পরিচ্ছেদঃ সূরা হজ্জ

৩১৬৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সফর অবস্থায় যখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ

يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ

তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এ দিন কোনটি?

সাহাবীরা রাদিয়াল্লাহু আনহুম বললেনঃ আল্লাহ্ এবং রাসূলই ভাল জানেন।

তিনি বললেনঃ এটি হবে সে দিন যে দিন আল্লাহ্ তা’আলা আদমকে বলবেন, জাহান্নামের দলটি পাঠাও। তিনি বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামের দলের সংখ্যা কি?

আল্লাহ্ বলবেনঃ (প্রতি হাজারে) নয়শত নিরানব্বই জন হল জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের। তখন মুসলিমরা কাঁদতে শুরু করলেন।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা নিকটবর্তী হয়ে চলতে থাক এবং সঠিক পথে চল। প্রত্যেক নবুওয়াত-এর পূর্বেই এক একটি জাহিলী যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। জাহান্নামীদের এ সংখ্যা জাহেলীয়াতের যুগ থেকে নেওয়া হবে। যদি তাদের থেকে এ সংখ্যা পূরণ না হয়ে তবে তা মুনাফিকদের থেকে নিয়ে পূরণ করা হবে। তোমরা এবং অন্যান্য উম্মতের দৃষ্টান্ত হল, কোন পশুর হাঁটুর দাগের মত বা উটের পার্শ্বের তিলের মত।

এরপর তিনি বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের চার ভাগের এক ভাগ।

সাহাবীরা (খুশীতে) বললেনঃ আল্লাহু আকবার! এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের তিন ভাগের একভাগ। তখন সাহাবীরা ’আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, জানি না তিনি দুই-তৃতীয়াংশের কথা বলেছিলেন কি না।

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব ৪/২২৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ولَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ‏)‏ قَالَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَلِكَ يَوْمَ يَقُولُ اللَّهُ لآدَمَ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ فَقَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ إِلَى الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْشَأَ الْمُسْلِمُونَ يَبْكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَارِبُوا وَسَدِّدُوا فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ كَانَ بَيْنَ يَدَيْهَا جَاهِلِيَّةٌ قَالَ فَيُؤْخَذُ الْعَدَدُ مِنَ الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنْ تَمَّتْ وَإِلاَّ كَمُلَتْ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَمَا مَثَلُكُمْ وَالأُمَمِ إِلاَّ كَمَثَلِ الرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ أَوْ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا قَالَ وَلاَ أَدْرِي قَالَ الثُّلُثَيْنِ أَمْ لاَ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابن جدعان، عن الحسن، عن عمران بن حصين، ان النبي صلى الله عليه وسلم لما نزلت ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الناس اتقوا ربكم ان زلزلة الساعة شيء عظيم ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ولكن عذاب الله شديد ‏)‏ قال انزلت عليه هذه وهو في سفر فقال ‏"‏ اتدرون اى يوم ذلك ‏"‏ ‏.‏ فقالوا الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ ذلك يوم يقول الله لادم ابعث بعث النار فقال يا رب وما بعث النار قال تسعماىة وتسعة وتسعون الى النار وواحد الى الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال فانشا المسلمون يبكون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قاربوا وسددوا فانها لم تكن نبوة قط الا كان بين يديها جاهلية قال فيوخذ العدد من الجاهلية فان تمت والا كملت من المنافقين وما مثلكم والامم الا كمثل الرقمة في ذراع الدابة او كالشامة في جنب البعير ثم قال اني لارجو ان تكونوا ربع اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا ثم قال ‏"‏ اني لارجو ان تكونوا ثلث اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا ثم قال ‏"‏ اني لارجو ان تكونوا نصف اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا قال ولا ادري قال الثلثين ام لا ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن عمران بن حصين عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
when (the following) was revealed: "O mankind! Have Taqwa of your Lord! Verily the earthquake of the hour is a terrible thing..." up to His saying: "But Allah's torment is severe...(22:1 & 2)" - he said: "These Ayat were revealed while he (ﷺ) was on a journey and he said: 'Do you know what Day this is?' So they said: 'Allah and His Messenger know better.' He said: 'That is the day when Allah says to Adam: Send forth those who are to be sent to the Fire. So he says: O Lord! How many are to be sent? He says: Nine-hundred and ninety-nine in the Fire, and one to Paradise. He said: "So the Muslims started crying. Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Close your ranks and be straight forward, for there was never any Prophethood but there was a time of ignorance just before his advent, so the number will be taken from that time of ignorance, and if that is not enough, it will be made up of the hypocrites. The parable of you and the other nations is that you are like a mark on the foreleg of an animal, or a mole on the flank of a camel.' Then he said: 'I hope that you will be a quarter of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be a third of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be half of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar." He said: "I do not know if he said two thirds or not."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা হজ্জ

৩১৬৯. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) .... ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। চলতে চলতে সাহাবীরা একে অন্য থেকে দূরে পড়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চঃস্বরে এই আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করলেন।

সাহাবীগণ এ আওয়াজ শুনে বাহনের গতি দ্রুত করে (তাঁর কাছে) এলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কোন কথা বলার সমীপরবর্তী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেটি কোন দিন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।

তিনি বললেনঃ এ হল সেই দিন যেদিন আল্লাহ্ তা’আলা আদমকে ডাকবেন। আর তাঁর প্রভূ তাঁকে ডেকে বলবেনঃ হে আদম, জাহান্নামীদের পাঠাও।

আদম বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামীর সংখ্যা কি?

আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের।

সবাই নিরাশ হয়ে গেলেন। এমনকি তাঁদের স্মিত হাসিও প্রকাশ পাচ্ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও আর সুসংবাদ লাভ কর। যে সত্তার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ সেই সত্তার কসম, তোমরা তো দুই ধরনের মাখলুকের মাঝে রয়েছ। এই দুই সৃষ্টি যার সাথেই থাকে তাকেই বাড়িয়ে দেয়। এরা হল ইয়াজুজ-মাজুজ এবং বানূ আদম ও বানূ ইবলীসের যারা মারা গিয়েছে। অনন্তর সাহাবীরা যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর কতকটা তাতে বিদূরিত হয়।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমল কর আর সুসংবাদ লাভ কর। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মানুষের মাঝে তোমরা হলে উটের পার্শ্বের তিলের মত বা কোন জন্তুর হাঁটুর দাগের মত।

সহীহ, বুখারি ৪৭৪১, মুসলিম ১/১৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَتَفَاوَتَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ فِي السَّيْرِ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ بِهَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ إن عذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ‏)‏ فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ أَصْحَابُهُ حَثُّوا الْمَطِيَّ وَعَرَفُوا أَنَّهُ عِنْدَ قَوْلٍ يَقُولُهُ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ يَوْمٌ يُنَادِي اللَّهُ فِيهِ آدَمَ فَيُنَادِيهِ رَبُّهُ فَيَقُولُ يَا آدَمُ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ ‏.‏ فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ فَيَقُولُ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَيَئِسَ الْقَوْمُ حَتَّى مَا أَبْدَوْا بِضَاحِكَةٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي بِأَصْحَابِهِ قَالَ ‏"‏ اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَمَعَ خَلِيقَتَيْنِ مَا كَانَتَا مَعَ شَيْءٍ إِلاَّ كَثَّرَتَاهُ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَمَنْ مَاتَ مِنْ بَنِي آدَمَ وَبَنِي إِبْلِيسَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَسُرِّيَ عَنِ الْقَوْمِ بَعْضُ الَّذِي يَجِدُونَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ فِي النَّاسِ إِلاَّ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ أَوْ كَالرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا هشام بن ابي عبد الله، عن قتادة، عن الحسن، عن عمران بن حصين، قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فتفاوت بين اصحابه في السير فرفع رسول الله صلى الله عليه وسلم صوته بهاتين الايتين ايها الناس اتقوا ربكم ان زلزلة الساعة شيء عظيم ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ ان عذاب الله شديد ‏)‏ فلما سمع ذلك اصحابه حثوا المطي وعرفوا انه عند قول يقوله فقال ‏"‏ هل تدرون اى يوم ذلك ‏"‏ ‏.‏ قالوا الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ ذاك يوم ينادي الله فيه ادم فيناديه ربه فيقول يا ادم ابعث بعث النار ‏.‏ فيقول يا رب وما بعث النار فيقول من كل الف تسعماىة وتسعة وتسعون الى النار وواحد في الجنة ‏"‏ ‏.‏ فيىس القوم حتى ما ابدوا بضاحكة فلما راى رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي باصحابه قال ‏"‏ اعملوا وابشروا فوالذي نفس محمد بيده انكم لمع خليقتين ما كانتا مع شيء الا كثرتاه ياجوج وماجوج ومن مات من بني ادم وبني ابليس ‏"‏ ‏.‏ قال فسري عن القوم بعض الذي يجدون ‏.‏ فقال ‏"‏ اعملوا وابشروا فوالذي نفس محمد بيده ما انتم في الناس الا كالشامة في جنب البعير او كالرقمة في ذراع الدابة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
"We were with the Prophet (ﷺ) on a journey when some of his Companions fell behind. So the Messenger of Allah (ﷺ) raised his voice reciting these two Ayat: "O mankind! Have Taqwa of your Lord! Verily the earthquake of the hour is a terrible thing..." up to His saying: but Allah's torment is severe (21:1 & 2)." When his Companions heard that, they hastened to catch up with him, since they knew that he had something to say. He (ﷺ) said: 'Do you know what Day this is? That is the Day when Adam will be called. His Lord will call him and say: O Adam, send forth those who are to be sent to the Fire. He will say: O Lord! How many are to be sent to the Fire? He will say: From every one-thousand there are nine-hundred and ninety-nine for the Fire and one for Paradise. So the people despaired as if they would not smile again. When the Messenger of Allah (ﷺ) saw the state of his Companions, he said: 'Strive hard and receive the good news. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad, you will be counted with two creations who are immense in numbers; Ya'juj and Ma'juj, and those who have died among the progeny of Adam and the progeny of Iblis.'" He said: "So some of the people's grief went away, and he (ﷺ) said: 'Strive hard and receive the good news. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad! Among mankind, you are but like the mole on the flank of a camel, or a mark on the foreleg of a beast.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা হজ্জ

৩১৭০. মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল প্রমুখ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (বায়তুল্লাহকে) আল আতীক (মুক্তি) নামকরণ করা হয়েছে, কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা এর উপর কোন পরাক্রমশালীকে কখনও বিজয়ী হতে দেননি।

যঈফ, যঈফা ৩২২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহীহ। যুহরী (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল রূপে বর্ণিত আছে। কুতায়বা (রহঃ)-যুহরী (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّمَا سُمِّيَ الْبَيْتُ الْعَتِيقَ لأَنَّهُ لَمْ يَظْهَرْ عَلَيْهِ جَبَّارٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، وغير، واحد، قالوا حدثنا عبد الله بن صالح، قال حدثني الليث، عن عبد الرحمن بن خالد، عن ابن شهاب، عن محمد بن عروة بن الزبير، عن عبد الله بن الزبير، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انما سمي البيت العتيق لانه لم يظهر عليه جبار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد روي هذا الحديث عن الزهري عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا ‏.‏ حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن عقيل، عن الزهري، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Az-Zubair:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "It is only called Al-Bait Al-'Atiq because it has not been conquered by a tyrant."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা হজ্জ

৩১৭১. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী’ (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখন মক্কা থেকে বের করে দেওয়া হল তখন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন, এরা (মুশরিকরা) তাদের নবীকে বের কের দিল তারা তো অবশ্যই ধ্বংস হবে। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ

‏أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ

আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আমি জানতাম যে, অচিরেই কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম অবশ্যই হবে।

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। আবদুর রহমান ইবন মাহদী প্রমুখ (রহঃ) এটি সুফইয়ান-আ’মাশ-মুসলিম আল বাতীন-সাঈদ ইবন জুবায়র (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটির সনদে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রয়েছেন। তবে একাধিক রাবী সুফইয়ান-আ’মাশ-মুসলিম আল বাতীন-সাঈদ ইবন জুবায়র (রহঃ) সূত্রে এটি মুরসাল রূপেও বর্ণনা করেছেন। এতে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উল্লেখ নেই।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَإِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ لَيَهْلِكُنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ سَيَكُونُ قِتَالٌ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَغَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مُرْسَلاً لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا ابي واسحاق بن يوسف الازرق، عن سفيان الثوري، عن الاعمش، عن مسلم البطين، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال لما اخرج النبي صلى الله عليه وسلم من مكة قال ابو بكر اخرجوا نبيهم ليهلكن فانزل الله ‏:‏ ‏(‏اذن للذين يقاتلون بانهم ظلموا وان الله على نصرهم لقدير ‏)‏ الاية ‏.‏ فقال ابو بكر لقد علمت انه سيكون قتال ‏.‏ قال هذا حديث حسن ‏.‏ وقد رواه عبد الرحمن بن مهدي وغيره عن سفيان عن الاعمش عن مسلم البطين عن سعيد بن جبير مرسلا ليس فيه عن ابن عباس ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"When the Prophet (ﷺ) was expelled from Makkah, Abu Bakr said: 'They have driven out their Prophet to their own doom.' So Allah, Most High, revealed: 'Permission (to fight) is given to those who are fought against, because they have been wronged; and surely, Allah is able to give them victory (22:39).' So Abu Bakr said: 'Then I knew that there would be fighting.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা হজ্জ

৩১৭২. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার ..... সাঈদ ইবন জুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মক্কা থেকে বের করে দিল তখন একজন লোক বললঃ তাদের নবীকে বের করে দেয়া হয়েছে। তখন এই আয়াত নাযিল হলোঃ

أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ

অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণকে অন্যায়ভাবে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ رَجُلٌ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ ‏)‏ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو احمد الزبيري، حدثنا سفيان، عن الاعمش، عن مسلم البطين، عن سعيد بن جبير، قال لما اخرج النبي صلى الله عليه وسلم من مكة قال رجل اخرجوا نبيهم فنزلت ‏:‏ ‏(‏ اذن للذين يقاتلون بانهم ظلموا وان الله على نصرهم لقدير * الذين اخرجوا من ديارهم بغير حق ‏)‏ النبي صلى الله عليه وسلم واصحابه ‏.‏


Narrated Sa'eed bin Jubair:
"When the Prophet (ﷺ) was expelled from Makkah a man said: 'They have driven out their Prophet' so (the following) was revealed: "Permission (to fight) is given to those who are fought against, because they have been wronged; and surely, Allah is able to give them victory. Those who have been expelled from their homes unjustly (22:39)." [Those who were expelled were the Prophet (ﷺ) and his Companions.]


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে