বিবরণ: রোগীর মধ্যে এমন কিছু উপসর্গ পাওয়া যায়, যার কারণে রোগীর পাছায় সাপোজিটোরি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এতে অর্শ রোগের ব্যথা কমে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা নেমে যাওয়াসহ আরো অনেক উপকার হয়। অনুরূপভাবে মহিলাদেরকে কোনো কোনো সময় তাদের লজ্জাস্থানে সাপোজিটোরি, ডুশ (Douche), কল্পোস্কোপ (Colposcope) দিতে হয়। এক্ষণে এসব সাপোজিটোরি সাওমে কোনো প্রভাব ফেলবে কি?
হুকুম: আগেকার ফকীহগণ মহিলাদের সামনের রাস্তা দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা আকারে কোনো তরল পদার্থ দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে তা তাদের সাওমে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে তাদের দুই ধরণের মত পাওয়া যায়:
প্রথম মত: মালেকী এবং হাম্বলীদের মতে, কোনো মহিলা তার সামনের রাস্তায় কোনো তরল পদার্থ দিলে তা তার সাওম ভঙ্গ করবে না। কেননা মেয়েদের যোনির সাথে পাকস্থলীর কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া তা দেহের অন্যান্য বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতই।
দ্বিতীয় মত: হানাফী এবং শাফে‘ঈদের মতে, কোনো মহিলা তার সামনের রাস্তায় কোনো তরল পদার্থ দিলে তা তার সাওম নষ্ট করবে। কেননা মেয়েদের মূত্রাশয়ের সাথে পাকস্থলীর যোগসূত্র রয়েছে। কানে কোনো তরল পদার্থ দিলে যেমন সাওম ভেঙ্গে যাবে, এক্ষেত্রেও বিধান একই।
উপরোক্ত মতানৈক্যের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, প্রথম মতানুযায়ী এসব সাপোজিটোরি সাওমে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ‘আন্তর্জাতিক ফিক্বহ একাডেমী’ এই পক্ষ সমর্থন করেছে। শাইখ মুহাম্মাদ উসাইমীনও এই ফাতওয়া দিয়েছেন।
তবে দ্বিতীয় মতানুযায়ী, এসব সাপোজিটোরি সাওম ভঙ্গ করবে।