পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৩. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... তারিক ইবন শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীনঃ

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

আজ পরিপূর্ণ করে দিলাম আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন, পরিসমাপ্তি করে দিলাম তোমাদের উপর আমার নেয়ামত আর দ্বীন হিসাবে তোমাদের জন্য ইসলামকে মনোনিত করলাম। (৫ঃ ৩) আয়াতটি যদি আমাদের উপর নাযিল হত তা হলে সেই দিনটিকে আমরা উৎসবের দিন হিসাবে নির্ধারণ করতাম। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আমি অবশ্যই জানি এই আয়াতটি কোন দিন নাযিল হয়েছিল, এটি আরাফার দিন, জুমাবারে নাযিল হয়েছিল।

সহীহ, বুখারি ৪৬০৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَغَيْرِهِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ عَلَيْنَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا ‏)‏ لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا ‏.‏ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنِّي أَعْلَمُ أَىَّ يَوْمٍ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ أُنْزِلَتْ يَوْمَ عَرَفَةَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن مسعر، وغيره، عن قيس بن مسلم، عن طارق بن شهاب، قال قال رجل من اليهود لعمر بن الخطاب يا امير المومنين لو علينا انزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ اليوم اكملت لكم دينكم واتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الاسلام دينا ‏)‏ لاتخذنا ذلك اليوم عيدا ‏.‏ فقال له عمر بن الخطاب اني اعلم اى يوم انزلت هذه الاية انزلت يوم عرفة في يوم جمعة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Tariq bin Shihab:
"A man among the Jews said to 'Umar bin Al-Khattab: 'O Commander of the Believers! If we were the ones unto whom this Ayah was revealed, 'This day, I have perfected your religion for you, completed My favor upon you, and have chosen for you Islam as your religion (5:3).' - then we would have taken that day as a day of celebration.' So 'Umar bin Al-Khattab said to him: 'Indeed I do know which day this Ayah was revealed upon. It was revealed on the Day of 'Arafah, on Friday.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৪. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... আম্মার ইবন আবূ আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহ এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ (৫ঃ ৩)

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

তাঁর কাছে এক ইয়াহুদী উপস্থিত ছিল। সে বললঃ আমাদের উপর যদি এমন একটি আয়াত নাযিল হত তবে সেই দিনটিকে আমরা উৎসবের দিন হিসাবে নির্ধারণ করতাম। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এটি তো আমাদের দুই ঈদের দিন নাযিল হয়েছেঃ জুমআর দিন এবং আরাফার দিন।

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়ত হিসাবে হাদীসটি হাসান-গারীব।

সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، قَالَ قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏:‏ ‏(‏الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا ‏)‏ وَعِنْدَهُ يَهُودِيٌّ فَقَالَ لَوْ أُنْزِلَتْ هَذِهِ عَلَيْنَا لاَتَّخَذْنَا يَوْمَهَا عِيدًا ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَإِنَّهَا نَزَلَتْ فِي يَوْمِ عِيدٍ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ وَيَوْمِ عَرَفَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهُوَ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا يزيد بن هارون، اخبرنا حماد بن سلمة، عن عمار بن ابي عمار، قال قرا ابن عباس ‏:‏ ‏(‏اليوم اكملت لكم دينكم واتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الاسلام دينا ‏)‏ وعنده يهودي فقال لو انزلت هذه علينا لاتخذنا يومها عيدا ‏.‏ قال ابن عباس فانها نزلت في يوم عيد في يوم جمعة ويوم عرفة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من حديث ابن عباس وهو صحيح ‏.‏


Narrated 'Ammar bin Abi 'Ammar:
"Ibn Abbas recited: This day, I have perfected your religion for you, completed My favor upon you, and have chosen for you Islam as your religion (5:3). And a Jew was with him who said: 'If this Ayah was revealed to us then we would have taken that day as a day of celebration.' So Ibn 'Abbas said: 'Indeed it was revealed on two 'Eids: On Friday, and on the Day of 'Arafah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৫. আহমদ ইবন মানী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দয়াময়ের ডান হাত তো পূর্ণ সব সময় তা অনুগ্রহ ঢালছে। রাত-দিনের বর্ষণ তাতে কোন হ্রাস ঘটাতে পারে না। তিনি আরো বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি? যেদিন থেকে তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকে তিনি ব্যয় করে আসছেন কিন্তু তাঁর দক্ষিণ হস্তেও যা আছে তাতেও কিছু কম হয়নি। তাঁর আরশ পানির উপর। তাঁর অন্য হাতে হল মীযান। তিনি তা নিচু করেন এবং উত্তোলন করেন।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৯৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটি হলঃ (وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ) ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত রুদ্ধ। এরাই আসলে রুদ্ধহস্ত (وَقََالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ) (৫ঃ ৬৪) আয়াতটির তাফসীর স্বরূপ। ইমামগণ বলেনঃ কোনরূপ ব্যাখ্যা ও সন্দেহ পোষণ না করে যেভাবে হাদীসে উল্লেখ হয়েছে এই সব হাদীছের ক্ষেত্রে সেভাবেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে হবে। সুফইয়ান ছাওরী, মালিক ইবন আনাস, ইবন উয়ায়না, ইবন মুবারক প্রমুখ (রহঃ) ইমামগণ এইরূপ অভিমত বক্তে করেছেন যে, এই ধরনের বিষয় বর্ণনা করা যাবে। এগুলোর উপর ঈমান রাখতে হবে কিন্তু তা কেমন এই কথা বলা যাবে না।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَمِينُ الرَّحْمَنِ مَلأَى سَحَّاءُ لاَ يَغِيضُهَا اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ قَالَ أَرَأَيْتُمْ مَا أَنْفَقَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَإِنَّهُ لَمْ يَغِضْ مَا فِي يَمِينِهِ وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ وَبِيَدِهِ الأُخْرَى الْمِيزَانُ يَرْفَعُ وَيَخْفِضُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الآيَةِ ‏:‏ ‏(‏ وَقََالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ يُنْفِقُ كَيْفَ يَشَاءُ ‏)‏ وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَتْهُ الأَئِمَّةُ نُؤْمِنُ بِهِ كَمَا جَاءَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُفَسَّرَ أَوْ يُتَوَهَّمَ هَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ مِنْهُمُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَابْنُ الْمُبَارَكِ إِنَّهُ تُرْوَى هَذِهِ الأَشْيَاءُ وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا محمد بن اسحاق، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يمين الرحمن ملاى سحاء لا يغيضها الليل والنهار قال ارايتم ما انفق منذ خلق السموات والارض فانه لم يغض ما في يمينه وعرشه على الماء وبيده الاخرى الميزان يرفع ويخفض ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وهذا الحديث في تفسير هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ وقالت اليهود يد الله مغلولة غلت ايديهم ولعنوا بما قالوا بل يداه مبسوطتان ينفق كيف يشاء ‏)‏ وهذا حديث قد روته الاىمة نومن به كما جاء من غير ان يفسر او يتوهم هكذا قال غير واحد من الاىمة منهم الثوري ومالك بن انس وابن عيينة وابن المبارك انه تروى هذه الاشياء ويومن بها ولا يقال كيف ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Ar-Rahman's Hand is full, He spends without any decrease, night and day.' He said: 'Do you not see how much He has spent since He created the heavens and the earth, yet it has not decreased what is in His Hand, and His Throne is over the water, and in His Other Hand is the Mizan (Scale) which He raises and lowers.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৬. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পাহারা দেওয়া হত। (وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ) আল্লাহ আপনাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন (৫ঃ ৬৭) আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুজরা থেকে মাথা বের করে পাহারাদারদের বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা চলে যাও। আল্লাহ্ আমাকে হেফজত করেছেন।

হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি গারীব। কেউ কেউ এই হাদীসটিকে জুরায়রী ...... আবদুল্লাহ্ ইবন শাকীক (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর উল্লেখ করেন নি।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحْرَسُ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ‏)‏ فَأَخْرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الْقُبَّةِ فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ انْصَرِفُوا فَقَدْ عَصَمَنِي اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحْرَسُ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا الحارث بن عبيد، عن سعيد الجريري، عن عبد الله بن شقيق، عن عاىشة، قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم يحرس حتى نزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ والله يعصمك من الناس ‏)‏ فاخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم راسه من القبة فقال لهم ‏"‏ يا ايها الناس انصرفوا فقد عصمني الله ‏"‏ ‏.‏ حدثنا نصر بن علي، حدثنا مسلم بن ابراهيم، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ وروى بعضهم، هذا الحديث عن الجريري، عن عبد الله بن شقيق، قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يحرس ولم يذكروا فيه عن عاىشة ‏.‏


Narrated 'Aishah:
"The Prophet (ﷺ) was being guarded until this Ayah was revealed: 'Allah will protect you from mankind.' So the Messenger of Allah (ﷺ) stuck his head out from the room and said: 'O you people! Go away, for Allah shall protect me.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৭. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানূ ইসরাঈলীরা যখন আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত হয় তখন তাদের আলিমগণ তাদের নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তারা নিষেধ শোনে নি। এতদসত্ত্বেও তাঁরা তাদের সাথে তাদের মজলিসে উঠা বসা করেছে, তাদের সাথে (একত্রে) পানাহার করেছে। অনন্তর আল্লাহ্ তা’আলা তাদের কতকের (পাপীদের) সাথে একাকার করে দিলেন এবং দাউদ ও ঈসা ইবন মাইয়াম (আঃ) এর ভাষায় তারা লা’নতগ্রস্ত হল। কেননা, তারা নাফরমানী এবং সীমালংঘন করত।

রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসে ছিলেন, তিনি তখন সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ কসম সেই সত্তার যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমরা রক্ষা পাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের কঠোরভাবে বাধা না দিয়েছ।

যঈফ, ইবনু মাজাহ ৪০০৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ ইয়াযীদ বলেছেন যে, সুফইয়ান ছাওরী (রহঃ) সনদে আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উল্লেখ করেন নি। হাদীসটি হাসান-গারীব। এই হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম ইবন আবুল ওয়াযযাহ ... আলী ইবন বাযীমা-আবূ উবায়দা-আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। কোন কোন রাবী এটিকে আবূ উবায়দা ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَمَّا وَقَعَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي الْمَعَاصِي نَهَتْهُمْ عُلَمَاؤُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَجَالَسُوهُمْ فِي مَجَالِسِهِمْ وَوَاكَلُوهُمْ وَشَارَبُوهُمْ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَلَعَنَهُمْ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ ‏"‏ لاَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ حَتَّى تَأْطِرُوهُمْ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ يَزِيدُ وَكَانَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ لاَ يَقُولُ فِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي الْوَضَّاحِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَبَعْضُهُمْ يَقُولُ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا يزيد بن هارون، اخبرنا شريك، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، عن عبد الله بن مسعود، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لما وقعت بنو اسراىيل في المعاصي نهتهم علماوهم فلم ينتهوا فجالسوهم في مجالسهم وواكلوهم وشاربوهم فضرب الله قلوب بعضهم ببعض ولعنهم على لسان داود وعيسى ابن مريم ذلك بما عصوا وكانوا يعتدون ‏"‏ ‏.‏ قال فجلس رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان متكىا فقال ‏"‏ لا والذي نفسي بيده حتى تاطروهم على الحق اطرا ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله بن عبد الرحمن قال يزيد وكان سفيان الثوري لا يقول فيه عن عبد الله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب وقد روي هذا الحديث عن محمد بن مسلم بن ابي الوضاح عن علي بن بذيمة عن ابي عبيدة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وبعضهم يقول عن ابي عبيدة عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسل ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When the Children of Isra'il fell into disobedience, their scholars forbade them from it. But they did not stop, so they sat with them in their gatherings, and participated in eating and drinking with them. So Allah pitted their hearts against each other, and cursed them upon the tongue of Dawud and 'Eisa bin Mariam. That was because they disobeyed and were ever transgressing.'" He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) sat up after he had been reclining, and he said: 'No, by the One in Whose Hand is my soul! Not until you incline them to the truth.'" 'Abdullah bin 'Abdur-Rahman said: "Yazid said: 'Sufyan Ath-Thawri would not say in it: "From 'Abdullah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৮. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... আবূ উবায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানূ ইসরাঈলের মাঝে যখন ক্রটি দেখা দিল তখন তাদের একজন তার আর এক ভাইকে গুনাহের মধ্যে লিপ্ত দেখতে পেলে তাকে নিষেধ করত কিন্তু তাকে যা করতে সে দেখেছে তার এই দেখা ঐ নাফরমানের সঙ্গে পানাহারে এবং মজলিসে-বৈঠকে এক সঙ্গে শরীক হওয়া থেকে তাকে বাধা দিত না। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা তাদের কতকের অন্তর অন্য কতকের অন্তরের সাথে একাকার করে দিলেন। তাদের বিষয়েই আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেন এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ

لُعِِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ

বানু ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা অভিশপ্ত হয়েছিল দাঊদ ও ঈসা ইবন মারয়াম কর্তৃক। কারণ তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। তারা যে সব গর্হিত কাজ করত তা থেকে পরস্পরকে বারণ করত না তারা যা করত তা কতই না মন্দ। তাদের অনেককে তুমি কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে। কত নিকৃষ্ট তাদের কৃতকর্ম- যে কারণে আল্লাহ্ তাদের উপর ক্রোধাম্বিত হয়েছেন এবং তারা স্থায়ীভাবে আযাবে থাকবে। তারা আল্লাহ্, নবী ও তাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাসী হলে এদের বন্ধরূপে গ্রহণ করতে না। কিন্তু তাদের অনেকেই ফাসিক। (৫ঃ ৭৮-৮১)।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাত হয়েছিলেন, তিনি সোজা হয়ে বসে বললেনঃ তোমরা রক্ষা পাবে না, যতক্ষণ না জালিমের হাত ধরে তাকে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছ।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী], দেখুন পূর্বের হাদিস।

বুনদার (রহঃ) ... আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَّا وَقَعَ فِيهِمُ النَّقْصُ كَانَ الرَّجُلُ فِيهِمْ يَرَى أَخَاهُ عَلَى الذَّنْبِ فَيَنْهَاهُ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ الْغَدُ لَمْ يَمْنَعْهُ مَا رَأَى مِنْهُ أَنْ يَكُونَ أَكِيلَهُ وَشَرِيبَهُ وَخَلِيطَهُ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏ لُعِِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ ‏:‏ ‏(‏وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ ‏)‏ قَالَ وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ ‏"‏ لاَ حَتَّى تَأْخُذُوا عَلَى يَدَىِ الظَّالِمِ فَتَأْطِرُوهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَأَمْلاَهُ، عَلَىَّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي الْوَضَّاحِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا سفيان، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان بني اسراىيل لما وقع فيهم النقص كان الرجل فيهم يرى اخاه على الذنب فينهاه عنه فاذا كان الغد لم يمنعه ما راى منه ان يكون اكيله وشريبه وخليطه فضرب الله قلوب بعضهم ببعض ونزل فيهم القران فقال ‏:‏ ‏(‏ لعن الذين كفروا من بني اسراىيل على لسان داود وعيسى ابن مريم ذلك بما عصوا وكانوا يعتدون ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ فقرا حتى بلغ ‏:‏ ‏(‏ولو كانوا يومنون بالله والنبي وما انزل اليه ما اتخذوهم اولياء ولكن كثيرا منهم فاسقون ‏)‏ قال وكان نبي الله صلى الله عليه وسلم متكىا فجلس فقال ‏"‏ لا حتى تاخذوا على يدى الظالم فتاطروه على الحق اطرا ‏"‏ ‏.‏ حدثنا بندار، حدثنا ابو داود الطيالسي، واملاه، على حدثنا محمد بن مسلم بن ابي الوضاح، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، عن عبد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله ‏.‏


Narrated Abu 'Ubaidah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When the Children of Isra'il fell into decline, a man among them would see his brother committing a sin, and prohibit them from it. The next day, what he saw him doing would not prevent him from eating with him, drinking with him, and associating with him. So Allah pitted their hearts against each other, and He revealed about them in the Qur'an, He said: Those among the Children of Isra'il who disbelieved were cursed by the tongue of Dawud and 'Eisa, son of Mariam. That was because they disobeyed and were ever transgressing.' And he recited until he reached: 'And had they believed in Allah, and in the Prophet, and in what has been revealed to him, never would they have taken them as friends; but many of them are rebellious (5:78-81).' He said: "And Allah's Prophet (ﷺ) was reclining, so he sat up and said: 'No! Not until you take the hand of the wrong-doer and incline him toward the truth.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৯. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহামান (রহঃ) ...... উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্! মদের বিষয়ে আমাদের পরিপূর্ণ এবং সুস্পষ্ট বিবরণ দিন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা সূরা বাকারার আয়াতটি নাযিল করলেনঃ (يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ) লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে মহাপাপ ...... শেষ পর্যন্ত (২ঃ ২১৯)।

উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ডেকে এই আয়াতটি তিলাওয়াত করে শোনান হল। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদেরকে মদের বিষয়ে আরো সুষ্পষ্ট ও পরিপূর্ণ বিবরণ দিন। তখন সূরা নিসার এই আয়াতটি নাযিল হলঃ

يا أيها الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى

হে মু’মিনগণ! তোমরা মদ্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হবে না। (৪ঃ৪৩)

উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ডেকে আনা হল এবং তাঁকে এই আয়াতটি তিলাওয়াত করে শোনান হল। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! মদের বিষয়ে আরো পরিষ্কার নির্দেশ দিন। তখন সূরা মাইদার এই আয়াতটি নাযিল হয়ঃ

‏إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ إِلَى قَوْلِهِ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ

শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না? (৫ঃ ৯১) উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ডেকে তাঁকে এটি তিলাওয়াত করে শোনান হল। তিনি বললেনঃ চুড়ান্ত হয়েছে, চুড়ান্ত হয়েছে।

সহীহ, সহীহাহ ২৩৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইসরাঈল (রহঃ) সূত্রে এটি মুরসাল রূপেও বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... আবূ মায়সারা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর উবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেছিলেনঃ হে আল্লাহ্! মদের বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট ও পরিপূর্ণ বিবরণ দিয়ে দিন। এরপর তিনি উক্তরূপ বর্ণনা করেছেন। এটি মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফ (রহঃ) এর রিওয়ায়ত (৩০৪৯ নং) থেকে অধিক সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ شُرَحْبِيلَ أَبِي مَيْسَرَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانَ شِفَاءٍ فَنَزَلَتِ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ ‏:‏ ‏(‏يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ‏)‏ الآيَةَ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانَ شِفَاءٍ فَنَزَلَتِ الَّتِي فِي النِّسَاءِأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى)‏ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانَ شِفَاءٍ فَنَزَلَتِ الَّتِي فِي الْمَائِدَةِ ‏:‏ ‏(‏إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ)‏ إِلَى قَوْلِهِ فهل أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ ‏)‏ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ انْتَهَيْنَا انْتَهَيْنَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِسْرَائِيلَ هَذَا الْحَدِيثُ مُرْسَلٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ، عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانَ شِفَاءٍ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا محمد بن يوسف، اخبرنا اسراىيل، حدثنا ابو اسحاق، عن عمر بن شرحبيل ابي ميسرة، عن عمر بن الخطاب، انه قال اللهم بين لنا في الخمر بيان شفاء فنزلت التي في البقرة ‏:‏ ‏(‏يسالونك عن الخمر والميسر‏)‏ الاية فدعي عمر فقرىت عليه فقال اللهم بين لنا في الخمر بيان شفاء فنزلت التي في النساءايها الذين امنوا لا تقربوا الصلاة وانتم سكارى)‏ فدعي عمر فقرىت عليه فقال اللهم بين لنا في الخمر بيان شفاء فنزلت التي في الماىدة ‏:‏ ‏(‏انما يريد الشيطان ان يوقع بينكم العداوة والبغضاء في الخمر والميسر)‏ الى قوله فهل انتم منتهون ‏)‏ فدعي عمر فقرىت عليه فقال انتهينا انتهينا ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روي عن اسراىيل هذا الحديث مرسل ‏.‏ حدثنا محمد بن العلاء، حدثنا وكيع، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن ابي ميسرة، عمرو بن شرحبيل ان عمر بن الخطاب، قال اللهم بين لنا في الخمر بيان شفاء ‏.‏ فذكر نحوه وهذا اصح من حديث محمد بن يوسف ‏.‏


Narrated 'Amr bin Shurahbil [Abu Maisarah]:
from 'Umar bin Al-Khattab, that he said: "O Allah! Make the verdict concerning Khamr sufficiently clear for us!" So (the Ayah) in Al-Baqarah was revealed: They ask you concerning Khamr and gambling. Say: "In them is a great sin (2:219)." So 'Umar was called, and it was recited to him, so he said: "O Allah! Make the verdict concerning Khamr sufficiently clear for us!" So (the Ayah) in An-Nisa was revealed: 'O you who believe! Approach not As-Salat while you are in a drunken state (4:43).' So 'Umar was called and it was recited him, so he said "O Allah! Make the verdict concerning Khamr sufficiently clear for us!" So (the Ayah) in Al-Ma'idah was revealed: Shaitan only wants to excite enmity and hatred between you with Khamr and gambling...' up to His saying: 'So will you not then abstain (5:91).' So 'Umar was called and it was recited to him, so he said: 'We abstained, we abstained.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫০. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ....... বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদ হারাম হওয়ার পর লোকেরা বললঃ আমাদের সঙ্গীদের কি হবে? তাঁরা যখন ইনতিকাল করেছে তখন তো তাঁরা মদ্যপান করতেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ

لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ

যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে তজ্জন্য তাদের কোন পাপ নেই। যদি তারা তাকওয়া অবলম্বন করে ও নেক আমল করেশেষ পর্যন্ত (৫ঃ ৯৩)।

হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা এটি আবূ ইসহাক (রহঃ) ... বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও বর্ণনা করেছেন।

পরবর্তী হাদীসের সহায়তায় সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ مَاتَ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ أَنْ تُحَرَّمَ الْخَمْرُ فَلَمَّا حُرِّمَتِ الْخَمْرُ قَالَ رِجَالٌ كَيْفَ بِأَصْحَابِنَا وَقَدْ مَاتُوا يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن البراء، قال مات رجال من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قبل ان تحرم الخمر فلما حرمت الخمر قال رجال كيف باصحابنا وقد ماتوا يشربون الخمر فنزلت ‏:‏ ‏(‏ ليس على الذين امنوا وعملوا الصالحات جناح فيما طعموا اذا ما اتقوا وامنوا وعملوا الصالحات ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Al-Bara:
"A man among the Companions of the Prophet (ﷺ) died before Khamr had been made unlawful. So when Khamr was made unlawful, some men said: 'How about our companions who died while drinking Khamr?' So (the following) was revealed: Those who believe and do righteous good deeds, there is no sin on them for what the ate, if they have Taqwa and perform good (5:93)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫১. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... বারা ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের বেশ কিছু লোক এমন যুগে মারা যান যে যুগে তাঁরা মদ্যপান করতেন। পরে যখন তা হারাম হওয়ার আয়াত নাযিল হয়, তখন সাহাবীদের কতক লোক বললেনঃ আমাদের ঐ সাথীদের কি হবো যারা মদ্যপান করা কালে ইনতিকাল করেছেন? তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ ‏(لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ) যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে তজ্জন্য তাদের কোন পাপ নেই। (৫ঃ ৯৩)]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، أَيْضًا حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، بِهَذَا قَالَ قَالَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ مَاتَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ فَلَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُهَا قَالَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَيْفَ بِأَصْحَابِنَا الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يَشْرَبُونَهَا فَنَزَلَتْْ ‏:‏ ‏(‏ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

وقد رواه شعبة عن ابي اسحاق، عن البراء، ايضا حدثنا بذلك، محمد بن بشار بندار حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، بهذا قال قال البراء بن عازب مات ناس من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وهم يشربون الخمر فلما نزل تحريمها قال ناس من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فكيف باصحابنا الذين ماتوا وهم يشربونها فنزلت ‏:‏ ‏(‏ ليس على الذين امنوا وعملوا الصالحات ‏)‏ الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"Some people among the Companions of the Prophet (ﷺ) died while they had been drinking Khamr. So when it was revealed that it was unlawful, some people among the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'How about our companions who died while they were drinking it?' So (the following) Ayah was revealed: Those who believe and do righteous good deeds, there is no sin on them for what they ate (5:93)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫২. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মদ হারাম হওয়ার আগে যারা মারা গেছেন অথচ তারা মদ পান করতেন তাদের সম্বন্ধে আপনি কি বলেন? তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (৫ঃ ৯৩)

لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ لَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ فَنَزَلَتْْ ‏:‏ ‏(‏ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبد العزيز بن ابي رزمة، عن اسراىيل، عن سماك، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال قالوا يا رسول الله ارايت الذين ماتوا وهم يشربون الخمر لما نزل تحريم الخمر فنزلت ‏:‏ ‏(‏ ليس على الذين امنوا وعملوا الصالحات جناح فيما طعموا اذا ما اتقوا وامنوا وعملوا الصالحات ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"They (the Companions) said: 'O Messenger of Allah, how do you hold those who died while they were drinking Khamr - considering that the prohibition of intoxicants is now revealed?' So, (the following) Ayah was revealed: "Those who believe and do righteous good deeds, there is no sin on them for what they ate (in the past), if they fear Allah and believe and do righteous good deeds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৩. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী’ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, (لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ) আয়াতটি(৫ঃ ৯৩) নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমিও এদের মধ্যে গণ্য।

সহীহ, মুসলিম ১/১৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْْ ‏:‏ ‏(‏ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ‏)‏ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنْتَ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا خالد بن مخلد، عن علي بن مسهر، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن علقمة، عن عبد الله، قال لما نزلت ‏:‏ ‏(‏ ليس على الذين امنوا وعملوا الصالحات جناح فيما طعموا اذا ما اتقوا وامنوا وعملوا الصالحات ‏)‏ قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انت منهم ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Abdullah:
"When (the following) was revealed: Those who believe and do righteous good deeds, there is no sin on them for what they ate, if they have Taqwa and perform good (5:93). The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'You are among them.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৪. আবূ হাফস আমর ইবন আলী (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি যদি মাংস খাই তবে স্ত্রী সম্ভোগের জন্য অস্থির হয়ে পড়ি এবং যৌন স্পৃহা আমাকে উত্তেজিত করে। তাই আমি নিজের জন্য মাংস হারাম করে দেই। আল্লাহ তা’আলা তখন নাযিল করেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلاَلاً طَيِّبًا

হে মুমিনগণ! আল্লাহ্ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যে সব বস্ত হালাল করেছেন সে সব বস্তকে তোমরা হারাম করবে না এবং সীমালংঘন করবে না। আল্লাহ্ সীমালংঘনকারীকে পছন্দ করেন না। আল্লাহ্ তোমাদের যে হালাল ও উৎকৃষ্ট জীবিকা দিয়েছেন তা থেকে তোমরা আহার কর( ৫ঃ ৮৭-৮৮)।

হাদিসটি হাসান-গারীব।

উছমান ইবনু সা’দ (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া কেউ কেউ এটিকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। এতে ইবন আব্বাস (রাঃ) এর উল্লেখ নেই। খালিদ হাযযা এটি ইকরিমা (রহঃ) সূত্রে মুরসাল রূপে রিওয়ায়ত করেছেন।

সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ الْفَلاَّسُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي إِذَا أَصَبْتُ اللَّحْمَ انْتَشَرْتُ لِلنِّسَاءِ وَأَخَذَتْنِي شَهْوَتِي فَحَرَّمْتُ عَلَىَّ اللَّحْمَ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلاَلاً طَيِّبًا ‏)‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَعْدٍ مُرْسَلاً لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَرَوَاهُ خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً ‏.‏

حدثنا عمرو بن علي ابو حفص الفلاس، حدثنا ابو عاصم، حدثنا عثمان بن سعد، حدثنا عكرمة، عن ابن عباس، ان رجلا، اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله اني اذا اصبت اللحم انتشرت للنساء واخذتني شهوتي فحرمت على اللحم ‏.‏ فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا لا تحرموا طيبات ما احل الله لكم ولا تعتدوا ان الله لا يحب المعتدين وكلوا مما رزقكم الله حلالا طيبا ‏)‏ قال هذا حديث حسن غريب ‏.‏ ورواه بعضهم عن عثمان بن سعد مرسلا ليس فيه عن ابن عباس ورواه خالد الحذاء عن عكرمة مرسلا ‏.‏


Narrated 'Ikrimah:
from Ibn 'Abbas: "A man came to the Prophet (ﷺ) and said: 'O Messenger of Allah! When I consume meat and I get around women, my desires get the best of me. So I made meat unlawful for myself.' So Allah revealed: O you who believe! Make not unlawful the good things which Allah has made lawful to you, and transgress not. Verily Allah does not like the transgressors. And eat of the things which Allah has provided for you, lawful and good (5:87-88)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৫. আবূ সাঈদ আশাজ্জ (রহঃ) ..... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (وَلِِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً) লোকদের মধ্যে যারা সেখানে যাওয়ার সামর্থ আছে আল্লাহর উদ্দেশে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য। (৩ঃ ৯৭) আয়াত নাযিল হলে সাহাবীরা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! প্রতি বছরেই কি তা করতে হবে? তিনি চুপ করে রইলেন। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! প্রতি বছরেই কি তা করতে হবে? তিনি বললেনঃ না, যদি হ্যাঁ বলতাম তবে তো তা অবশ্য কর্তব্য হয়ে যেত। আল্লাহ্ তা’আলা তখন এই আয়াত নাযিল করেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ

হে মু’মিনগণ! তোমরা সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করবে না, যা প্রকাশ হলে তোমাদের খারাপ লাগবে (৫ঃ ১০১)।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়ত হিসাবে হাদিসটি হাসান-গারীব। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ وَلِِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏)‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كُلِّ عَامٍ قَالَ ‏"‏ لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، حدثنا منصور بن وردان، عن علي بن عبد الاعلى، عن ابيه، عن ابي البختري، عن علي، قال لما نزلت ‏:‏ ‏(‏ ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا ‏)‏ قالوا يا رسول الله في كل عام فسكت قالوا يا رسول الله في كل عام قال ‏"‏ لا ولو قلت نعم لوجبت ‏"‏ ‏.‏ فانزل الله ‏:‏ ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا تسالوا عن اشياء ان تبد لكم تسوكم ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من حديث علي ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وابن عباس ‏.‏


Narrated Abu Al-Bukhtari:
from 'Ali who said: "When (the following) was revealed: And Hajj to the House is a duty that mankind owes to Allah, for those who are able to undertake the journey (3:97). They said: 'O Messenger of Allah! Every year?' But he was silent. So they said: 'O Messenger of Allah! Every year?' He said: 'No. If I were to say yes, then it would be required.' And Allah, Mighty and Sublime is He, revealed O you who believe! Ask not about things which, if made plain to you, may cause you trouble (5:101)."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৬. মুহাম্মাদ ইবন মা’মার আবূ আবদুল্লাহ্ আল-বাসরী (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা অমুক। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ

সহীহ, বুখারি ২৬২১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبِي قَالَ ‏"‏ أَبُوكَ فُلاَنٌ ‏"‏ ‏.‏ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن معمر ابو عبد الله البصري، حدثنا روح بن عبادة، حدثنا شعبة، اخبرني موسى بن انس، قال سمعت انس بن مالك، يقول قال رجل يا رسول الله من ابي قال ‏"‏ ابوك فلان ‏"‏ ‏.‏ فنزلت ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا لا تسالوا عن اشياء ان تبد لكم تسوكم ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب صحيح ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
that a man said: "O Messenger of Allah! Who is my father?" He said: "Your father is so-and-so." He said: "So (the following) was revealed: O you who believe! Ask not about things which, if made plain to you, may cause you trouble (5:101)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৭. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ....... আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হে লোক সকল! তোমরা এই আয়াত পাঠ করে থাক যে, (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) হে মু’মিনগণ, তোমাদের নিজেদের সংশোধন করাই তোমাদের কর্তব্য। তোমরা যদি হিদায়তের উপর থাক, তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না (৫ঃ ১০৫)। অথচ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মানুষ যখন কোন জালিমকে দেখে আর তার হাত ধরে যদি তাকে নিবৃত না করে তবে আশংকা যে, অচিরেই আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে ব্যাপক আযাবে নিপতিত করবেন।

হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী এটি ইসমাঈল ইবন আবূ খালিদ (রহঃ) সূত্রে মারফু’ হিসাবে অনুরূপ রিওয়ায়ত করেছেন। কোন কোন রাবী ইসমাঈল ..... কায়স (রহঃ) সূত্রে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য রূপে এটি রিওয়ায়ত করেছেন। তাঁরা এটি মারফু’ করেন নি।

সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّهُ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ‏)‏ وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوْا ظَالِمًا فَلَمْ يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابٍ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ مَرْفُوعًا وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَوْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، حدثنا اسماعيل بن ابي خالد، عن قيس بن ابي حازم، عن ابي بكر الصديق، انه قال يا ايها الناس انكم تقرءون هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا عليكم انفسكم لا يضركم من ضل اذا اهتديتم ‏)‏ واني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ ان الناس اذا راوا ظالما فلم ياخذوا على يديه اوشك ان يعمهم الله بعقاب منه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد رواه غير واحد عن اسماعيل بن ابي خالد نحو هذا الحديث مرفوعا وروى بعضهم عن اسماعيل عن قيس عن ابي بكر قوله ولم يرفعوه ‏.‏


Narrated Abu Bakr As-Siddiq:
"O you people! You recite this Ayah: Take care of yourselves! If you follow the guidance no harm shall come to you from those who are astray (5:105). I indeed heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'When the people see the wrongdoer, and they do not stop him (from doing wrong), then it is soon that Allah shall envelope you in a punishment from Him.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৮. সাঈদ ইবন ইয়াকূব তালাকানী (রহঃ) ....... আবূ উমায়্যা শা’বানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি আবূ ছা’লাবা খুশানী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এসে তাঁকে বললামঃ এই আয়াতটির বিষয়ে আপনার কি করণীয় নির্ধারন করেছেন? তিনি বললেনঃ কোন আয়াতটির বিষয়ে বলছেন? আমি বললামঃ আল্লাহ্ তা’আলার ইরশাদঃ (৫ : ১০৫)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ

তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম, তুমি সুবিজ্ঞ লোকের কাছেই প্রশ্ন করেছ। আমি এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেছেনঃ বরং তোমরা সৎকাজের আদেশ করতে থাক আর অন্যায় কর্ম থেকে নিবৃত করতে থাক। শেষে যখন দেখতে পাবে কৃপণতার আনুগত্য করা হচ্ছে, প্রবৃত্তির অনুসরন করা হচ্ছে, দুনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, প্রত্যেকেই নিজের মতকে সর্বোত্তম মনে করছে তখন তুমি বিশেষ করে তোমাকে নিয়েই থেকো, সাধারণের চিন্তা ছেড়ে দিও। তোমাদের পরবর্তীতে এমন যুগ আসছে যেযুগে (দীনের উপর) ধৈর্য ধরে থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে রাখার মত যন্ত্রণাকর হবে। ঐ যুগে যে দীনের উপর আমল করবে তার প্রতিদান হবে তোমাদের মত আমলকারী পঞ্চাশ লোকের অনুরূপ। আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রহঃ) বলেন, উৎবা ভিন্ন অন্যারা তাদের রিওয়ায়তে আরো উল্লেখ করেছেন যে, বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের পঞ্চাশ জনের, না তাদের পঞ্চাশ জনের ছওয়াব হবে? তিনি বললেনঃ না, তোমাদের পঞ্চাশ জনের সমান তার ছওয়াব হবে।

যঈফ, নাকদুল কাত্তানী ২৭/২৭, মিশকাত ৫১৪৪, কিন্তু হাদিসের কিছু অংশ সহিহঃ সহিহাহ ৫৯৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-গারীব।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عُتْبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ جَارِيَةَ اللَّخْمِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ الشَّعْبَانِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ فَقُلْتُ لَهُ كَيْفَ تَصْنَعُ فِي هَذِهِ الآيَةِ قَالَ أَيَّةُ آيَةٍ قُلْتُ قَوْلُهُ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ‏)‏ قَالَ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ سَأَلْتَ عَنْهَا خَبِيرًا سَأَلْتُ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ بَلِ ائْتَمِرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ حَتَّى إِذَا رَأَيْتَ شُحًّا مُطَاعًا وَهَوًى مُتَّبَعًا وَدُنْيَا مُؤْثَرَةً وَإِعْجَابَ كُلِّ ذِي رَأْىٍ بِرَأْيِهِ فَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ وَدَعِ الْعَوَامَّ فَإِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامًا الصَّبْرُ فِيهِنَّ مِثْلُ الْقَبْضِ عَلَى الْجَمْرِ لِلْعَامِلِ فِيهِنَّ مِثْلُ أَجْرِ خَمْسِينَ رَجُلاً يَعْمَلُونَ مِثْلَ عَمَلِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَزَادَنِي غَيْرُ عُتْبَةَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَجْرُ خَمْسِينَ رَجُلاً مِنَّا أَوْ مِنْهُمْ قَالَ ‏"‏ لاَ بَلْ أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا سعيد بن يعقوب الطالقاني، حدثنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا عتبة بن ابي حكيم، حدثنا عمرو بن جارية اللخمي، عن ابي امية الشعباني، قال اتيت ابا ثعلبة الخشني فقلت له كيف تصنع في هذه الاية قال اية اية قلت قوله ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا عليكم انفسكم لا يضركم من ضل اذا اهتديتم ‏)‏ قال اما والله لقد سالت عنها خبيرا سالت عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ بل اىتمروا بالمعروف وتناهوا عن المنكر حتى اذا رايت شحا مطاعا وهوى متبعا ودنيا موثرة واعجاب كل ذي راى برايه فعليك بخاصة نفسك ودع العوام فان من وراىكم اياما الصبر فيهن مثل القبض على الجمر للعامل فيهن مثل اجر خمسين رجلا يعملون مثل عملكم ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله بن المبارك وزادني غير عتبة قيل يا رسول الله اجر خمسين رجلا منا او منهم قال ‏"‏ لا بل اجر خمسين منكم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Narrated Abu Umayah Ash-Sha'bani:
"I went to Abu Tha'balah Al-Khushani and said to him: 'How do you deal with this Ayah?' He said: 'Which Ayah?' I said: 'Allah's saying: Take care of yourselves! If you follow the guidance no harm shall come to you (5:105).' He said: 'Well, by Allah! I asked one well-informed about it, I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about it. [So] he said: "Rather, comply with (and order) the good, and stay away from (and prohibit) the evil, until you see avarice obeyed, desires followed, and the world preferred, and everyone is amazed with his view. Then you should be worried about yourself in particular, and worry of the common folk. Ahead of you are the days in which patience is like holding onto an ember, for the doer (of righteous deeds) during them is the like of the reward of fifty of those who do the like of what you do." 'Abdullah bin Al-Mubarak said: "It was added for me, by other than 'Utbah, that it was said: 'O Messenger of Allah! The reward of fifty men among us, or them?' He said: 'No! Rather the reward of fifty men among you.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৫৯. হাসান ইবন আহমদ ইবন আবূ শু’আয়ব হাররানী (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ) হে মুমিনগণ! তোমাদের কারো যখন মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন ওসীয়ত করার সময় তোমাদের মধ্যে সাক্ষী রাখবে ন্যায়নিষ্ঠ দুই জন (৫ঃ ১০৬) আয়াত প্রসঙ্গে তামীমে দারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এ ক্ষেত্রে আমি এবং আদী ইবন বাদদা ছাড়া অন্য কারো উপর এ আয়াত প্রযোজ্য নয়।

এরা (তামীম ও আদী) উভয়েই ছিলেন খৃষ্টান। ইসলামের পূর্বে তারা সিরিয়ায় ব্যবসার জন্য যাতায়াত করতেন। একবার তারা ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া গেলেন। বুদায়ল ইবন আবূ মারইয়াম নামক বানু সাহমের এক জন আযাদকৃত দাস তাদের কাছে তেজারতির (ব্যবসার) উদ্দেশ্যে এলেন। তাঁর সাথে রূপার একটি পান পাত্র ছিল। তিনি এটি বাদশাহর (নিকট বিক্রির) উদ্দেশ্যে এনেছিলেন। এটিই ছিল তাঁর তেজারতির সর্বোৎকৃষ্ট বস্ত। তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তখন তাদের কাছে ওসীয়ত করেন এবং (তাঁর মৃত্যু হলে) তাঁর রেখে যাওয়া মালপত্র তার পরিবার-পরিজনের কাছে পৌঁছে দিতে উভয়কে অনুরোধ জানান। তামীম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ তিনি মারা গেলে আমরা পানপাত্রটি নিয়ে গিয়ে এক হাজার দিরহামে বিক্রি করে আমি ও আদী ইবন বাদ্দা দুই জনে তা ভাগ করে নিলাম। পরে আমরা যখন তাঁর পরিজনের নিকট ফিরে এলাম, তখন আমাদের নিকট রক্ষিত জিনিসপত্র তাদেরকে বুঝিয়ে দিলাম। কিন্তু তারা ঐ পানপাত্রটি না পেয়ে এই বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইল। আমরা বললামঃ যা দিয়েছি তা ছাড়া তিনি আর কিছু রেখে যান নি এবং তা ছাড়া আমাদের কাছেও তিনি অন্য কিছু রেখে যান নি।

তামীম রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মদীনা আগমনের পর যখন আমি ইসলাম গ্রহণ করি তখন ঐ অপরাধ থেকে মুক্তির চিন্তা করে তাঁর পরিবারের লোকদের কাছে আসি এবং মূল ব্যাপারটি তাদের জানাই। তাদেরকে পাঁচশত দিরহাম ফেরত দেই আর বলি যে, আমার সঙ্গীর কাছেও এ পরিবাণ রয়েছে, তারা তখন বিষয়টি নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এল। তিনি তাদের কাছে প্রমাণ তলব করলেন। তারা কোন সাক্ষী পেল না। তিনি তখন তাদের ধর্মের যে বিষয়ের কসম খেলে গুরুত্ব হয় সে বিষয়ের মাধ্যমে আদীকে কসম দিতে ঐ পরিবারের লোকদের নির্দেশ দিলেন। অতঃপর আদী (নিজেকে নিরপরাধ বলে) কসম খায়। এতদপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ أَوْ يَخَافُوا أَنْ تُرَدَّ أَيْمَانٌ بَعْدَ أَيْمَانِهِمْ

এরপর আমার ইবন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং অন্য একজন ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে উঠলেন। শেষে আদী ইবন বাদদা থেকে পাঁচশ দিরহাম উসুল করা হল।

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি গারীব। এর সনদ বিশুদ্ধ নয়। যে আবুন নাযর-এর সূত্রে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আমার মতে তিনি হলেন মুহাম্মাদ ইবনুস সাইব কালবী। তাঁর কুনিয়াত হল আবুন নাযর। হাদীস বিশেজ্ঞগণ তাঁকে পরিত্যাগ করেছেন। তাঁর তাফসীরের একটি গ্রন্থও আছে। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ মুাহাম্মাদ ইবন সাইব কালবীর কুনিয়াত হল আবুন নাযর। উম্মু হানী রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর মাওলা আবূ সালিহ (রহঃ) সূত্রে সালিম আবুন নাযর মাদীনীর কোন রিওয়ায়ত আছে বলে আমাদের জানা নেই। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সংক্ষিপ্তভাবে এই বিষয়ে অন্য সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছে।

খুবই দুর্বল, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৫৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بَاذَانَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ، فِي هَذِهِ الآيَةِ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ ‏)‏ قَالَ بَرِئَ مِنْهَا النَّاسُ غَيْرِي وَغَيْرَ عَدِيِّ بْنِ بَدَّاءٍ وَكَانَا نَصْرَانِيَّيْنِ يَخْتَلِفَانِ إِلَى الشَّامِ قَبْلَ الإِسْلاَمِ فَأَتَيَا الشَّامَ لِتِجَارَتِهِمَا وَقَدِمَ عَلَيْهِمَا مَوْلًى لِبَنِي سَهْمٍ يُقَالُ لَهُ بُدَيْلُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ بِتِجَارَةٍ وَمَعَهُ جَامٌ مِنْ فِضَّةٍ يُرِيدُ بِهِ الْمَلِكَ وَهُوَ عُظْمُ تِجَارَتِهِ فَمَرِضَ فَأَوْصَى إِلَيْهِمَا وَأَمَرَهُمَا أَنْ يُبَلِّغَا مَا تَرَكَ أَهْلَهُ قَالَ تَمِيمٌ فَلَمَّا مَاتَ أَخَذْنَا ذَلِكَ الْجَامَ فَبِعْنَاهُ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ ثُمَّ اقْتَسَمْنَاهُ أَنَا وَعَدِيُّ بْنُ بَدَّاءٍ فَلَمَّا قَدِمْنَا إِلَى أَهْلِهِ دَفَعْنَا إِلَيْهِمْ مَا كَانَ مَعَنَا وَفَقَدُوا الْجَامَ فَسَأَلُونَا عَنْهُ فَقُلْنَا مَا تَرَكَ غَيْرَ هَذَا وَمَا دَفَعَ إِلَيْنَا غَيْرَهُ قَالَ تَمِيمٌ فَلَمَّا أَسْلَمْتُ بَعْدَ قُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ تَأَثَّمْتُ مِنْ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ أَهْلَهُ فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ وَأَدَّيْتُ إِلَيْهِمْ خَمْسَمِائَةِ دِرْهَمٍ وَأَخْبَرْتُهُمْ أَنَّ عِنْدَ صَاحِبِي مِثْلَهَا فَأَتَوْا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُمُ الْبَيِّنَةَ فَلَمْ يَجِدُوا فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْتَحْلِفُوهُ بِمَا يُعْظَمُ بِهِ عَلَى أَهْلِ دِينِهِ فَحَلَفَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ أَوْ يَخَافُوا أَنْ تُرَدَّ أَيْمَانٌ بَعْدَ أَيْمَانِهِمْ ‏)‏ ‏.‏ فَقَامَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَرَجُلٌ آخَرُ فَحَلَفَا فَنُزِعَتِ الْخَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ مِنْ عَدِيِّ بْنِ بَدَّاءٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ ‏.‏ وَأَبُو النَّضْرِ الَّذِي رَوَى عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ هُوَ عِنْدِي مُحَمَّدُ بْنُ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ يُكْنَى أَبَا النَّضْرِ وَقَدْ تَرَكَهُ أَهْلُ الْحَدِيثِ وَهُوَ صَاحِبُ التَّفْسِيرِ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ مُحَمَّدُ بْنُ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ يُكْنَى أَبَا النَّضْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ نَعْرِفُ لِسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ الْمَدَنِيِّ رِوَايَةً عَنْ أَبِي صَالِحٍ مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ شَيْءٌ مِنْ هَذَا عَلَى الاِخْتِصَارِ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا الحسن بن احمد بن ابي شعيب الحراني، حدثنا محمد بن سلمة الحراني، حدثنا محمد بن اسحاق، عن ابي النضر، عن باذان، مولى ام هانى عن ابن عباس، عن تميم الداري، في هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا شهادة بينكم اذا حضر احدكم الموت ‏)‏ قال برى منها الناس غيري وغير عدي بن بداء وكانا نصرانيين يختلفان الى الشام قبل الاسلام فاتيا الشام لتجارتهما وقدم عليهما مولى لبني سهم يقال له بديل بن ابي مريم بتجارة ومعه جام من فضة يريد به الملك وهو عظم تجارته فمرض فاوصى اليهما وامرهما ان يبلغا ما ترك اهله قال تميم فلما مات اخذنا ذلك الجام فبعناه بالف درهم ثم اقتسمناه انا وعدي بن بداء فلما قدمنا الى اهله دفعنا اليهم ما كان معنا وفقدوا الجام فسالونا عنه فقلنا ما ترك غير هذا وما دفع الينا غيره قال تميم فلما اسلمت بعد قدوم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة تاثمت من ذلك فاتيت اهله فاخبرتهم الخبر واديت اليهم خمسماىة درهم واخبرتهم ان عند صاحبي مثلها فاتوا به رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالهم البينة فلم يجدوا فامرهم ان يستحلفوه بما يعظم به على اهل دينه فحلف فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا شهادة بينكم اذا حضر احدكم الموت ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ او يخافوا ان ترد ايمان بعد ايمانهم ‏)‏ ‏.‏ فقام عمرو بن العاص ورجل اخر فحلفا فنزعت الخمسماىة درهم من عدي بن بداء ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب وليس اسناده بصحيح ‏.‏ وابو النضر الذي روى عنه محمد بن اسحاق هذا الحديث هو عندي محمد بن الساىب الكلبي يكنى ابا النضر وقد تركه اهل الحديث وهو صاحب التفسير سمعت محمد بن اسماعيل يقول محمد بن الساىب الكلبي يكنى ابا النضر ‏.‏ قال ابو عيسى ولا نعرف لسالم ابي النضر المدني رواية عن ابي صالح مولى ام هانى وقد روي عن ابن عباس شيء من هذا على الاختصار من غير هذا الوجه ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
from Tamim Ad-Dari, regarding this Ayah: O you who believe! When death approaches any of you then take the testimony (5:106). He said: "The people are innocent of it, other than myself and 'Adi bin Badda.' We were Christians who used to frequent Ash-Sham before Islam." They went to Ash-Sham for their business, and they were approached by a freed slave of Banu Sahm, who was called Budail bin Abi Maryam, with some trade. He had a bowl they wanted made of silver, but he wanted a great deal for it. Then he became ill, and willed it to them, and he commissioned them to deliver what was left to his family. Tamim said: "When he died, we took that bowl and we sold it for one-thousand Dirham. Then 'Adi bin Badda and I divided it. When we went to his family to give them what was with us, they searched for the bowl and asked about it. We said: 'He did not leave behind other than this, nor did he give us other than this.'" Tamim said: "When I accepted Islam, after the Messenger of Allah (ﷺ) had arrived in Al-Madinah, I felt guilty about that, so I went to his family, and informed them about what had happened. I gave them fifty-thousand Dirham and told them my companion had the same. They took him to the Messenger of Allah (ﷺ) but he asked them for their proof, which they did not have, so he ordered them, to have him to take an oath in accordance with whatever the people of his religion revered, so he took the oath. Then Allah revealed: 'O you who believe! When death approaches any of you then take the testimony...' up to His saying: 'Or else they would fear that oaths will be admitted after their oaths (5:106).'" So 'Amr bin Al-'As and another man stood to take an oath, and the fifty-thousand Dirham was taken from 'Adi bin Badda.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৬০. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বানু সাহমের এক ব্যক্তি তামীম দারী এবং আদী ইবন বাদার সঙ্গে সফরে বের হয়। এমন এক স্থানে সাহমী ব্যক্তিটি মারা যায় যেখানে কোন মুসলিম ছিল না। যা হোক উক্ত দুইজন সাহমী-ব্যক্তির পরিত্যাক্ত মাল-আসবাব নিয়ে তার পরিবারের কাছে আসলে তারা এতে স্বর্ণের কারুকাজ করা রূপার একটি পানপাত্র পেলেন না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’জনকে এই বিষয়ে হলফ করান। পরে এই পানপাত্রটি সাহমীর পরিবারের লোকেরা মক্কায় পান। তাদের বলা হল। এটি তামীম ও আদীর নিকট থেকে কিনে আনা হয়েছে। সাহমী ব্যক্তিটির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে দুই ব্যক্তি দাবী নিয়ে উঠেন এবং আল্লাহর কসম করে বললেনঃ আমাদের সাক্ষ্য এদের দু’জনের সাক্ষ্য অপেক্ষা বেশী সত্য এবং গ্রহণযোগ্য। এই পেয়ালাটি আমাদের লোকের। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এদের বিষয়েই নাযিল হয়ঃ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ) (৫ : ১০৬-১০৮)

সহীহ, বুখারি ২৭৮০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব। এটি হল ইবন আবূ যাইদার রিওয়ায়ত।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَهْمٍ مَعَ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَعَدِيِّ بْنِ بَدَاءٍ فَمَاتَ السَّهْمِيُّ بِأَرْضٍ لَيْسَ فِيهَا مُسْلِمٌ فَلَمَّا قَدِمَا بِتَرِكَتِهِ فَقَدُوا جَامًا مِنْ فِضَّةٍ مُخَوَّصًا بِالذَّهَبِ فَأَحْلَفَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ وُجِدَ الْجَامُ بِمَكَّةَ فَقِيلَ اشْتَرَيْنَاهُ مِنْ عَدِيٍّ وَتَمِيمٍ فَقَامَ رَجُلاَنِ مِنْ أَوْلِيَاءِ السَّهْمِيِّ فَحَلَفَا بِاللَّهِ لَشَهَادَتُنَا أَحَقُّ مِنْ شَهَادَتِهِمَا وَأَنَّ الْجَامَ لِصَاحِبِهِمْ ‏.‏ قَالَ وَفِيهِمْ نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ ‏)‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَهُوَ حَدِيثُ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا يحيى بن ادم، عن ابن ابي زاىدة، عن محمد بن ابي القاسم، عن عبد الملك بن سعيد، عن ابيه، عن ابن عباس، قال خرج رجل من بني سهم مع تميم الداري وعدي بن بداء فمات السهمي بارض ليس فيها مسلم فلما قدما بتركته فقدوا جاما من فضة مخوصا بالذهب فاحلفهما رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم وجد الجام بمكة فقيل اشتريناه من عدي وتميم فقام رجلان من اولياء السهمي فحلفا بالله لشهادتنا احق من شهادتهما وان الجام لصاحبهم ‏.‏ قال وفيهم نزلت ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا شهادة بينكم ‏)‏ هذا حديث حسن غريب وهو حديث ابن ابي زاىدة ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"A man from Banu Sahm went out with Tamim Ad-Dari and 'Adi bin Badda. The Sahmi man died in a land in which there were no Muslims. When they arrived with what he left behind, they searched for a bowl made of silver which was inlaid with gold. The Messenger of Allah (ﷺ) had the two of them take an oath. Then they found the bowl in Makkah, and the person said: 'We purchased it from Tamim and 'Adi.' So two men among the relatives of the Sahmi man stood to take an oath by Allah that they (his family) had more right to it than them." He said: "So it was about them that the following was revealed: O you who believe! (When death approaches any of you then) take the testimony (5:106)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৬১. হাসান ইবন কাযাআ বাসরী (রহঃ) ....... আম্মার ইবন ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ [ঈসা (আঃ)-এর দু’আয় আল্লাহ্ তা’আলা] আকাশ থেকে রূটি ও মাংস ভর্ত্তি খাঞ্চা প্রেবণ করেন। হাওয়ারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তারা যেন এর খেয়ানত না করে এবং তা থেকে যেন আগামীকালের জন্য সঞ্চয় না করে। কিন্তু তারা এতে খেয়ানত করল তা থেকে সঞ্চয় করল এবং আগামীকালের জন্য তা তুলে রাখল। ফলে তাদের (শান্তি হিসাবে) বানর ও শুকর রুপান্তরিত করে দেওয়া হয়।

এই হাদীসটি গারীব। আবূ আসিম (রহঃ) প্রমুখ এটি সাঈদ ইবন আবূ আরূবা-কাতাদা-খিলাস আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে মাওকূফ রূপে রিওয়ায়ত করেছেন। হাসান ইবন কাযাআ-এর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি মারফু রূপে বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) ... সাঈদ ইবন আবূ আরূবা (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এটি মারফু’ নয়। এটি হাসান ইবন কাযাআর রিওয়ায়ত থেকে অধিক সহীহ। মারফু’রূপে বর্ণনাটির কোন ভিত্তি আছে বলে আমাদের জানা নেই।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلاَسِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُنْزِلَتِ الْمَائِدَةُ مِنَ السَّمَاءِ خُبْزًا وَلَحْمًا وَأُمِرُوا أَنْ لاَ يَخُونُوا وَلاَ يَدَّخِرُوا لِغَدٍ فَخَانُوا وَادَّخَرُوا وَرَفَعُوا لِغَدٍ فَمُسِخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَدْ رَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ خِلاَسٍ عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ قَزَعَةَ ‏.‏

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ بْنِ قَزَعَةَ وَلاَ نَعْلَمُ لِلْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ أَصْلاً ‏.‏

حدثنا الحسن بن قزعة، حدثنا سفيان بن حبيب، حدثنا سعيد، عن قتادة، عن خلاس بن عمرو، عن عمار بن ياسر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انزلت الماىدة من السماء خبزا ولحما وامروا ان لا يخونوا ولا يدخروا لغد فخانوا وادخروا ورفعوا لغد فمسخوا قردة وخنازير ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ قد رواه ابو عاصم وغير واحد عن سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن خلاس عن عمار بن ياسر موقوفا ولا نعرفه مرفوعا الا من حديث الحسن بن قزعة ‏.‏ حدثنا حميد بن مسعدة، حدثنا سفيان بن حبيب، عن سعيد بن ابي عروبة، نحوه ولم يرفعه وهذا اصح من حديث الحسن بن قزعة ولا نعلم للحديث المرفوع اصلا ‏.‏


Narrated 'Ammar bin Yasir:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The Ma'idah was sent down from the Heavens with bread and meat. And they were commanded to not be deceitful with it and hide it for tomorrow. So they were deceitful with it and they hid it, so it was raised up in the morning. Then they were transformed into monkeys and pigs.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৬২. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ঈসা (আঃ) কে হুজ্জত শিখিয়ে দেওয়া হল। আল্লাহ্ই তাঁর বক্তব্য বিষয়ে ঈসাকে তা শিখিয়ে দিলেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ

وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ

আল্লাহ্ যখন বললেন, হে মরয়ম তনয় ঈসা, তুমিই কি লোকদের বলেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আমাকে এবং আমার জননীকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর? (৫ঃ ১১৬)

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তখন ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহই উত্তম শিখিয়ে দিবেন। তিনি বলবেনঃ

سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ

তুমি তো মহিমাম্বিত। যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা তো আমার জন্য শোভন নয় (৫ঃ ১১৬)

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান সহীহ।

সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ تَلَقَّى عِيسَى حُجَّتَهُ وَلَقَّاهُ اللَّهُ فِي قَوْلِهِِ ‏:‏ ‏(‏ وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَقَّاهُ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ ‏)‏ الآيَةَ كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن عمرو بن دينار، عن طاوس، عن ابي هريرة، قال تلقى عيسى حجته ولقاه الله في قوله ‏:‏ ‏(‏ واذ قال الله يا عيسى ابن مريم اانت قلت للناس اتخذوني وامي الهين من دون الله ‏)‏ قال ابو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم فلقاه الله ‏:‏ ‏(‏ سبحانك ما يكون لي ان اقول ما ليس لي بحق ‏)‏ الاية كلها ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"'Eisa was taught his argument, Allah taught him regarding His saying: And when Allah will say: 'O 'Eisa, son of Mariam! Did you say unto men 'Worship me and my mother as two gods besides Allah?'" Abu Hurairah narrated from the Messenger of Allah (ﷺ): "So Allah taught him: 'Glory be to You! It was not for me to say what I had no right (to say) (5:116).' The entire Ayah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »