পরিচ্ছেদঃ ৫৩/ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওয়ায-নসীহতে ও ইলম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।
৫২. পরিচ্ছেদঃ কথা ও আমলের পূর্বে ইলম জরুরী।
আল্লাহ তা’আলার ইরশাদঃ فَاعْلَمْ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ “সুতরাং জেনে রাখ, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই।” (৪৭ঃ ১৯)। এখানে আল্লাহ তা’আলা ইলমের কথা আগে বলেছেন। আলিমগণই নবীগণের ওয়ারিস। তারা ইলমের ওয়ারিস হয়েছেন। তাই যে ইলম হাসিল করে সে বিরাট অংশ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই তাকে ভয় করে (৩৫ঃ ২৮)। আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেনঃ وَمَا يَعْقِلُهَا إِلاَّ الْعَالِمُونَ “আলিমগণ ছাড়া তা কেউ বুঝেনা”। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছেঃ وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ তারা বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামী হতাম না। (৬৭ঃ ১০)। আরো ইরশাদ করেনঃ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ “বল, যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (৩৯ঃ ৯)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যায়নের মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয়। আবু যার (রাঃ) তাঁর ঘাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, যদি তোমরা এখানে তরবারি ধর, এরপর আমি বুঝতে পারি যে, তোমরা আমার ওপর সে তরবারী চালাবার আগে আমি একটু কথা বলতে পারব, তবে আমি যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি, তবে অবশ্যই আমি তা বলে ফেলব।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, كُونُوا رَبَّانِيِّينَ (তোমরা রব্বানি হও)। এখানে رَبَّانِيِّينَ মানে প্রজ্ঞাবান, আলিম ও ফকীহগণ। আরো বলা হয় رباني সে ব্যক্তি কে বলা হয় যিনি মানুষকে জ্ঞানের বড় বড় বিষয়ের পূর্বে ছোট ছোট বিষয় শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন।
৬৮। মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (রহঃ) ... ইবন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্দিষ্ট দিনে ওয়ায-নসীহত করতেন, আমরা যাতে বিরক্ত না হই।
باب مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَخَوَّلُهُمْ بِالْمَوْعِظَةِ وَالْعِلْمِ كَىْ لاَ يَنْفِرُوا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَخَوَّلُنَا بِالْمَوْعِظَةِ فِي الأَيَّامِ، كَرَاهَةَ السَّآمَةِ عَلَيْنَا.
The Prophet (saws) used to take care of the people in preaching by selecting a suitable time so that they might not run away (never made them averse or bored them with religious talk and knowledge all the time)
Narrated Ibn Mas`ud: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) used to take care of us in preaching by selecting a suitable time, so that we might not get bored. (He abstained from pestering us with sermons and knowledge all the time).
পরিচ্ছেদঃ ৫৩/ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওয়ায-নসীহতে ও ইলম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।
৬৯। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে) সহজ পন্থা অবলম্বন করবে, কঠিন পন্থা অবলম্বন করবে না, মানুষকে সুসংবাদ শোনাবে, বিরক্তি সৃষ্টি করবে না।
باب مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَخَوَّلُهُمْ بِالْمَوْعِظَةِ وَالْعِلْمِ كَىْ لاَ يَنْفِرُوا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا، وَبَشِّرُوا وَلاَ تُنَفِّرُوا ".
The Prophet (saws) used to take care of the people in preaching by selecting a suitable time so that they might not run away (never made them averse or bored them with religious talk and knowledge all the time)
Narrated Anas bin Malik: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Facilitate things to people (concerning religious matters), and do not make it hard for them and give them good tidings and do not make them run away (from Islam).