পরিচ্ছেদঃ ৪৯৭. এক রাকাআতে দু’সূরা মিলিয়ে পড়া, সূরার শেষাংশ পড়া, এক সূরার আগে আরেক সূরা পড়া এবং সূরার প্রথমাংশ পড়া।

আব্দুল্লাহ্ ইবন সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতে সূরা ম’মিনূন পড়তে শুরু করেন। যখন মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ) বা ঈসা (আঃ)-এর আলোচনা এল, তাঁর কাশি উঠল আর তখন তিনি রুকু’তে চলে গেলেন। উমর (রাঃ) প্রথম রাকাআতে সূরা বাকারার একশ’ বিশ আয়াত তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাকআতে মাসানী সূরা সমূহের কোন একটি তিলাওয়াত করেন। আহনাফ (রঃ) প্রথম রাকাআতে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা ইউসুফ বা ইউনুস তিলাওয়াত করেন এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি উমর (রাঃ)-এর পিছনে এ দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন।

ইবন মাসউদ (রাঃ) (প্রথম রাকআতে) সূরা আনফালের চল্লিশ আয়াত পড়েন এবং দ্বিতীয় রাকাআতে মুফাসসাল সূরা সমূহের একটি পড়েন। যে ব্যক্তি দু’রাকাআতে একই সূরা ভাগ করে পড়ে বা দু’রাকাতে একই সূরা দুহরিয়ে পড়ে। তার সম্পর্কে কাতাদা (রহঃ) বলেন, সবই মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব। (অর্থাৎ এতে কোন দোষ নেই)।

উবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) কবার মসজিদে তাঁদের ইমামতি করতেন। তিনি সশব্দে কিরাআত পড়া হয় এমন কোন সালাতে যখনই কোন সূরা তিলাওয়াত করতেন, قل هو الله أحد সূরা দ্বারা শুরু করতেন। তা শেষ করে অন্য একটি সূরা এর সাথে মিলিয়ে পড়তেন। আর প্রতি রাকাআতেই তিনি এরূপ করতেন। তাঁর সঙ্গীরা এ ব্যাপারে তাঁর কাছে বললেন যে, আপনি এ সূরাটি দিয়ে শুরু করেন, এটি যথেষ্ট হয় বলে আপনি মনে করেন না তাই আর একটি সূরা মিলিয়ে পড়েন। হয় আপনি এটিই পড়বেন, না হয় এটি বাদ দিয়ে আর একটি সূরা মিলিয়ে পড়েন, হয় আপনি এটিই পড়বেন, না হয় এটি বাদ অন্যটি পড়বেন। তিনি বললেন, আমি এটি কিছুতেই ছাড়তে পারব না। আমার এভাবে ইমামতি করা যদি আপনারা অপছন্দ করেন, তাহলে আমি আপনাদের ইমামতি ছেড়ে দেব। কিন্তু তাঁরা জানতেন যে, তিনি তাদের মাঝে উত্তম। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তাদের ইমামতি করুক এটা তাঁরা অপছন্দ করতেন। পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁদের এখানে আগমন করেন, তাঁরা বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানান। তিনি বললেন, হে, অমুক! তোমার সঙ্গীগণ যা বলেন তা করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দেয়? আর প্রতি রাকাআতে এ সূরাটি বাধ্যতামূলক করে নিতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে? তিনি বললেন, আমি এ সূরাটি ভালবাসি। নবী করীম (সাঃ) বললেনঃ এ সূরার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।


৭৩৯। আদম (রহঃ) ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর নিকট এসে বলল, গতরাতে আমি মুফাসসাল সূরাগুলো এক রাকাইতেই তিলাওয়াত করেছি। তিনি বললেন, তাহলে নিশ্চয়ই কবিতার ন্যায় দ্রুত পড়েছ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরস্পর সমতূল্য যে সব সূরা মিলিয়ে পড়তেন, সেগুলো সম্পর্কে আমি জানি। এ বলে তিনি মুফাসসাল সূরাসমূহের বিশটি সূরার কথা উল্লেখ করে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাকাআতে এর দু’টি করে সূরা পড়তেন।

باب الْجَمْعِ بَيْنَ السُّورَتَيْنِ فِي الرَّكْعَةِ وَالْقِرَاءَةِ بِالْخَوَاتِيمِ، وَبِسُورَةٍ قَبْلَ سُورَةٍ، وَبِأَوَّلِ سُورَةٍ

وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَؤُمُّهُمْ فِي مَسْجِدِ قُبَاءٍ، وَكَانَ كُلَّمَا افْتَتَحَ سُورَةً يَقْرَأُ بِهَا لَهُمْ فِي الصَّلاَةِ مِمَّا يَقْرَأُ بِهِ افْتَتَحَ بِ ـ ‏(‏قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ‏)‏ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا، ثُمَّ يَقْرَأُ سُورَةً أُخْرَى مَعَهَا، وَكَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، فَكَلَّمَهُ أَصْحَابُهُ فَقَالُوا إِنَّكَ تَفْتَتِحُ بِهَذِهِ السُّورَةِ، ثُمَّ لاَ تَرَى أَنَّهَا تُجْزِئُكَ حَتَّى تَقْرَأَ بِأُخْرَى، فَإِمَّا أَنْ تَقْرَأَ بِهَا وَإِمَّا أَنْ تَدَعَهَا وَتَقْرَأَ بِأُخْرَى‏.‏ فَقَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِهَا، إِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ أَؤُمَّكُمْ بِذَلِكَ فَعَلْتُ، وَإِنْ كَرِهْتُمْ تَرَكْتُكُمْ‏.‏ وَكَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْ أَفْضَلِهِمْ، وَكَرِهُوا أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ، فَلَمَّا أَتَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ فَقَالَ ‏"‏ يَا فُلاَنُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَفْعَلَ مَا يَأْمُرُكَ بِهِ أَصْحَابُكَ وَمَا يَحْمِلُكَ عَلَى لُزُومِ هَذِهِ السُّورَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّهَا‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ حُبُّكَ إِيَّاهَا أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ ‏"‏‏.‏

وقال عبيد الله عن ثابت، عن انس ـ رضى الله عنه ـ كان رجل من الانصار يومهم في مسجد قباء، وكان كلما افتتح سورة يقرا بها لهم في الصلاة مما يقرا به افتتح ب ـ ‏(‏قل هو الله احد‏)‏ حتى يفرغ منها، ثم يقرا سورة اخرى معها، وكان يصنع ذلك في كل ركعة، فكلمه اصحابه فقالوا انك تفتتح بهذه السورة، ثم لا ترى انها تجزىك حتى تقرا باخرى، فاما ان تقرا بها واما ان تدعها وتقرا باخرى‏.‏ فقال ما انا بتاركها، ان احببتم ان اومكم بذلك فعلت، وان كرهتم تركتكم‏.‏ وكانوا يرون انه من افضلهم، وكرهوا ان يومهم غيره، فلما اتاهم النبي صلى الله عليه وسلم اخبروه الخبر فقال ‏"‏ يا فلان ما يمنعك ان تفعل ما يامرك به اصحابك وما يحملك على لزوم هذه السورة في كل ركعة ‏"‏‏.‏ فقال اني احبها‏.‏ فقال ‏"‏ حبك اياها ادخلك الجنة ‏"‏‏.‏


Anas said:
One of the Ansar used to lead the Ansar in Salat in the Quba' mosque and it was his habit to recite Qul Huwal-lahu Ahad whenever he wanted to recite something in Salat. When he finished that Surah, he would recite another one with it. He followed the same procedure in each Rak'a. His companions discussed this with him and said, "You recite this Surah and do not consider it sufficient and then you recite another. So would you recite it alone or leave it and recite some other." He said, "I will never leave it and if you want me to be your Imam on this condition then it is all right ; otherwise I will leave you." They knew that he was the best amongst them and they did not like someone else to lead them in Salat. When the Prophet (s) went to them as usual, they informed him about it. The Prophet (s) (s) addressed him and said, "O so-and-so, what forbids you from doing what your companions ask you to do ? Why do you read this Surah particularly in every Rak'a ?" He repiled, "I love this Surah." The Prophet (s) said, "Your love for this Surah will make you enter Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১০/ আযান (كتاب الأذان) 10/ Call of Prayers (Adhaan)