সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع)
১১৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১. যে সকল লোক বংশগত সূত্রে হারাম সে সকল লোক দুধপানের কারণেও হারাম

১১৪৬। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল লোককে আল্লাহ তা’আলা বংশগত সম্পর্কের কারণে (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন, একইভাবে সে সকল লোককে দুধপানের কারণেও (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন।

— সহীহ, ইরওয়া (৬/২৮৪)

আইশা, ইবনু আব্বাস ও উম্মু হাবীব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও আলিমগণ আমল করতে সম্মতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন রকম মতভেদ আছে বলে আমাদের জানা নেই।

باب مَا جَاءَ يُحَرَّمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يُحَرَّمُ مِنَ النَّسَبِ ‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مِنَ الرَّضَاعِ مَا حَرَّمَ مِنَ النَّسَبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأُمِّ حَبِيبَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، حدثنا علي بن زيد، عن سعيد بن المسيب، عن علي بن ابي طالب، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله حرم من الرضاع ما حرم من النسب ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة وابن عباس وام حبيبة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث علي حسن صحيح ‏.‏


Ali (bin Abi Talib) narrated that The Messenger of Allah said:
“Indeed Allah has made unlawful through suckling whatever He made unlawful through lineage.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১. যে সকল লোক বংশগত সূত্রে হারাম সে সকল লোক দুধপানের কারণেও হারাম

১১৪৭। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল লোককে আল্লাহ তা’আলা জন্মসূত্রে (বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে) হারাম করেছেন, সে সকল লোককে দুধপানের কারণেও হারাম করেছেন।

- সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৯৩৭), বুখারী, মুসলিম ৷

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও অন্যান্য বিদ্বানগণ এই হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। এ বিষয়ে তাদের মাঝে কোন মতভেদ আছে বলে আমাদের জানা নেই।

باب مَا جَاءَ يُحَرَّمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يُحَرَّمُ مِنَ النَّسَبِ ‏

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مِنَ الرَّضَاعَةِ مَا حَرَّمَ مِنَ الْوِلاَدَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لاَ نَعْلَمُ بَيْنَهُمْ فِي ذَلِكَ اخْتِلاَفًا ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا يحيى بن سعيد القطان، حدثنا مالك، ح وحدثنا اسحاق بن موسى الانصاري، قال حدثنا معن، قال حدثنا مالك، عن عبد الله بن دينار، عن سليمان بن يسار، عن عروة بن الزبير، عن عاىشة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله حرم من الرضاعة ما حرم من الولادة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم لا نعلم بينهم في ذلك اختلافا ‏.‏


Aishah narrated that the Messenger of Allah said:
“Indeed Allah has made unlawful through suckling whatever He made unlawful through birth.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৪৮

পরিচ্ছেদঃ ২. পুরুষের মাধ্যমে নারী দুগ্ধবতী হয়

১১৪৮। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার দুধ সম্পর্কের চাচা এসে ভিতরে প্রবেশের জন্য আমার নিকট অনুমতি চাইলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে অনুমতি না নেওয়া পর্যন্ত তাকে ভিতরে আসতে অনুমতি প্রদানে সম্মত হইনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিনি তোমার চাচা, তিনি তোমার নিকট আসতে পারেন। আইশা (রাঃ) বললেন, আমাকে তো স্ত্রীলোক দুধপান করিয়েছেন, পুরুষ লোক তো আমাকে দুধ পান করাননি। তিনি বললেনঃ তিনি তোমার চাচা, তিনি তোমার নিকট আসতে পারেন।

— সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৯৪৮), বুখারী, মুসলিম ৷

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করতে বলেছেন। পুরুষ আত্মীয়কেও তারা দুধপান প্রসঙ্গে মাহরাম বলেছেন। আইশা (রাঃ)-এর হাদীসই এই ক্ষেত্রে মূল ভিত্তি। এই বিষয়ে একদল আলিম সুযোগ রেখেছেন (দুধ-মা ও দুধ-বোন ছাড়া অন্য কেউ মাহরাম নয়)। কিন্তু প্রথম মতটিই অনেক বেশি সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي لَبَنِ الْفَحْلِ ‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَ عَمِّي مِنَ الرَّضَاعَةِ يَسْتَأْذِنُ عَلَىَّ فَأَبَيْتُ أَنْ آذَنَ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْمِرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ عَمُّكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهُ عَمُّكِ فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ كَرِهُوا لَبَنَ الْفَحْلِ وَالأَصْلُ فِي هَذَا حَدِيثُ عَائِشَةَ وَقَدْ رَخَّصَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي لَبَنِ الْفَحْلِ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا ابن نمير، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، قالت جاء عمي من الرضاعة يستاذن على فابيت ان اذن له حتى استامر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فليلج عليك فانه عمك ‏"‏ ‏.‏ قالت انما ارضعتني المراة ولم يرضعني الرجل ‏.‏ قال ‏"‏ فانه عمك فليلج عليك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم كرهوا لبن الفحل والاصل في هذا حديث عاىشة وقد رخص بعض اهل العلم في لبن الفحل والقول الاول اصح ‏.‏


Aishah narrated:
“My uncle through suckling came and asked permission (to enter) but I refused to admit him until I asked the Messenger of Allah. So the Messenger of Allah said: “Let him in since he is your uncle.’” She said: “It is only the woman who suckled me; I was not suckled by the man.’ So he said: ‘Indeed he is your uncle, so let him in.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৪৯

পরিচ্ছেদঃ ২. পুরুষের মাধ্যমে নারী দুগ্ধবতী হয়

১১৪৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তাকে প্রশ্ন করা হল, এক ব্যক্তির কাছে দুইজন দাসী আছে। তাদের মধ্যে একজন একটি কন্যা সন্তানকে দুধ পান করিয়েছে এবং অন্যজন একটি ছেলে সন্তানকে দুধ পান করিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এই ছেলেটি কি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে? তিনি বলেন, না। কেননা, তারা দুইজন তো একজন পুরুষের দ্বারাই দুগ্ধবতী হয়েছে। — সনদ সহীহ

লাবনুল ফাহল (পুরুষের মাধ্যমে দুধ) কথার তাৎপর্য এই (অর্থাৎ বীর্য পতনের মাধ্যমে নারীর স্তনে দুধের সঞ্চার হয়)। আর ইহাই হচ্ছে এ অনুচ্ছেদের মূল ভিত্তি। এই মত দিয়েছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাক।

باب مَا جَاءَ فِي لَبَنِ الْفَحْلِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ، لَهُ جَارِيَتَانِ أَرْضَعَتْ إِحْدَاهُمَا جَارِيَةً وَالأُخْرَى غُلاَمًا أَيَحِلُّ لِلْغُلاَمِ أَنْ يَتَزَوَّجَ بِالْجَارِيَةِ فَقَالَ لاَ اللِّقَاحُ وَاحِدٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا تَفْسِيرُ لَبَنِ الْفَحْلِ وَهَذَا الأَصْلُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا مالك، ح وحدثنا الانصاري، حدثنا معن، قال حدثنا مالك بن انس، عن ابن شهاب، عن عمرو بن الشريد، عن ابن عباس، انه سىل عن رجل، له جاريتان ارضعت احداهما جارية والاخرى غلاما ايحل للغلام ان يتزوج بالجارية فقال لا اللقاح واحد ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا تفسير لبن الفحل وهذا الاصل في هذا الباب وهو قول احمد واسحاق ‏.‏


Amr bin Ash-Shariq narrated that Ibn Abbas was asked about the case in which a man had two slave girls, one of them suckled a girl and the other suckled a boy, is it lawful for the boy to marry the girl? She said:
“No, the semen is the same.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫০

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক-দুই চুমুক দুধ পান করলেই বিয়ে হারাম সাব্যস্ত হয় না

১১৫০। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক-দুই চুমুক দুধ পান (বিয়ের বৈধতাকে) হারাম করে না। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৯৪১), মুসলিম

উম্মুল ফাদল, আবূ হুরায়রা, জুবাইর ইবনুল আউয়াম ও ইবনু জুবাঈর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। একাধিক সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। সূত্রগুলো এই–

১। হিশাম ইবনু উরওয়া তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।

২। মুহাম্মাদ ইবনু দীনার হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর হতে, তিনি যুবাইর হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রটি অরক্ষিত। হাদীস বিশারদদের মতানুসারে আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইরের মারফতে আইশা (রাঃ)-এর সূত্রে ইবনু আবী মুলাইকা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। আবু ঈসা বলেন, আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

তিনি আরও বলেন, আমি মুহাম্মাদ বুখারীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, যুবাইরের সূত্রে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিই সহীহ। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও বিশেষজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। আইশা (রাঃ) বলেন, কুরআনে “সুনির্দিষ্টভাবে দশ চুমুক" মর্মে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল, পরে ’পাঁচবার রহিত হয়েছে এবং পাঁচবার -এর বিধান কার্যকর থাকে। এটাই কার্যকর থাকল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু পর্যন্ত।

আইশা (রাঃ) হতে আরো একটি সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে। এ ফাতাওয়াই প্রদান করতেন আইশা (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যান্য স্ত্রী।

— সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৯৪২)

এই কথা বলেন ইমাম শাফিঈ ও ইসহাক (রাহঃ)-ও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম আহমাদ (রাহঃ) বলেন, হুরমাত সাধারণতঃ এক-দুইবার দুধ পান করাতে প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি আরো বলেন, যদি আইশা (রাঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী কোন লোক পাঁচ চুমুক দুধ পানের মত গ্রহণ করে তবে এটা সবচেয়ে শক্তিশালী মত হবে। এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করা তার দুর্বলতা বলে বিবেচিত হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপর একদল সাহাবী ও তাবিঈ বলেছেন, দুধের পরিমাণ কম অথবা বেশি যেটাই হোকনা কেন তা শিশুর পেটে যাওয়া মাত্রই বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন হারাম হয়ে যাবে। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবনু আনাস, আওযাঈ, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, ওয়াকী (রাহঃ) এবং কুফাবাসীগণ।

আবদুল্লাহ ইবনু আবূ মুলাইকার উপনাম আবু মুহাম্মাদ, পিতার নাম উবাইদুল্লাহ এবং দাদার নাম আবু মুলাইকা। তাকে তাইফের বিচারপতি হিসেবে ইবনু যুবাইর (রাঃ) নিয়োগ করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ত্রিশজন সাহাবীকে পেয়েছি।

باب مَا جَاءَ لاَ تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَلاَ الْمَصَّتَانِ ‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَلاَ الْمَصَّتَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَابْنِ الزُّبَيْرِ ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَلاَ الْمَصَّتَانِ ‏"‏ ‏.‏ وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنِ الزُّبَيْرِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ الْبَصْرِيُّ عَنِ الزُّبَيْرِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ حَدِيثُ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَقَالَ الصَّحِيحُ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ وَحَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ دِينَارٍ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ وَزَادَ فِيهِ عَنِ الزُّبَيْرِ وَإِنَّمَا هُوَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الزُّبَيْرِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ ‏.‏
وَقَالَتْ عَائِشَةُ أُنْزِلَ فِي الْقُرْآنِ عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ ‏.‏ فَنُسِخَ مِنْ ذَلِكَ خَمْسٌ وَصَارَ إِلَى خَمْسِ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ ‏.‏ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ بِهَذَا ‏.‏ وَبِهَذَا كَانَتْ عَائِشَةُ تُفْتِي وَبَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَلاَ الْمَصَّتَانِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ إِنْ ذَهَبَ ذَاهِبٌ إِلَى قَوْلِ عَائِشَةَ فِي خَمْسِ رَضَعَاتٍ فَهُوَ مَذْهَبٌ قَوِيٌّ ‏.‏ وَجَبُنَ عَنْهُ أَنْ يَقُولَ فِيهِ شَيْئًا ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ يُحَرِّمُ قَلِيلُ الرَّضَاعِ وَكَثِيرُهُ إِذَا وَصَلَ إِلَى الْجَوْفِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالأَوْزَاعِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَوَكِيعٍ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ وَيُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ قَدِ اسْتَقْضَاهُ عَلَى الطَّائِفِ وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ أَدْرَكْتُ ثَلاَثِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الاعلى الصنعاني، قال حدثنا المعتمر بن سليمان، قال سمعت ايوب، يحدث عن عبد الله بن ابي مليكة، عن عبد الله بن الزبير، عن عاىشة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا تحرم المصة ولا المصتان ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ام الفضل وابي هريرة والزبير بن العوام وابن الزبير ‏.‏ وروى غير واحد هذا الحديث عن هشام بن عروة عن ابيه عن عبد الله بن الزبير عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا تحرم المصة ولا المصتان ‏"‏ ‏.‏ وروى محمد بن دينار عن هشام بن عروة عن ابيه عن عبد الله بن الزبير عن الزبير عن النبي عليه الصلاة والسلام ‏.‏ وزاد فيه محمد بن دينار البصري عن الزبير عن النبي صلى الله عليه وسلم وهو غير محفوظ ‏.‏ والصحيح عند اهل الحديث حديث ابن ابي مليكة عن عبد الله بن الزبير عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏ وسالت محمدا عن هذا فقال الصحيح عن ابن الزبير عن عاىشة وحديث محمد بن دينار خطا اخطا فيه محمد بن دينار وزاد فيه عن الزبير وانما هو هشام بن عروة عن ابيه عن الزبير ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ‏.‏ وقالت عاىشة انزل في القران عشر رضعات معلومات ‏.‏ فنسخ من ذلك خمس وصار الى خمس رضعات معلومات ‏.‏ فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم والامر على ذلك ‏.‏ حدثنا بذلك اسحاق بن موسى الانصاري حدثنا معن حدثنا مالك عن عبد الله بن ابي بكر عن عمرة عن عاىشة بهذا ‏.‏ وبهذا كانت عاىشة تفتي وبعض ازواج النبي صلى الله عليه وسلم وهو قول الشافعي واسحاق ‏.‏ وقال احمد بحديث النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تحرم المصة ولا المصتان ‏"‏ ‏.‏ وقال ان ذهب ذاهب الى قول عاىشة في خمس رضعات فهو مذهب قوي ‏.‏ وجبن عنه ان يقول فيه شيىا ‏.‏ وقال بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم يحرم قليل الرضاع وكثيره اذا وصل الى الجوف ‏.‏ وهو قول سفيان الثوري ومالك بن انس والاوزاعي وعبد الله بن المبارك ووكيع واهل الكوفة ‏.‏ عبد الله بن ابي مليكة هو عبد الله بن عبيد الله بن ابي مليكة ويكنى ابا محمد وكان عبد الله قد استقضاه على الطاىف وقال ابن جريج عن ابن ابي مليكة قال ادركت ثلاثين من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Abdullah bin Az-Zubair narrated from Aishah from the Prophet who said:
“One sip or two sips do not make a prohibition.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫১

পরিচ্ছেদঃ ৪. দুধপান প্রসঙ্গে একজন মহিলার সাক্ষ্য

১১৫১। উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে বিয়ে করলাম। তারপর আমাদের নিকট একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি। আমি (উকবা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললাম, অমুকের কন্যা অমুককে আমি বিয়ে করেছি। আমাদের নিকট এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, “তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি”। সে মিথ্যাবাদিনী।

বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথায়) তিনি আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি ঘুরে গিয়ে তার সামনে এলাম, তিনি আমার কাছ থেকে তার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি বললাম, সেতো মিথ্যাবাদিনী। তিনি বললেনঃ “তুমি কিভাবে এর সাথে বিয়ে বহাল রাখতে পার! অথচ সে বলেছে, সে দুধ পান করিয়েছে তোমাদের দুজনকেই। সুতরাং তুমি তাকে ছেড়ে দাও (তালাক দাও)। — সহীহ, ইরওয়া (২১৪৬), বুখারী

এই অনুচ্ছেদে ইবনু উমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদীসটি উকবা (রাঃ) হতে আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু উবাইদা ইবনু আবূ মারইয়ামের নাম সেখানে উল্লেখ নেই এবং “তুমি তাকে ছেড়ে দাও" এ কথাটিরও উল্লেখ নেই।

এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈ মত প্রকাশ করেছেন। তারা একজন মহিলাকে দুধপানের সম্পর্ক প্রমাণের জন্য সাক্ষ্য অনুমোদন করেছেন।

ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, একজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য দুধপান প্রমাণের ক্ষেত্রে গ্রহণ করা যায়, তবে সেই মহিলাকে শপথও করাতে হবে। এই মত গ্রহণ করেছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)। আর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়, যতক্ষণ একজনের বেশি সাক্ষী না পাওয়া যায়। এই অভিমত ইমাম শাফিঈর।

ওয়াকী (রাহঃ) বলেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য দুধপানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তবে দুজনকেই সতর্কতার জন্য আলাদা করে দিতে হবে।

باب مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ فِي الرَّضَاعِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ وَسَمِعْتُهُ مِنْ، عُقْبَةَ وَلَكِنِّي لِحَدِيثِ عُبَيْدٍ أَحْفَظُ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا ‏.‏ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ فُلاَنَةَ بِنْتَ فُلاَنٍ فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا وَهِيَ كَاذِبَةٌ ‏.‏ قَالَ فَأَعْرَضَ عَنِّي ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَأَعْرَضَ عَنِّي بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ إِنَّهَا كَاذِبَةٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَكَيْفَ بِهَا وَقَدْ زَعَمَتْ أَنَّهَا قَدْ أَرْضَعَتْكُمَا دَعْهَا عَنْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ ‏"‏ دَعْهَا عَنْكَ ‏"‏ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَجَازُوا شَهَادَةَ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ فِي الرَّضَاعِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الرَّضَاعِ وَيُؤْخَذُ يَمِينُهَا ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ حَتَّى يَكُونَ أَكْثَرَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏ سَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الْحُكْمِ وَيُفَارِقُهَا فِي الْوَرَعِ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن ايوب، عن عبد الله بن ابي مليكة، قال حدثني عبيد بن ابي مريم، عن عقبة بن الحارث، قال وسمعته من، عقبة ولكني لحديث عبيد احفظ قال تزوجت امراة فجاءتنا امراة سوداء فقالت اني قد ارضعتكما ‏.‏ فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فقلت تزوجت فلانة بنت فلان فجاءتنا امراة سوداء فقالت اني قد ارضعتكما وهي كاذبة ‏.‏ قال فاعرض عني ‏.‏ قال فاتيته من قبل وجهه فاعرض عني بوجهه فقلت انها كاذبة ‏.‏ قال ‏"‏ وكيف بها وقد زعمت انها قد ارضعتكما دعها عنك ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عقبة بن الحارث حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روى غير واحد هذا الحديث عن ابن ابي مليكة عن عقبة بن الحارث ولم يذكروا فيه عن عبيد بن ابي مريم ولم يذكروا فيه ‏"‏ دعها عنك ‏"‏ ‏.‏ والعمل على هذا الحديث عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم اجازوا شهادة المراة الواحدة في الرضاع ‏.‏ وقال ابن عباس تجوز شهادة امراة واحدة في الرضاع ويوخذ يمينها ‏.‏ وبه يقول احمد واسحاق ‏.‏ وقد قال بعض اهل العلم لا تجوز شهادة المراة الواحدة حتى يكون اكثر ‏.‏ وهو قول الشافعي ‏.‏ سمعت الجارود يقول سمعت وكيعا يقول لا تجوز شهادة امراة واحدة في الحكم ويفارقها في الورع ‏.‏


Abdullah bin Abi Mulaikah narrated:
“Ubaid bin Abi Maryam narrated to me from Uqbah bin Al-Harith” and, he (Abdullah bin Abi Mulaikah) said: “And I heard it from Uqbah bin Al-Harith, but to me, the narration of Ubaid is better preserved; he said: (Uqbah bin Al-Harith narrated: ) “I married a woman, then a black woman came to us and she said: ‘I suckled both of you.’ So I went to the Prophet and said: ‘I married so-and-so the daughter of so-and-so, then a black women came to us, and said: “I suckled both of you” but she is a liar.’” He said: “Then he (pbuh) turned away from me.” He said: “So I went around to face him (and he (pbuh) turned his face away from me) so I said: ‘She is a liar.’ He said: ‘How can you stay with her while she claims that she suckled both of you? Leave her.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দুই বছরের কম বয়সের শিশু দুধপান করলেই বিয়ের সম্পর্ক হারাম হয়

১১৫২। উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুধ ছাড়ানোর বয়সের পূর্বে স্তনের বোটা হতে শিশুর পাকস্থলীতে দুধ না গেলে দুধপানের নিষিদ্ধতা কার্যকর হয় না (অর্থাৎ দুধপান জনিত কারণে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ হয় না)। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৯৪৬)

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্! এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্যরা আমল করার কথা বলেছেন। তাদের মতে, কোন শিশু দুই বছরের কম বয়সে দুধ পান করলেই বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন হারাম হবে। কিন্তু দুই বছরের পর দুধ পান করলে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন হারাম হবে না।

باب مَا جَاءَ مَا ذُكِرَ أَنَّ الرَّضَاعَةَ لاَ تُحَرِّمُ إِلاَّ فِي الصِّغَرِ دُونَ الْحَوْلَيْنِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُحَرِّمُ مِنَ الرَّضَاعَةِ إِلاَّ مَا فَتَقَ الأَمْعَاءَ فِي الثَّدْىِ وَكَانَ قَبْلَ الْفِطَامِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الرَّضَاعَةَ لاَ تُحَرِّمُ إِلاَّ مَا كَانَ دُونَ الْحَوْلَيْنِ وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ الْكَامِلَيْنِ فَإِنَّهُ لاَ يُحَرِّمُ شَيْئًا ‏.‏ وَفَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ هِيَ امْرَأَةُ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو عوانة، عن هشام بن عروة، عن فاطمة بنت المنذر، عن ام سلمة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا يحرم من الرضاعة الا ما فتق الامعاء في الثدى وكان قبل الفطام ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ان الرضاعة لا تحرم الا ما كان دون الحولين وما كان بعد الحولين الكاملين فانه لا يحرم شيىا ‏.‏ وفاطمة بنت المنذر بن الزبير بن العوام هي امراة هشام بن عروة ‏.‏


Umm Salamah narrated that The Messenger of Allah said:
“No prohibition results from suckling except for what penetrates the intestines while on the breast before weaning.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. দুধপানের বিনিময় কিভাবে শোধ করা যায়

১১৫৩ ৷ হাজ্জাজ আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে দুধপান করেছি তার হাক্ক কিভাবে মিটাতে পারি? তিনি বলেনঃ (দুধমাকে) একটি ক্রীতদাস অথবা একটি দাসী দান করে (এ দাবি মিটাতে পার)।

যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (৩৫১)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ, হাতিম ইবনু ইসমাঈল, এবং আরও অনেকে হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি হাজ্জাজ ইবনু হাজ্জাজ হতে, তিনি তার পিতা হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আর সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা বর্ণনা করেছেন হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি হাজ্জাজ ইবনু আবূ হাজ্জাজ ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ইবনু উয়াইনার সূত্রটি অরক্ষিত এবং হিশামের সূত্রটি সহীহ।

হিশাম (রাহঃ) জাবির (রাঃ)-এর দেখা পেয়েছেন। “আমি যে দুধপান করেছি তার হাক্ক কিভাবে চোকাতে পারি" এ কথার তাৎপর্য হল, আমার (দুধ) মা দুধ পান করানোর মাধ্যমে আমার যে সেবা করলেন এর বদলা আমি কিভাবে দিতে পারি? এর উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার দুধমাকে একটি ক্রীতদাস অথবা একটি দাসী দান করলে এর বিনিময় আদায় হবে।

বর্ণিত আছে যে, আবূত তুফাইল (রাঃ) বলেন, এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বসে ছিলাম। এক মহিলা এসে হাযির হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য নিজের চাঁদর পেতে দিলেন এবং তিনি তার উপর বসলেন। এই মহিলা চলে গেলে বলা হল, এই মহিলাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুধপান করিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ مَا يُذْهِبُ مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ فَقَالَ ‏ "‏ غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ ‏.‏ يَقُولُ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ ذِمَامَ الرَّضَاعَةِ وَحَقَّهَا يَقُولُ إِذَا أَعْطَيْتَ الْمُرْضِعَةَ عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَقَدْ قَضَيْتَ ذِمَامَهَا ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ فَبَسَطَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رِدَاءَهُ حَتَّى قَعَدَتْ عَلَيْهِ فَلَمَّا ذَهَبَتْ قِيلَ هِيَ كَانَتْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَحَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى هَؤُلاَءِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ يُكْنَى أَبَا الْمُنْذِرِ وَقَدْ أَدْرَكَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنَ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا حاتم بن اسماعيل، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن حجاج بن حجاج الاسلمي، عن ابيه، انه سال النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ما يذهب عني مذمة الرضاع فقال ‏ "‏ غرة عبد او امة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ومعنى قوله ما يذهب عني مذمة الرضاع ‏.‏ يقول انما يعني به ذمام الرضاعة وحقها يقول اذا اعطيت المرضعة عبدا او امة فقد قضيت ذمامها ‏.‏ ويروى عن ابي الطفيل قال كنت جالسا مع النبي صلى الله عليه وسلم اذ اقبلت امراة فبسط النبي صلى الله عليه وسلم رداءه حتى قعدت عليه فلما ذهبت قيل هي كانت ارضعت النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هكذا رواه يحيى بن سعيد القطان وحاتم بن اسماعيل وغير واحد عن هشام بن عروة عن ابيه عن حجاج بن حجاج عن ابيه عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وروى سفيان بن عيينة عن هشام بن عروة عن ابيه عن حجاج بن ابي حجاج عن ابيه عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وحديث ابن عيينة غير محفوظ والصحيح ما روى هولاء عن هشام بن عروة عن ابيه ‏.‏ وهشام بن عروة يكنى ابا المنذر وقد ادرك جابر بن عبد الله وابن عمر ‏.‏


Hajjaj bin Hajjaj Al-Aslami narrated that His father asked the Prophet:
“O Messenger of Allah! What will remove the responsibility of the foster relationship from me?” So he said: “A Ghurrah: a male slave or a female slave.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. সধবা মহিলাকে দাসত্বমুক্ত করা হলে

১১৫৪। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বারীরার স্বামী একজন ক্রীতদাস ছিল। বারীরাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাধীনতা দান করলেন (দাসত্ব হতে মুক্তির পর বিয়ের বন্ধন অক্ষুন্ন রাখার বা ছিন্ন করার)। বারীরা নিজের স্বাধীনতা প্রয়োগ করেন (বিয়ের বন্ধন ছিন্ন করেন)। যদি সে লোকটি (স্বামী) স্বাধীন হতো তাহলে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনও তাকে (বারীরাকে) এ স্বাধীনতা প্রদান করতেন না।

— সহীহ, ইরওয়া (১৮৭৩), সহীহ, আবূ দাউদ (১৯৩৫), স্বামী যদি স্বাধীন হতো ব্যাক্যাংশটি উরওয়ার নিজস্ব। হাদীসের প্রথম অংশটি বুখারীতেও আছে।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَرْأَةِ تُعْتَقُ وَلَهَا زَوْجٌ ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا وَلَوْ كَانَ حُرًّا لَمْ يُخَيِّرْهَا ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، اخبرنا جرير بن عبد الحميد، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، قالت كان زوج بريرة عبدا فخيرها رسول الله صلى الله عليه وسلم فاختارت نفسها ولو كان حرا لم يخيرها ‏.‏


Aishah narrated:
“Barfah’s husband was a slave, so the Messenger of Allah let her chose, and she chose herself, and if he was a free man she would not have had a choice.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. সধবা মহিলাকে দাসত্বমুক্ত করা হলে

১১৫৫। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বারীরার স্বামী ছিল স্বাধীন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (বারীরাকে) ইখতিয়ার প্রদান করলেন।

— বারীরার স্বামী স্বাধীন ছিল এই শব্দে হাদীসটি শাজ। দাস ছিল এই বর্ণনাটি সংরক্ষিত। ইবনু মাজাহ (২০৭৪)

আবু ঈসা বলেন, আইশা (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। হিশাম ইবনু উরওয়া তার পিতার সূত্রে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, বারীরার স্বামী দাস ছিল। ইকরিমা বর্ণনা করেছেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আমি বারীরার স্বামীকে দেখেছি, সে ছিল গোলাম, তাকে মুগীস নামে ডাকা হত। ইবনু উমার (রাঃ) হতেও একইরকম বর্ণিত হয়েছে।

একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। তারা বলেন, দাসত্বমুক্ত করে দিলে সে (স্ত্রী) বিয়ে ঠিক রাখা বা না রাখার ইখতিয়ার পাবে না। হ্যাঁ তার স্বামী যদি গোলাম হয় এবং সে (স্ত্রী) দাসত্বমুক্ত হয় তবে সে ইখতিয়ার পাবে। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের মত এটাই।

একাধিক রাবী আমাশ হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আসওয়াদ হতে বর্ণনা করেছেন, আইশ (রাঃ) বলেন, “বারীরার স্বামী স্বাধীন ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় বারীরাকে (বিয়ে ঠিক রাখা বা না রাখার) ইখতিয়ার দেন।" আসওয়াদও বলেছেন, বারীরার স্বামী আযাদ ছিল। একদল বিশেষজ্ঞ তাবিঈ ও তাদের পরবর্তীগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমদের মত এটাই।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَرْأَةِ تُعْتَقُ وَلَهَا زَوْجٌ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ حُرًّا فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ هَكَذَا رَوَى هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا ‏.‏ وَرَوَى عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ رَأَيْتُ زَوْجَ بَرِيرَةَ وَكَانَ عَبْدًا يُقَالُ لَهُ مُغِيثٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَقَالُوا إِذَا كَانَتِ الأَمَةُ تَحْتَ الْحُرِّ فَأُعْتِقَتْ فَلاَ خِيَارَ لَهَا وَإِنَّمَا يَكُونُ لَهَا الْخِيَارُ إِذَا أُعْتِقَتْ وَكَانَتْ تَحْتَ عَبْدٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَرَوَى الأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ حُرًّا فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى أَبُو عَوَانَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ فِي قِصَّةِ بَرِيرَةَ قَالَ الأَسْوَدُ وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن الاسود، عن عاىشة، قالت كان زوج بريرة حرا فخيرها رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏ هكذا روى هشام عن ابيه عن عاىشة قالت كان زوج بريرة عبدا ‏.‏ وروى عكرمة عن ابن عباس قال رايت زوج بريرة وكان عبدا يقال له مغيث ‏.‏ وهكذا روي عن ابن عمر ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم وقالوا اذا كانت الامة تحت الحر فاعتقت فلا خيار لها وانما يكون لها الخيار اذا اعتقت وكانت تحت عبد ‏.‏ وهو قول الشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ وروى الاعمش عن ابراهيم عن الاسود عن عاىشة قالت كان زوج بريرة حرا فخيرها رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وروى ابو عوانة هذا الحديث عن الاعمش عن ابراهيم عن الاسود عن عاىشة في قصة بريرة قال الاسود وكان زوجها حرا ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من التابعين ومن بعدهم وهو قول سفيان الثوري واهل الكوفة ‏.‏


Aishah narrated:
“Barfah’s husband was a free man, so the Messenger of Allah let her choose.”


হাদিসের মানঃ শা'জ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. সধবা মহিলাকে দাসত্বমুক্ত করা হলে

১১৫৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, বারীরাকে গোলাম হতে মুক্তি দেয়ার সময় তার কৃষ্ণাঙ্গ স্বামী মুগীরা গোত্রের গোলাম ছিল। আল্লাহর শপথ! আমি যেন মদীনার রাস্তায় ও অলিতে-গলিতে তাকে (মুগসিকে) বেড়াতে দেখছি আর তার চোখের পানি তার দাড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। সে যেন তাকে ফিরিয়ে না দেয় সেই উদ্দেশ্যে বারীরাকে সম্মত করাতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু বারীরা তা করেনি।

- সহীহ, বুখারী, মুসলিম

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। সাঈদের পিতার নাম মাহরান এবং তার উপনাম আবুন নাযর।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَرْأَةِ تُعْتَقُ وَلَهَا زَوْجٌ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، وَقَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ زَوْجَ، بَرِيرَةَ كَانَ عَبْدًا أَسْوَدَ لِبَنِي الْمُغِيرَةِ يَوْمَ أُعْتِقَتْ بَرِيرَةُ وَاللَّهِ لَكَأَنِّي بِهِ فِي طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَنَوَاحِيهَا وَإِنَّ دُمُوعَهُ لَتَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ يَتَرَضَّاهَا لِتَخْتَارَهُ فَلَمْ تَفْعَلْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ هُوَ سَعِيدُ بْنُ مِهْرَانَ وَيُكْنَى أَبَا النَّضْرِ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا عبدة، عن سعيد بن ابي عروبة، عن ايوب، وقتادة، عن عكرمة، عن ابن عباس، ان زوج، بريرة كان عبدا اسود لبني المغيرة يوم اعتقت بريرة والله لكاني به في طرق المدينة ونواحيها وان دموعه لتسيل على لحيته يترضاها لتختاره فلم تفعل ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وسعيد بن ابي عروبة هو سعيد بن مهران ويكنى ابا النضر ‏.‏


Ibn Abbas narrated:
“Barfahs husband was a black slave belonging to Banu Al-Mughirah. On the day that Barirah was freed. By Allah! It is as if I can see him in the streets of Al-Madinah behind her. Indeed tears were flowing down his beard while he was trying to get her to chose to stay with him, but she did not do it.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. বাচ্চার মালিক বিছানা

১১৫৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিছানার মালিকই বাচ্চার মালিক এবং ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর।

— সহীহ, বুখারী, মুসলিম

আবদুল্লাহ ইবনু আমর, বারাআ ইবনু আযিব এবং যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীগণ আমল করেছেন। উপরোক্ত হাদীসটি যুহরী-সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব ও আবু সালামা হতে আবু হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الْوَلَدَ لِلْفِرَاشِ ‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَائِشَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَعَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا سفيان، عن الزهري، عن سعيد بن المسيب، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الولد للفراش وللعاهر الحجر ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عمر وعثمان وعاىشة وابي امامة وعمرو بن خارجة وعبد الله بن عمرو والبراء بن عازب وزيد بن ارقم ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم ‏.‏ وقد رواه الزهري عن سعيد بن المسيب وابي سلمة عن ابي هريرة ‏.‏


Abu Hurairah narrated that The Messenger of Allah said:
“The child is for the bed, and for the fornicator is the stone.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৯। কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের ভাল লাগলে

১১৫৮। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, একটি মহিলাকে দেখার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাইনাব (রাঃ)-এর ঘরে যান এবং নিজের চাহিদা পূর্ণ করেন (সহবাস করেন)। তারপর বাইরে এসে বলেনঃ কোন মহিলা যখন আগমন করে সে শাইতানের বেশে আগমন করে। অতএব, কোন মহিলাকে দেখার পর তোমাদের কোন লোকের যদি তাকে ভাল লাগে তবে সে যেন নিজ স্ত্রীর নিকট যায়। কেননা, ঐ মহিলার যা আছে তার (স্ত্রীর)-ও তা আছে।

— সহীহ, সহীহা (২৩৫)

ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। হিশাম আদ-দাসতাওয়াঈর পিতার নাম সানবার।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَرَى الْمَرْأَةَ تُعْجِبُهُ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً فَدَخَلَ عَلَى زَيْنَبَ فَقَضَى حَاجَتَهُ وَخَرَجَ وَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَقْبَلَتْ أَقْبَلَتْ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ امْرَأَةً فَأَعْجَبَتْهُ فَلْيَأْتِ أَهْلَهُ فَإِنَّ مَعَهَا مِثْلَ الَّذِي مَعَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَهِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ هُوَ هِشَامُ بْنُ سَنْبَرٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الاعلى، حدثنا هشام بن ابي عبد الله، وهو الدستواىي عن ابي الزبير، عن جابر بن عبد الله، ان النبي صلى الله عليه وسلم راى امراة فدخل على زينب فقضى حاجته وخرج وقال ‏ "‏ ان المراة اذا اقبلت اقبلت في صورة شيطان فاذا راى احدكم امراة فاعجبته فليات اهله فان معها مثل الذي معها ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن مسعود ‏.‏ قال ابو عيسى حديث جابر حديث صحيح حسن غريب ‏.‏ وهشام الدستواىي هو هشام بن سنبر ‏.‏


Jabir (bin Abdullah) narrated:
“The Prophet saw a woman, then he went to Zainab to fulfill his need and he left. He said: ‘Indeed when the woman enters, she enters in the image of Shaitan. So when one of you sees a woman that he is fascinated with, then let him go to his wife, for indeed with her (his wife) is the same as that which is with her.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

১১৫৯। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কাউকে অন্য কোন লোকের প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। – হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ (১৮৫৩)

মুআয ইবনু জাবাল, সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জুশুম, আইশা, ইবনু আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা, তালক ইবনু আলী, উম্মু সালামা, আনাস ও ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَسُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى وَطَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا النضر بن شميل، اخبرنا محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لو كنت امرا احدا ان يسجد لاحد لامرت المراة ان تسجد لزوجها ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن معاذ بن جبل وسراقة بن مالك بن جعشم وعاىشة وابن عباس وعبد الله بن ابي اوفى وطلق بن علي وام سلمة وانس وابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن غريب من هذا الوجه من حديث محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن ابي هريرة ‏.‏


Abu Hurairah narrated that The Prophet said:
“If I were to order anyone to prostrate to anyone, then I would order the wife to prostrate to her husband.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬০

পরিচ্ছেদঃ ১০. স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

১১৬০। তলক ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক তার স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে ডাকলে সে যেন সাথে সাথে তার নিকট আসে, এমনকি সে চুলার উপর রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও।

— সহীহ, মিশকাত (৩২৫৭), সহীহা (১২০২)

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ملازم بن عمرو، قال حدثني عبد الله بن بدر، عن قيس بن طلق، عن ابيه، طلق بن علي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا الرجل دعا زوجته لحاجته فلتاته وان كانت على التنور ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Talq bin Ali narrated that The Messenger of Allah said:
“When a man calls his wife to fulfill his need, then let her come, even if she is at the oven.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ তালক ইবনে আলী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬১

পরিচ্ছেদঃ ১০. স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

১১৬১৷ উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন নারী তার স্বামীকে খুশী রেখে মারা যায় সে জান্নাতে যাবে। - যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৮৫৪)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ مُسَاوِرٍ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا واصل بن عبد الاعلى الكوفي، حدثنا محمد بن فضيل، عن عبد الله بن عبد الرحمن ابي نصر، عن مساور الحميري، عن امه، عن ام سلمة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ايما امراة ماتت وزوجها عنها راض دخلت الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Umm Salamah narrated that The Messenger of Allah said:
“Whichever woman dies while her husband is pleased with her, then she enters Paradise.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬২

পরিচ্ছেদঃ ১১. স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার

১১৬২। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলিম হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে অতি উত্তম।

– হাসান সহীহ, সহীহা (২৮৪)

আইশা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ عَلَى زَوْجِهَا

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ خُلُقًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء حدثنا عبدة بن سليمان، عن محمد بن عمرو، حدثنا ابو سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اكمل المومنين ايمانا احسنهم خلقا وخياركم خياركم لنساىهم خلقا ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة وابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that The Messenger of Allah said:
“The most complete of the believers in faith, is the one with the best character among them. And the best of you are those who are best to your women.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১১. স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার

১১৬৩। সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রাহঃ) হতে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত আছে, বিদায় হাজ্জের সময় তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন।

এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। তোমাদের নিকট তারা বন্দীর মত। তাছাড়া তোমাদের আর কোন অধিকার নেই তাদের উপর, কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট চরিত্রহীনতায় লিপ্ত হয় (তবে ভিন্ন কথা)। তারা যদি তাই করে তাহলে তাদের বিছানাকে আলাদা করে দাও এবং সামান্য প্রহার কর, মারাত্মক প্রহার নয়। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তাহলে তাদেরকে নির্যাতনের অজুহাত খুঁজতে যেও না। জেনে রাখ! তোমাদের যেমন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি অধিকার আছে, তাদেরও তোমাদের প্রতি ঠিক সেরকমই অধিকার আছে। তাদের প্রতি তোমাদের অধিকার এই যে, তোমরা যাদেরকে পছন্দ কর না তারা যেন সেসব লোককে দিয়ে তোমাদের বিছানা পদদলিত না করায় এবং যেসব অনুমতি না দেয়। জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। - হাসান, ইবনু মাজাহ ১৮৫১

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। “আওয়ানুন ইনদাকুম" অর্থাৎ ’তোমাদের নিকট বন্দী’।

باب مَا جَاءَ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ عَلَى زَوْجِهَا

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٌ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً أَلاَ إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقًّا وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ أَلاَّ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلاَ يَأْذَنَّ فِي بُيُوتِكُمْ لِمَنْ تَكْرَهُونَ أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏"‏ عَوَانٌ عِنْدَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي أَسْرَى فِي أَيْدِيكُمْ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا الحسين بن علي الجعفي، عن زاىدة، عن شبيب بن غرقدة، عن سليمان بن عمرو بن الاحوص، قال حدثني ابي انه، شهد حجة الوداع مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله واثنى عليه وذكر ووعظ فذكر في الحديث قصة فقال ‏"‏ الا واستوصوا بالنساء خيرا فانما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيىا غير ذلك الا ان ياتين بفاحشة مبينة فان فعلن فاهجروهن في المضاجع واضربوهن ضربا غير مبرح فان اطعنكم فلا تبغوا عليهن سبيلا الا ان لكم على نساىكم حقا ولنساىكم عليكم حقا فاما حقكم على نساىكم الا يوطىن فرشكم من تكرهون ولا ياذن في بيوتكم لمن تكرهون الا وحقهن عليكم ان تحسنوا اليهن في كسوتهن وطعامهن ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ومعنى قوله ‏"‏ عوان عندكم ‏"‏ ‏.‏ يعني اسرى في ايديكم ‏.‏


Sulaiman bin Amr bin Al-Ahwas said:
“My father narrated to me that he witnessed the farewell Hajj with the Messenger of Allah. So he thanked and praised Allah and he reminded and gave admonition. He mentioned a story in his narration and he (the Prophet) said: “And indeed I order you to be good to the women, for they are but captives with you over whom you have no power than that, except if they come with manifest Fahishah (evil behavior). If they do that, then abandon their beds and beat them with a beating that is not harmful. And if they obey you then you have no cause against them. Indeed you have rights over your women, and your women have rights over you. As for your rights over your women, then they must not allow anyone whom you dislike to treat on your bedding (furniture), nor to admit anyone in your home that you dislike. And their rights over you are that you treat them well in clothing them and feeding them.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১২. গুহ্যদ্বারে সংগম করা নিষেধ

১১৬৪। আলী ইবনু ত্বালক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন লোক মাঠেঘাটে বা জংগলে থাকে। এ অবস্থায় যদি তার পেট হতে বায়ু বের হয় এবং (তার নিকটে) সামান্য পানি থাকে (তবে সে কি করবে)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কারো বায়ু বের হলে সে যেন ওযু করে। তোমরা নারীদের পশ্চাৎদ্বারে সহবাস কর না। আল্লাহ তা’আলা হাক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না।

যঈফ, মিশকাত (৩১৪, ১০০৬)

এ অনুচ্ছেদে উমার, খুযাইমা ইবনু সাবিত, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আলী ইবনু ত্বালক (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, আলী ইবনু ত্বালকের বর্ণিত এই একটি মাত্র হাদীস ছাড়া তার সূত্রে বর্ণিত আর কোন হাদীস আছে কি-না তা আমি জানি না। এটি ত্বালক ইবনু আলী আস-সুহাইমীর হাদীসও নয়। তার মতে তিনি অন্য কোন সাহাবী হবেন। ওয়াকীও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عِيسَى بْنِ حِطَّانَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ أَتَى أَعْرَابِيٌّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ مِنَّا يَكُونُ فِي الْفَلاَةِ فَتَكُونُ مِنْهُ الرُّوَيْحَةُ وَيَكُونُ فِي الْمَاءِ قِلَّةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا فَسَا أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلاَ تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَعْجَازِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ لاَ أَعْرِفُ لِعَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ الْوَاحِدِ وَلاَ أَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ حَدِيثِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ السُّحَيْمِيِّ ‏.‏ وَكَأَنَّهُ رَأَى أَنَّ هَذَا رَجُلٌ آخَرُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، وهناد، قالا حدثنا ابو معاوية، عن عاصم الاحول، عن عيسى بن حطان، عن مسلم بن سلام، عن علي بن طلق، قال اتى اعرابي النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله الرجل منا يكون في الفلاة فتكون منه الرويحة ويكون في الماء قلة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا فسا احدكم فليتوضا ولا تاتوا النساء في اعجازهن فان الله لا يستحيي من الحق ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عمر وخزيمة بن ثابت وابن عباس وابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث علي بن طلق حديث حسن ‏.‏ وسمعت محمدا يقول لا اعرف لعلي بن طلق عن النبي صلى الله عليه وسلم غير هذا الحديث الواحد ولا اعرف هذا الحديث من حديث طلق بن علي السحيمي ‏.‏ وكانه راى ان هذا رجل اخر من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Ali bin Talq narrated that A Bedouin came to the Prophet and said:
“O Messenger of Allah! A man among us would be in the desert and a small smell would come from him, (what should he do) while the water is scarce? So the Messenger of Allah said: “When one of you breaks wind then let him perform Wudu, and do not go into your women in their behinds for indeed Allah is not shy of the truth.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
১১৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. গুহ্যদ্বারে সংগম করা নিষেধ

১১৬৫৷ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মলদ্বারে সংগম করে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ তা’আলা তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। — হাসান, মিশকাত (৩১৯৫)

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। ওয়াকীও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى رَجُلاً أَوِ امْرَأَةً فِي الدُّبُرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى وَكِيعٌ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، حدثنا ابو خالد الاحمر، عن الضحاك بن عثمان، عن مخرمة بن سليمان، عن كريب، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا ينظر الله الى رجل اتى رجلا او امراة في الدبر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وروى وكيع هذا الحديث ‏.‏


Ibn Abbas narrated that The Messenger of Allah said:
“Allah will not look at a man who enters a man or a woman in the behind.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ শিশুর দুধপান (كتاب الرضاع) 10. The Book on Suckling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »