পরিচ্ছেদঃ ৩১৩৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাকে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যতীত আল্লাহ্‌র কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। পরে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে, তখন পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন। তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান (৪৩ঃ ২৩)। আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কি সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ কে সে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? (২ঃ ২৫৫)। বর্ণনাকারী মাসরুক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ যখন ওহীর দ্বারা বলেন, তখন আসমানের অধিবাসিগণ কিছু শুনতে পায়। তাদের অন্তর থেকে যখন ভয় দূর করে দেয়া হয়। আর ধ্বনি স্তিমিত হয়ে যায়। তখন তারা উপলদ্ধি করে যে, যা ঘটেছে তা অবশ্যই একটা বাস্তব সত্য। তারা পরস্পরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলে ‘হক’ বলেছেন জাবির (রাঃ) আবদুল্লাহ্ ইব্ন উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) থেকে শুনেছি, আল্লাহ্‌ সমস্ত বান্দাকে হাশরে একত্রিত করে এমন আওয়াযে ডাকবেন যে, নিকটবর্তীদের মত দূরবর্তীরাও শুনতে পাবে। আল্লাহ্‌র ভাষ্য থাকবে আমি মহা সম্রাট আমি প্রতিদানকারী

৬৯৭৩। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা যখন আসমানে কোন হুকুম জারি করেন ফেরেশতাগণ তার হুকুমের প্রতি বিনয় ও আনুগত্য প্রকাশার্থে স্বীয় পাখাসমূহ হেলাতে থাকেন। তাদের পাখার হেলানোর ধ্বনিটা যেন পাথরের উপর শিকলের ঝনঝনির ধ্বনি। বর্ণনাকারী আলী (রহঃ) এবং সাফওয়ান ব্যতীত অন্যরা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ যে হুকুম তাদের প্রতি জারি করেন। এরপর ফেরেশতাদের হদয় থেকে যখন ভীতি দূরীভূত করা হয় তখন তারা একে অপরকে বলতে থাকে, তোমাদের প্রতিপালক কি হুকুম জারি করেছেন? তারা বলেন, তিনি বলেছেন, হক। তিনি মহান ও সর্বোচ্চ।

বর্ণনাকারী আলী ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম فُزِّعَ‏ পড়েছেন। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন যে, আমর (রহঃ)-ও এভাবেই পড়েছেন। তিনি বলেছেন, আমার- জানা নেই যে, বর্ণনাকারী এরূপ শুনেছেন কি না? তবে আমাদের কিরাআত এরূপই।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏وَلاَ تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُإِلاَّ لِمَنْ أَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ} وَلَمْ يَقُلْ مَاذَا خَلَقَ رَبُّكُمْ، وَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ} وَقَالَ مَسْرُوقٌ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ إِذَا تَكَلَّمَ اللَّهُ بِالْوَحْيِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَوَاتِ شَيْئًا، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ وَسَكَنَ الصَّوْتُ عَرَفُوا أَنَّهُ الْحَقُّ وَنَادَوْا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ. وَيُذْكَرُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَحْشُرُ اللَّهُ الْعِبَادَ فَيُنَادِيهِمْ بِصَوْتٍ يَسْمَعُهُ مَنْ بَعُدَ كَمَا يَسْمَعُهُ مَنْ قَرُبَ أَنَا الْمَلِكُ، أَنَا الدَّيَّانُ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا قَضَى اللَّهُ الأَمْرَ فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ، كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ ـ قَالَ عَلِيٌّ وَقَالَ غَيْرُهُ صَفَوَانٍ ـ يَنْفُذُهُمْ ذَلِكَ، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ ‏"‏‏.‏
قَالَ عَلِيٌّ وَحَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِهَذَا‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ،‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ قُلْتُ لِسُفْيَانَ قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ نَعَمْ‏.‏ قُلْتُ لِسُفْيَانَ إِنَّ إِنْسَانًا رَوَى عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَرْفَعُهُ أَنَّهُ قَرَأَ فُزِّعَ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ هَكَذَا قَرَأَ عَمْرٌو فَلاَ أَدْرِي سَمِعَهُ هَكَذَا أَمْ لاَ، قَالَ سُفْيَانُ وَهْىَ قِرَاءَتُنَا‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، عن عمرو، عن عكرمة، عن ابي هريرة، يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا قضى الله الامر في السماء ضربت الملاىكة باجنحتها خضعانا لقوله، كانه سلسلة على صفوان ـ قال علي وقال غيره صفوان ـ ينفذهم ذلك، فاذا فزع عن قلوبهم قالوا ماذا قال ربكم قالوا الحق وهو العلي الكبير ‏"‏‏.‏ قال علي وحدثنا سفيان، حدثنا عمرو، عن عكرمة، عن ابي هريرة، بهذا‏.‏ قال سفيان قال عمرو سمعت عكرمة، حدثنا ابو هريرة،‏.‏ قال علي قلت لسفيان قال سمعت عكرمة، قال سمعت ابا هريرة، قال نعم‏.‏ قلت لسفيان ان انسانا روى عن عمرو عن عكرمة عن ابي هريرة يرفعه انه قرا فزع‏.‏ قال سفيان هكذا قرا عمرو فلا ادري سمعه هكذا ام لا، قال سفيان وهى قراءتنا‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "When Allah ordains something on the Heaven the angels beat with their wings in obedience to His Statement which sounds like that of a chain dragged over a rock. His Statement: "Until when the fear is banished from their hearts, the Angels say, 'What was it that your Lord said?' 'They reply, '(He has said) the Truth. And He is the Most High, The Great. " (34.23)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১৩৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাকে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যতীত আল্লাহ্‌র কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। পরে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে, তখন পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন। তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান (৪৩ঃ ২৩)। আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কি সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ কে সে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? (২ঃ ২৫৫)। বর্ণনাকারী মাসরুক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ যখন ওহীর দ্বারা বলেন, তখন আসমানের অধিবাসিগণ কিছু শুনতে পায়। তাদের অন্তর থেকে যখন ভয় দূর করে দেয়া হয়। আর ধ্বনি স্তিমিত হয়ে যায়। তখন তারা উপলদ্ধি করে যে, যা ঘটেছে তা অবশ্যই একটা বাস্তব সত্য। তারা পরস্পরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলে ‘হক’ বলেছেন জাবির (রাঃ) আবদুল্লাহ্ ইব্ন উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) থেকে শুনেছি, আল্লাহ্‌ সমস্ত বান্দাকে হাশরে একত্রিত করে এমন আওয়াযে ডাকবেন যে, নিকটবর্তীদের মত দূরবর্তীরাও শুনতে পাবে। আল্লাহ্‌র ভাষ্য থাকবে আমি মহা সম্রাট আমি প্রতিদানকারী

৬৯৭৪। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাঁর কোন এক নবী থেকে (মধুময় স্বরে) যেভাবে কুরআন শ্রবন করেছেন, সেভাবে আর কিছুই তিনি শোনেননি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর এক সাথী বলেছে,يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ এর অর্থ আবূ হুরায়রা (রাঃ) উচ্চস্বরে কুরআন পড়া বোঝাতেন।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏وَلاَ تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُإِلاَّ لِمَنْ أَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ} وَلَمْ يَقُلْ مَاذَا خَلَقَ رَبُّكُمْ، وَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ} وَقَالَ مَسْرُوقٌ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ إِذَا تَكَلَّمَ اللَّهُ بِالْوَحْيِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَوَاتِ شَيْئًا، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ وَسَكَنَ الصَّوْتُ عَرَفُوا أَنَّهُ الْحَقُّ وَنَادَوْا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ. وَيُذْكَرُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَحْشُرُ اللَّهُ الْعِبَادَ فَيُنَادِيهِمْ بِصَوْتٍ يَسْمَعُهُ مَنْ بَعُدَ كَمَا يَسْمَعُهُ مَنْ قَرُبَ أَنَا الْمَلِكُ، أَنَا الدَّيَّانُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَىْءٍ مَا أَذِنَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ صَاحِبٌ لَهُ يُرِيدُ أَنْ يَجْهَرَ بِهِ‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، حدثنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، اخبرني ابو سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي هريرة، انه كان يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما اذن الله لشىء ما اذن للنبي صلى الله عليه وسلم يتغنى بالقران ‏"‏‏.‏ وقال صاحب له يريد ان يجهر به‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah never listens to anything as He listens to the Prophet (ﷺ) reciting Qur'an in a pleasant sweet sounding voice." A companion of Abu Huraira said, "He means, reciting the Qur'an aloud."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১৩৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাকে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যতীত আল্লাহ্‌র কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। পরে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে, তখন পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন। তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান (৪৩ঃ ২৩)। আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কি সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ কে সে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? (২ঃ ২৫৫)। বর্ণনাকারী মাসরুক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ যখন ওহীর দ্বারা বলেন, তখন আসমানের অধিবাসিগণ কিছু শুনতে পায়। তাদের অন্তর থেকে যখন ভয় দূর করে দেয়া হয়। আর ধ্বনি স্তিমিত হয়ে যায়। তখন তারা উপলদ্ধি করে যে, যা ঘটেছে তা অবশ্যই একটা বাস্তব সত্য। তারা পরস্পরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলে ‘হক’ বলেছেন জাবির (রাঃ) আবদুল্লাহ্ ইব্ন উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) থেকে শুনেছি, আল্লাহ্‌ সমস্ত বান্দাকে হাশরে একত্রিত করে এমন আওয়াযে ডাকবেন যে, নিকটবর্তীদের মত দূরবর্তীরাও শুনতে পাবে। আল্লাহ্‌র ভাষ্য থাকবে আমি মহা সম্রাট আমি প্রতিদানকারী

৬৯৭৫। উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদমকে বলবেন, হে আদম! আদম (আলাইহিস সালাম) উত্তরে বলবেন, ইয়া আল্লাহ! তোমার নিকটে আমি হাযির, তোমার নিকটে আমি বহু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। এরপর আল্লাহ তাকে এ স্বরে ডাকবেন, অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে হুকুম করছেন, তোমার সন্তানদের মধ্য থেকে জাহান্নামে পাঠানোর জন্য একটি দলকে তুমি বের কর।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏وَلاَ تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُإِلاَّ لِمَنْ أَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ} وَلَمْ يَقُلْ مَاذَا خَلَقَ رَبُّكُمْ، وَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ} وَقَالَ مَسْرُوقٌ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ إِذَا تَكَلَّمَ اللَّهُ بِالْوَحْيِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَوَاتِ شَيْئًا، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ وَسَكَنَ الصَّوْتُ عَرَفُوا أَنَّهُ الْحَقُّ وَنَادَوْا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ. وَيُذْكَرُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَحْشُرُ اللَّهُ الْعِبَادَ فَيُنَادِيهِمْ بِصَوْتٍ يَسْمَعُهُ مَنْ بَعُدَ كَمَا يَسْمَعُهُ مَنْ قَرُبَ أَنَا الْمَلِكُ، أَنَا الدَّيَّانُ

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَقُولُ اللَّهُ يَا آدَمُ‏.‏ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ‏.‏ فَيُنَادَى بِصَوْتٍ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُخْرِجَ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ بَعْثًا إِلَى النَّارِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عمر بن حفص بن غياث، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، حدثنا ابو صالح، عن ابي سعيد الخدري ـ رضى الله عنه ـ قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يقول الله يا ادم‏.‏ فيقول لبيك وسعديك‏.‏ فينادى بصوت ان الله يامرك ان تخرج من ذريتك بعثا الى النار ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah will say (on the Day of Resurrection), 'O Adam!' Adam will reply, 'Labbaik wa Sa`daik! ' Then a loud Voice will be heard (Saying) 'Allah Commands you to take out the mission of the Hell Fire from your offspring.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)

পরিচ্ছেদঃ ৩১৩৪. আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ যাকে অনুমতি দেয়া হয়, সে ব্যতীত আল্লাহ্‌র কাছে কারো সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। পরে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে, তখন পরস্পরের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তোমাদের প্রতিপালক কি বললেন। তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন। তিনি সমুচ্চ মহান (৪৩ঃ ২৩)। আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কি সৃষ্টি করেছেন? আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ কে সে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? (২ঃ ২৫৫)। বর্ণনাকারী মাসরুক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ যখন ওহীর দ্বারা বলেন, তখন আসমানের অধিবাসিগণ কিছু শুনতে পায়। তাদের অন্তর থেকে যখন ভয় দূর করে দেয়া হয়। আর ধ্বনি স্তিমিত হয়ে যায়। তখন তারা উপলদ্ধি করে যে, যা ঘটেছে তা অবশ্যই একটা বাস্তব সত্য। তারা পরস্পরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? তারা বলে ‘হক’ বলেছেন জাবির (রাঃ) আবদুল্লাহ্ ইব্ন উনায়স (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) থেকে শুনেছি, আল্লাহ্‌ সমস্ত বান্দাকে হাশরে একত্রিত করে এমন আওয়াযে ডাকবেন যে, নিকটবর্তীদের মত দূরবর্তীরাও শুনতে পাবে। আল্লাহ্‌র ভাষ্য থাকবে আমি মহা সম্রাট আমি প্রতিদানকারী

৬৯৭৬। উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন মহিলার ব্যাপারে আমি এতটুকু ঈর্ষা বোধ করিনি, যতটুকু খাদিজা (রাঃ) এর ব্যাপারে করেছি। আর তা এ জন্য যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতিপালক তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, খাদিজা (রাঃ) কে জান্নাতের একটি ঘরের সুসংবাদ দিয়ে দিন।

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏{‏وَلاَ تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُإِلاَّ لِمَنْ أَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ} وَلَمْ يَقُلْ مَاذَا خَلَقَ رَبُّكُمْ، وَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ: {مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ} وَقَالَ مَسْرُوقٌ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ إِذَا تَكَلَّمَ اللَّهُ بِالْوَحْيِ سَمِعَ أَهْلُ السَّمَوَاتِ شَيْئًا، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ وَسَكَنَ الصَّوْتُ عَرَفُوا أَنَّهُ الْحَقُّ وَنَادَوْا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ. وَيُذْكَرُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَحْشُرُ اللَّهُ الْعِبَادَ فَيُنَادِيهِمْ بِصَوْتٍ يَسْمَعُهُ مَنْ بَعُدَ كَمَا يَسْمَعُهُ مَنْ قَرُبَ أَنَا الْمَلِكُ، أَنَا الدَّيَّانُ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَبُّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ‏.‏

حدثنا عبيد بن اسماعيل، حدثنا ابو اسامة، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ قالت ما غرت على امراة ما غرت على خديجة، ولقد امره ربه ان يبشرها ببيت في الجنة‏.‏


Narrated `Aisha:

I never felt so jealous of any woman as I felt of Khadija, for Allah ordered him (the Prophet (ﷺ) ) to give Khadija the glad tidings of a palace in Paradise (for her).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد) 86/ Oneness, Uniqueness Of Allah (Tawheed)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে