বান্দা সকল কাজে তার রবের সাথে সততা বজায় রাখা ও দৃঢ়প্রত্যয়ী থাকার চেয়ে অধিক উপকারী কিছুই নেই। সে তার সিদ্ধান্তে ও কাজে-কর্মে কৃত ওয়াদা সত্যে পরিণত করতে দৃঢ় সংকল্প থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَإِذَا عَزَمَ ٱلۡأَمۡرُ فَلَوۡ صَدَقُواْ ٱللَّهَ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ ٢١ ﴾ [محمد : ٢١]
“অতঃপর যখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়, তখন যদি তারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা সত্যে পরিণত করত, তবে তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২১]
কৃত সংকল্প ও কর্ম বাস্তবতায় পরিণত করার মধ্যেই রয়েছে বান্দার সুখ-সৌভাগ্য। অতএব, সংকল্প সত্যে পরিণত বলতে বুঝায় একে একত্রিত করা, দৃঢ়ভাবে সংকল্প করা এবং এ ব্যাপারে দ্বিধা-সংশয় না করা; বরং এমন দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করা যাতে সংশয়ের কোন লেশ থাকবে না এবং গড়িমসিও থাকবে না। যখন তোমার সংকল্প সত্যিকারে হলো এখন কাজ বাস্তবে পরিণত করা অবশিষ্ট রইল। আর কাজ সত্যে পরিণত করতে হলে তাকে শক্তি ও সামর্থ ব্যয় করতে হবে এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কোন অবস্থাতেই পিছ পা হওয়া যাবে না। অতএব, নিয়াতের দৃঢ়তা তাকে দুর্বল ইচ্ছা ও হিম্মতের বাঁধাদানকারী এবং কাজ সত্যে পরিণত করার সংকল্প তাকে অলসতা ও দুর্বলতা প্রকাশে বাঁধা প্রদান করে।
যে ব্যক্তি সব কাজে আল্লাহর সাথে ওয়াদা পালনে দৃঢ় সংকল্প ও সততা দেখায়, তখন তিনি অন্যদের জন্য যা কিছু দান করেন তার চেয়েও বেশি তাকে দান করেন। এ সততা মানে যা সঠিক ইখলাস ও সঠিক তাওয়াক্কুরের সাথে একত্রিত হয়। অতএব, সর্বাধিক সৎব্যক্তি তিনি যিনি ইখলাস ও তাওয়াক্কুলে সর্বাধিক বিশুদ্ধ।