পরিচ্ছেদঃ ১. উভয় ঈদে গোসল করা এবং আযান ও ইকামত প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি অনেক আলিমকে বলিতে শুনিয়াছেন যে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগ হইতে বর্তমান যুগ পর্যন্ত আযান ও ইকামত ছিল না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা এমন একটি সুন্নত যাহাতে আমাদের মতে কাহারও দ্বিমত নাই।
بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ الْعِيدَيْنِ وَالنِّدَاءِ فِيهِمَا وَالْإِقَامَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَائِهِمْ يَقُولُ لَمْ يَكُنْ فِي عِيدِ الْفِطْرِ وَلَا فِي الْأَضْحَى نِدَاءٌ وَلَا إِقَامَةٌ مُنْذُ زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَوْمِ قَالَ مَالِك وَتِلْكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا
Yahya related to me from Malik that he had heard more than one of their men of knowledge say, "There has been no call to prayer or iqama for the id al-Fitr or the id al-Adha since the time of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace."
Malik said, "That is the sunna about which there is no disagreement among us."
পরিচ্ছেদঃ ১. উভয় ঈদে গোসল করা এবং আযান ও ইকামত প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদগাহে গমনের পূর্বে গোসল করিতেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ الْعِيدَيْنِ وَالنِّدَاءِ فِيهِمَا وَالْإِقَامَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلَّى
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to do ghusl on the day of Fitr before going to the place of prayer.
পরিচ্ছেদঃ ২. উভয় ঈদে খুতবার পূর্বে নামায পড়ার নির্দেশ
রেওয়ায়ত ৩. ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে খুতবার পূর্বে নামায পড়িতেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحَى قَبْلَ الْخُطْبَةِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray on the day of Fitr and the day of Adha before the khutba.
পরিচ্ছেদঃ ২. উভয় ঈদে খুতবার পূর্বে নামায পড়ার নির্দেশ
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবু বকর এবং উমর (রাঃ) তাহারা উভয়েই এইরূপ করিতেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، كَانَا يَفْعَلاَنِ ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Abu Bakr and Umar used to do that.
পরিচ্ছেদঃ ২. উভয় ঈদে খুতবার পূর্বে নামায পড়ার নির্দেশ
রেওয়ায়ত ৫. ইবন আযহারের মাওলা আবূ উবায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমি ঈদের নামাযে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে শরীক হইয়াছি। তিনি ঈদের নামায পড়াইলেন, অতঃপর (মিম্বরে) প্রত্যাগমন করিলেন এবং লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করিলেন। খুতবায় তিনি বলিলেনঃ এই দুইটি (ঈদের) দিবস এমন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় দিবসে রোযা রাখিতে নিষেধ করিয়াছেন, তোমাদের রোযা খোলার (অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের) দিন আর তোমাদের কুরবানীর মাংস আহার করার দিন।
আবু উবায়দ (রহঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর সাথেও ঈদে হাযির হইয়াছি। তিনি (ঈদগাহে) আসার পর নামায পড়িলেন, তারপর (মুসল্লা হইতে) ফিরিয়া খুতবা প্রদান করিলেন, আজিকার এই দিনে তোমাদের জন্য দুইটি ঈদ একত্র হইয়াছে (শুক্রবার হওয়ার কারণে)। মদীনার বাহিরের লোকেরা ইচ্ছা করিলে জুম’আর নামাযের জন্য অপেক্ষা করিতে পারে অথবা ইচ্ছা করিলে নিজেদের এলাকায় ফিরিয়াও যাইতে পারে, আমি তাহাদিগকে এই অনুমতি দিলাম।
আবু উবায়দ (রহঃ) বলেনঃ আলী ইবন আবি তালিব (রাঃ)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম, যখন উসমান (রাঃ) অবরুদ্ধ ছিলেন। আলী (রাঃ) আসিলেন এবং নামায পড়লেন, তারপর লোকদের দিকে মুখ করিলেন ও খুতবা দিলেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ هَذَيْنِ يَوْمَانِ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَالْآخَرُ يَوْمٌ تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ نُسُكِكُمْ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ وَقَالَ إِنَّهُ قَدْ اجْتَمَعَ لَكُمْ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا عِيدَانِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ أَنْ يَنْتَظِرَ الْجُمُعَةَ فَلْيَنْتَظِرْهَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَرْجِعَ فَقَدْ أَذِنْتُ لَهُ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Abu Ubayd, the mawla of Ibn Azhar said, "I was present at an id with Umar ibn al- Khattab. He prayed, and then after he had prayed he gave a khutba to the people and said, 'The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade fasting on these two days - the day you break your fast (after Ramadan), and the day you eat from your sacrifice (after Hajj) .' "
Abu Ubaydcontinued,"Then I was present at an id with Uthman ibn Affan. He came and prayed, and when he had finished he gave a khutba and said, 'Two ids have been joined together for you on this day of yours. If any of the people of al-Aliyya (the hills outlying Madina) want to wait for the jumua they can do so, and if any of them want to return, I have given them permission.' Abu Ubayd continued, "Then I was present at an id with AIi ibn Abi Talib (at the time when Uthman was being detained). He came and prayed, and then after he had prayed he gave a khutba."
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রভাতে ঈদের পূর্বে আহার গ্রহণের নির্দেশ
রেওয়ায়ত ৬. উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদগাহে গমনের পূর্বে আহার গ্রহণ করিতেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْأَكْلِ قَبْلَ الْغُدُوِّ فِي الْعِيدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَأْكُلُ يَوْمَ عِيدِ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that he used to eat on the day of the id al-Fitr before going out.
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রভাতে ঈদের পূর্বে আহার গ্রহণের নির্দেশ
রেওয়ায়ত ৭. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) তাহাকে অবগত করিয়াছেন যে, (তাহাদের যুগে) ঈদুল ফিতরের দিন লোকজন সকালে ঈদে যাওয়ার পূর্বে কিছু আহার করার জন্য নির্দেশিত হইত।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ঈদুল আযহাতে (কুরবানীর ঈদে) লোকের জন্য আমি ইহা প্রয়োজন মনে করি না।
بَاب الْأَمْرِ بِالْأَكْلِ قَبْلَ الْغُدُوِّ فِي الْعِيدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يُؤْمَرُونَ بِالْأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْغُدُوِّ قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ فِي الْأَضْحَى
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Said al- Musayyab told him that people used to be told to eat on the day of Fitr before setting out. Malik said that he did not consider that people had to do that for Adha.
পরিচ্ছেদঃ ৪. উভয় ঈদের নামাযে কিরাআত ও তকবীরের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৮. উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আবূ ওয়াকিদ লায়সী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন সূরা পাঠ করিতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করিতেন সূরা কাফ ও কামার, এই দুই সূরা।
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ بِ ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ وَاقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ
Yahya related to me from Malik from Damra ibn Said al-Mazini from Ubaydullah ibn Abdullah ibn Utba ibn Masud that Umar ibn al-Khattab asked Abu Waqid al-Laythi what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to recite in the prayers of Adha and Fitr. He said, "He used to recite Qaf (Sura 50) and al-lnshiqaq (Sura 84)."
পরিচ্ছেদঃ ৪. উভয় ঈদের নামাযে কিরাআত ও তকবীরের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯. নাফি’ (রহঃ) বলেনঃ আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সাথে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে উপস্থিত হইয়াছি। তিনি কিরাআতের পূর্বে প্রথম রাকাআতে সাতটি তকবীর ও দ্বিতীয় রাকাআতে পাঁচটি তকবীর বলিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেন- আমাদের নিকট ইহাই হুকুম।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ তাহার মতে যে ব্যক্তি ঈদের দিন লোকজনকে নামায পড়িয়া ফিরিবার কালে পায়, সেই ব্যক্তির জন্য ঈদগাহ অথবা স্বগৃহে ঈদের নামায পড়ার প্রয়োজন নাই। আর যদি সে ঈদগাহে বা নিজ ঘরে ঈদের নামায পড়ে তাহাতেও কোন আপত্তি নাই। সে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তকবীর ও দ্বিতীয় রাকাআতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তকবীর পাঠ করবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ شَهِدْتُ الأَضْحَى وَالْفِطْرَ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى سَبْعَ تَكْبِيرَاتٍ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الآخِرَةِ خَمْسَ تَكْبِيرَاتٍ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ . قَالَ مَالِكٌ وَهُوَ الأَمْرُ عِنْدَنَا . قَالَ مَالِكٌ فِي رَجُلٍ وَجَدَ النَّاسَ قَدِ انْصَرَفُوا مِنَ الصَّلاَةِ يَوْمَ الْعِيدِ إِنَّهُ لاَ يَرَى عَلَيْهِ صَلاَةً فِي الْمُصَلَّى وَلاَ فِي بَيْتِهِ وَإِنَّهُ إِنْ صَلَّى فِي الْمُصَلَّى أَوْ فِي بَيْتِهِ لَمْ أَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا وَيُكَبِّرُ سَبْعًا فِي الأُولَى قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَخَمْسًا فِي الثَّانِيَةِ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ
Yahya related to me from Malik that Nafi, the mawla of Abdullah ibn Umar said, "I was at Adha and Fitr with Abu Hurayra and he said 'Allah is greater' seven times in the first raka, before the recitation, and five times in the second, before the recitation."
পরিচ্ছেদঃ ৫. উভয় ঈদের আগে ও পরে নামায না পড়া
রেওয়ায়ত ১০. নাফি’ (রহঃ) বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন নামায পড়িতেন না, ঈদের পূর্বেও না এবং পরেও না।
মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) ফজরের নামায পড়ার পর সূর্য উদয়ের পূর্বে প্রত্যুষে ঈদগাহে গমন করিতেন।
بَاب تَرْكِ الصَّلَاةِ قَبْلَ الْعِيدَيْنِ وَبَعْدَهُمَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ لَمْ يَكُنْ يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الصَّلَاةِ وَلَا بَعْدَهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَغْدُو إِلَى الْمُصَلَّى بَعْدَ أَنْ يُصَلِّيَ الصُّبْحَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar did not pray either before the prayer or after it on the day of Fitr.
Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab used to go to the place of prayer after praying subh, and before the sun rose.
পরিচ্ছেদঃ ৬. উভয় ঈদের পূর্বে ও পরে নামায পড়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১১. আবদুর রহমান ইবন কাসিম (রহঃ) বলেন, তাহার পিতা কাসিম (রহঃ) ঈদগাহে গমনের পূর্বে চার রাকাআত নামায পড়িতেন।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ الْعِيدَيْنِ وَبَعْدَهُمَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ أَنَّ أَبَاهُ الْقَاسِمَ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ أَنْ يَغْدُوَ إِلَى الْمُصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim that his father used to pray four rakas before he went to the place of prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৬. উভয় ঈদের পূর্বে ও পরে নামায পড়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১২. উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, তাহার পিতা যুবায়র (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে মসজিদে নামায পড়িতেন।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ الْعِيدَيْنِ وَبَعْدَهُمَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فِي الْمَسْجِدِ
Yahya related to me from Hisham ibn Urwa that his father used to pray on the day of Fitr before the prayer in the mosque.
পরিচ্ছেদঃ ৭. ইমামের প্রভাতে ঈদগাহে গমন করা ও খুতবার জন্য অপেক্ষা করা
রেওয়ায়ত ১৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মধ্যে এই সুন্নত প্রচলিত- যাহাতে দ্বিমত নাই যে, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন ইমাম স্বীয় মন্যিল হইতে এমন সময় বাহির হইবেন, যাহাতে তিনি নামাযের সময় ঈদগাহে পৌছিতে পারেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ঈদুল ফিতরের দিন ইমামের সাথে নামায পড়িয়াছে। সে খুতবা শোনার পূর্বে প্রত্যাবতন করিতে পারে কি? তিনি বলিলেন, না। ইমাম প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি প্রত্যাবর্তন করিবে না।
بَاب غُدُوِّ الْإِمَامِ يَوْمَ الْعِيدِ وَانْتِظَارِ الْخُطْبَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ مَالِك مَضَتْ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا فِي وَقْتِ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى أَنَّ الْإِمَامَ يَخْرُجُ مِنْ مَنْزِلِهِ قَدْرَ مَا يَبْلُغُ مُصَلَّاهُ وَقَدْ حَلَّتْ الصَّلَاةُ قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ صَلَّى مَعَ الْإِمَامِ هَلْ لَهُ أَنْ يَنْصَرِفَ قَبْلَ أَنْ يَسْمَعَ الْخُطْبَةَ فَقَالَ لَا يَنْصَرِفُ حَتَّى يَنْصَرِفَ الْإِمَامُ
Yahya related to me that Malik said, "The sunna concerning the time of prayer on the ids of Fitr and Adha - and there is no disagreement amongst us about it - is that the imam leaves his house and as soon as he has reached the place of prayer the prayer falls due."
Yahya said that Malik was asked whether a man who prayed with the imam could leave before the khutba, and he said, "He should not leave until the imam leaves."