পরিচ্ছেদঃ জান্নাতী ও জাহান্নামীদের (স্ব স্ব স্থানে) চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান।

২৫৫৯. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতে আল্লাহ্ তা’আলা সব মানূষকে একই ময়দানে জমায়েত করবেন। এরপর আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাদের সম্মুখে নিজেকে প্রকাশ করবেন। বলবেনঃ শোন, (পৃথিবীতে) যে যার অনুসরণ করে চলতো আজ সে তারই অনুসরণ করে চলবে। এরপর ক্রুশ অনুসারীদের জন্য ক্রুশ, মূর্তী পূজকদের জন্য তাদের মূর্তিসমূহ, অগ্নি উপাসকদের জন্য অগ্নি উপস্থাপিত হবে এবং প্রত্যেকেই স্ব স্ব মা’বুদের পেছনে চলবে। অবশেষে কেবল মুসলিমরাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন রাব্বুল আলামীন তাদের সামনে প্রকাশিত হবেন। বলবেনঃ তোমরা অন্যান্য লোকদের অনুসরণ করলে না কেন?

মুসলিমরা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন। এরপর তিনি অন্তরালে চলে যাবেন। আবার তিনি প্রকাশিত হবেন। বলবেনঃ তোমরা অন্যান্য লোকদের অনূসরণ করলে না কেন? তারা বলবেঃ নাউযুবিল্লাহ্, আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ্ই আমাদের রব। আমাদের রবকে না দেখা পর্যন্ত এখানেই আমরা অবস্থান করব। তখন তিনিই তাদের নির্দেশ দিবেন এবং সুদৃঢ় রাখবেন।

সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা কি তাঁকে দেখব? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদের একজন আরেকজনকে কষ্ট দিতে হয়? তাঁরা বললেনঃ না, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেনঃ ঐ সময় তাঁকে দেখতেও তোমাদের কোন ধাক্কাধাক্কি হবে না।

অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা অন্তরালে চলে যাবেন। পরে আবার প্রকাশিত হবেন এবং নিজের পরিজয় জ্ঞাপন করবেন। বলবেনঃ আমিই তোমাদের রব। আমার পেছনে তোমরা চল। মুসলিমরা উঠে দাঁড়াবে। পুল-সিরাত স্থাপন করা হবে। এর উপর দিয়ে দ্রুতগামী অশ্ব ও উষ্ট্রের ন্যায় তারা অতিক্রম করে যাবে। তাদের ধ্বনি হবে’’সাল্লিম সাল্লিম’’ রক্ষা কর, রক্ষা কর। জাহান্নামীরা বাকী থেকে যাবে। তাদের এক বিরাট বাহিনীকে এতে নিক্ষেপ করা হবে। পরে জাহান্নামকে বলা হবে, তোর পেট ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি?

এরপর এতে আরো একদল নিক্ষেপ করা হবে। বলা হবেঃ তোর ভরেছে কি? জাহান্নাম বলবেঃ আরো আছে কি? যখন তাতে সব কিছু ভরা শেষ হয়ে যাবে তখন দয়াময় রহমান তাতে তাঁর পা স্থাপন করবেন। এটি পরস্পর সংকুচিত হয়ে যাবে। পরে তিনি বলবেনঃ হলো তো। জাহান্নাম বলবঃ কাত কাত - হয়েছে হয়েছে।

আল্লাহ্ তা’আলা জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দাখিল করে দিবেন। তখন মওতকে গলায় কাপড় বেঁধে টেনে নিয়ে আসা হবে এবং জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের মাঝে অবস্থিত প্রাচীরে সেটিকে রাখা হবে। পরে ডাক দেয়া হবে। হে জান্নাতবাসীগণ! তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। পরে ডাক দেয়া হবে, হে জাহান্নামবাসীগণ! তারা শাফাআতের আশায় আশান্বিত হয়ে খুশীতে নিজ নিজ আবাস থেকে বের হয়ে আসবে। যা হোক, পরে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের বলা হবেঃ তোমরা এটাকে চিন?

এরা ওরা সবাই বলবেঃ আমরা একে চিনেছি। এ-ই হল মৃত্যু যা আমাদের উপর ন্যাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। পরে এটি শোয়ানো হবে এবং ঐ প্রাচীরের উপর এটিকে যবেহ করে দেওয়া হবে। এরপর বলা হবেঃ হে জান্নাতবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জান্নাত, মৃত্যু নেই আর। হে জাহান্নামবাসীগণ! অনন্তকালের জন্য হল তোমাদের এই জাহান্নাম, মৃত্যু নেই আর। সহীহ, তাখরিজ তাহাভিয়া ৫৭৬, বুখারি ও মুসলিমে সংক্ষিপ্তভাবে আছে, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৫৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিসটি হাসান-সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এইরূপ বহু রিওয়ায়ত বর্ণিত আছে যেগুলোতে দীদারের বিষয় অর্থাৎ মানুষের তাদের পরওয়ারদিগারকে দেখবে এবং (আল্লাহর) পা বা এরূপ কিছু বিষয়ের উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে সুফইয়ান ইবন উয়ায়না, ইবন মুবারক, ওয়াকী’ (রহঃ) ইমামগণের মত হল যে, তারা এই ধরনের বিষয়াবলীর রিওয়ায়ত করেন। তাঁরা বলেনঃ এই ধরনের হাদিসসমূহ বর্ণনা করা যাবে আর এতদ্বিষয়েও আমরা ঈমানও রাখি কিন্তু এগুলো কেমন তা বলা সম্ভব নয়। হাদীস বিশেষজ্ঞগণও এই মত গ্রহণ করেছেন যে, এই ধরনের বিষয় সম্বলিত হাদিস যেভাবে বর্ণিত হয়ে এসেছে সেইভাবেই রিওয়ায়ত করা যাবে। এতদ্বিষয়ে ঈমান রাখতে হবে তবে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না কিন্তু কেমন তা বলা যাবে না। বিশেষ্জ্ঞ আলিমগণ এই মতই গ্রহণ করেছেন। হাদীছোক্তفَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ কথাটির মর্ম হল, আল্লাহ্ তা’আলা তাদের সম্মুখে স্বীয় তাজাল্লী জাহির করবেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي خُلُودِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ ثُمَّ يَطَّلِعُ عَلَيْهِمْ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ أَلاَ يَتْبَعُ كُلُّ إِنْسَانٍ مَا كَانُوا يَعْبُدُونَهُ ‏.‏ فَيُمَثَّلُ لِصَاحِبِ الصَّلِيبِ صَلِيبُهُ وَلِصَاحِبِ التَّصَاوِيرِ تَصَاوِيرُهُ وَلِصَاحِبِ النَّارِ نَارُهُ فَيَتْبَعُونَ مَا كَانُوا يَعْبُدُونَ وَيَبْقَى الْمُسْلِمُونَ فَيَطَّلِعُ عَلَيْهِمْ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ أَلاَ تَتَّبِعُونَ النَّاسَ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ اللَّهُ رَبُّنَا هَذَا مَكَانُنَا حَتَّى نَرَى رَبَّنَا ‏.‏ وَهُوَ يَأْمُرُهُمْ وَيُثَبِّتُهُمْ ثُمَّ يَتَوَارَى ثُمَّ يَطَّلِعُ فَيَقُولُ أَلاَ تَتَّبِعُونَ النَّاسَ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ اللَّهُ رَبُّنَا وَهَذَا مَكَانُنَا حَتَّى نَرَى رَبَّنَا ‏.‏ وَهُوَ يَأْمُرُهُمْ وَيُثَبِّتُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا وَهَلْ نَرَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ وَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّكُمْ لاَ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ تِلْكَ السَّاعَةَ ثُمَّ يَتَوَارَى ثُمَّ يَطَّلِعُ فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّبِعُونِي ‏.‏ فَيَقُومُ الْمُسْلِمُونَ وَيُوضَعُ الصِّرَاطُ فَيَمُرُّونَ عَلَيْهِ مِثْلَ جِيَادِ الْخَيْلِ وَالرِّكَابِ وَقَوْلُهُمْ عَلَيْهِ سَلِّمْ سَلِّمْ ‏.‏ وَيَبْقَى أَهْلُ النَّارِ فَيُطْرَحُ مِنْهُمْ فِيهَا فَوْجٌ ثُمَّ يُقَالُ هَلِ امْتَلأْتِ فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ ‏.‏ ثُمَّ يُطْرَحُ فِيهَا فَوْجٌ فَيُقَالُ هَلِ امْتَلأْتِ ‏.‏ فَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ ‏.‏ حَتَّى إِذَا أُوعِبُوا فِيهَا وَضَعَ الرَّحْمَنُ قَدَمَهُ فِيهَا وَأُزْوِيَ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ قَالَ قَطْ قَالَتْ قَطْ قَطْ فَإِذَا أَدْخَلَ اللَّهُ أَهْلَ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلَ النَّارِ النَّارَ قَالَ أُتِيَ بِالْمَوْتِ مُلَبَّبًا فَيُوقَفُ عَلَى السُّورِ الَّذِي بَيْنَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيَطَّلِعُونَ خَائِفِينَ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ ‏.‏ فَيَطَّلِعُونَ مُسْتَبْشِرِينَ يَرْجُونَ الشَّفَاعَةَ فَيُقَالُ لأَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ هَلْ تَعْرِفُونَ هَذَا فَيَقُولُونَ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ قَدْ عَرَفْنَاهُ هُوَ الْمَوْتُ الَّذِي وُكِّلَ بِنَا ‏.‏ فَيُضْجَعُ فَيُذْبَحُ ذَبْحًا عَلَى السُّورِ الَّذِي بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ وَيَا أَهْلَ النَّارِ خُلُودٌ لاَ مَوْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ - وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ مِثْلُ هَذَا مَا يُذْكَرُ فِيهِ أَمْرُ الرُّؤْيَةِ أَنَّ النَّاسَ يَرَوْنَ رَبَّهُمْ وَذِكْرُ الْقَدَمِ وَمَا أَشْبَهَ هَذِهِ الأَشْيَاءَ وَالْمَذْهَبُ فِي هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ الأَئِمَّةِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَابْنِ عُيَيْنَةَ وَوَكِيعٍ وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ رَوَوْا هَذِهِ الأَشْيَاءَ ثُمَّ قَالُوا تُرْوَى هَذِهِ الأَحَادِيثُ وَنُؤْمِنُ بِهَا وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ وَهَذَا الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْحَدِيثِ أَنْ تُرْوَى هَذِهِ الأَشْيَاءُ كَمَا جَاءَتْ وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ تُفَسَّرُ وَلاَ تُتَوَهَّمُ وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ وَهَذَا أَمْرُ أَهْلِ الْعِلْمِ الَّذِي اخْتَارُوهُ وَذَهَبُوا إِلَيْهِ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ فِي الْحَدِيثِ ‏"‏ فَيُعَرِّفُهُمْ نَفْسَهُ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي يَتَجَلَّى لَهُمْ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ يجمع الله الناس يوم القيامة في صعيد واحد ثم يطلع عليهم رب العالمين فيقول الا يتبع كل انسان ما كانوا يعبدونه ‏.‏ فيمثل لصاحب الصليب صليبه ولصاحب التصاوير تصاويره ولصاحب النار ناره فيتبعون ما كانوا يعبدون ويبقى المسلمون فيطلع عليهم رب العالمين فيقول الا تتبعون الناس فيقولون نعوذ بالله منك نعوذ بالله منك الله ربنا هذا مكاننا حتى نرى ربنا ‏.‏ وهو يامرهم ويثبتهم ثم يتوارى ثم يطلع فيقول الا تتبعون الناس فيقولون نعوذ بالله منك نعوذ بالله منك الله ربنا وهذا مكاننا حتى نرى ربنا ‏.‏ وهو يامرهم ويثبتهم ‏"‏ ‏.‏ قالوا وهل نراه يا رسول الله قال ‏"‏ وهل تضارون في روية القمر ليلة البدر ‏"‏ ‏.‏ قالوا لا يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ فانكم لا تضارون في رويته تلك الساعة ثم يتوارى ثم يطلع فيعرفهم نفسه ثم يقول انا ربكم فاتبعوني ‏.‏ فيقوم المسلمون ويوضع الصراط فيمرون عليه مثل جياد الخيل والركاب وقولهم عليه سلم سلم ‏.‏ ويبقى اهل النار فيطرح منهم فيها فوج ثم يقال هل امتلات فتقول هل من مزيد ‏.‏ ثم يطرح فيها فوج فيقال هل امتلات ‏.‏ فتقول هل من مزيد ‏.‏ حتى اذا اوعبوا فيها وضع الرحمن قدمه فيها وازوي بعضها الى بعض ثم قال قط قالت قط قط فاذا ادخل الله اهل الجنة الجنة واهل النار النار قال اتي بالموت ملببا فيوقف على السور الذي بين اهل الجنة واهل النار ثم يقال يا اهل الجنة ‏.‏ فيطلعون خاىفين ثم يقال يا اهل النار ‏.‏ فيطلعون مستبشرين يرجون الشفاعة فيقال لاهل الجنة واهل النار هل تعرفون هذا فيقولون هولاء وهولاء قد عرفناه هو الموت الذي وكل بنا ‏.‏ فيضجع فيذبح ذبحا على السور الذي بين الجنة والنار ثم يقال يا اهل الجنة خلود لا موت ويا اهل النار خلود لا موت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ - وقد روي عن النبي صلى الله عليه وسلم روايات كثيرة مثل هذا ما يذكر فيه امر الروية ان الناس يرون ربهم وذكر القدم وما اشبه هذه الاشياء والمذهب في هذا عند اهل العلم من الاىمة مثل سفيان الثوري ومالك بن انس وابن المبارك وابن عيينة ووكيع وغيرهم انهم رووا هذه الاشياء ثم قالوا تروى هذه الاحاديث ونومن بها ولا يقال كيف وهذا الذي اختاره اهل الحديث ان تروى هذه الاشياء كما جاءت ويومن بها ولا تفسر ولا تتوهم ولا يقال كيف وهذا امر اهل العلم الذي اختاروه وذهبوا اليه ‏.‏ ومعنى قوله في الحديث ‏"‏ فيعرفهم نفسه ‏"‏ ‏.‏ يعني يتجلى لهم ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Allah will gather mankind on the Day of Resurrection on a single plane, then the Lord of the Worlds will come to them and say: 'Let every person follow what they used to worship.' SO to the worshipper of the cross, his cross shall be symbolized to him, and to the worshipper of images his images, and to the worshipper of fire his fire. They will follow what they used to worship, and the Muslims will remain. Then the Lord of the Worlds will come to them and say: 'Do you not follow the people?' So they will say: 'We seek refuge in Allah from you, we seek refuge in Allah from you, Allah is our Lord, and we shall remain here until we see our Lord.' And He orders them and makes them firm.'"Thy said: "And you will see Him, O Messenger of Allah?" He said: "Are you harmed in seeing the moon on the night of a full moon?" They said: "No, O Messenger of Allah." He said: "So you will not be harmed in seeing Him at that hour. Then He will conceal Himself, then He will come, and He will make them recognize Him, then He will say: "I am your Lord, so follow Me." So the Muslims will arise and the Sirat shall be placed, and they shall be placed, and they shall pass by it the like of excellent horses and camels and their statement upon it shall be, "Grant them safety, grant them safety." And the people of Fire shall remain, then a party of them shall be cast down into it, and it shall be said (to the Fire): 'Have you become full?' So it shall say: Is there more? Then a party of them shall be cast down into it, and it shall be said: 'Have you become full?' So it shall say: Is there more? Until when they are all included into it, Ar-Rahman (the Most-Merciful) shall place His foot in it and its sides shall be all brought together, then He will say: 'Enough.' It will say 'Enough, enough.' So when Allah, the Exalted, has admitted the people of Paradise into Paradise and the people of Fire into Fire"- [He said:]- "Death shall be brought in by the collar and stood on the wall that is between the people of Paradise and the people of the Fire, then it will be said: 'O people of Paradise!' They will come near, afraid. Then it will be said: 'O people of the Fire!' They will come rejoicing, hoping for intercession. Then it will be said to the people of Paradise and the people of the Fire: 'Do you recognize this?' So they will-both of them-say: 'We recognize it. It is Death which was given charge of us,' so it will be laid down and slaughtered upon the wall [the one that is between Paradise and the Fire], then it will be said: 'O people of Paradise! Everlasting life without death!' And 'O people of the Fire! Everlasting life without death!'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪১/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 41/ Chapters on the description of Paradise

পরিচ্ছেদঃ জান্নাতী ও জাহান্নামীদের (স্ব স্ব স্থানে) চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান।

২৫৬০. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী’ (রহঃ) ....... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে মারফূ’ রূপে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মৃত্যুকে সাদা-কালো মিশ্রিত রঙের মেষের ন্যায় উপস্থিত করা হবে এবং জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে দাঁড় করান হবে। পরে এটিকে যবেহ করা হবে আর তারা সকলে তা দেখতে থাকবে। কেউ যদি আনন্দে মারা যেত তবে জান্নাতবাসীরা(তা দেখে খুশীতে) অবশ্যই মারা যেত। আর দুঃখে যদি কেউ মারা যেত তবে জাহান্নামীরা (তা দেখে দুঃখে) অবশ্যই মারা যেত।

সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابُ مَا جَاءَ فِي خُلُودِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، يَرْفَعُهُ قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أُتِيَ بِالْمَوْتِ كَالْكَبْشِ الأَمْلَحِ فَيُوقَفُ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَيُذْبَحُ وَهُمْ يَنْظُرُونَ فَلَوْ أَنَّ أَحَدًا مَاتَ فَرَحًا لَمَاتَ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَلَوْ أَنَّ أَحَدًا مَاتَ حَزَنًا لَمَاتَ أَهْلُ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا ابي، عن فضيل بن مرزوق، عن عطية، عن ابي سعيد، يرفعه قال ‏ "‏ اذا كان يوم القيامة اتي بالموت كالكبش الاملح فيوقف بين الجنة والنار فيذبح وهم ينظرون فلو ان احدا مات فرحا لمات اهل الجنة ولو ان احدا مات حزنا لمات اهل النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


'Attiyah narrated from Abu Sa'eed in Marfu' form:
"When it is the Day of Resurrection, Death shall be brought as a mixed black-white ram. It shall be stood between Paradise and the Fire, and then slaughtered while they watch. If anyone were to die of joy, then surely the people of Paradise and the Fire, and then slaughtered while they watch. If anyone were to die of joy, then surely the people of Paradise would die, and if anyone were to die of grief, then surely the people of the Fire would die."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪১/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 41/ Chapters on the description of Paradise
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে