنْ كُنْتِ قَارَفْتِ سُوءًا أَوْ ظَلَمْتِ فَتُوبِي إِلَى اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ " . قَالَتْ وَقَدْ جَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَهِيَ جَالِسَةٌ بِالْبَابِ فَقُلْتُ أَلاَ تَسْتَحِي مِنْ هَذِهِ الْمَرْأَةِ أَنْ تَذْكُرَ شَيْئًا . فَوَعَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَالْتَفَتُّ إِلَى أَبِي فَقُلْتُ أَجِبْهُ . قَالَ فَمَاذَا أَقُولُ فَالْتَفَتُّ إِلَى أُمِّي فَقُلْتُ أَجِيبِيهِ . قَالَتْ أَقُولُ مَاذَا قَالَتْ فَلَمَّا لَمْ يُجِيبَا تَشَهَّدْتُ فَحَمِدْتُ اللَّهَ وَأَثْنَيْتُ عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ قُلْتُ لَكُمْ إِنِّي لَمْ أَفْعَلْ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنِّي لَصَادِقَةٌ مَا ذَاكَ بِنَافِعِي عِنْدَكُمْ لِي لَقَدْ تَكَلَّمْتُمْ وَأُشْرِبَتْ قُلُوبُكُمْ وَلَئِنْ قُلْتُ إِنِّي قَدْ فَعَلْتُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَفْعَلْ لَتَقُولُنَّ إِنَّهَا قَدْ بَاءَتْ بِهِ عَلَى نَفْسِهَا وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَجِدُ لِي وَلَكُمْ مَثَلاً قَالَتْ وَالْتَمَسْتُ اسْمَ يَعْقُوبَ فَلَمْ أَقْدِرْ عَلَيْهِ إِلاَّ أَبَا يُوسُفَ حِينَ قَالََ : (فصبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ ) قَالَتْ وَأُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ سَاعَتِهِ فَسَكَتْنَا فَرُفِعَ عَنْهُ وَإِنِّي لأَتَبَيَّنُ السُّرُورَ فِي وَجْهِهِ وَهُوَ يَمْسَحُ جَبِينَهُ وَيَقُولُ " الْبُشْرَى يَا عَائِشَةُ فَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ بَرَاءَتَكِ " . قَالَتْ وَكُنْتُ أَشَدَّ مَا كُنْتُ غَضَبًا فَقَالَ لِي أَبَوَاىَ قُومِي إِلَيْهِ . فَقُلْتُ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَقُومُ إِلَيْهِ وَلاَ أَحْمَدُهُ وَلاَ أَحْمَدُكُمَا وَلَكِنْ أَحْمَدُ اللَّهَ الَّذِي أَنْزَلَ بَرَاءَتِي لَقَدْ سَمِعْتُمُوهُ فَمَا أَنْكَرْتُمُوهُ وَلاَ غَيَّرْتُمُوهُ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ أَمَّا زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَعَصَمَهَا اللَّهُ بِدِينِهَا فَلَمْ تَقُلْ إِلاَّ خَيْرًا وَأَمَّا أُخْتُهَا حَمْنَةُ فَهَلَكَتْ فِيمَنْ هَلَكَ وَكَانَ الَّذِي يَتَكَلَّمُ فِيهِ مِسْطَحٌ وَحَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ وَالْمُنَافِقُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَسُوسُهُ وَيَجْمَعُهُ وَهُوَ الَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ هُوَ وَحَمْنَةُ قَالَتْ فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ لاَ يَنْفَعَ مِسْطَحًا بِنَافِعَةٍ أَبَدًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ : (ولاَ يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ : (أنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَى وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ) يَعْنِي مِسْطَحًا إِلَى قَوْلِهِ : (ألاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ) قَالَ أَبُو بَكْرٍ بَلَى وَاللَّهِ يَا رَبَّنَا إِنَّا لَنُحِبُّ أَنْ تَغْفِرَ لَنَا وَعَادَ لَهُ بِمَا كَانَ يَصْنَعُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ . وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَمَعْمَرٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَائِشَةَ هَذَا الْحَدِيثَ أَطْوَلَ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَأَتَمَّ .
Narrated 'Aishah:
"What was said about me had been said, and I myself was unaware of it, the Messenger of Allah (ﷺ) got up and addressed the people. He recited the Tashahhud and after praising and expressing gratitude to Allah, as He deserved, he said: 'To proceed: O people! Give me your opinion regarding those people who made a forged story against my wife. By Allah, I do not know anything bad about her at all. By Allah, they accused her of being with a man about whom I have never known anything bad, and he never entered my house unless I was present there, and whenever I went on a journey, he went with me.' Sa'd bin Mu'adh [may Allah be pleased with him] got up and said: 'O Messenger of Allah (ﷺ)! Allow me to chop their heads off!' Then a man from Al-Khazraj, to whom the mother of Hassan bin Thabit was a relative, got up and said (to Sa'd): 'You have told a lie! By Allah, if those persons were from Al-Aws, you would not like to chop their heads.' It was probable that some evil would take place between Aws and Khazraj in the Masjid while I was unaware of that. In the evening of that day, I went out for some of my needs, and Umm Mistah was accompanying me. On our return, Umm Mistah stumbled and said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her, 'O mother! Why do you abuse your son?' On that Umm Mistah became silent for a while, and stumbling again, she said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her: 'O mother! Why do you abuse your son?' She stumbled for the third time and said: 'Let Mistah be ruined!' I said to her: 'O mother! Why do you abuse your son?' Upon that she said: 'By Allah! I do not abuse him except because of you.' I asked her: 'Concerning what of my affairs?' So she disclosed the whole story to me. I said: 'Has this really happened?' She replied: 'Yes, by Allah!' I returned to my house, so astonished, that I did not know for what purpose I had gone out. Then I became sick and said to the Messenger of Allah (ﷺ) 'Send me to my father's house.' So he sent a servant with me, and when I entered the house, I found Umm Ruman downstairs, while Abu Bakr was reciting something upstairs. My mother asked: 'What has brought you, O daughter?' She said: "I informed her and mentioned the whole story to her, but she did not feel as I did about it. She said: 'O my daughter! Do not worry much about this matter, for there is never a charming lady loved by her husband who has other wives, but that they feel jealous of her and speak badly of her.' But she did not feel the same about it as I did. I asked her: 'Does my father know about it?' She said 'Yes.' I asked: 'Does the Messenger of Allah (ﷺ) know about it too?' She said 'Yes, the Messenger of Allah (ﷺ) also knows about it.' Tears filled my eyes and I wept. Abu Bakr, who was reading upstairs, heard my voice, and came down asking my mother: 'What is the matter with her?' She said: 'She has heard what has been said about her.' On that Abu Bakr wept and said: 'I beseech you, by Allah, O my daughter, to go back to your home.' I went back to my home, and the Messenger of Allah (ﷺ) had come to my house asking my maid-servant about me. The maid-servant said: 'By Allah! I do not know of any fault or defect in her character except that she sleeps and lets the sheep enter and eat her dough.' On that, some of the Prophet's Companions spoke harshly to her and said: 'Tell the truth to the Messenger of Allah (ﷺ).' Finally, they told her of the slander and she said: 'Subhan Allah! By Allah, I know nothing against her except what a goldsmith knows about a piece of pure gold.' Then this news reached the man who was accused, and he said: 'Subhan Allah! By Allah, I have never uncovered the private parts of any woman.' Later, that man was martyred in Allah's Cause. Then the next morning, my parents came to pay me a visit and they stayed with me until the Messenger of Allah (ﷺ) came to me, after he performed the 'Asr prayer. He came to me and while my parents were sitting around me on my right and my left. The Prophet (ﷺ) said the Tashahhud, praised and glorified Allah and said: 'Now then, O 'Aishah! If you have committed a bad deed, or you have wronged (yourself), then repent to Allah, as Allah accepts the repentance from His worshipers.' An Ansari woman had come and was sitting near the gate. I said to the Prophet (ﷺ): 'Isn't it improper that you speak in such a way in the presence of this lady?' The Messenger of Allah (ﷺ) then gave a piece of advice and I turned to my father and requested him to reply to him. My father said: 'What should I say?' Then I turned to my mother and asked her to answer him. She said: 'What should I say?' When my parents did not reply to the Prophet (ﷺ), I said the Tashahhud, praised and glorified Allah as His due, and I said: 'Then, by Allah! If I were to tell you that I have not done (this) and Allah, the Mighty and Sublime, is witness that I am telling the truth, that would not be of any use to me on your part, because you (people) have spoken about it and your hearts have absorbed it (as truth); and if I were to tell you that I have done this sin, and Allah knows that I have not done it, then you will say: 'She has confessed her guilt.' By Allah! I do not see a suitable example for me and you except the example of - and I could not remember Ya'qbus name - Yusuf's father when he said: So patience is most fitting. And it is Allah Whose help can be sought against that which you describe (12:18). She said: "It was at that time that Revelation came to the Messenger of Allah (ﷺ), and we remained silent. Then the Revelation was over, and I noticed the signs of happiness on his face while he was wiping (the sweat) from his forehead, and saying: 'Have the good tidings O 'Aishah! Allah has revealed your innocence.' At that time I was extremely angry. My parents said to me: 'Get up and go to him.' I said: 'By Allah, I will not do it,and will not thank him nor either of you, but I will thank Allah, Who has revealed my innocence. You have heard (this story) but neither of you have denied it, nor have you changed it (to defend me).'" 'Aishah used to say: "But as regards to Zainab bint Jahsh, Allah protected her because of her piety. She did not say anything except good (about me). But her sister, Hamnah was ruined among those who were ruined. Those who used to speak evil about me were Mistah, Hassan bin Thabit, and the hypocrite 'Abdullah bin Ubayy [bin Salul] and [it is he who] used to spread that news and tempt others to speak of it, and it was he and Hamnah who had the greater share therein. Abu Bakr took an oath that he would never do any favor for Mistah at all. Then Allah, Most High, revealed this Ayah: 'Let not those among you who are blessed with graces and wealth' [until the end of the Ayah] referring to Abu Bakr: 'to give their kinsmen, the poor, and those who left their homes for Allah's Cause.' - meaning Mistah - up to His saying: Do you not love that Allah should forgive you? And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful (24:22).' On that, Abu Bakr said: 'Yes, by Allah! O our Lord! We wish that You forgive us.' So he returned to what he had been doing."
পরিচ্ছেদঃ সূরা নূর
৩১৮১. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার উযর নাযিল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে দাঁড়ালেন, এই কথার উল্লেখ করলেন এবং কুরআন তিলাওয়াত করলেন। আয়াত নাযিল হওয়ার পর দুইজন পুরুষ, একজন মহিলাকে (অপবাদ রটনার জন্য) হদ প্রয়োগের নির্দেশ দিলেন। তারপর তাদের হদ মারা হয়।
হাসান, ইবনু মাজাহ ২৫৬৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-গারীব। মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রহঃ) এর রিওয়ায়ত ছাড়া এই সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا نَزَلَ عُذْرِي قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ ذَلِكَ وَتَلاَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا نَزَلَ أَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ فَضُرِبُوا حَدَّهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ .
Narrated 'Aishah:
"When my innocence was revealed, the Messenger of Allah (ﷺ) stood on the Minbar and mentioned that. He recited the Qur'an, and when he descended, he ordered that two men, and the woman, be beaten as their Hadd."