পরিচ্ছেদঃ রিয়া এবং যশ কামনা।

২৩৮৪. আবুূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, লোক দেখানোর জন্য আমল করে আল্লাহ তার এই রিয়াকে প্রকাশ করে দেন। যে ব্যক্তি যশ লাভের জন্য আমল করে আল্লাহ তাআলা মানুষের সামনে তা প্রকাশ করে দেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৪২০৬

তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষকে রহম করে না আল্লাহ তাকে রহম করেন না।

সহীহ, তাখরিজুল মুশকিলাহ ১০৮, সহিহাহ ৪৮৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে জুনদুব ও আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই সূত্রে হাদীসটি হাসান-গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ يُرَائِي يُرَائِي اللَّهُ بِهِ وَمَنْ يُسَمِّعْ يُسَمِّعِ اللَّهُ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ لاَ يَرْحَمُهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جُنْدَبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا معاوية بن هشام، عن شيبان، عن فراس، عن عطية، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من يراىي يراىي الله به ومن يسمع يسمع الله به ‏"‏ ‏.‏ قال وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من لا يرحم الناس لا يرحمه الله ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن جندب وعبد الله بن عمرو ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏


Abu Sa'eed narrated that the Messenger of Allah (S.a.w) said:
"Whoever wants to be seen, Allah will show him, And whoever wants to be heard of, Allah will make him heard off." And he narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said: "He who shows no mercy to the people, Allah shows him no mercy."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৯/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد عن رسول الله ﷺ) 39/ Chapters On Zuhd

পরিচ্ছেদঃ রিয়া এবং যশ কামনা।

২৩৮৫. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ..... শুফাইয়া আসবাহী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার মদীনায় উপস্থিত হয়ে দেখলেন এক ব্যক্তিকে ঘিরে লোকেরা সমবেত হয়ে আছে। তিনি বললেনঃ ইনি কে? লোকেরা বললঃ ইনি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু।

(শুফাইয়া বলেনঃ) আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং তাঁর সামনে গিয় বসে পড়লাম। তিনি তখনো লোকদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন। তিনি যখন নিরব এবং একা হলেন আমি তাঁকে বললামঃ আমি আপনার কাছে সত্যিকার ভাবেই যাঞ্ছা করছি যে আপনি আমাকে হাদীস শুনাবেন যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে শুনেছেন, বুঝেছেন এবং জেনেছেন।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আমি তা করব। আমি অবশ্যই তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বর্ণনা করেছেন এবং আমি যা বুঝেছি ও জেনেছি। এরপর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কেমন জানি ভাবতন্ময়গ্রস্ত হয়ে পড়লেন। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং বললেনঃ অবশ্যই আমি তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ঘরে বর্ণনা করেছিলেন। আমাদের সঙ্গে তখন তিনি এবং আমি ছাড়া আর কেউ সেখানে ছিলনা।

এরপর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো গভীরভাবে উন্মনা হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং মুখ-মন্ডল মুছলেন। বললেনঃ আমি তা করব। অবশ্যই তোমাকে এমন হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এবং আমি এই ঘরে ছিলাম। তিনি এবং আমি ছাড়া সেখানে আমাদের সঙ্গে আর কেউ ছিলনা।

তারপর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু গভীরভাবে তন্ময়াভিভূত হয়ে পড়লেন এবং বেহুশ হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ঠেস দিয়ে রাখলাম। তারপর তাঁর হুশ হল। বললেনঃ রাসয়ূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের মাঝে ফায়সালার জন্য নাযিল হবেন। প্রত্যেক উম্মতই সেদিন থাকবে নতজানু। প্রথম যাদের তলব হবে তারা হল কুরআনের হাফিজ, আল্লাহর পথে শহীদ এবং প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারী একব্যক্তি। এরপর আল্লাহ তাআলা কুরআনের পাঠক সেই ব্যক্তিকে বলবেনঃ আমার উপর যে বিষয় নাযিল করেছিলাম তোমাকে আমি কি সেই বিষয়ের জ্ঞান দেই নাই?

সে বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই দিয়েছিলেন, হে আমার রব। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ যে জ্ঞান তুমি লাভ করেছিলে তদনুসারে কি আমল করেছিলে? লোকটি বলবেঃ আমি তো রাত-দিন এই কুরআন নিয়েই কায়েম থেকেছি।

আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, পরে আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমার নিয়্যাত ছিল তোমাকে যেন বলা হয় ’’অমুক ক্বারী’’। আর তোমাকে তা বলাও হয়েছে।

এরপর ধনাঢ্য ব্যক্তিটিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমাকে কি আমি প্রচুর বিত্ত-বৈভব দেই নি? এমনকি কারো প্রতিই তোমাকে মুখাপেক্ষী হিসাবে রাখিনি? লোকটি বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই হে আমার রব। আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে আমি যা দিয়েছিলাম তা দিয়ে কি আমল করেছ তুমি?

লোকটি বলবেঃ তা দিয়ে আমি আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুন্ন রেখেছি এবং সাদাকা-খয়রাত করেছি। আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। পরে আল্লাহ বলবেনঃ তোমার ইচ্ছা ছিল তোমাকে যেন বলা হয়, ’’অমুক ব্যক্তি খুব দানশীল’’। আর তোমাকে তা বলা হয়েছে।

আল্লাহর পথে নিহত এক ব্যক্তিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ কিসে তুমি নিহত হয়েছিলে? লোকটি বলবেঃ আপনি আপনার পথে জিহাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই আমি লড়াই করলাম। শেষে আপনার পথে নিহত হলাম। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তোমার কামনা ছিল যে, ’’তোমাকে যেন বলা হয়,’’অমুক ব্যক্তি বাহাদুর’’। আর তা তোমাকে বলা হয়েছে।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাঠুতে হাত চাপড়ালেন এবং বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা, এই তিনজই হল আল্লাহর প্রথম মাখলুক যাদের দিয়ে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হবে।

মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর তলোয়ার বরদার আলা’ ইবন হাকীম (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এল এবং আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতেই এই হাদীসটি বর্ণনা করল। তখন মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এই তিন ব্যক্তির যদি এই অবস্থা হয় তবে অন্যান্য লোকদের কি হাল হবে? এরপর তিনি এত প্রবলভাবে কাঁদতে লাগলেন যে, আমাদের ধারণা হল তিনি বুঝি হালাক হয়ে যাবেন। আমরা বললামঃ এই লোকটি আজ অমঙ্গল নিয়ে এসেছে।

পরে মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু আত্মসংবরণ করলেন এবং চেহারা থেকে অশ্রু মুছে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেনঃ

‏مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

যে কেউ পার্থিব জীবন ও এর শোভা কামনা করে তবে দুনিয়াতে আমি তাদের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করি এবং সেখানে তাদের কোন কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ব্যতীত কিছুই নাই এবং তারা যা করে আখিরাতে তা নিষ্ফল গণ্য হবে আর তাদের কর্ম হবে নিরর্থক। (সূরা হূদ ১১ঃ ১৫, ১৬)।

সহীহ, তা’লিকুর রাগিব ১/২৯-৩০, তা’লীক আলা ইবনে খুজাইমা ২৪৮২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ أَبُو عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ، أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ مُسْلِمٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ شُفَيًّا الأَصْبَحِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا هُوَ بِرَجُلٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقَالُوا أَبُو هُرَيْرَةَ ‏.‏ فَدَنَوْتُ مِنْهُ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ يُحَدِّثُ النَّاسَ فَلَمَّا سَكَتَ وَخَلاَ قُلْتُ لَهُ أَنْشُدُكَ بِحَقٍّ وَبِحَقٍّ لَمَا حَدَّثْتَنِي حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَقَلْتَهُ وَعَلِمْتَهُ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَفْعَلُ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَقَلْتُهُ وَعَلِمْتُهُ ‏.‏ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً فَمَكَثَ قَلِيلاً ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَنَا أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ ‏.‏ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً أُخْرَى ثُمَّ أَفَاقَ فَمَسَحَ وَجْهَهُ فَقَالَ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَنَا أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ ‏.‏ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً أُخْرَى ثُمَّ أَفَاقَ وَمَسَحَ وَجْهَهُ فَقَالَ أَفْعَلُ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ ‏.‏ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً شَدِيدَةً ثُمَّ مَالَ خَارًّا عَلَى وَجْهِهِ فَأَسْنَدْتُهُ عَلَىَّ طَوِيلاً ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ حَدَّثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يَنْزِلُ إِلَى الْعِبَادِ لِيَقْضِيَ بَيْنَهُمْ وَكُلُّ أُمَّةٍ جَاثِيَةٌ فَأَوَّلُ مَنْ يَدْعُو بِهِ رَجُلٌ جَمَعَ الْقُرْآنَ وَرَجُلٌ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَرَجُلٌ كَثِيرُ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ لِلْقَارِئِ أَلَمْ أُعَلِّمْكَ مَا أَنْزَلْتُ عَلَى رَسُولِي قَالَ بَلَى يَا رَبِّ ‏.‏ قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا عُلِّمْتَ قَالَ كُنْتُ أَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ إِنَّ فُلاَنًا قَارِئٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ ‏.‏ وَيُؤْتَى بِصَاحِبِ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَلَمْ أُوَسِّعْ عَلَيْكَ حَتَّى لَمْ أَدَعْكَ تَحْتَاجُ إِلَى أَحَدٍ قَالَ بَلَى يَا رَبِّ ‏.‏ قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا آتَيْتُكَ قَالَ كُنْتُ أَصِلُ الرَّحِمَ وَأَتَصَدَّقُ ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ فُلاَنٌ جَوَادٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ ‏.‏ وَيُؤْتَى بِالَّذِي قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ فِي مَاذَا قُتِلْتَ فَيَقُولُ أُمِرْتُ بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلِكَ فَقَاتَلْتُ حَتَّى قُتِلْتُ ‏.‏ فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ فُلاَنٌ جَرِيءٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رُكْبَتِي فَقَالَ ‏"‏ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أُولَئِكَ الثَّلاَثَةُ أَوَّلُ خَلْقِ اللَّهِ تُسَعَّرُ بِهِمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ الْوَلِيدُ أَبُو عُثْمَانَ فَأَخْبَرَنِي عُقْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ أَنَّ شُفَيًّا هُوَ الَّذِي دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرَهُ بِهَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عُثْمَانَ وَحَدَّثَنِي الْعَلاَءُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ أَنَّهُ كَانَ سَيَّافًا لِمُعَاوِيَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَأَخْبَرَهُ بِهَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ قَدْ فُعِلَ بِهَؤُلاَءِ هَذَا فَكَيْفَ بِمَنْ بَقِيَ مِنَ النَّاسِ ثُمَّ بَكَى مُعَاوِيَةُ بُكَاءً شَدِيدًا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ هَالِكٌ وَقُلْنَا قَدْ جَاءَنَا هَذَا الرَّجُلُ بِشَرٍّ ثُمَّ أَفَاقَ مُعَاوِيَةُ وَمَسَحَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُْ ‏:‏ ‏(‏مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا حيوة بن شريح، اخبرني الوليد بن ابي الوليد ابو عثمان المدني، ان عقبة بن مسلم، حدثه ان شفيا الاصبحي حدثه انه، دخل المدينة فاذا هو برجل قد اجتمع عليه الناس فقال من هذا فقالوا ابو هريرة ‏.‏ فدنوت منه حتى قعدت بين يديه وهو يحدث الناس فلما سكت وخلا قلت له انشدك بحق وبحق لما حدثتني حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم عقلته وعلمته ‏.‏ فقال ابو هريرة افعل لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم عقلته وعلمته ‏.‏ ثم نشغ ابو هريرة نشغة فمكث قليلا ثم افاق فقال لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم في هذا البيت ما معنا احد غيري وغيره ‏.‏ ثم نشغ ابو هريرة نشغة اخرى ثم افاق فمسح وجهه فقال لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا وهو في هذا البيت ما معنا احد غيري وغيره ‏.‏ ثم نشغ ابو هريرة نشغة اخرى ثم افاق ومسح وجهه فقال افعل لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا معه في هذا البيت ما معه احد غيري وغيره ‏.‏ ثم نشغ ابو هريرة نشغة شديدة ثم مال خارا على وجهه فاسندته على طويلا ثم افاق فقال حدثني رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تبارك وتعالى اذا كان يوم القيامة ينزل الى العباد ليقضي بينهم وكل امة جاثية فاول من يدعو به رجل جمع القران ورجل قتل في سبيل الله ورجل كثير المال فيقول الله للقارى الم اعلمك ما انزلت على رسولي قال بلى يا رب ‏.‏ قال فماذا عملت فيما علمت قال كنت اقوم به اناء الليل واناء النهار ‏.‏ فيقول الله له كذبت وتقول له الملاىكة كذبت ويقول الله له بل اردت ان يقال ان فلانا قارى فقد قيل ذاك ‏.‏ ويوتى بصاحب المال فيقول الله له الم اوسع عليك حتى لم ادعك تحتاج الى احد قال بلى يا رب ‏.‏ قال فماذا عملت فيما اتيتك قال كنت اصل الرحم واتصدق ‏.‏ فيقول الله له كذبت وتقول له الملاىكة كذبت ويقول الله تعالى بل اردت ان يقال فلان جواد فقد قيل ذاك ‏.‏ ويوتى بالذي قتل في سبيل الله فيقول الله له في ماذا قتلت فيقول امرت بالجهاد في سبيلك فقاتلت حتى قتلت ‏.‏ فيقول الله تعالى له كذبت وتقول له الملاىكة كذبت ويقول الله بل اردت ان يقال فلان جريء فقد قيل ذاك ‏"‏ ‏.‏ ثم ضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم على ركبتي فقال ‏"‏ يا ابا هريرة اولىك الثلاثة اول خلق الله تسعر بهم النار يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏ وقال الوليد ابو عثمان فاخبرني عقبة بن مسلم ان شفيا هو الذي دخل على معاوية فاخبره بهذا ‏.‏ قال ابو عثمان وحدثني العلاء بن ابي حكيم انه كان سيافا لمعاوية فدخل عليه رجل فاخبره بهذا عن ابي هريرة فقال معاوية قد فعل بهولاء هذا فكيف بمن بقي من الناس ثم بكى معاوية بكاء شديدا حتى ظننا انه هالك وقلنا قد جاءنا هذا الرجل بشر ثم افاق معاوية ومسح عن وجهه وقال صدق الله ورسوله ‏:‏ ‏(‏من كان يريد الحياة الدنيا وزينتها نوف اليهم اعمالهم فيها وهم فيها لا يبخسون * اولىك الذين ليس لهم في الاخرة الا النار وحبط ما صنعوا فيها وباطل ما كانوا يعملون)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Al-Walid bin Abi Al-Wald abu 'Utthman Al-Mada'ini narrated that 'Uqbah bin Muslim narrated to him, that shufaiy Al-Asbahi narrated that he entered Al-Madinah and saw a man around whom the people had gathered. He asked:
" Who is this?" They said: "Abu Hurairah." (He said):So I got close to him until I was sitting in front of him as he was narrating to the people. When he was silent and alone, I said to him: " I ask youabsolute truth if you would narrate to me a Hadith which you heard from the Messenger of Allah (s.a.w), That you understand and know." So Abu Hurairah said: "You want me to narrate a Hadith to you which the Messenger of Allah (s.a.w) narrated to me that I understand and know." Then Abu Hurairah began sobbing profusely. We sat for a while, then he recovered and said: "I shall narrate to you a Hadith which the Messenger of Allah (s.a.w) narrated in this House, while there was no one with us other than he and I." Then, again, Abu Hurairah began sobbing severely. Then he recovered, and wiped his face, and said: "you want me to narrate to you a Hadith which the Messenger of Allah (s.a.w) narrated while he and I were sitting in this House, and no one was with us but he and I." Then Abu Hurairah began sobbing severely. Then he bent, falling on his face, so I supported him for a long time. Then he recovered and said: "The Messenger of Allah narrated to me that on the Day of Judgement, Allah, Most High, will descend to His slaves t judge between them. Every nation shall be kneeling. The first of those who will be called before him will be a man who memorized the Qur'an, and a man who was killed in Allah's cause, and a wealthy man. Allah will say to the reciter: 'Did I not teach you what I revealed to My Messenger?" He says: 'Of course O Lord!' He says: 'Then what did you do with what you learned?' He said: 'I would stand (in prayer reciting) with it during all hours of the night and all hours of the day.' Then Allah would say to him: 'You have lied.' And the angels will say: 'You have lied.'Allah will say to him: 'Rather, you wanted it to be said that so-and-so is a reciter. And that was said.' The person with the wealth will be brought, and Allah will say to him: 'Was I not so generous with you, such that I did not leave you having any need from anyone?' He will say: 'Of course O Lord!' He says: 'Then what did you do with what I gave to you?' He says: 'I would nurture the ties of kinship and give charity.' Then Allah will say to him: 'You have lied.' And the angels will say to him: 'You have lied.' Allah, Most High, will say: 'Rather, you wanted it to be said that so-and-so is so generous, and that was said.' Then the one who was killed in Allah's cause shall be brought, and Allah will say to him : 'For what were you killed?' So he says: 'I was commanded to fight in Your cause ,so I fought until I was killed.' Allah [Most High] will say to him: 'You have lied.' And the angels will say to him: 'You have lied.' Allah [Most High] will say: 'Rather, you wanted it be said that so-and-so is brave, and that was said.' "Then the Messenger of Allah (s.a.w)hit me on my knees and said: 'O Abu Hurairah! These first three are the creatures of Allah with whom the fire will be enflamed on the Day of Judgement.'" Al-Walid Abu 'Uthman Al-Mada'ini said: "So 'Uqbah bin Muslim informed me that Shaufaiy, is the one who entered upon Mu'awiyah to inform him about this." Abu Uthman said: 'This has been done with these people, then how about with those who remain among the people?" Then Mu'awiyah begin weeping so intensely, that we thought that he will kill himself with excessive weeping. We said: "This man came to us to cause evil." Then Mu'awiyah recovered, wiped off his face and said: "Allah and His Messenger told the truth: Whosoever desires the life of the world and its glitter, then we shall pay in full (the wages of) their deeds therein, and they shall have no diminution therein. They are those for whom there is nothing in the Hereafter Fire, and vain are the deeds they did therein. And of no effect is that which they used to do."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৯/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد عن رسول الله ﷺ) 39/ Chapters On Zuhd

পরিচ্ছেদঃ রিয়া এবং যশ কামনা।

২৩৮৬. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুব্বুল হুজন থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, জুব্বুল হুজন কি? তিনি বললেনঃ জাহান্নামের একটি উপত্যকা। এ থেকে খোদ জাহান্নামও প্রতিদিন একশ’ বার পানাহ চায়। বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কে তাতে দাখেল হবে। তিনি বললেনঃ ঐসব ক্বারী যারা লোকদের দেখানোর জন্য আমল করে। যঈফ, ইবনু মাজাহ ২৫৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৮৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنِي الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ أَبِي مُعَانٍ الْبَصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحُزْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحُزْنِ قَالَ ‏"‏ وَادٍ فِي جَهَنَّمَ تَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّمُ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهُ قَالَ ‏"‏ الْقُرَّاءُ الْمُرَاءُونَ بِأَعْمَالِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ.

حدثنا ابو كريب، حدثني المحاربي، عن عمار بن سيف الضبي، عن ابي معان البصري، عن ابن سيرين، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تعوذوا بالله من جب الحزن ‏"‏ ‏.‏ قالوا يا رسول الله وما جب الحزن قال ‏"‏ واد في جهنم تتعوذ منه جهنم كل يوم ماىة مرة ‏"‏ ‏.‏ قلنا يا رسول الله ومن يدخله قال ‏"‏ القراء المراءون باعمالهم ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب.


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Seek refuge in Allah from the Pit of Sorrows." They said: "O Messenger of Allah! What is the Pit of Sorrows?" He said: "gorge in Hell from which Hell seeks Allah's refuge a Hundred times every day." It was said: "O Messenger of Allah! Who shall enter it?" He said: "The reciters who were showing off with their deeds."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৯/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি (كتاب الزهد عن رسول الله ﷺ) 39/ Chapters On Zuhd
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে