পরিচ্ছেদঃ ৪১- যে ব্যক্তি দুইটি বা একটি কন্যা সন্তান পোষে।
৭৬। উকবা ইবনে আমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদেরকে যথাসাধ্য উত্তম পোশাকাদি দেয়, তারা তার জন্য দোযখ থেকে রক্ষাকারী প্রতিবন্ধক হবে (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
بَابُ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ أَوْ وَاحِدَةً
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عِمْرَانَ أَبُو حَفْصٍ التُّجِيبِيُّ، عَنْ أَبِي عُشَّانَةَ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ، وَصَبَرَ عَلَيْهِنَّ، وَكَسَاهُنَّ مِنْ جِدَتِهِ، كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ.
'Uqba ibn 'Amir reported that he heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "If someone has three daughters and is patient with them and clothes them from his wealth, they will be a shield against the Fire for him."
পরিচ্ছেদঃ ৪১- যে ব্যক্তি দুইটি বা একটি কন্যা সন্তান পোষে।
৭৭। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে মুসলিমের দুইটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে উত্তম সাহচর্য দান করে তারা তাকে বেহেশতে দাখিল করবে (ইবনে মাজাহ, হাকিম)।
بَابُ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ أَوْ وَاحِدَةً
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا فِطْرٌ، عَنْ شُرَحْبِيلَ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُدْرِكُهُ ابْنَتَانِ، فَيُحْسِنُ صُحْبَتَهُمَا، إِلاَّ أَدْخَلَتَاهُ الْجَنَّةَ.
Ibn 'Abbas reported that he heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "There is no Muslim who has two daughters and takes good care of them but that he will enter the Garden."
পরিচ্ছেদঃ ৪১- যে ব্যক্তি দুইটি বা একটি কন্যা সন্তান পোষে।
৭৮। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ব্যয়ভার বহন করে এবং তাদের সাথে দয়ার্দ্র ব্যবহার করে, তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায়। লোকজনের মধ্য থেকে একজন বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কারো যদি দুটি কন্যা সন্তান থাকে? তিনি বলেনঃ দুইটি কন্যা সন্তান হলেও (আবু দাউদ, তাবারানী, বাযযার)।
بَابُ مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ أَوْ وَاحِدَةً
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُمْ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَنْ كَانَ لَهُ ثَلاَثُ بَنَاتٍ، يُؤْوِيهِنَّ، وَيَكْفِيهِنَّ، وَيَرْحَمُهُنَّ، فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ الْبَتَّةَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَعْضِ الْقَوْمِ: وَثِنْتَيْنِ، يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: وَثِنْتَيْنِ.
Jabir ibn 'Abdullah reported that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Anyone who has three daughters and provides for them, clothes them and shows mercy to them will definitely enter the Garden." A man from the people said, "And two daughters, Messenger of Allah?" He said, "And two."
পরিচ্ছেদঃ ৪২- যে ব্যক্তি তিন বোনকে লালন-পালন করলো।
৭৯। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনটি বোন আছে এবং সে তাদের সাথে মমতাপূর্ণ ব্যবহার করে, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে (দারিমী, তিরমিযী, আবু দাউদ, হিব্বান)।
بَابُ مَنْ عَالَ ثَلاَثَ أَخَوَاتٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُكْمِلٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ الْمُعَاوِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ يَكُونُ لأَحَدٍ ثَلاَثُ بَنَاتٍ، أَوْ ثَلاَثُ أَخَوَاتٍ، فَيُحْسِنُ إِلَيْهِنَّ، إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ.
Abu Sa'id al-Khudri said that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "No one has three daughters or three sisters and is good to them but that he will enter the Garden."
পরিচ্ছেদঃ ৪৩– যে ব্যক্তি নিজের তালাকপ্রাপ্তা (বা বিধবা) কন্যার প্রতিপালন করে তার ফযীলাত।
৮০। মূসা ইবনে উলায়্যি (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরাকা ইবনে জুশুম (রাঃ)-কে বলেনঃ আমি কি তোমাকে শ্রেষ্ঠতম বা অতীব শ্রেষ্ঠ দান-খয়রাত সম্পর্কে অবহিত করবো না? তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই। তিনি বলেনঃ তোমার নিকট ফিরে আসা তোমার (স্বামী পরিত্যক্ত) কন্যার ব্যয়ভার বহন করা, তুমি ছাড়া যার জন্য উপার্জনকারী আর কেউ নাই (ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, নাসাঈ)।
بَابُ فَضْلِ مَنْ عَالَ ابْنَتَهُ الْمَرْدُودَةَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِسُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ: أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ، أَوْ مِنْ أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ؟ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: ابْنَتُكَ مَرْدُودَةٌ إِلَيْكَ، لَيْسَ لَهَا كَاسِبٌ غَيْرُكَ.
Musa ibn 'Ali reported that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "Shall I show you the greatest sadaqa (or one of the greatest forms of sadaqa)?" He replied, "Yes, indeed, Messenger of Allah!" He went on, "To provide for your daughter when she is returned to you and you are her sole source of provision."
পরিচ্ছেদঃ ৪৩– যে ব্যক্তি নিজের তালাকপ্রাপ্তা (বা বিধবা) কন্যার প্রতিপালন করে তার ফযীলাত।
৮১। মিকদাম ইবনে মাদীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ তুমি নিজেকে যা খাওয়াও তা তোমার জন্য সদাকা। তোমার সন্তানকে তুমি যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদাকা, তোমার স্ত্রীকে তুমি যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদকা এবং তোমার খাদেমকে যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদাকা (আবু দাউদ)।
بَابُ فَضْلِ مَنْ عَالَ ابْنَتَهُ الْمَرْدُودَةَ
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَا أَطْعَمْتَ نَفْسَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ وَلَدَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ زَوْجَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ خَادِمَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ.
Al-Miqdam ibn Ma'dikarib heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "What you feed yourself is sadaqa for you. What you feed your child is sadaqa for you. What you feed your wife is sadaqa is for you. What you feed your servant is sadaqa for you."
পরিচ্ছেদঃ ৪৪- যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানদের মৃত্যু কামনা অপছন্দ করে।
৮২। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার সাথে থাকতো। তার কয়েকটি কন্যা সন্তান ছিল। সে তাদের মৃত্যু কামনা করলো। ইবনে উমার (রাঃ) ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, তুমি কি তাদের রিযিক দাও?
بَابُ مَنْ كَرِهَ أَنْ يَتَمَنَّى مَوْتَ الْبَنَاتِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْحَارِثِ أَبِي الرَّوَّاعِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَجُلاً كَانَ عِنْدَهُ، وَلَهُ بَنَاتٌ فَتَمَنَّى مَوْتَهُنَّ، فَغَضِبَ ابْنُ عُمَرَ فَقَالَ: أَنْتَ تَرْزُقُهُنَّ؟.
It is reported that there was a man who had daughters who was with Ibn 'Umar when he wished that his daughters were dead. Ibn 'Umar became angry and said, "While you are providing for them!"
পরিচ্ছেদঃ ৪৫- মানুষ সন্তানের কারণে কৃপণ ও কাপুরুষ হয়।
৮৩। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদিন আবু বাকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ পৃথিবীর বুকে উমারের চেয়ে অধিক প্রিয় আমার কাছে আর কেউ নাই। তিনি চলে যাবার পর পুনরায় ফিরে এসে বলেন, হে বৎস! আমি কিভাবে শপথ করেছি? আমি তাকে তা বললাম। তিনি বলেন, (উমার) আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর সন্তান তো অন্তরের সাথে লেগে থাকে (তারীখ ইবনে আসাকির)।
بَابُ الْوَلَدُ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمًا: وَاللَّهِ مَا عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ رَجُلٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ عُمَرَ، فَلَمَّا خَرَجَ رَجَعَ فَقَالَ: كَيْفَ حَلَفْتُ أَيْ بُنَيَّةُ؟ فَقُلْتُ لَهُ، فَقَالَ: أَعَزُّ عَلَيَّ، وَالْوَلَدُ أَلْوَطُ.
'A'isha said, "Abu Bakr said, 'By Allah, there is no man on the face of the earth that I love better than 'Umar.' Then he went out and came back and said, 'How did I swear, daughter?' I told him what he had said. Then he said, 'He is dearer to me although one's child is closer (to one's heart).'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৫- মানুষ সন্তানের কারণে কৃপণ ও কাপুরুষ হয়।
৮৪। ইবনে আবু নুম (রহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমার (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তিনি বলেন, তুমি কোথাকার লোক? সে বললো, ইরাকের। তিনি বলেন, দেখো তাকে! সে আমাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। অথচ এরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাতিকে হত্যা করেছে। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ এরা দুজন পৃথিবীতে আমার দু’টি ফুল (তিরমিযী, আবু দাউদ, হাকিম)।
بَابُ الْوَلَدُ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ قَالَ: كُنْتُ شَاهِدًا ابْنَ عُمَرَ إِذْ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ؟ فَقَالَ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَقَالَ: انْظُرُوا إِلَى هَذَا، يَسْأَلُنِي عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ، وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: هُمَا رَيْحَانَيَّ مِنَ الدُّنْيَا.
Ibn Abi Nu'm said, "I was with Ibn 'Umar when a man asked him about the blood of gnats. He asked, 'Where are you from?' 'From the people of Iraq,' he replied. He said, 'Look at this man! He asks about the blood of gnats when they murdered the grandson of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace! I heard the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, say, 'They are my sweet basil in this world.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৬- শিশুকে কাঁধে উঠানো।
৮৫। বারাআ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, হাসান তাঁর কাঁধের উপর আসীন অবস্থায় তিনি বলছেনঃ হে আল্লাহ! আমি একে ভালোবাসি। অতএব তুমিও একে ভালোবাস (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।
بَابُ حَمْلِ الصَّبِيِّ عَلَى الْعَاتِقِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُولُ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالْحَسَنُ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِ عَلَى عَاتِقِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ، إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ.
Al-Bara' said, "I saw the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, when al-Hasan was on his shoulder. He was saying, 'O Allah, I love him, so love him.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৭- সন্তান হলো নয়ন প্রীতিকর।
৮৬। জুবায়ের ইবনে নুফায়ের (রহঃ) বলেন, একদিন আমরা মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ)-র নিকট বসলাম। এক ব্যক্তি তাকে অতিক্রম করতে করতে বললো, ধন্য এই চক্ষুদ্বয়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দর্শন করেছে। আল্লাহর শপথ! আমরা কামনা করতাম আপনি যা দেখেছেন যদি আমরাও তা দেখতাম এবং আপনি যেখানে উপস্থিত ছিলেন, আমরাও যদি তথায় উপস্থিত থাকতাম। এতে মিকদাদ (রাঃ) অসন্তুষ্ট হলেন। তাতে আমি অবাক হলাম যে, সে তো ভালো কথাই বলেছে। অতঃপর তিনি তার মুখোমুখি হয়ে বলেন, লোকটিকে এমন স্থানে উপস্থিতির আকাঙ্ক্ষা করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো, যেখান থেকে আল্লাহ তাকে অনুপস্থিত রেখেছেন? কি জানি যদি সে সেখানে উপস্থিত থাকতো তবে সে কি করতো। আল্লাহর শপথ বহু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছে কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছেন। কারণ তারা তাঁর আহবানে সাড়া দেয়নি এবং তাঁকে বিশ্বাসও করেনি। তোমরা কি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে না যে, তিনি তোমাদের যখন সৃষ্টি করেছেন তখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালক ছাড়া আর কাউকে চেনো না।
তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তাকে তোমরা সত্য বলে মেনে নিয়েছো। আল্লাহর শপথ! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবির্ভূত হন কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, এরূপ কঠিন পরিস্থিতিতে আর কোন নবী আসেননি। নবী আসার পূর্বেকার সেই জাহিলিয়াতের দিনগুলিতে তারা প্রতিমা পূজার চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম আছে বলে মনে করতো না। এই পরিস্থিতিতে তিনি ফুরকানসহ আবির্ভূত হন। তিনি তাঁর দ্বারা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করেন, পার্থক্য সূচিত করেন পিতা ও তার পুত্রের মধ্যে। শেষে অবস্থা এই দাঁড়ায় যে, কোন ব্যক্তি তার পিতা বা পুত্র বা ভাইকে কাফের অবস্থায় দেখতো, অপরদিকে ঈমান আনার জন্য তার অন্তরের তালা আল্লাহ খুলে দিতেন, তখন সে ভাবতো, এই অবস্থায় তার আপনজন মারা গেলে নিশ্চয় সে দোযখে যাবে। এতে কারো চোখ জুড়াতো না। এই প্রসঙ্গে মহামহিম আল্লাহ বলেন, “এবং যারা বলে, আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রীদের ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদেরকে চোখের শীতলতা দান করো” (২৫ঃ ৭৪) (আবু দাউদ)।
بَابُ الْوَلَدُ قُرَّةُ الْعَيْنِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جَلَسْنَا إِلَى الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ يَوْمًا، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ: طُوبَى لِهَاتَيْنِ الْعَيْنَيْنِ اللَّتَيْنِ رَأَتَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَاللَّهِ لَوَدِدْنَا أَنَّا رَأَيْنَا مَا رَأَيْتَ، وَشَهِدْنَا مَا شَهِدْتَ. فَاسْتُغْضِبَ، فَجَعَلْتُ أَعْجَبُ، مَا قَالَ إِلاَّ خَيْرًا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: مَا يَحْمِلُ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ يَتَمَنَّى مُحْضَرًا غَيَّبَهُ اللَّهُ عَنْهُ؟ لاَ يَدْرِي لَوْ شَهِدَهُ كَيْفَ يَكُونُ فِيهِ؟ وَاللَّهِ، لَقَدْ حَضَرَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَقْوَامٌ كَبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ، لَمْ يُجِيبُوهُ وَلَمْ يُصَدِّقُوهُ، أَوَلاَ تَحْمَدُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ أَخْرَجَكُمْ لاَ تَعْرِفُونَ إِلاَّ رَبَّكُمْ، فَتُصَدِّقُونَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم، قَدْ كُفِيتُمُ الْبَلاَءَ بِغَيْرِكُمْ، وَاللَّهِ لَقَدْ بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَشَدِّ حَالٍ بُعِثَ عَلَيْهَا نَبِيٌّ قَطُّ، فِي فَتْرَةٍ وَجَاهِلِيَّةٍ، مَا يَرَوْنَ أَنَّ دِينًا أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ الأَوْثَانِ، فَجَاءَ بِفُرْقَانٍ فَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَفَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَوَلَدِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَرَى وَالِدَهُ أَوْ وَلَدَهُ أَوْ أَخَاهُ كَافِرًا، وَقَدْ فَتْحَ اللَّهُ قُفْلَ قَلْبِهِ بِالإِيمَانِ، وَيَعْلَمُ أَنَّهُ إِنْ هَلَكَ دَخَلَ النَّارَ، فَلاَ تَقَرُّ عَيْنُهُ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ حَبِيبَهُ فِي النَّارِ، وَأنَّهَا لِلَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ).
Jubayr ibn Nufayr said, "One day we were sitting when al-Miqdad ibn al-Aswad when a man passed us. The man said, 'Blessing be to those two eyes which saw the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. By Allah, I wish that I had seen what you have seen and witnessed what you have witnessed!' This angered al-Miqdad and that surprised me as the man had said nothing but good things. Then he turned to them and said, 'What made the man desire to summon back what Allah has taken away? Does he not realise what his situation would be if he had seen him? By Allah, if certain people had been with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, Allah would have thrown them on their faces into Hellfire since they would neither have answered nor confirmed him? Do you not praise Allah Almighty since He brought you forth and you only know your Lord and confirm what your Prophet, may Allah bless him and grant him peace, brought? You see enough affliction in other people. By Allah, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was sent in the harshest state in which any Prophet was ever sent - in a gap (in the line of prophethood) and the time of Ignorance. They did not believe that the deen was better than worshipping idols. He brought the Discrimination by which it is possible to discriminate between the true and false, and which can part a father from his child. Then a man will think of his father, child or brother as an unbeliever. Allah has loosened the locks of his heart by faith and he knows that the other person will be destroyed in the Fire. Therefore his eye is not cool since he knows that the one he loves will be in the Fire. It is what Allah says, "Those who say, 'Our Lord, give us joy in our wives and children." (25:
74)'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৮- যে ব্যক্তি তার সঙ্গীর ধন ও সন্তান বৃদ্ধির দোয়া করে।
৮৭। আনাস (রাঃ) বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি, আমার মা ও খালা উম্মু হারাম (রাঃ) ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বলেনঃ আমি কি তোমাদের সাথে নামায পড়বো না? তখন কোন নামাযের ওয়াক্ত ছিলো না। লোকজনের মধ্যে একজন বললো, আনাসকে কোথায় দাঁড় করানো হয়েছিলো? রাবী বলেন, ডান দিকে। তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়লেন, অতঃপর আমাদের তথা ঘরের সকলের জন্য দোয়া করলেন দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণের জন্য। আমার মা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার এই ক্ষুদে খাদেম, তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। অতএব তিনি আমার সার্বিক কল্যাণের জন্য দোয়া করলেন। তার দোয়ার শেষ ছিলঃ হে আল্লাহ! “তাকে অধিক ধন ও সন্তান দান করুন এবং তাকে বরকত দান করুন” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)।
بَابُ مَنْ دَعَا لِصَاحِبِهِ أَنْ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا، وَمَا هُوَ إِلاَّ أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي، إِذْ دَخَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ لَنَا: أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ؟ وَذَاكَ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلاَةٍ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: فَأَيْنَ جَعَلَ أَنَسًا مِنْهُ؟ فَقَالَ: جَعَلَهُ عَنْ يَمِينِهِ؟ ثُمَّ صَلَّى بِنَا، ثُمَّ دَعَا لَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَقَالَتْ أُمِّي: يَا رَسُولَ اللهِ، خُوَيْدِمُكَ، ادْعُ اللَّهَ لَهُ، فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ، كَانَ فِي آخِرِ دُعَائِهِ أَنْ قَالَ: اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ.
Anas said, "One day I visited the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and there was only myself, my mother and my aunt, Umm Hiram. When he came to us, he asked us, 'Shall I pray with you?' It was not the time of an obligatory prayer." One of those listening to the person relating this asked, "Where did he put in Anas in relation to him?" The reply was, "He put him to his right." The report from Anas continues, "Then he prayed with us and made supplication for us, the people of the house, that we would have the best of the blessings of this world and the Next. My mother said, 'Messenger of Allah, make supplication to Allah for your little servant,' and he asked Allah to grant me every blessing. At the end of his supplication, he said, 'O Allah, grant him a lot of money and many children and bless him!'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৯- মমতাময়ী মা।
৮৮। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক মহিলা আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে এলে তিনি তাকে তিনটি খেজুর দেন। সে তার ছেলে দু’টিকে একটি করে খেজুর দেয় এবং নিজের জন্য একটি রেখে দেয়। তারা খেজুর দু’টি খেয়ে তাদের মায়ের দিকে তাকালো এবং অবশিষ্ট খেজুরটি পেতে চাইলো। সে খেজুরটি দুই টুকরা করে প্রত্যেককে অর্ধেক অর্ধেক দিলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে আসলে আয়েশা (রাঃ) তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বলেনঃ এতে তোমার বিস্মিত হওয়ার কি আছে। সে তার ছেলে দুইটির প্রতি দয়াপরবশ হওয়ার কারণে আল্লাহ তার প্রতি দয়াপরবশ হয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)।
بَابُ الْوَالِدَاتُ رَحِيمَاتٌ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ فَضَالَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَأَعْطَتْهَا عَائِشَةُ ثَلاَثَ تَمَرَاتٍ، فَأَعْطَتْ كُلَّ صَبِيٍّ لَهَا تَمْرَةً، وَأَمْسَكَتْ لِنَفْسِهَا تَمْرَةً، فَأَكَلَ الصِّبْيَانُ التَّمْرَتَيْنِ وَنَظَرَا إِلَى أُمِّهِمَا، فَعَمَدَتْ إِلَى التَّمْرَةِ فَشَقَّتْهَا، فَأَعْطَتْ كُلَّ صَبِيٍّ نِصْفَ تَمْرَةٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ: وَمَا يُعْجِبُكِ مِنْ ذَلِكَ؟ لَقَدْ رَحِمَهَا اللَّهُ بِرَحْمَتِهَا صَبِيَّيْهَا.
Anas ibn Malik said, "A woman came to 'A'isha and 'A'isha gave her three dates. She gave each of her two children a date and kept one date for herself. The children ate the two dates and then looked at their mother. She took her date and split it into two and gave each child a half of it. The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, came and 'A'isha told him about it. He said, 'Are you surprised at that? Allah will show her mercy because of her mercy towards her child.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫০- শিশুদের চুমা দেয়া
৮৯। আয়েশা (রাঃ) বলেন, এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আপনার কি শিশুদের চুমা দেন? আমরা শিশুদের চুমা দেই না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে দয়ামায়া তুলে নেন, তবে তোমার জন্য আমার কি করার আছে? (বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
بَابُ قُبْلَةِ الصِّبْيَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: أَتُقَبِّلُونَ صِبْيَانَكُمْ؟ فَمَا نُقَبِّلُهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: أَوَ أَمْلِكُ لَكَ أَنْ نَزَعَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِكَ الرَّحْمَةَ؟.
'A'isha said, "A bedouin came to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and asked, "Do you kiss your children? We do not kiss them.' The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Can I put mercy in your hearts after Allah has removed it from them?'"
পরিচ্ছেদঃ ৫০- শিশুদের চুমা দেয়া
৯০। আবু হুরাইরা (রহঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সে আলী (রহঃ)-এর পুত্র হাসানকে চুমা দিলেন। তখন আকরা ইবনে হাবিস আত-তামীমী তাঁর নিকট বসা ছিলেন। আকরা বলেন, আমার দশটি সন্তান আছে, কিন্তু আমি তাদের কাউকে চুমা দেইনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন, অতঃপর বললেনঃ যে ব্যক্তি দয়া করে না সে দয়া পায় না (বুখারী, মুসলিম)।
بَابُ قُبْلَةِ الصِّبْيَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: قَبَّلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ جَالِسٌ، فَقَالَ الأَقْرَعُ: إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا، فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ: مَنْ لا يَرْحَمُ لا يُرْحَمُ.
Abu Hurayra said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, kissed Hasan ibn 'Ali while al-Aqra' ibn Habis at-Tamimi was sitting with him. Al-Aqra' observed, 'I have ten children and I have never kissed any of them.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, looked at him and said, 'Whoever does not show mercy will not be shown mercy.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫১- সন্তানের সাথে পিতার সদাচরণ এবং তাকে ভদ্র আচরণ শিখানো।
৯১। নুমাইর ইবনে আওস (রহঃ) বলেন, প্রবীণ সাহাবীগণ বলতেন, সততা ও যোগ্যতা আল্লাহর দান এবং শিষ্টাচার পিতৃপুরুষের দান।
بَابُ أَدَبِ الْوَالِدِ وَبِرِّهِ لِوَلَدِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ نُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ: كَانُوا يَقُولُونَ: الصَّلاَحُ مِنَ اللهِ، وَالأَدَبُ مِنَ الآبَاءِ.
Numayr ibn Aws said, "They used to say, 'Correct action is a gift from Allah, but adab comes from the parents."
পরিচ্ছেদঃ ৫১- সন্তানের সাথে পিতার সদাচরণ এবং তাকে ভদ্র আচরণ শিখানো।
৯২। নোমান ইবনে বশীর (রহঃ) বলেন, তার পিতা তাকে বহন করে বাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি নোমানকে এই এই জিনিস দান করেছি। তিনি বলেনঃ তোমার সব সন্তানকে কি দান করেছো? তিনি বলেন, না। তিনি বলেনঃ তাহলে আমি ভিন্ন অন্যকে সাক্ষী রাখো। অতঃপর তিনি বলেনঃ তুমি কি কামনা করো না যে, তোমার সকল সন্তান তোমার সাথে সমানভাবে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ তাহলে এরূপ করো না (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।
ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্যে বশীর (রাঃ)-কে অপর কোন ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখার অনুমতি ব্যক্ত করা হয়নি।
بَابُ أَدَبِ الْوَالِدِ وَبِرِّهِ لِوَلَدِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقُرَشِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ عَامِرٍ، أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ أَبَاهُ انْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَحْمِلُهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي قَدْ نَحَلْتُ النُّعْمَانَ كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ: أَكُلَّ وَلَدَكَ نَحَلْتَ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: فَأَشْهِدْ غَيْرِي، ثُمَّ قَالَ: أَلَيْسَ يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا فِي الْبِرِّ سَوَاءً؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: فَلاَ إِذًا.
An-Nu'man ibn Bashir said that his father had carried him to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. He said, 'Messenger of Allah, I testify to you that I have given an-Nu'man such-and-such. (It was a slave). The Prophet asked, "Have you given each of your children the same"?" "No," he replied. He said, "Then testify to someone other than me." Then the Prophet asked, "Do you not want to show equal kindness to all of them?" "Indeed I do," he replied. He said, "Then do not do it."
পরিচ্ছেদঃ ৫২- নিজ সন্তানের সাথে পিতার সদাচার।
৯৩। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তাদের (সাহাবীদের) নাম রেখেছেন আবরার (সদাচারী)। কেননা তারা তাদের পিতা ও সন্তানদের সাথে সদাচার করেছেন। তোমার উপর তোমার পিতার যেমন অধিকার আছে তদ্রুপ তোমার সন্তানের উপর তোমার অধিকার রয়েছে (তাবারানী)।
بَابُ بِرِّ الأَبِ لِوَلَدِهِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنِ الْوَصَّافِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: إِنَّمَا سَمَّاهُمُ اللَّهُ أَبْرَارًا، لأَنَّهُمْ بَرُّوا الْآبَاءَ وَالأَبْنَاءَ، كَمَا أَنَّ لِوَالِدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، كَذَلِكَ لِوَلَدِكَ عَلَيْكَ حَقٌّ.
Ibn 'Umar said, "Allah has called them the 'dutiful' (al-Abrar) because they are dutiful (birr) to their parents and children. Just as you have a duty which you owe your parent, so you have a duty which you owe your child."
পরিচ্ছেদঃ ৫৩- যে দয়া করে না, সে দয়া প্রাপ্ত হয় না।
৯৪। আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে দয়া করে না সে দয়া প্রাপ্ত হয় না। (তিরমিযী)।
بَابُ مَنْ لا يَرْحَمُ لا يُرْحَمُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاءِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ.
Abu Sa'id said that the Prophet (may Allah bless him and grant him peace) said:
'Someone who does not show mercy will not be shown mercy.'
পরিচ্ছেদঃ ৫৩- যে দয়া করে না, সে দয়া প্রাপ্ত হয় না।
৯৫। জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়ার্দ্র হন না (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)।
بَابُ مَنْ لا يَرْحَمُ لا يُرْحَمُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، وَأَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: لاَ يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لا يَرْحَمُ النَّاسَ.
Jarir ibn 'Abdullah said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Allah will not show mercy to someone who does not show mercy to people."