পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধে কাকে কোন কাজে নিয়োগ করা যাবে।
১৭১০। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ যিয়াদ (রহঃ) ... বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি বাহিনী প্রেরণ করেছিলেন। একটির সেনাপতি বানিয়েছিলেন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে আরেকটির বানিয়েছিলেন খালিদ ইবনু ওয়ালীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে এবং বললেন, যুদ্ধ চলাকালে আলী হবে সম্মিলিত বাহিনীর আমীর। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি কেল্লা জয় করলেন এবং সেখানকার বন্দীদের থেকে একজন দাসীকে তিনি নিজের জন্য নিয়ে নিলেন। তখন খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সমালোচনা করে একটি চিঠি আমাকে দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রেরণ করেন। এটি নিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি চিঠিটা পড়লেন। তখন তাঁর (চেহারার) রঙ পরিবর্তন হয়ে গেল। পরে বললেন, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা কি ভাব যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাঁকে ভালবাসেন? আমি বললাম, আমি আল্লাহর গযব এবং তাঁর রাসূলের ক্রোধ থেকে আল্লাহর কাছেই পানাহ চাই। আমি একজন পত্র বাহক মাত্র। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্ত হয়ে গেলেন। যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি হাসান-গারীব। আওহয়াস ইবনু জাওওয়াব-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। হাদীছোক্তيَشِي بِهِ এর অর্থ হল তাঁর সমালোচনা করা।
باب مَا جَاءَ مَنْ يُسْتَعْمَلُ عَلَى الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ الْجَوَّابِ أَبُو الْجَوَّابِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ جَيْشَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَى أَحَدِهِمَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى الآخَرِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَقَالَ " إِذَا كَانَ الْقِتَالُ فَعَلِيٌّ " . قَالَ فَافْتَتَحَ عَلِيٌّ حِصْنًا فَأَخَذَ مِنْهُ جَارِيَةً فَكَتَبَ مَعِي خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشِي بِهِ فَقَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ الْكِتَابَ فَتَغَيَّرَ لَوْنُهُ ثُمَّ قَالَ " مَا تَرَى فِي رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ " . قَالَ قُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ وَإِنَّمَا أَنَا رَسُولٌ . فَسَكَتَ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَحْوَصِ بْنِ جَوَّابٍ . مَعْنَى قَوْلِهِ يَشِي بِهِ يَعْنِي النَّمِيمَةَ .
Narrated Al-Bara' :
"The Prophet (ﷺ) sent two armies, place 'Ali bin Abi Talib as the commanded of one of them, and Khalid bin Al-Walid over the other. He said: 'Where there is fighting, then 'Ali (is in command).'" He said: "So 'Ali conquered a fortress and took a slave girl. Khalid [bin Al-Walid] wrote a letter and sent me with it to the Prophet (ﷺ), to speak against him for it. So I arrived to the Prophet (ﷺ) to read the letter. The color of his face changed, the he said: 'What do you think about a man who loves Allah and His Messenger, and Allah and His Messenger love him?'" He said: "I said: 'I seek refuge from angering Allah and angering His Messenger, I am only the Messenger.' So he was silent.
[Abu 'Eisa said:] There is something about this from Ibn 'Umar. This Hadith is Hasan Gharib, we do not know of it except from the narration of Al-Ahwas bin Jawwab. And his saying: "To speak against him for that." refers to An-Namimah.