ব্যাখ্যা: অর্থাৎ ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার মাধ্যমে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চাইতো। যেমন আরাফায় অবস্থানের পরিবর্তে মুযদালিফায় অবস্থান করা। তারা ধারণা করতো যে, এটাই আল্লাহ ভীতি। কেননা, তারা ছিল হেরেমের অধিবাসী, তাই আরাফার দিকে তারা গমন করতো না। কারণ আরাফা হলো তাদের ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়ার জায়গা। তাই সতর্ক হয়ে এ হক্বকে তারা বর্জন করতো। এটাও জাহিলী কর্ম। আমরা আল্লাহ তা‘আলার নিকট এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
এরূপই সতর্কতা স্বরূপ জাহিল কর্তৃক হক্ব বর্জন করার আরো দৃষ্টান্ত হলো যে, তারা নগ্ন হয়ে কাবা তাওয়াফ করতো এবং লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার হক্বকে তারা বর্জন করতো, যা (ঢেকে রাখা) আল্লাহ ভীতির অন্তর্ভুক্ত। তারা বলতো,
لا نطوف بثياب عصينا الله فيها
আমরা পোষাক পরিহিত অবস্থায় তাওয়াফ করবো না, তাতে আমরা আল্লাহর অবাধ্য হয়ে যাব।[1]
অনুরূপ যে কেউ ইবাদতের কোন অংশ সতর্কতা স্বরূপ বর্জন করে, সে ঐ ব্যক্তির মতই যে লোকদের ইবাদত দেখা এবং ইবাদতের কথা শ্রবণের ভয়ে যাকাত দেয় না এবং জামা‘আতের সাথে মসজিদে ছ্বলাত আদায় করে না। যেমন আমরা তাদের কতিপয়ের নিকট থেকে শুনে থাকি। অথবা তারা দীনি জ্ঞান অর্জন করে না অথবা লোক দেখার শঙ্কায় ইবাদতের বিভিন্ন বিষয় ছেড়ে দেয়।