পরিচ্ছেদঃ ৬৬৮. ‘কাশাফাতিশ শামসু’ বলবে, না ‘খাসাফাতিশ শামসু’ বলবে? আল্লাহ্‌ তা’লা বলেছে, ওয়া খাসাফাল কামারু’।

৯৯০। সায়ীদ ইবনু উফাইর (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললেন। এরপর দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকু করলেন। এরপর মাথা তুললেন, আর سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ‏ বলে আগের মতই দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। তবে তা আগের কিরাআতের চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। আবার তিনি দীর্ঘ রুকু করলেন, তবে এ রুকু প্রথম রুকুর চাইতে কম দীর্ঘ ছিল। এরপর তিনি দীর্ঘ সিজদাহ করলেন। তারপর তিনি শেষ রাকাআতে প্রথম রাকাআতের অনুরূপ করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল।

এরপর লোকদের উদ্দেশ্যে তিনি খুৎবা দিলেন। খুতবায় তিনি সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে বলেন, এ হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন তোমরা ভীত বিহ্বল অবস্থায় সালাত (নামায/নামাজ)-এর দিকে গমন করবে।

بَابُ هَلْ يَقُولُ كَسَفَتِ الشَّمْسُ أَوْ خَسَفَتْ وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَخَسَفَ الْقَمَرُ}

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ‏.‏ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى يَوْمَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ فَكَبَّرَ، فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ‏.‏ وَقَامَ كَمَا هُوَ، ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً، وَهْىَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى، ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهْىَ أَدْنَى مِنَ الرَّكْعَةِ الأُولَى، ثُمَّ سَجَدَ سُجُودًا طَوِيلاً، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ سَلَّمَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ ‏ "‏ إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا سعيد بن عفير، قال حدثنا الليث، حدثني عقيل، عن ابن شهاب، قال اخبرني عروة بن الزبير، ان عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم اخبرته‏.‏ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى يوم خسفت الشمس، فقام فكبر، فقرا قراءة طويلة، ثم ركع ركوعا طويلا، ثم رفع راسه، فقال سمع الله لمن حمده‏.‏ وقام كما هو، ثم قرا قراءة طويلة، وهى ادنى من القراءة الاولى، ثم ركع ركوعا طويلا، وهى ادنى من الركعة الاولى، ثم سجد سجودا طويلا، ثم فعل في الركعة الاخرة مثل ذلك، ثم سلم وقد تجلت الشمس، فخطب الناس، فقال في كسوف الشمس والقمر ‏ "‏ انهما ايتان من ايات الله، لا يخسفان لموت احد ولا لحياته، فاذا رايتموهما فافزعوا الى الصلاة ‏"‏‏.‏


Narrated Aisha:

(the wife of the Prophet) On the day when the sun Khasafat (eclipsed) Allah's Messenger (ﷺ) prayed; he stood up and said Takbir and recited a prolonged recitation, then he performed a prolonged bowing, then he raised his head and said, "Sami`a l-lahu Lyman Hamidah," and then remained standing and recited a prolonged recitation which was shorter than the first. Then he performed a prolonged bowing which was shorter than the first. Then he prostrated and prolonged the prostration and he did the same in the second rak`a as in the first and then finished the prayer with Taslim. By that time the sun (eclipse) had cleared He addressed the people and said, "The sun and the moon are two of the signs of Allah; they do not eclipse (Yakhsifan) because of the death or the life (i.e. birth) of someone. So when you see them make haste for the prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ সূর্যগ্রহন (كتاب الكسوف) 16/ Eclipses