পরিচ্ছেদঃ কুরআনের ফযীলত।

২৯০৬. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... হারিছ আওয়ার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে গিয়ে দেখি লোকেরা আলাপ আলোচনায় রত। পরে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট গেলাম। বললামঃ হে আমীরুল মু’মিনীন, দেখছেন না লোকেরা নানা কর্থাবার্তায় মত্ত? তিনি বললেনঃ এরা কি তাই করছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ।

তিনি বলেনঃ শোন, আমি তো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সাবধান, অচিরেই ফিতনা ফাসাদ দেখা দিবে। আমি বললামঃ তা থেকে বাঁচার উপায় কি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্?

তিনি বললেনঃ আল্লাহর কিতাব। তাতে আছে তোমাদেও পূর্ববর্তীদেও সংবাদ এবং পরবর্তীদের খবর। আর তোমাদের জন্য ফয়সালা-বিধান। এ হল (সত্য ও মিথ্যার) পার্থক্যকারী। এ নিরর্থক নয়। যে ব্যক্তি অহংকার বশে তা পরিত্যাগ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার গর্দান ভেঙ্গে দিবেন। একে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি হেদায়াত তালাশ করবে তাকে আল্লাহ্ তা’আলা গুমরাহ করে দিবেন।

এ হল আল্লাহ্ তা’আলার সুদৃঢ় রজ্জু। এ হল হিকমত পূর্ণ নসীহত। এই হল সরল সঠিক পথ। এর অনুসরণে মানুষের চিন্তাধারা বক্র হয় না। এতে যবান জড়তার শিকার হয় না। আলিমগণ এর থেকে কখনো পরিতৃপ্ত হয় না। বার বার পাঠেও তা কখনো পুরনো হয় না। এর বিস্বয়ের অন্ত নেই। এটি ঐ গ্রন্থ যা শোনার পর জিনরা এই কথা না বলে থাকতে পারে নি যে, ’’আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি যা সঠিক পথ-নির্দেশ করে। সুতরাং আমরা তাতে ঈমান এনেছি।’’ (জিন্‌ ৭২ঃ ১-২)

যে ব্যক্তি এর অনুসরণে কথা বলে সে সত্য বলে, যে এতদানুযায়ী আমল করে সে প্রতিদান প্রাপ্ত হয়, যে ব্যক্তি এতদানুসারে ফায়সালা দেয় সে ইনসাফ-এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে আর যে ব্যক্তি এর দিকে আহবান জানায় সে সিরাতে মুস্তাকীমের হেদায়ত পায়। হে আ’ওয়ার, তোমার প্রতি এই কথাগুলোকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর।

যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২১৩৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি গারীব। হামযা আয-যাইয়াত-এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এর সনদ মাজহূল বা অজ্ঞাত। হারিছের রিওয়ায়াত সম্পর্কে সামালোচনা রয়েছে।

بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ القُرْآنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ حَمْزَةَ الزَّيَّاتَ، عَنْ أَبِي الْمُخْتَارِ الطَّائِيِّ، عَنِ ابْنِ أَخِي الْحَارِثِ الأَعْوَرِ، عَنِ الْحَارِثِ، قَالَ مَرَرْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ يَخُوضُونَ فِي الأَحَادِيثِ فَدَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَلاَ تَرَى أَنَّ النَّاسَ قَدْ خَاضُوا فِي الأَحَادِيثِ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ فَعَلُوهَا قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَمَا إِنِّي قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ أَلاَ إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتْنَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ مَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ نَبَأُ مَا كَانَ قَبْلَكُمْ وَخَبَرُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ هُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ مَنْ تَرَكَهُ مِنْ جَبَّارٍ قَصَمَهُ اللَّهُ وَمَنِ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ وَهُوَ حَبْلُ اللَّهِ الْمَتِينُ وَهُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَهُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ هُوَ الَّذِي لاَ تَزِيغُ بِهِ الأَهْوَاءُ وَلاَ تَلْتَبِسُ بِهِ الأَلْسِنَةُ وَلاَ يَشْبَعُ مِنْهُ الْعُلَمَاءُ وَلاَ يَخْلَقُ عَلَى كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلاَ تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ هُوَ الَّذِي لَمْ تَنْتَهِ الْجِنُّ إِذْ سَمِعَتْهُ حَتَّى قَالُوا ‏(‏إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا * يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ ‏)‏ مَنْ قَالَ بِهِ صَدَقَ وَمَنْ عَمِلَ بِهِ أُجِرَ وَمَنْ حَكَمَ بِهِ عَدَلَ وَمَنْ دَعَا إِلَيْهِ هُدِيَ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ‏"‏ ‏.‏ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَإِسْنَادُهُ مَجْهُولٌ ‏.‏ وَفِي الْحَارِثِ مَقَالٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا حسين بن علي الجعفي، قال سمعت حمزة الزيات، عن ابي المختار الطاىي، عن ابن اخي الحارث الاعور، عن الحارث، قال مررت في المسجد فاذا الناس يخوضون في الاحاديث فدخلت على علي فقلت يا امير المومنين الا ترى ان الناس قد خاضوا في الاحاديث ‏.‏ قال وقد فعلوها قلت نعم ‏.‏ قال اما اني قد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ الا انها ستكون فتنة ‏"‏ ‏.‏ فقلت ما المخرج منها يا رسول الله قال ‏"‏ كتاب الله فيه نبا ما كان قبلكم وخبر ما بعدكم وحكم ما بينكم هو الفصل ليس بالهزل من تركه من جبار قصمه الله ومن ابتغى الهدى في غيره اضله الله وهو حبل الله المتين وهو الذكر الحكيم وهو الصراط المستقيم هو الذي لا تزيغ به الاهواء ولا تلتبس به الالسنة ولا يشبع منه العلماء ولا يخلق على كثرة الرد ولا تنقضي عجاىبه هو الذي لم تنته الجن اذ سمعته حتى قالوا ‏(‏انا سمعنا قرانا عجبا * يهدي الى الرشد ‏)‏ من قال به صدق ومن عمل به اجر ومن حكم به عدل ومن دعا اليه هدي الى صراط مستقيم ‏"‏ ‏.‏ خذها اليك يا اعور ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث لا نعرفه الا من هذا الوجه واسناده مجهول ‏.‏ وفي الحارث مقال ‏.‏


Narrated Al-Harith Al-A'war:
"I passed by the Masjid when the people were absorbed in story-telling. So I entered upon 'Ali and said: 'O Commander of the believers! Do you not see the people are becoming engrossed in story-telling?' He said: 'They have been consumed with it?' I said: "Yes.' He said: 'As for me, I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: "Indeed there comes a Fitnah" So I said: "What is the way out from it O Messenger of Allah?" He said: "Allah's book. In it is news for what happened before you, and information about what comes after you, and judgement for what happens between you. It is the Criterion (between right and wrong) without jest. Whoever among the oppressive abandons it, Allah crushes him, and whoever seeks guidance from other than it, then Allah leaves him to stray. It is the firm rope of Allah, it is the wise remembrance, it is the straight path, and it is the one that the desires can not distort, nor can the tongues twist it, nor can the scholars ever have enough of it, and it shall not become dull from reciting it much, and the amazement of it does not diminish. It is the one that when the Jinns hear it, they did not hesitate to say about it: 'Verily, we have heard a wonderful Recitation (this Qur'an)! 'It guides to the Right Path, and we have believed therein.' Whoever speaks according to it then he has said the truth, and whoever acts according to it he is rewarded, and whoever judges by it he has judged justly, and whoever invites to it then he guides to the straight path." Take this O A'war!'."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ কুরআনের ফযীলত (كتاب فضائل القرآن عن رسول الله ﷺ) 48/ Chapters on The Virtues of the Qur'an