চরম মূর্খ সে ব্যক্তি যে মানুষের কাছে আল্লাহর ব্যাপারে নালিশ করে। এ মূর্খতা হলো চরম মূর্খতা। কেননা সে জানে না কার কাছে নালিশ করতে হবে এবং কার বিরুদ্ধে নালিশ করতে হবে। সে যদি তার রবকে যথাযথভাবে জানত তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সে কোনো অভিযোগ করত না। অন্যদিকে সে যদি মানুষকে সঠিকভাবে চিনত তাহলে তার কাছেও আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করত না।
একজন সৎপূর্বসূরী থেকে বর্ণিত আছে, ‘একব্যক্তি আরেকব্যক্তির কাছে তার অভাব-অভিযোগের কথা বলল। তার কথা শুনে লোকটি বলল, হে ভাই, আল্লাহর কসম, যে তোমাকে কোনো রহমত করে না তার কাছে যিনি তোমার ওপর রহমত করেন তাঁর ব্যাপারে অভিযোগ করছ। তখন তাকে বলা হলো,
তুমি যখন বনী আদমের কাছে তোমার অভাবের অভিযোগ করছ, তখন তুমি মূলত যে তোমাকে কোনো দয়া করে না তার কাছে যিনি তোমাকে দয়া করেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছ।’
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٖ فَبِمَا كَسَبَتۡ أَيۡدِيكُمۡ٣٠﴾ [الشورى: ٣٠]
“আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৩০]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,
﴿وَمَآ أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٖ فَمِن نَّفۡسِكَ٧٩﴾ [النساء : ٧٩]
“আর যে অকল্যাণ তোমার কাছে পৌঁছে তা তোমার নিজের পক্ষ থেকে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৭৯]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,
﴿أَوَلَمَّآ أَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةٞ قَدۡ أَصَبۡتُم مِّثۡلَيۡهَا قُلۡتُمۡ أَنَّىٰ هَٰذَاۖ قُلۡ هُوَ مِنۡ عِندِ أَنفُسِكُمۡۗ١٦٥﴾ [ال عمران: ١٦٥]
“আর যখন তোমাদের ওপর বিপদ এল, (অথচ) তোমরা তো এর দ্বিগুণ বিপদে আক্রান্ত হলে (বদর যুদ্ধে)। তোমরা বলেছিলে এটা কোত্থেকে? বল, ‘তা তোমাদের নিজদের থেকে।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৫]
অতএব, এখানে অভিযোগের তিনটি স্তর রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
সবচেয়ে নিকৃষ্ট অভিযোগ হচ্ছে, সৃষ্টির কাছে আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া।
সর্বোচ্চ স্তরের হলো, আল্লাহর কাছে নিজের অভিযোগ দেওয়া।
মধ্যম স্তরের অভিযোগ হলো, তাঁর কাছে তাঁর সৃষ্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া।