ঈমানের রয়েছে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিষয়। এর প্রকাশ্য দিক হলো জবানের দ্বারা সাক্ষ্য দেওয়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা আমল করা এবং অপ্রকাশ্য দিক হচ্ছে, অন্তরে ঈমানের সত্যায়ন করা, ঈমানের চাহিদানুযায়ী আত্মসমর্পণ করা ও ঈমানকে ভালোবাসা। অতএব, বাহ্যিক ঈমান কোনো উপকারে আসবে না যদি ঈমাননের অপ্রকাশ্য দিকগুলো ঠিক না হয়; যদিও এ ঈমান তাকে রক্তপাত থেকে বিরত রাখবে, তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির নিরাপত্তা দিবে। অন্যদিকে অপ্রকাশ্য ঈমানও যথেষ্ট হবে না যতক্ষণ বাহ্যিক ঈমান ঠিক না হবে; তবে হ্যাঁ, ব্যক্তি যদি কোনো কারণে অক্ষম হয় বা বাধ্য হয় বা জীবন নাশের আশঙ্কা থাকে। সুতরাং প্রকাশ্য আমল গোপনীয় আমলের বিপরীত হলে এবং এর সাথে প্রকাশ্য আমল করা থেকে বিরত রাখার দলীল না থাকে তাহলে তার অপ্রকাশ্য আমল নষ্ট বলে বিবেচিত হবে ও তাকে ঈমানহীন বলা হবে। প্রকাশ্য আমলের ত্রুটি অপ্রকাশ্য ঈমানের ত্রুটির প্রমাণ। এমনিভাবে প্রকাশ্য আমলের জোরদারী অপ্রকাশ্য আমলের জোরদারীর প্রমাণ।
অতএব, ঈমান হলো ইসলামের মূলবিন্দু ও সারাংশ। আর ইয়াকীন হলো ঈমানের হৃৎপিণ্ড ও শ্রেষ্ঠাংশ। যে ইলম ও আমল ঈমান ও ইয়াকীনকে বৃদ্ধি করে না তা প্রকৃত ইলম ও আমল নয়; আবার যে ঈমান আমলের প্রতি উৎসাহিত করে না তাও প্রকৃত ঈমান নয়।