পরিচ্ছেদঃ ২২৬- রুগ্নের রোগযাতনা (তার গুনাহর) কাফফারাস্বরূপ।
৪৯৩। গুদাইফ ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) এর রোগাক্রান্ত অবস্থায় তার নিকট আসলো। সে বললো, আপনি কেমন আছেন? আমীর পুরস্কৃত হোন! তিনি বলেন, তোমরা কি জানো, কিসের বিনিময়ে তোমরা পুরস্কার লাভ করো? সে বললো, আমাদের উপর অবাঞ্ছিত কিছু আপতিত হলে তার বিমিনয়ে। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যা ব্যয় করো এবং তোমাদের জন্য যা ব্যয় করা হয় তোমরা তার বিনিময় পাবে। অতঃপর তিনি হাওদা থেকে শুরু করে ঘোড়ার লাগাম পর্যন্ত অনেক কিছুর উল্লেখ করলেন। অতঃপর বলেন, কিন্তু তোমাদের দেহে যেসব অসুখ-বিসুখ হয় তার বিনিময়ে আল্লাহ তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করেন -(আহমাদ, তাবারানী)।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الْعَلاءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ ، عَنْ مُحَمَّدٍ الزُّبَيْدِيِّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُلَيْم بْنُ عَامِرٍ ، أَنَّ غُطَيْفَ بْنَ الْحَارِثِ أَخْبَرَهُ ، " أَنَّ رَجُلا أَتَى أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ ، وَهُوَ وَجِعٌ ، فَقَالَ : كَيْفَ أَمْسَى أَجْرُ الأَمِيرِ ؟ فَقَالَ : هَلْ تَدْرُونَ فِيمَا تُؤْجَرُونَ بِهِ ؟ فَقَالَ : بِمَا يُصِيبُنَا فِيمَا نَكْرَهُ ، فَقَالَ : إِنَّمَا تُؤْجَرُونَ بِمَا أَنْفَقْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، وَاسْتُنْفِقَ لَكُمْ ، ثُمَّ عَدَّ أَدَاةَ الرَّحْلِ كُلَّهَا حَتَّى بَلَغَ عِذَارَ الْبِرْذَوْنِ ، وَلَكِنَّ هَذَا الْوَصَبَ الَّذِي يُصِيبُكُمْ فِي أَجْسَادِكُمْ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهِ مِنْ خَطَايَاكُمْ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৬- রুগ্নের রোগযাতনা (তার গুনাহর) কাফফারাস্বরূপ।
৪৯৪। আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুসলিম বান্দার উপর রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভাবনা যাই আসুক, এমনকি যে কাঁটা তার গায়ে বিধে তার বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ)।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو ، قَالَ : حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ ، وَلا وَصَبٍ ، وَلاهَمٍّ ، وَلا حَزَنٍ ، وَلا أَذًى ، وَلا غَمٍّ ، حَتَّى الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا ، إِلا كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৬- রুগ্নের রোগযাতনা (তার গুনাহর) কাফফারাস্বরূপ।
৪৯৫। আবদুর রহমান ইবনে সাঈদ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালমান (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি কিন্দায় এক রোগীকে দেখতে গেলেন। তিনি তার নিকট প্রবেশ করে বলেন, তুমি সুসংবাদ গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ মুমিন বান্দার রোগকে তার গুনাহসমূহের কাফফারা ও অনুশোচনাস্বরূপ গ্রহণ করেন। আর পাপাচারীর রোগ হলো এমন উটতুল্য যাকে তার মালিক বেঁধে রাখলো, অতঃপর ছেড়ে দিলো। অথচ সে জানে না যে, তারা কেন তাকে বাঁধলো এবং কেনই বা তাকে ছেড়ে দিলো।
حَدَّثَنَا مُوسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " كُنْتُ مَعَ سَلْمَانَ ، وَعَادَ مَرِيضًا فِي كِنْدَةَ ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ ، قَالَ : أَبْشِرْ ، فَإِنَّ مَرَضَ الْمُؤْمِنِ يَجْعَلُهُ اللَّهُ لَهُ كَفَّارَةً وَمُسْتَعْتَبًا ، وَإِنَّ مَرَضَ الْفَاجِرِ كَالْبَعِيرِ عَقَلَهُ أَهْلُهُ ، ثُمَّ أَرْسَلُوهُ ، فَلا يَدْرِي لِمَ عُقِلَ وَلِمَ أُرْسِلَ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৬- রুগ্নের রোগযাতনা (তার গুনাহর) কাফফারাস্বরূপ।
৪৯৬। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমানদার পুরুষ ও নারীর জান-মাল ও পরিবার-পরিজনের উপর বালা-মুসীবত লেগেই থাকে। অতঃপর সে মহামহিম আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করে যে, তার কোন গুনাহই অবশিষ্ট থাকে না (তিরমিযী, আহমাদ)।
حَدَّثَنَا مُوسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادٌ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا عَدِيُّ بْنُ عَدِيٍّ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " لا يَزَالُ الْبَلاءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ ، فِي جَسَدِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ ، حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ " . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ طَلْحَةَ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو مِثْلَهُ ، وَزَادَ " فِي وَلَدِهِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৬- রুগ্নের রোগযাতনা (তার গুনাহর) কাফফারাস্বরূপ।
৪৯৭। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে বলেনঃ তোমাকে কি উম্মু মিলদাম স্পর্শ করেছে? সে বললো, উম্মু মিলদাম কি? তিনি বলেনঃ দেহের চামড়া ও মাংসের মধ্যবর্তী স্থানের উত্তাপ (জ্বর)। সে বললো, না। তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি কি সুদা আক্রান্ত হয়েছো? সে বললো, সুদা কি? তিনি বলেনঃ একটি বায়ু যা মাথায় অনুভূত হয় এবং তা শিরাসমূহে আঘাত করে। সে বললো, না। অতঃপর সে ব্যক্তি উঠে চলে গেলে তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দোযখীকে দেখতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয় (হাকিম, ইবনে হিব্বান)।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " جَاءَ أَعْرَابِيٌّ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هَلْ أَخَذَتْكَ أُمُّ مِلْدَمٍ ؟ قَالَ : وَمَا أُمُّ مِلْدَمٍ ؟ قَالَ : حَرٌّ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَهَلْ صُدِعْتَ ؟ قَالَ : وَمَا الصُّدَاعُ ؟ قَالَ : رِيحٌ تَعْتَرِضُ فِي الرَّأْسِ ، تَضْرِبُ الْعُرُوقَ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَلَمَّا قَامَ ، قَالَ : مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، أَيْ : فَلْيَنْظُرْهُ "
পরিচ্ছেদঃ ২২৭- গভীর রাতে রোগীকে দেখতে যাওয়া।
৪৯৮। খালিদ ইবনুর রবী (রহঃ) বলেন, হুযায়ফা (রাঃ) মুমূর্ষ অবস্থায় উপনীত হলে তা তার পরিবারের লোকজন ও আনসারগণ শুনতে পেলেন। তারা গভীর রাতে বা ভোর রাতের দিকে তার নিকট আসলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেন, এটা কোন সময়? আমরা বললাম, মধ্যরাত বা ভোরের কাছাকাছি সময়। তিনি বলেন, আমি জাহান্নামের প্রভাত হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, তোমরা কি আমার কাফনের কাপড় নিয়ে এসেছো? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, তোমরা কাফনের ব্যাপারে বেশি খরচ করো না। কেননা আল্লাহর কাছে যদি আমার জন্য কল্যাণ থেকে থাকে, তবে তার পরিবর্তে আমি এর চেয়ে উত্তম বস্ত্রই লাভ করবো। আর যদি তা না হয় তবে এই কাফনও অচিরেই ছিনিয়ে নেয়া হবে (হাকেম, সিফাতুস সাফওয়া)।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الرَّبِيعِ ، قَالَ : لَمَّا ثَقُلَ حُذَيْفَةُ ، " سَمِعَ بِذَلِكَ رَهْطُهُ وَالأَنْصَارُ ، فَأَتَوْهُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ أَوْ عِنْدَ الصُّبْحِ ، قَالَ : أَيُّ سَاعَةٍ هَذِهِ ؟ قُلْنَا : جَوْفُ اللَّيْلِ أَوْ عِنْدَ الصُّبْحِ ، قَالَ : أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ صَبَاحِ النَّارِ ، قَالَ : جِئْتُمْ بِمَا أُكَفَّنُ بِهِ ؟ قُلْنَا : نَعَمْ ، قَالَ : لا تُغَالُوا بِالأَكْفَانِ ، فَإِنَّهُ إِنْ يَكُنْ لِي عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ بُدِّلْتُ بِهِ خَيْرًا مِنْهُ ، وَإِنْ كَانَتِ الأُخْرَى سُلِبْتُ سَلْبًا سَرِيعًا ، قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ : أَتَيْنَاهُ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৭- গভীর রাতে রোগীকে দেখতে যাওয়া।
৪৯৯। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে আল্লাহ তাকে (গুনাহ থেকে) এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করেন, যেমন হাঁপড় লোহাকে পরিচ্ছন্ন করে।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ الْمُغِيرَةِ ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " إِذَا اشْتَكَى الْمُؤْمِنُ ، أَخْلَصَهُ اللَّهُ كَمَا يُخَلِّصُ الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৭- গভীর রাতে রোগীকে দেখতে যাওয়া।
৫০০। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন মুসলিম ব্যথা-বেদনা বা রোগ-ব্যাধির দ্বারা বিপদগ্রস্ত হলে তা তার গুনাহর কাফফারা হয়, এমনকি তার দেহে কাঁটা বিধলে বা লাগলে বা সে হোঁচট খেলে তাও। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا بِشْرٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا يُونُسُ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، قَالَ : حَدَّثَنِي عُرْوَةُ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصَابُ بِمُصِيبَةٍ وَجَعٍ أَوْ مَرَضٍ ، إِلا كَانَ كَفَّارَةَ ذُنُوبِهِ ، حَتَّى الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا ، أَوِ النَّكْبَةُ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৭- গভীর রাতে রোগীকে দেখতে যাওয়া।
৫০১। সাদ (রাঃ)-এর কন্যা আয়েশা (রাঃ) বলেন, তার পিতা বলেছেন, আমি মক্কায় রোগগ্ৰস্ত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অনেক সম্পত্তি এবং একটি মাত্র কন্যা সন্তান রেখে যাচ্ছি। আমি কি আমার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ ওসিয়াত করে এক-তৃতীয়াংশ রেখে যেতে পারি? তিনি বলেনঃ না। তিনি (পিতা) বলেন, তাহলে আমি কি অর্ধেক সম্পত্তি ওসিয়াত করে বাকী অর্ধেক তার জন্য রেখে যেতে পারি? তিনি বলেনঃ না। আমি বললাম, তবে কি আমি এক-তৃতীয়াংশ ওসিয়াত করে দুই-তৃতীয়াংশ তার জন্য রেখে যেতে পারি? তিনি বলেনঃ এক-তৃতীয়াংশ। তবে এক-তৃতীয়াংশও অনেক। অতঃপর তিনি তাঁর হাত আমার কপালে রাখলেন, অতঃপর আমার মুখমণ্ডলে ও পেটে হাত বুলালেন। অতঃপর বলেনঃ “হে আল্লাহ! সাদকে রোগমুক্ত করো এবং তার হিজরতকে পূর্ণ করো”। সাদ (রাঃ) বলেন, তিনি আমার এখান থেকে বিদায়ের পর হতে এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি তাঁর হাতের শীতলতা আমার হৃদপিণ্ডে অনুভব করছি (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ ، أَنَّ أَبَاهَا ، قَالَ : " اشْتَكَيْتُ بِمَكَّةَ شَكْوَى شَدِيدَةً ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي ، فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أَتْرُكُ مَالا ، وَإِنِّي لَمْ أَتْرُكْ إِلا ابْنَةً وَاحِدَةً ، أَفَأُوصِي بِثُلُثَيْ مَالِي ، وَأَتْرُكُ الثُّلُثَ ؟ ، قَالَ : لا ، قَالَ : أُوصِي النِّصْفَ ، وَأَتْرُكُ لَهَا النِّصْفَ ؟ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَأَوْصِي بِالثُّلُثِ ، وَأَتْرُكُ لَهَا الثُّلُثَيْنِ ؟ ، قَالَ : الثُّلُثُ ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِي ، ثُمَّ مَسَحَ وَجْهِي وَبَطْنِي ، ثُمَّ قَالَ : اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا ، وَأَتِمَّ لَهُ هِجْرَتَهُ ، فَمَا زِلْتُ أَجِدُ بَرْدَ يَدِهِ عَلَى كَبِدِي فِيمَا يَخَالُ إِلَيَّ حَتَّى السَّاعَةِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০২। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে সেই অবস্থায় সে তার সুস্থাবস্থায় যেরূপ আমল করতো সেরূপ সওয়াব তার জন্য লেখা হয়। (আহমাদ, বাযযার, হাকিম)
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَا مِنْ أَحَدٍ يَمْرَضُ ، إِلا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ وَهُوَ صَحِيحٌ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৩। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে কোন মুসলিমকে আল্লাহ যখন দৈহিকভাবে পরীক্ষায় ফেলেন, তার সুস্থাবস্থায় সে যেরূপ আমল করতো ঠিক তদ্রুপ সওয়াব তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ হতে থাকে, যতক্ষণ সে রোগাক্রান্ত থাকে। অতঃপর যদি তিনি তাকে রোগমুক্ত করেন তবে তাকে (গুনাহ থেকে) ধৌত করে দেন, আর যদি তাকে মৃত্যু দান করেন তবে তাকে ক্ষমা করে দেন (আহমাদ, মুশকিলুল আছার)।
حَدَّثَنَا عَارِمٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سِنَانٌ أَبُو رَبِيعَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَا مِنْ مُسْلِمٍ ابْتَلاهُ اللَّهُ فِي جَسَدِهِ إِلا كُتِبَ لَهُ مَا كَانَ يَعْمَلُ فِي صِحَّتِهِ ، مَا كَانَ مَرِيضًا ، فَإِنْ عَافَاهُ أُرَاهُ قَالَ : عَسَلَهُ ، وَإِنْ قَبَضَهُ غَفَرَ لَهُ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৪। আবু হুরায়রা (রহঃ) বলেন, একদা জ্বর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, আপনি আমাকে আপনার একান্ত প্রিয়জনদের কাছে প্রেরণ করুন। তিনি তাকে আনসারদের বসতিতে পাঠান। তা তাদেরকে ছয় দিন ছয় রাত আক্রান্ত রাখে এবং মারাত্মক পর্যায়ে পৌছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বসতিতে এলে তারা তাঁর নিকট এই ব্যাপারে অভিযোগ করলেন। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বাড়ি বাড়ি ও ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের রোগমুক্তির জন্য দোয়া করলেন। তিনি ফিরে এলে এক আনসার মহিলা তার অনুসরণ করেন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ! অবশ্যই আমি একজন আনসার মহিলা এবং আমার পিতাও একজন আনসার। অতএব আপনি আনসারদের জন্য যেরূপ দোয়া করে এসেছেন, আমার জন্যও অনুরূপ দোয়া করুন। তিনি বলেনঃ তুমি কি চাও? তুমি চাইলে আমি তোমার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতে পারি। আর যদি তুমি চাও তবে ধৈর্য ধারণ করতে পারো, তোমার জন্য হবে জান্নাত। সে বললো, বরং আমি ধৈর্য ধারণ করবো, তবুও জান্নাত প্রাপ্তিকে বিঘ্নিত করবো না।
حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ حَبِيبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِيَاسُ بْنُ أَبِي تَمِيمَةَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " جَاءَتِ الْحُمَّى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتِ : ابْعَثْنِي إِلَى آثَرِ أَهْلِكَ عِنْدَكَ ، فَبَعَثَهَا إِلَى الأَنْصَارِ ، فَبَقِيَتْ عَلَيْهِمْ سِتَّةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهِنَّ ، فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ ، فَأَتَاهُمْ فِي دِيَارِهِمْ ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَيْهِ ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ دَارًا دَارًا ، وَبَيْتًا بَيْتًا ، يَدْعُو لَهُمْ بِالْعَافِيَةِ ، فَلَمَّا رَجَعَ تَبِعَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْهُمْ ، فَقَالَتْ : وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ ، إِنِّي لِمَنَ الأَنْصَارِ ، وَإِنَّ أَبِي لِمَنَ الأَنْصَارِ ، فَادْعُ اللَّهَ لِي كَمَا دَعَوْتَ لِلأَنْصَارِ ، قَالَ : مَا شِئْتِ ، إِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَكِ ، وَإِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ ، قَالَتْ : بَلْ أَصْبِرُ ، وَلا أَجْعَلُ الْجَنَّةَ خَطَرًا .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৫। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমার কাছে জ্বরের চেয়ে প্রিয়তর কোন রোগ নাই। তা আমার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রবেশ করে এবং আল্লাহ এর বিনিময়ে প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে তার প্রাপ্য সওয়াব দান করন (ইবনে আবু শায়বা)।
عَنْ عَطَاءٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " مَا مِنْ مَرَضٍ يُصِيبُنِي أَحَبَّ إِلَيَّ مِنَ الْحُمَّى ، لأَنَّهَا تَدْخُلُ فِي كُلِّ عُضْوٍ مِنِّي ، وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُعْطِي كُلَّ عُضْوٍ قِسْطَهُ مِنَ الأَجْرِ ".
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৬। আবু নুহায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে বলা হলো, আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! রোগ কমিয়ে দিন, কিন্তু সওয়াব কমাবেন না। তাকে বলা হলো, আরো দোয়া করুন, আরো দোয়া করুন। তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে আপনার নৈকট্য লাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমার মাকে আয়তলোচনা হূরদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ ، عَنْ أَبِي نُخَيْلَةَ ، قِيلَ لَهُ : " ادْعُ اللَّهَ ، قَالَ : اللَّهُمَّ انْقُصْ مِنَ الْمَرَضِ ، وَلا تَنْقُصْ مِنَ الأَجْرِ ، فَقِيلَ لَهُ : ادْعُ ، ادْعُ ، فَقَالَ : اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ الْمُقَرَّبِينَ ، وَاجْعَلْ أُمِّي مِنَ الْحُورِ الْعِينِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৭। আতা ইবনে আবু রাবাহ (রহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে একজন বেহেশতী নারী দেখাবো না? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, ঐ কৃষ্ণকায় মহিলা। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত এবং (অচৈতন্য অবস্থায়) আমি বিবস্ত্র হয়ে যাই। আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। তিনি বলেনঃ তুমি চাইলে ধৈর্য ধারণ করতে পারো এবং তোমার জন্য হবে জান্নাত। আর যদি চাও তবে আমি তোমার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি। সে বললো, আমি ধৈর্য ধারণ করবো। সে পুনরায় বললো, আমি বিবস্ত্র হয়ে যাই। আপনি আমার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন, যেন আমি বিবস্ত্র না হই। তিনি তার জন্য দোয়া করলেন। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ مُسْلِمٍ أَبِي بَكْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ ، قَالَ : قَالَ لِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ : " أَلا أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ؟ قُلْتُ : بَلَى ، قَالَ : هَذِهِ الْمَرْأَةُ السَّوْدَاءُ أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتْ : إِنِّي أُصْرَعُ ، وَإِنِّي أَتَكَشَّفُ ، فَادْعُ اللَّهَ لِي ، قَالَ : إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ ، وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَكَ ، فَقَالَتْ : أَصْبِرُ ، فَقَالَتْ : إِنِّي أَتَكَشَّفُ ، فَادْعُ اللَّهَ لِي أَنْ لا أَتَكَشَّفَ ، فَدَعَا لَهَا " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৮। আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সেই কৃষ্ণকায় দীর্ঘদেহী উম্মু যুফারকে কাবা ঘরের সিঁড়ির উপর দেখেছেন। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আবু মুলায়কা আমাকে অবহিত করেছেন যে, কাসেম (রহঃ) তাকে অবহিত করেছেন। আয়েশা (রাঃ) তাকে অবহিত করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ মুমিন ব্যক্তির দেহে কাঁটা বিদ্ধ হলে বা ততোধিক বিপদ এলে তাতে তার গুনাহর কাফফারা হয়ে যায় (বুখারী, মুসলিম, মুশকিলুল আছার)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ ، " أَنَّهُ رَأَى أُمَّ زُفَرَ ، تِلْكَ الْمَرْأَةُ ، طَوِيلَةً سَوْدَاءَ عَلَى سُلَّمِ الْكَعْبَةِ ، قَالَ : وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ ، أَنَّ الْقَاسِمَ أَخْبَرَهُ ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، كَانَ يَقُولُ : " مَا أَصَابَ الْمُؤْمِنَ مِنْ شَوْكَةٍ فَمَا فَوْقَهَا ، فَهُوَ كَفَّارَةٌ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫০৯। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন মুসলিমের গায়ে এই দুনিয়ায় কাঁটা বিদ্ধ হয় এবং সে তাতে সওয়াবের আশা রাখে, তার বিনিময়ে কিয়ামতের দিন তার গুনাহসমূহ মাফ করা হবে (আহমাদ, মুশকিলুল আছার)।
دَّثَنَا بِشْرٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي عَمِّي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ، يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُشَاكُ شَوْكَةً فِي الدُّنْيَا يَحْتَسِبُهَا ، إِلا قُصَّ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৮- কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় যেসব নেক আমল করতো, তার রুগ্ন অবস্থায়ও (তার আমলনামায়) তা লেখা হয়।
৫১০। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন মুমিন পুরুষ বা নারী এবং কোন মুসলিম পুরুষ বা নারী রোগগ্রস্ত হলে তার বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন (আহমাদ, মুশকিলুল আছার)।
حَدَّثَنَا عُمَرُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبِي ، قَالَ : حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ ، عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " مَا مِنْ مُؤْمِنٍ وَلا مُؤْمِنَةٍ ، وَلا مُسْلِمٍ وَلا مَسْلَمَةٍ ، يَمْرَضُ مَرَضًا إِلا قَصَّ اللَّهُ بِهِ عَنْهُ مِنْ خَطَايَاهُ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৯- রোগীর ‘আমি অসুস্থ’ বলা কি অভিযোগ?
৫১১। হিশাম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) তার শাহাদাতের দশ দিন পূর্বে (তার মা) আসমা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আসমা (রাঃ) তখন রোগাক্রান্ত। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বলেন, আপনি কেমন বোধ করছেন? তিনি বলেন, অসুস্থ বোধ করছি। তিনি বলেন, আমি তো মৃত্যুর মুখে আছি। আসমা (রাঃ) বলেন, হয়তো তুমি আমার মৃত্যু আশা করছে। তাই তুমি তোমার মৃত্যু কামনা করছো। তুমি তা করো না। আল্লাহর শপথ! তোমার একটা কুল-কিনারা না হওয়া পর্যন্ত আমি মরতে চাই না। হয় তুমি শহীদ হবে এবং আমি তোমার জন্য সওয়াবের আশা করবো অথবা তুমি বিজয়ী হবে এবং তাতে আমার চোখ জুড়াবে। খবরদার মৃত্যুভয়ে তুমি কোন অবাঞ্ছিত প্রস্তাবে সম্মত হয়ো না। ইবনুয যুবাইর (রাঃ)-র আশংকা ছিল, তিনি শহীদ হলে তাতে তার মা শোকাকুল হয়ে পড়বেন।
حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ هِشَامٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " دَخَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى أَسْمَاءَ ، قَبْلَ قَتْلِ عَبْدِ اللَّهِ بِعَشْرِ لَيَالٍ ، وَأَسْمَاءُ وَجِعَةٌ ، فَقَالَ لَهَا عَبْدُ اللَّهِ : " كَيْفَ تَجِدِينَكِ ؟ ، قَالَتْ : وَجِعَةٌ ، قَالَ : إِنِّي فِي الْمَوْتِ ، فَقَالَتْ : لَعَلَّكَ تَشْتَهِي مَوْتِي ، فَلِذَلِكَ تَتَمَنَّاهُ ؟ فَلا تَفْعَلْ ، فَوَاللَّهِ مَا أَشْتَهِي أَنْ أَمُوتَ حَتَّى يَأْتِيَ عَلَيَّ أَحَدُ طَرَفَيْكَ ، أَوْ تُقْتَلَ فَأَحْتَسِبَكَ ، وَإِمَّا أَنْ تَظْفُرَ فَتَقَرَّ عَيْنِي ، فَإِيَّاكَ أَنْ تُعْرَضَ عَلَيْكَ خُطَّةٌ ، فَلا تُوَافِقُكَ ، فَتَقْبَلُهَا كَرَاهِيَةَ الْمَوْتِ ، وَإِنَّمَا عَنَى ابْنُ الزُّبَيْرِ لِيُقْتَلَ فَيُحْزِنُهَا ذَلِكَ " .
পরিচ্ছেদঃ ২২৯- রোগীর ‘আমি অসুস্থ’ বলা কি অভিযোগ?
৫১২। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রবেশ করলেন। তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন এবং তাঁর শরীরে একটি চাদর জড়ানো ছিল। আবু সাঈদ (রাঃ) তার দেহে হাত রাখলেন এবং চাদরের উপড় দিয়েই উত্তাপ অনুভব করলেন। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনার শরীরে কি ভীষণ জ্বর। তিনি বলেনঃ আমাদের এরূপ হয়ে থাকে। আমাদের উপর কঠিন বিপদ আসে এবং আমাদের দ্বিগুণ সওয়াব দেয়া হয়। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন মানুষের উপর অধিক কঠিন বিপদ আসে? তিনি বলেনঃ নবী-রাসূলগণের উপর, অতঃপর সৎকর্মশীলদের উপর। তাদের কেউ দারিদ্র্যের পরীক্ষায় নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, এমনকি একটি জুব্বা ছাড়া পরার মত কিছুই তাঁর ছিলো না। কেউ উকুনের বিপদে পতিত হয়েছেন। শেষে তা তাঁকে হত্যা করে। নিঃসন্দেহে তোমাদের মধ্যকার কেউ পুরস্কার লাভে যতো খুশি হয়, তাদের কেউ বিপদে পতিত হলে ততোধিক খুশি হতেন (ইবনে মাজাহ, মুশকিলুল আছার)।
دَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ : أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، " أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَوْعُوكٌ ، عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ ، فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ ، فَوَجَدَ حَرَارَتَهَا فَوْقَ الْقَطِيفَةِ ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ : مَا أَشَدَّ حُمَّاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَالَ : إِنَّا كَذَلِكَ ، يَشْتَدُّ عَلَيْنَا الْبَلاءُ ، وَيُضَاعَفُ لَنَا الأَجْرُ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلاءً ؟ قَالَ : الأَنْبِيَاءُ ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ ، وَقَدْ كَانَ أَحَدُهُمْ يُبْتَلَى بِالْفَقْرِ حَتَّى مَا يَجِدُ إِلا الْعَبَاءَةَ يَجُوبُهَا فَيَلْبَسُهَا ، وَيُبْتَلَى بِالْقُمَّلِ حَتَّى يَقْتُلَهُ ، وَلأَحَدُهُمْ كَانَ أَشَدَّ فَرَحًا بِالْبَلاءِ مِنْ أَحَدِكُمْ بِالْعَطَاءِ " .