পরিচ্ছেদঃ ইলমের প্রস্থান।

২৬৫৩. হারূন ইবন ইসহাক হামদানী (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা লোকদের থেকে একটানে ইলম উঠিয়ে নিবেন না। বরং আলিমগণকে উঠিয়ে তিনি ইলম নিয়ে যাবেন। অবশেষে যখন কোন আলিম থাকবে না, লোকেরা অজ্ঞ-মুর্খদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে। ফলে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। তারা তখন ইলম ছাড়াই ফতওয়া দিবে। পরিণামে নিজেরাও গুমরাহ্ হবে এবং অপরকেও গুমরাহ বানাবে।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ৫২, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আয়িশা ও যিয়াদ ইবন লাবীদ (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। যুহরী (রহঃ) এই হাদীসটিকে উরওয়া-আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রাঃ) এবং উরওয়া-আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রাঃ) এবং উরওয়া-আয়িশা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ ‏

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَزِيَادِ بْنِ لَبِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا ‏.‏

حدثنا هارون بن اسحاق الهمداني، حدثنا عبدة بن سليمان، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عبد الله بن عمرو بن العاص، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله لا يقبض العلم انتزاعا ينتزعه من الناس ولكن يقبض العلم بقبض العلماء حتى اذا لم يترك عالما اتخذ الناس رءوسا جهالا فسىلوا فافتوا بغير علم فضلوا واضلوا ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن عاىشة وزياد بن لبيد ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روى هذا الحديث الزهري عن عروة عن عبد الله بن عمرو وعن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم مثل هذا ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah does not take away knowledge by removing it from the people, but He takes away knowledge by taking the scholars, until there remains no scholar and the people begin to ask the ignorant leaders, so they give their verdict without knowledge. They will go astray and lead the people astray."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৪/ ইলম (كتاب العلم عن رسول الله ﷺ) 44/ Chapters on Knowledge

পরিচ্ছেদঃ ইলমের প্রস্থান।

২৬৫৪. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ..... আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আসমানের দিকে চোখ তুলে তাকালেন। পরে বললেনঃ এ-ই হল লোকদের থেকে ইলম ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষণ। এমনকি ইলম বিষয়ে তাদের কোন ক্ষমতা থাকবে না।

যিয়াদ ইবন লাবীদ আনসারী বললেনঃ আমাদের থেকে কেমন করে ইলম ছিনিয়ে নেওয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন পড়েছি। আল্লাহর কসম, অবশ্যই তা আমরা পড়ব এবং আমাদের স্ত্রী-কন্যা ও সন্তান-সন্ততিদের তা পড়াব।

তিনি বললেনঃ তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, হে যিয়াদ। আশ্চর্য, আমি তো তোমাকে মদীনাবাসী প্রজ্ঞাবানদের একজন বলে গণ্য করতাম। ইয়াহূদী-নাসারাদের কাছেও তো এই তওরাত-ইনজিল আছে। কিন্ত কি উপকার হয়েছে তাদের?

জুবায়র (রহঃ) বলেনঃ পরে আমি উবাদা ইবন সামিত (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতাম। বললামঃ আপনার ভাই আবুদ্ দারদা কি বলছেন তা কি আপনি শুনেন নি?

অনন্তর আমি তাঁকে আবুদ্ দারদা (রাঃ)-এর রিওয়ায়তের বিবরণ দিলাম। তিনি বললেনঃ আবুদ্ দারদা (রাঃ) ঠিক বলেছেন। তুমি চাইলে ইলমের প্রথম যে বস্তটি উঠিয়ে নেওয়া হবে সে সম্পর্কে আমি তোমাকে বিবরণ দিতে পারি। আর তা হল খুশু-খুযু ও বিনয়। জামে মসজিদে প্রবেশ করেও তুমি হয়ত একজনকেও বিনয়াবনত দেখতে পাবে না।

সহীহ, তাখরিজু ইকতিযাইল ইল্মি আল-আমল ৮৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব হাদীসবিদগণের মতে মুআবিয়া ইবন সালিহ (রহঃ) ছিকা বা নির্ভরযোগ্য রাবী, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) ছাড়া আর কেউ তাঁর সমালোচনা করেছেন বলে আমরা জানি না। মুআবিয়া ইবন সালিহ্ (রহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে আবদুর রহামন ইবন জুবায়র ইবন নুফায়র-তৎপিতা জুবায়র ইবন নুফায়র-আওফ ইবন মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ ‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَذَا أَوَانٌ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لاَ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيُّ كَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فَمَاذَا تُغْنِي عَنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ جُبَيْرٌ فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ إِلَى مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَالَ صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ الْخُشُوعُ يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَلاَ تَرَى فِيهِ رَجُلاً خَاشِعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ سَعِيِدٍ الْقَطَّانِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ نَحْوُ هَذَا ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا عبد الله بن صالح، حدثني معاوية بن صالح، عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير، عن ابيه، جبير بن نفير عن ابي الدرداء، قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فشخص ببصره الى السماء ثم قال ‏"‏ هذا اوان يختلس العلم من الناس حتى لا يقدروا منه على شيء ‏"‏ ‏.‏ فقال زياد بن لبيد الانصاري كيف يختلس منا وقد قرانا القران فوالله لنقرانه ولنقرىنه نساءنا وابناءنا ‏.‏ فقال ‏"‏ ثكلتك امك يا زياد ان كنت لاعدك من فقهاء اهل المدينة هذه التوراة والانجيل عند اليهود والنصارى فماذا تغني عنهم ‏"‏ ‏.‏ قال جبير فلقيت عبادة بن الصامت قلت الا تسمع الى ما يقول اخوك ابو الدرداء فاخبرته بالذي قال ابو الدرداء قال صدق ابو الدرداء ان شىت لاحدثنك باول علم يرفع من الناس الخشوع يوشك ان تدخل مسجد جماعة فلا ترى فيه رجلا خاشعا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ ومعاوية بن صالح ثقة عند اهل الحديث ولا نعلم احدا تكلم فيه غير يحيى بن سعيد القطان وقد روي عن معاوية بن صالح نحو هذا ‏.‏ وروى بعضهم هذا الحديث عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن ابيه عن عوف بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Jubair bin Nufair:
from Abu Ad-Darda who said: "We were with the Prophet (ﷺ) when he raised his sight to the sky, then he said: 'This is the time when knowledge is to be taken from the people, until what remains of it shall not amount to anything." So Ziyad bin Labid Al-Ansari said: 'How will it be taken from us while we recite the Qur'an. By Allah we recite it, and our women and children recite it?' He (ﷺ) said: 'May you be bereaved of your mother O Ziyad! I used to consider you among the Fuqaha of the people of Al-Madinah. The Tawrah and Injil are with the Jews and Christians, but what do they avail of them?'" Jubair said: "So I met 'Ubadah bin As-Samit and said to him: 'Have you not heard what your brother Abu Ad-Darda said?' Then I informed him of what Abu Ad-Darda said. He said: 'Abu Ad-Darda spoke the truth. If you wish, we shall narrated to you about the first knowledge to be removed from the people: It is Khushu', soon you will enter the congregational Masjid, but not see any man in it with Khushu'.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৪/ ইলম (كتاب العلم عن رسول الله ﷺ) 44/ Chapters on Knowledge
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে