পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জ ফরয হওয়ার বর্ণনা
১৭২১। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। আকরা’ ইবনু হাবিস (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ (হজ্জ) প্রতি বছরই ফরয, নাকি মাত্র একবার? তিনি বললেন, জীবনে বরং একবারই, তবে কেউ অধিক করলে সেটা তার জন্য নফল।[1]
সহীহ।
بَابُ فَرْضِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، الْحَجُّ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَوْ مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ: بَلْ مَرَّةً وَاحِدَةً، فَمَنْ زَادَ فَهُوَ تَطَوُّعٌ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هُوَ أَبُو سِنَانٍ الدُّؤَلِيُّ، كَذَا قَالَ: عَبْدُ الْجَلِيلِ بْنُ حُمَيْدٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، وقَالَ عُقَيْلٌ، عَنْ سِنَانٍ
صحيح
Narrated Aqra' ibn Habib:
Ibn Abbas said: Aqra' ibn Habis asked the Prophet (ﷺ) saying: Messenger of Allah hajj is to be performed annually or only once? He replied: Only once, and if anyone performs it more often, he performs a supererogatory act.
Abu Dawud said: The narrator Abu Sinan is Abu Sinan al-Du'wail. The same has been reported by both 'Abd al-Jalil bin Humaid and Sulaiman bin Kathir from al-Zuhri. The narrator 'Uqail reported the name "Sinan".
পরিচ্ছেদঃ ১. হজ্জ ফরয হওয়ার বর্ণনা
১৭২২। আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিদায় হজের (হজ্জের) দিন তাঁর স্ত্রীদেরকে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের জন্য হজ (হজ্জ) এই একবারই। এরপর হজের (হজ্জের) জন্য আর বের হতে হবে না।[1]
সহীহ।
بَابُ فَرْضِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لِأَزْوَاجِهِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: هَذِهِ ثُمَّ ظُهُورَ الْحُصْرِ
صحيح
Narrated Abu Waqid al-Laythi:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying to his wives during the Farewell Pilgrimage: This (is the pilgrimage for you); afterwards stick to the surface of the mats (i.e. should stay at home).
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا
صحيح
Abu Huraira reported :
The Messenger of Allah (SWAS) as saying : A muslim woman must not make a journey of a night unless she is accompanied by a man who is within the prohibited degrees.
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে নারী আল্লাহ এবং শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে তার জন্য একদিন ও এক রাতের পথ করা বৈধ নয়... অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বের হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَالنُّفَيْلِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح وحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ الْحَسَنُ: فِي حَدِيثِهِ عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ، تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ يَوْمًا وَلَيْلَةً . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَلَمْ يَذْكُرِ الْقَعْنَبِيُّ، وَالنُّفَيْلِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، رَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مَالِكٍ، كَمَا قَالَ الْقَعْنَبِيُّ
صحيح
Abu Hurairah reported the Prophet (SWAS) as saying :
A woman who believes in Allah and the last Day must not make a journey of a day and a night. He then narrated the rest of the tradition to the same effect (as above).
The narrator al-Nufaili said : Malik narrated us.
Abu Dawud said : The narrators al-Nufail and al_Qa’nabi did not mention the words “from his father”.
Ibn Wahb and ‘Uthman bin ‘Umr narrated from Malik the same words as narrated by al-Qa’nabi (i.e. omitted the words “from his father”).
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন... অতঃপর বর্ণনাকারী (পূর্ব বর্ণিত) হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে (বর্ণনাকারী সুহাইল) বলেছেন, ’এক বারীদ।’[1]
শায।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَذَكَرَ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: بَرِيدًا
شاذ
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (SWAS) as saying :
He then reported the same tradition as mentioned above but he mentioned (in this version) the word “mail post”.
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৬। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারী আল্লাহ এবং শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিন দিন কিংবা এর অধিক সময়ের পথ (একাকী) ভ্রমণ করা বৈধ নয়, যদি না তার সংগে তার পিতা, ভাই, স্বামী ছেলে অথবা কোনো মাহরাম লোক থাকে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعًا، حَدَّثَاهُمْ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا، إِلَّا وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا
صحيح
Abu Sa’id reported The Apostel of Allah (SWAS) as saying:
A woman who believes in Allah and the Last Day must not make a journey of more than three days unless she is accompanied by her father or her brother, or her husband or her son or her relative who is within the prohibited degree.
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৭। ইবনু ’উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো নারী স্বীয় মাহারাম সাথে না নিয়ে তিন দিনের সফর করবে না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ ثَلَاثًا إِلَّا وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ
صحيح
Ibn `Umr reported the Prophet (SWAS) as saying :
A woman must not make a journey of three days unless she is accompanied by a man who is within the prohibited degree.
পরিচ্ছেদঃ ২. মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ্জ
১৭২৮। নাফি’ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ইবনু ’উমার (রাযি.) তার দাসী সাফিয়্যাহ নাম্মীকে তার পেছনে সওয়ারীর উপর বসিয়ে নিয়ে মক্কা পর্যন্ত সফর করেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يُرْدِفُ مَوْلَاةً لَهُ يُقَالُ لَهَا صَفِيَّةُ تُسَافِرُ مَعَهُ إِلَى مَكَّةَ
صحيح
Nafi` said :
Ibn `Umr used to seat his slave girl called Safiyyah behind him(on the Camel) and thus she travelled to Makkah in his company.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইসলামে বৈরাগ্য নেই
১৭২৯। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইসলামে সন্নাসবাদীতা নেই।[1]
দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬২৬৯), মিশকাত (২৫২২)।
بَابُ لَا صَرُورَةَ فِي الْإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ الْأَحْمَرَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَرُورَةَ فِي الْإِسْلَامِ
ضعيف
Ibn 'Abbãs narrated that,
The Messenger of Allah said: "There is no monasticism in Islam".
পরিচ্ছেদঃ ৪. হজ্জের সফরে পাথেয় সাথে নেয়া
১৭৩০। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকজন হজ (হজ্জ) করতো কিন্তু সাথে পাথেয় নিয়ে আসতো না। আবূ মাসঊদ বলেন, ইয়ামেনের কতিপয় লোক হজে (হজ্জে) যেতো কিন্তু সাথে পাথেয় আনতো না এবং তারা বলতো যে, আমরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেছি। অথচ মক্কায় পৌঁছার পর তারা ভিক্ষা করতো। ফলে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করলেন, ’’তোমরা হজের (হজ্জের) সফরে পাথেয় নিয়ে যাবে, আর জেনে রেখো তাকওয়াই হলো উত্তম পাথেয়। (২ঃ ১৯৭)[1]
সহীহ।
بَابُ التَّزَوُّدِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْفُرَاتِ يَعْنِي أَبَا مَسْعُودٍ الرَّازِيَّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْرَمِيُّ، وَهَذَا لَفْظُهُ قَالَا: حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنْ وَرْقَاءَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانُوا يَحُجُّونَ وَلَا يَتَزَوَّدُونَ، قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ: " كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ أَوْ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يَحُجُّونَ وَلَا يَتَزَوَّدُونَ وَيَقُولُونَ: نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ (وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى) [البقرة: 197] الْآيَةَ "
صحيح
Ibn `Abbas said :
People used to perform Hajj and not bring provisions with them. Abu Mas’ud said the inhabitants of Yemen or people of Yemen used to perform Hajj and not bring provisions with them. They would declare we put our trust in Allah. So Allah most high sent down “ and bring provisions, but the best provision is piety”.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জে গিয়ে ব্যবসা করা
১৭৩১। মুজাহিদ (রহঃ) হতে ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) এ আয়াতটি পাঠ করলেনঃ ’হজের (হজ্জের) সময়ে (ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে) তোমরা তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ তালাশ করলে দোষের কিছু নেই। (২ঃ ১৯৮) ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, (অন্যায় মনে করে) মিনায় কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতো না। তাদেরকে আরাফাত হতে ফেরার পর মিনায় ব্যবসা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।[1]
সহীহ।
بَابُ التِّجَارَةِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ (لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ) أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلًا مِنْ رَبِّكُمْ قَالَ: كَانُوا لَا يَتَّجِرُونَ بِمِنًى فَأُمِرُوا بِالتِّجَارَةِ إِذَا أَفَاضُوا مِنْ عَرَفَاتٍ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Ibn Abbas recited this verse: 'It is no sin for you that you seek the bounty of your Lord', and said: The people would not trade in Mina (during the hajj), so they were commanded to trade when they proceeded from Arafat.
পরিচ্ছেদঃ ৬. পরিচ্ছেদ নাই
১৭৩২। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ হজের (হজ্জের) ইচ্ছা করলে যেন তাড়াতাড়ি সম্পাদন করে।[1]
হাসান।
باب
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِهْرَانَ أَبِي صَفْوَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ
حسن
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) said: He who intends to perform hajj should hasten to do so.
পরিচ্ছেদঃ ৭. পশু ভাড়ায় খাটানো
১৭৩৩। আবূ উমামাহ আত-তাইমী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন লোক যে, হজের (হজ্জের) সময় আমার পশু ভাড়ায় খাটাতাম। তাই কতিপয় লোক বললো, তোমার হজ (হজ্জ) হয় নি। ফলে আমি ইবনু ’উমারের (রাযি.) সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, হে আবূ ’আব্দুর রহমান! আমি এমন ব্যক্তি যে, হজের (হজ্জের) সফরে পশু ভাড়ায় খাটাই। কতিপয় লোক বলে, তোমার হজ (হজ্জ) হয় না। তখন ইবনু ’উমার (রাযি.) বললেন, তুমি কি ইহরাম বেঁধেছো, তালবিয়া পাঠ করেছো, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেছো, আরাফাত থেকে ঘুরে এসেছো এবং কংকর নিক্ষেপ করেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, তোমার হজ (হজ্জ) হয়ে গেছে।
একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে প্রশ্ন করলো যেরূপ তুমি আমাকে প্রশ্ন করলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো বক্তব্য না দিয়ে কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। অবশেষে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ ’’এ ব্যাপারে তোমাদের কোনো দোষ নেই যদি (হজের (হজ্জের) মওসুমে) তোমরা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তোমাদের রবের অনুগ্রহ তালাশ করো।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত ব্যক্তিকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে এ আয়াত পড়ে শুনালেন এবং বললেন, তোমার হজ (হজ্জ) হয়েছে।[1]
সহীহ।
بَابُ الْكَرِيِّ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُمَامَةَ التَّيْمِيُّ، قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا أُكَرِّي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَكَانَ نَاسٌ يَقُولُونَ لِي إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ فَلَقِيتُ ابْنَ عُمَرَ فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنِّي رَجُلٌ أُكَرِّي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَإِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ لِي: إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَلَيْسَ تُحْرِمُ وَتُلَبِّي وَتَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَتُفِيضُ مِنْ عَرَفَاتٍ وَتَرْمِي الْجِمَارَ قَالَ: قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: فَإِنَّ لَكَ حَجًّا، جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ مِثْلِ مَا سَأَلْتَنِي عَنْهُ، فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُجِبْهُ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ (لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلًا مِنْ رَبِّكُمْ) [البقرة: ١٩٨] فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَأَ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآيَةَ وَقَالَ: لَكَ حَجٌّ
صحيح
AbuUmamah at-Taymi said:
I was a man who used to give (riding-beasts) on hire for this purpose (for travelling during the pilgrimage) and the people would tell (me): Your hajj is not valid. So I met Ibn Umar and told him: AbuAbdurRahman, I am a man who gives (riding-beast) on hire for this purpose (i.e. for hajj), and the people tell me: Your hajj is not valid. Ibn Umar replied: Do you not put on ihram (the pilgrim dress), call the talbiyah (labbayk), circumambulate the Ka'bah, return from Arafat and lapidate jamrahs? I said: Why not? Then he said: Your hajj is valid. a man came to the Prophet (ﷺ) and asked him the same question you have asked me. The Messenger of Allah (ﷺ) kept silence and did not answer him till this verse came down: "It is no sin for you that you seek the bounty of your Lord." The Messenger of Allah (ﷺ) sent for him and recited this verse to him and said: Your hajj is valid.
পরিচ্ছেদঃ ৭. পশু ভাড়ায় খাটানো
১৭৩৪। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। প্রাথমিক কালে লোকেরা হজের (হজ্জের) মওসুমে মিনা, আরাফাত, যুল-মাজাযির বাজারে এবং হজের (হজ্জের) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্থানগুলোতে ব্যবসা করতো, কিন্তু ইহরাম অবস্থায় এসব স্থানে ব্যবসা করা (জায়িজ কিনা) তাদের সংশয় হলো। তখন মহিয়ান আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ ’’তোমাদের কোনো অপরাধ নেই যদি (হজের (হজ্জের) সময়) তোমারা ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তোমাদের রবের অনুগ্রহ তালাশ করো, বিশেষ করে হজের (হজ্জের) অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে।
ইবনু আবূ যিব বলেন, ’উবাইদ ইবনু উমাইর আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)فِي مَوَاسِمِ الْحَجِّ এ বাক্যটি মূল কুরআনের মধ্যেই পাঠ করতেন।[1]
সহীহ।
بَابُ الْكَرِيِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، " أَنَّ النَّاسَ فِي أَوَّلِ الْحَجِّ كَانُوا يَتَبَايَعُونَ بِمِنًى وَعَرَفَةَ وَسُوقِ ذِي الْمَجَازِ وَمَوَاسِمِ الْحَجِّ فَخَافُوا الْبَيْعَ وَهُمْ حُرُمٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ (لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ) أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلًا مِنْ رَبِّكُمْ فِي مَوَاسِمِ الْحَجِّ ". قَالَ: فَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ، أَنَّهُ كَانَ يَقْرَؤُهَا فِي الْمُصْحَفِ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The people used to trade, in the beginning, at Mina, Arafat, the market place of Dhul-Majaz, and during the season of hajj. But (later on) they became afraid of trading while they were putting on ihram. So Allah, glory be to Him, sent down this verse: "It is no sin for you that you seek the bounty of your Lord during the seasons of hajj." Ubayd ibn Umayr told me that he (Ibn Abbas) used to recite this verse in his codex.
পরিচ্ছেদঃ ৭. পশু ভাড়ায় খাটানো
১৭৩৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। প্রথম দিকে লোকেরা হজের (হজ্জের) মওসুমে কেনা-বেচা করতো। অতঃপর বর্ণনাকারীمَوَاسِمِ الْحَجِّ পর্যন্ত পূর্ব বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ, পূর্বেরটির দ্বারা।
بَابُ الْكَرِيِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، كَلَامًا مَعْنَاهُ أَنَّهُ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّاسَ فِي أَوَّلِ مَا كَانَ الْحَجُّ كَانُوا يَبِيعُونَ، فَذَكَرَ مَعْنَاهُ إِلَى قَوْلِهِ مَوَاسِمِ الْحَجِّ
صحيح لغيره
`Abd Allah bin `Abbas said :
In the beginning when Hajj was prescribed, people used to trade during Hajj. The narrator then narrated the rest of the tradition upto the words, `season of Hajj’.
পরিচ্ছেদঃ ৮. শিশুদের হজ্জ
১৭৩৬। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আর-রাওহা’ নামক স্থানে এক কাফেলার সাথে সাক্ষাত হলে তাদেরকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কোন কাফেলা? তারা বললো, আমরা মুসলিম। তারা জিজ্ঞেস করলো, তোমরা কারা? লোকেরা বললো, রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ কথা শুনে এক মহিলা অস্থির হয়ে উঠলো এবং ’হাওদা’ থেকে একটি শিশুর বাহু ধরে বের করে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এ শিশুর হজ (হজ্জ) আছে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে সওয়াব তুমি পাবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الصَّبِيِّ يَحُجُّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرَّوْحَاءِ فَلَقِيَ رَكْبًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، قَالَ: مَنِ الْقَوْمُ؟، فَقَالُوا: الْمُسْلِمُونَ، فَقَالُوا: فَمَنْ أَنْتُمْ؟، قَالُوا: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَزِعَتِ امْرَأَةٌ فَأَخَذَتْ بِعَضُدِ صَبِيٍّ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ مِحَفَّتِهَا، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ لِهَذَا حَجٌّ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَلَكِ أَجْرٌ
صحيح
Ibn `Abbas said the Messenger of Allah (SWAS) was at al-Rawha. There he met some riders. He saluted them and asked who they were. They replied that they were Muslims. They asked who are you. They (the companions) replied he is the Messenger of Allah (SWAS). A woman became upset :
she took her child by his arm and lifted him from her litter at the camel. She said Messenger of Allah (SWAS) can this (child) be credited with having performed Hajj. He replied Yes, and you will have a reward.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইহরাম বাঁধার মীকাত সমূহ
১৭৩৭। ইবনু ’উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য ’যূলহুলাইফা’, শামবাসীদের জন্য ’আল-জুহফা’ এবং নজদবাসীদের জন্য ’কারণ’ মীকাত হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। ইবনু ’উমার (রাযি.) বলেন, এবং আমার কাছে এটাও পৌঁছেছে যে, তিনি ইয়ামেনবাসীদের জন্য ’ইয়ালামলাম’ পর্বতকে মীকাত নির্দিষ্ট করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ وَبَلَغَنِي أَنَّهُ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ
صحيح
Ibn Umar said :
The Messenger of Allah (SWAS) appointed the following places for putting on Ihram : Dhul al-Hulaifah for the people of Madina, al-Juhfah for the people of Syria and al-Qarn for the people of Najd and have been told that appointed Yalamlam for the people of Yemen.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইহরাম বাঁধার মীকাত সমূহ
১৭৩৮। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) ও তাঊস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাত নির্দিষ্ট করেন। এরপর বর্ণনাকারী পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেন। তাদের দু’জনের একজন বলেন, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ’ইয়ালামলাম, একজন বলেছেন ’আলামলাম।’ অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ এ স্থানগুলো সেখানকার অধিবাসীদের জন্য এবং যারা হজ (হজ্জ) ও ’উমরার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করবে তাদের জন্যও এ স্থানগুলো মীকাত গণ্য হবে, তারা এখানকার অধিবাসী না হলে। আর যারা মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসী, ইবনু তাঊস বলেন, তারা যেখানে আছে সেখান থেকেই আরম্ভ করবেন। তিনি বলেন, অনুরূপভাবে মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَا: وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَعْنَاهُ، وَقَالَ: أَحَدُهُمَا وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ وَقَالَ أَحَدُهُمَا: أَلَمْلَمَ، قَالَ: فَهُنَّ لَهُمْ، وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ مِمَّنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ قَالَ ابْنُ طَاوُسٍ: مِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ قَالَ: وَكَذَلِكَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا
صحيح
Ibn `Abbas and Tawus reported :
The Messenger of Allah (SWAS) appointed places for putting on Ihram and narrated the rest of the tradition to the same effect (as mentioned above).
One of them said and Yalamlam for the people of Yemen. The other narrator said Alamlam. These (places for Ihram) are appointed for these regions and for people of other regions who come to them intending to perform Hajj and `Umrah. The place where those who live nearer to Makkah should put on Ihram from where they start and so on up to the inhabitants of Makkah itself who put on Ihram in it. This is the version of Ibn Tawus.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইহরাম বাঁধার মীকাত সমূহ
১৭৩৯। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরাকবাসীদের জন্য ’যাতু ইরক’-কে মীকাত নির্দিষ্ট করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ بَهْرَامَ الْمَدَائِنِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعَافِىُّ بْنُ عِمْرَانَ، عَنْ أَفْلَحَ يَعْنِي ابْنَ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ ذَاتَ عِرْقٍ
صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) appointed Dhat Irq as the place for putting on ihram for the people of Iraq.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইহরাম বাঁধার মীকাত সমূহ
১৭৪০। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাচ্যবাসীদের জন্য ’আল-আক্বীক’-কে মীকাত নির্দিষ্ট করেছেন।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (৯২৫৩০), যঈফ সুনান তিরমিযী (৮৪০/১৪০)।
بَابٌ فِي الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ الْمَشْرِقِ الْعَقِيقَ
ضعيف
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Messenger of Allah (ﷺ) appointed al-Aqiq as the place for putting on ihram for the people of East.