রাহে বেলায়াত তৃতীয় অধ্যায় - দৈনন্দিন যিকর ওযীফা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
সকালের যিকর: দ্বিতীয় পর্যায় - ফরয সালাতের পরে পালনীয় ২৯ টি মাসনূন যিকর ও মুনাজাত (১ থেকে ২০ পর্যন্ত)

(১). যিকর নং ৭১ : (৩ বার) (أستغفر الله)

(পূর্বোক্ত ১৫ নং যিকর) (৩ বার।)


(২). যিকর নং ৭২ : (সালাতের পরের যিকর)

اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلامُ وَمِنْكَ السَّلامُ ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসম্মানের অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।” (এক বার)

সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাত শেষে তিন বার ইস্তিগফার বলে এরপর “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ... “ বলতেন।[1] “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম...” সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।


এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশে অনেকেই (إليك يرجع السلام فحينا ربنا بالسلام وأدخلنا دار السلام) ইত্যাদি বলেন। এ সকল শব্দ কোনো সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি। মুল্লা আলী কারী হানাফী (১০১৪ হি), আল্লামা আহমদ ইবনু মুহাম্মাদ তাহতাবী হানাফী (১২৩১ হি) প্রমুখ আলিম উল্লেখ করেছেন যে, এই অতিরিক্ত বাক্যগুলি ভিত্তিহীন বানোয়াট কথা। কিছু ওয়ায়েজ এগুলি বানিয়েছেন।[2] আল্লাহই ভালো জানেন।


এই বাক্যগুলির অর্থে কোনো দোষ নেই। বলাও না-জায়েয নয়। তবে বলা কোনো অবস্থাতেই সুন্নাত না, বরং সুন্নাতের বাইরে ও সুন্নাতের অতিরিক্ত। মাসনূন বা সুন্নাত-সম্মত দু‘আই উত্তম। এছাড়া সুন্নাতের বাইরে দু‘আ জায়েয হলেও তা রীতিতে পরিণত করলে সুন্নাতের বিপরীতে বিদ‘আতে পরিণত হবে। সর্বোপরি মাসনূন দু‘আ ও যিকরের মধ্যে মনগড়া বাক্যাদি সংযোগ করে তার বিকৃতি করা মোটেও ঠিক নয়। মাসনূন দু‘আ ও যিকরকে মাসনূন শব্দে হুবহু রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মতো আদায় করা উচিত। আল্লাহ আমাদেরকে শুধু সুন্নাতে পরিতৃপ্ত থাকার তাওফীক দিন।


(৪) যিকর নং ৭৩ : (সালাতের পরের যিকর)

لَا إِلَهَ إلا الله وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ له له الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وهو على كل شَيْءٍ قَدِيرٌ اللهم لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ ولا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ولا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ


উচ্চারনঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া‘হদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল ‘হামদ, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর। আল্লা-হুম্মা, লা- মা-নি‘আ লিমা- আ‘অ্‌ত্বইতা, ওয়ালা- মু‘অ্‌ত্বিয়া লিমা- মানা‘অ্তা, ওয়ালা- ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থঃ “আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ, আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আর আপনি যা না দেন তা দেওয়ার ক্ষমতাও কারো নেই। কোনো পরিশ্রমকারীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে কোনো উপকারে লাগে না।”

মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) বলেনঃ

إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا قضى صلاته فسلم قال ...، وفي رواية: كان يقول في دبر كل صلاة إذا سلم


“রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক সালাতের সালামের পরেই এই যিকরটি বলতেন।”[3]


(৫) যিকর নং ৭৪ : (সালাতের পরের যিকর)

لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ لَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةِ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءِ الْحَسَنِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ، وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ


উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হ্‌দাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়া হুআ ‘আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর। লা- ‘হাওলা ওয়ালা- ক্বুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ, লা- না‘অ্বুদু ইল্লা- ইইয়া-হু। লাহুন নি‘অ্মাতু, ওয়া লাহুল ফাদ্ব্লু, ওয়ালাহুস সানা-উল ‘হাসান। লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।


অর্থঃ “আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর দ্বারা ও আল্লাহর মাধ্যম ছাড়া কোনো অবলম্বন নেই এবং কোনো ক্ষমতা নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না। নিয়ামত তাঁরই, দয়া তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। আমাদের দ্বীন বিশুদ্ধভাবে শুধুমাত্র তাঁরই জন্য, এতে যদিও কাফিরগণ অসন্তুষ্ট হয়।”

আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) নিজে সর্বদা প্রত্যেক সালাতের পরে উক্ত যিকরটি পাঠ করতেন এবং বলতেনঃ

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول هؤلاء الكلمات دبر كل صلاة


রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক সালাতের পরে এই কথাগুলি বলতেন।”[4]


(৬). যিকর নং ৭৫ : আয়াতুল কুরসী ১ বার :

আবু উমামাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

من قرأ آية الكرسي دبر كل صلاة لم يمنعه من دخول الجنة إلا أن يموت


“যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাঁর জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।”[5]

অন্য হাদীসে হাসান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

من قرأ آية الكرسي في دبر صلاة المكتوبة كان في ذمة الله إلى الصلاة الأخري


“যে ব্যক্তি ফরয সালাতের শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে পরবর্তী সালাত পর্যন্ত আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।”[6]


(৭). যিকর নং ৭৬: সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ১ বার:

উকবা ইবনু আমির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রত্যেক সালাতের পরে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করতে। দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে প্রত্যেক সালাতের পরে মুআওয়িযাত, (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[7]

এছাড়া অন্য হাদীসে এই তিনটি সূরা তিন বার করে সকালে ও সন্ধ্যায় পাঠের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা পরে আমরা আলোচনা করব; ইনশা আল্লাহ।


(৩). যিকর নং ৭৭ : (১০০ বা ৪০০ তাসবীহ)

৩৩ বার “সুব’হানাল্লাহ” , ৩৩ বার “আল’হামদুলিল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার”। - এই যিকরগুলির বিষয়ে বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বিভিন্ন সংখ্যা বলা হয়েছে। উপরের সংখ্যাটিই বেশি প্রসিদ্ধ। সর্বোচ্চ সংখ্যা ৪০০ বার ; ১০০ বার “সুবহানাল্লাহ”, ১০০ বার “আলহামদুলিল্লাহ”, ১০০ বার “আল্লাহু আকবার” এবং ১০০ বার “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। সর্বনিম্ন সংখ্যা ৩০ বার ; ১০ বার “সুবহানাল্লাহ”, ১০ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ১০ বার “আল্লাহু আকবার”।


যিকর নং ৭৮ : (সালাতের পরের দু’আ)

رب قني عذابك يوم تبعث (تجمع) عبادك


উচ্চারণঃ রাব্বি ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবা-দাকা।

অর্থঃ “হে আমার প্রভু, আমাকে রক্ষা করুন আপনার শাস্তি থেকে যেদিন আপনি পুনরুত্থিত করবেন আপনার বান্দাগণকে।” (একবার)


বারা ইবনু আযিব (রাঃ) বলেনঃ

كنا إذا صلينا خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم أحببنا أن نكون عن يمينه يقبل علينا بوجهه قال فسمعته يقول حين انصرف

“আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পিছনে সালাত পড়তাম তখন তাঁর ডান দিকে দাঁড়াতে পছন্দ করতাম। তিনি সালাত শেষে আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন। আমি শুনলাম তিনি সালাত শেষে ফেরার সময় উক্ত দু’আটি বললেন।”[8]


যিকর নং ৭৯ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، وَعَذَابِ الْقَبْرِ


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি।

অর্থঃ “হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রর্থনা করছি কুফরি থেকে ও দারিদ্র থেকে এবং আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে।”

আবু বাকরার (রাঃ) ছেলে মুসলিম বলেন, আমার পিতা সালাতের পরে এই দু‘আটি পাঠ করতেন এবং তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দু‘আটি সালাতের পরে পাঠ করতেন। তিনি ছেলেকে আরো বলেনঃ তুমি এই দু'আটি নিয়মিত পড়বে।[9]


(১০) যিকর নং ৮০ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা, আ‘ইন্নী ‘আলা- যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবা-দাতিকা।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার যিকর করতে, শুকর করতে এবং আপনার ইবাদত সুনদরভাবে করতে তাওফীক ও ক্ষমতা প্রদান করুন।”

মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার হাত ধরে বলেন, মু’আয, আমি তোমাকে ভালবাসি। ... মু’আয, আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি, প্রত্যেক সালাতের পরে এই দু‘আটি বলা কখনো বাদ দিবে না।[10]

যিকর নং ৮১ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللَّهُمَّ إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنَ البُخْلِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأعُوذُ بِكَ أنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা, ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা আন উরাদ্দা ইলা- আরযালিল উমুরি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া-, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা থেকে, আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি কাপুরুষতা থেকে, আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি অপমানকর অতি বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছান থেকে, (যে বয়সে মানুষ কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে), আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিতনা থেকে, আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে।”


সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেনঃ (إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يتعوذ بهن بعد كل صلاة - دبر الصلاة) রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক সালাতের পরে এই বাক্যগুলি দ্বার দু’আ করতেন।”[11]


(১২) যিকর নং ৮২ : (সালাতের পরের দু’আ)

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَما أَخَّرْتُ، وَما أَسْرَرْتُ وَما أَعْلَنْتُ، وَما أَسْرَفْتُ، وَما أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা- ক্বাদ্দামতু, ওয়ামা- আখখারতু, ওয়ামা- আসরারতু, ওয়া মা- আ‘অ্লানতু, ওয়ামা- আসরাফতু, ওয়ামা- আনতা আ‘অ্লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু, ওয়া আনতাল মুআখখিরু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য ক্ষমা করুন আমি আগে যা করেছি এবং আমি পরে যা করেছি, আমি গোপনে যা করেছি এবং আমি প্রকাশ্যে যা করেছি এবং আমি বাড়াবাড়ি করে যা করেছি এবং যা আপনি আমার চেয়েও বেশি ভালো জানেন। আপনিই অগ্রবর্তী করেন, আপনিই পিছিয়ে দেন। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।”

আলী (রাঃ) বলেনঃ (كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا فرغ من الصلاة وسلم قال ...) “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত শেষে সালাম বলতেন তখন এ কথাগুলি বলতেন।”[12]


সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে সংকলিত এই হাদীসের অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাশাহ্‌হুদের শেষে সালামের পূর্বে এই দু‘আটি পড়তেন। সনদের দিক থেকে দুটি বর্ণনাই গ্রহণযোগ্য, তবে মুসলিমের বর্ণনা অধিক শক্তিশালী। সম্ভবত তিনি সাধারণত সালামের আগে ও কখনো পরে এই দু‘আটি পড়তেন।[13]


(১৩) যিকর নং ৮৩ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم أصلح لي ديني الذي جعلته عصمة أمري وأصلح لي دنياي التي جعلت فيها معاشي اللهم إني أعوذ برضاك من سخطك، وبعفوك من نقمتك ، وأعوذ بك منك اللهم لا مانع لما أعطيت ولا معطي لما منعت ولا ينفع ذا الجد منك الجد


উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা, আস্বলি‘হ লী দীনিয়াল লাযী জা‘আলতাহু ‘ইস্বমাতা আমরী। ওয়া আস্বলি‘হ লী দুন্ইয়া-ইয়াল্ লাতী জা‘আলতা ফীহা মা‘আ-শী। আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আ‘ঊযু বি রিদা-কা মিন সাখাতিক্বা ওয়াবি ‘আফ্‌বিকা মিন নাক্বামাতিকা ওয়া আঊযু বিকা মিনকা। আল্লা-হুম্মা, লা- মা-নি‘আ লিমা- আ‘অ্ত্বাইতা, ওয়ালা- মু‘অ্ত্বিয়া লিমা মানা‘অ্তা, ওয়া লা- ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।


অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমার দ্বীনকে সংশোধিত-কল্যাণময় করুন, যাকে আপনি আমার রক্ষাকবজ বানিয়েছেন এবং আমার পার্থিব জীবনকে সংশোধিত করুন, যাতে আমার জীবন ও জীবিকা রয়েছে। হে আল্লাহ, আমি আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আপনার সন্তুষ্টির নিকট, আপনার শাস্তি থেকে আপনার ক্ষমার নিকট এবং আপনার থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেন তা ঠেকানোর কেউ নেই। এবং আপনি যা প্রদান না করেন তা প্রদান করার ক্ষমতাও কারো নেই। এবং কোনো পারিশ্রমকারীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে তার কোনো উপকারে লাগে না।”

কা’ব বলেন, তাওরাতে আছে যে, দাউদ যখন সালাত শেষ করতেন তখন এই দু’আ পাঠ করতেন। তখন সুহাইব (রাঃ) বলেন, (إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقولوهن عند انصرافه من صلاته) রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাত শেষ করার সময় এই দু’আ বলতেন। হাদীসটির সনদ মোটামুটি গ্রহণযোগ্য।[14]

অন্য একটি যয়ীফ সনদে বর্ণিত হয়েছেঃ

كان صلى الله عليه إذا صلى الصبح يرفع صوته حتى يسمع أصحابه يقول ... ثلاثا


“রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন ফজরের সালাত শেষ করতেন তখন জোরে শব্দ করে তাঁর সাহাবীগণকে শুনিয়ে এই দু’আটি তিন বার পাঠ করতেন।[15]

(১৪) যিকর নং ৮৪ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم بك أحاول وبك أقاتل وبك أصاول


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বিকা উ‘হা-বিলু, ওয়াবিকা উক্বা-তিলু, ওয়াবিকা উসা-বিলু।

অর্থঃ “হে আল্লাহ, আমি আপনার সাহায্যেই চেষ্টা করি, আপনার সাহায্যেই যুদ্ধ করি এবং আপনার সাহায্যে বীরত্ব প্রদর্শন করি ও বিজয়ী হই।”

সুহাইব (রাঃ) বলেনঃ (كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى همس شيئا (حرك شفتيه) لانفهمه) “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত আদায় করতেন তখন তিনি ঠোঁট নাড়তেন বা বিড়বিড় করে কিছু বলতেন যা আমরা বুঝতাম না। তখন সাহাবীগণ প্রশ্ন করলে তিনি এই বলেন যে, তিনি এই দু‘আটি পাঠ করেন। অন্য বর্ণনায়ঃ

كان أيام حنين يحرك شفتيه بشيء بعد صلاة الفجر


“তিনি হুনাইনের যুদ্ধের সময় ফজরের সালাতের পরে কিছু বলে তাঁর ঠোঁট নাড়াচ্ছিলেন।” সাহাবীগণ তাঁকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তিনি এই দু‘আটি পাঠ করছেন।[16]


(১৫) যিকর নং ৮৫ : (সালাতের পরের দু‘আ-১০০ বার)

اللهم اغفر لي وتب علي إنك أنت التواب الرحيم - التواب الغفور


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়াতুব্ ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্‌তাত তাওয়া-বুর রাহীম (অন্য বর্ণনায়: [তাওয়াবুল গাফূর])।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল করুণাময় (অন্য বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল)।”

একজন আনসারী সাহাবী বলেনঃ (سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في دبر الصلاة) “আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে সালাতের পরে এই দু’আ বলতে শুনেছি ১০০ বার।”

এই হাদীসের দ্বিতীয় বর্ণনায় বলা হয়েছে:

صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الضحي (ركعتي الضحي) ثم قال ...


“রাসূলুল্লাহ (সা.) দোহার বা চাশতের [দুই রাক’আত] সালাত আদায় করেন। এরপর এই দু‘আ ১০০ বার পাঠ করেন।”

দুটি বর্ণনাই সহীহ। প্রথম বর্ণনা অনুসারে সকল সালাতের পরেই এই দু‘আ মাসনূন বলে গণ্য হবে। তবে অন্তত ‘সালাতুদ দোহার’ পরে এই দু‘আটি ১০০ বার পাঠ করার বিষয়ে সকল যাকিরের মনোযোগী হওয়া উচিত।[17]


(১৬) যিকর নং ৮৬ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَخَطَايَايَ كُلَّهَا ، اللَّهُمَّ أَنْعِشْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي لِصَالِحِ الأَعْمَالِ وَالأَخْلاقِ ، إِنَّهُ لا يَهْدِي لِصَالِحِهَا ، وَلا يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلا أَنْتَ


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগফিরলী যুনূবী ওয়া খাত্বা-ইয়া-ইয়া কুল্লাহা, আল্লা-হুম্মা, আন‘ইশনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াহদিনী লিস্বা-লিহিল আ‘অ্মা-লি ওয়াল্ আখলা-ক, ইন্নাহু লা- ইয়াহদী লি স্বা-লিহিহা-, ওয়ালা- ইয়াসরিফু সাইয়িয়াহা ইল্লা- আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমার সকল ভুল ও গোনাহ ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করুন, আমাকে পূর্ণ করুন এবং আমাকে উত্তম কর্ম ও আচরণের তাওফীক প্রদান করুন; কারণ আপনি ছাড়া আর কেউ উত্তম কর্ম ও ব্যবহারের পথে নিতে পারে না বা খারাপ কর্ম ও আচরণ থেকে রক্ষা করতে পারে না।

আবু উমামা (রাঃ) ও আবু আইউব (রাঃ) বলেন, “ফরয ও নফল যে কোনো সালাতে তোমাদের নবীর (সা.) কাছে যখনই গিয়েছি, তখনই শুনেছি তিনি সালাত শেষে ঘুরার বা উঠার সময় এই দু‘আটি বলেছেন।” হাফিয হাইসামী উল্লেখ করেছেন যে, হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।[18]


(১৭) যিকর নং ৮৭ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم اصلح لي ديني ووسع لي في داري وبارك لي في رزقي


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, আস্ব্লি‘হ লী দ্বীনী, ওয়া ওয়াস্‌সি‘য়্ লী ফী দা-রী ওয়া বা-রিক লী ফী রিযকী।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমার ধর্মজীবনকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর করে দিন, আমার বাড়িকে প্রশস্ত করে দিন এবং আমার রিযিকে বরকত দান করুন।”

আবু মূসা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে ওযুর পানি এনে দিলাম। তখন তিনি ওযু করেন, সালাত আদায় করেন এবং তিনি এই দু‘আ পাঠ করেন। হাইসামী হাদীসটির সনদ সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।[19]


(১৮) যিকর নং ৮৮ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم رب جبريل وميكائيل وإسرافيل أعذني من حر النار وعذاب القبر


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, রাব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইসরা-ফীলা, আ‘ইযনী মিন হাররিন না-রি ওয়া ‘আযা-বিল ক্বাবরি।

অর্থঃ “হে আল্লাহ, জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু, আমাকে জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ ও কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাতের শেষে সর্বদা এই দু’আ করতেন। হাইসামী ভাষ্যমতে হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।[20]


(১৯) যিকর নং ৮৯ : (সালাতের পরের দু’আ)

اللهم إني أسألك من الخير كله، ما علمت منه وما لم أعلم، وأعوذبك من شر كله، ما علمت منه وما لم أعلم


উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকা মিনাল খাইরি কুল্লিহী, মা- ‘আলিমতু মিনহু ওয়া মা- লা- আ‘অ্লাম। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাশ শাররি কুল্লিহী, মা- ‘আলিমতু মিনহু ওয়া মা- লা- আ‘অ্লাম।

অর্থঃ “হে আল্লাহ, আমার জানা ও অজানা সকল প্রকার কল্যাণ আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি। এবং আমার জানা ও অজানা সকল অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”

জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) বলেন, “আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাতের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করছেন। এরপর যখন সালাম ফেরালেন, সালামের পরে এই দু‘আ বললেন।” হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।[21]


(২০) যিকর নং ৯০ : (সালাতের পরের দু‘আ)

اللهم إني أعوذ بك من الهم و الحزن والعجز و الكسل والذل والصغار والفواحش ما ظهر منها وما بطن


উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইনণী আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল ‘হাযান, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়ায্ যুল্লি ওয়াস স্বাগা-র ওয়াল ফাওয়া-হিশা মা- যাহারা মিনহা- ওয়ামা- বাত্বান।

অর্থঃ “হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি - দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা থেকে, বেদনা ও হতাশা থেকে, অক্ষমতা থেকে, অলসতা থেকে, অপমান থেকে, নীচতা থেকে, প্রকাশ্য ও গোপন অশলীলতা থেকে।”

ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাত শেষে আমাদের দিকে তাঁর আলেকিত চেহারা মুবারক ফিরিয়ে ঘুরে বসে এই দু‘আ বলতেন। তিনি এত বেশি বার তা বলেছেন যে, আমরা তা শিখে নিয়েছি, যদিও তিনি আমাদেরকে তা শেখাননি।”


হাদীসটি তাবারানী তার “কিতাবুদ দু‘আ”-য় সংকলন করেছেন। অন্য কোনো গন্থে এই হাদীসটি আমি দেখিনি। ইবনু হিব্বানের আলোচনা অনুযায়ী হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য বলেই মনে হয়েছে। আল্লাহই ভালো জানেন।[22]

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে যিকর ও দু‘আ সম্পর্কে সহীহ ও হাসান হাদীসগুলি লিখলাম। এ বিষয়ে দু’একটি দুর্বল হাদীস উল্লেখ করছিঃ

[1] সহীহ মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।

[2] মুল্লা আলী কারী, আল-আসবারুল মারফূ’আ, পৃ. ২৯০, নং ১১৩৪, আল্লামা তাহাতাবী, হাশিয়াতু তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ, পৃ. ৩১১-৩১২।

[3] সহীহ বুখারী ১/২৮৯, নং ৮০৮, ৫/২৩৩২, নং ৫৯৭১, সহীহ মুসলিম ১/৪১৪-৪১৫, নং ৫৯৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৪৫-৩৪৮, ৫/৩৪৯।

[4] সহীহ মুসলিম ১/৪১৫, নং ৫৯৪, সুনানু আবী দাউদ ২/৮২, নং ১৫০৬, ১৫০৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৫০-৩৫২।

[5] হাদিসটি হাসান। নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৬/৩০, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৪৮, ১০/১০২, মুনযিরী, আত-তারগীব ২/৪৪৮।

[6] হাদিসটি হাসান। তাবারানী, কাবীর ৩/৮৩, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৪৮, ১০/১০২, মুনযিরী, আত-তারগীব ২/৪৪৮।

[7] হাদিসটি হাসান। সুনানু আবী দাউদ ২/৮৬, নং ১৫২৩। সুনানুত তিরমিযী ৫/১৭১, নং ২৯০৩, সহীহুত তিরমিযী ২/৮, ফাতহুল বারী ৯/৬২, সুনানুন নাসাঈ ৩/৬৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৪৪, নং ২০০৪।

[8] সহীহ মুসলিম ১/৪৯২, নং ৭০৯, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ৩/২৮, ২৯, জামিউল উসূল ৪/২২৮।

[9] হাদিসটি সহীহ। সুনানুন নাসাঈ ৩/৭৩, ৭৪, নং মুসনাদু আহমাদ ৫/৪৪, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/৩৬৭, নং ৭৪৭, মুসতাদরাক হাকিম ১/৩৮৩, জামিউল উসূল ৪/২২৯-২৩০।

[10] হাদিসটি সহীহ। সুনানু আবী দাউদ ২/৮৬, নং ১৫২২, মুসতাদরাক হাকিম ১/৪০৭, ৬৭৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৬৪-৩৬৫, আত-তারগীব ২/৪৫০-৪৫১।

[11] সহীহ বুখারী ৩/১০৩৮, নং ২৬৬৭, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/৩৬৭, নং ৭৪৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৭১, নং ২০২৪। (দেখুনঃ সহীহ বুখারী ১/২৩৪১, ৫/২৩৪৭, মুসনাদু আহমাদ ১/১৮৩, ১৮৬।)

[12] সুনানু আবী দাউদ ১/২০১, নং ৭৬০, ২/৮৩, নং ১৫০৯, মুসনাদু আহমাদ ১/৯৪, ১/১০২, সুনানুদ দারাকুতনী ১/২৯৬, মুসনাদুল বাযযার ২/১৬৯, মুসনাদু আবী উ’আনাহ ১/৪৩২, ইবনুল জারূদ, আল-মুনতাকা ১/৫৪, নং ১৭৯, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/৩৬৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৭২, জামিউল উসূল ৪/২২৪।

[13] বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা ২/৩২, ১৮৫। আল্লামা আহমাদ শাকিরের আলোচনা দেখুন, মুসনাদে আহমাদ (শাকির সম্পাদিত) ২/১০০ ও ১৩৪, যাকারিয়্যা, আল-ইখবার, পৃ. ৬০।

[14] সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৭৩, নং ২০২৬, মাওয়ারিদুয যামআন ২/২৫৯-২৬১, সহীহ ইবনু খুযাইমা ১/৩৬৬-৩৬৭, নাসাঈ, আমালুল ইয়াওম, আস-সুনানুল কুবরা ৬/৪০, যাকারিয়্যা, আল-ইখবার, ৫৬।

[15] তাবারানী, আল-মু’জামুল আউসাত ৭/১৪২ (১৮৪) নং ৭১০৬, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১১।

[16] হাদিসটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের। সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৭৪, মুসনাদু আহমাদ ৪/৩৩২, ৩৩৩, তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর ৮/৪০-৪১, কিতাবুদ দু’আ, পৃ. ২১১।

[17] বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ ১/২১৭, সহীহুল আদাবিল মুফরাদ, পৃ. ২৩০-২৩২, নং ৪৮১/৬১৮, ৪৮২/৬১৯, মুসনাদু আহমাদ ২/৮৪, মুসনাদু আহমাদ ২/৮৪, মুসান্নাফু ইবনু আবী শাইবা ৬/৩৪, নাসাঈ, কুবরা ৬/৩১-৩২।

[18] তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর, ৮/২০০, ২২৭, আল-মু’জামুস সাগীর ১/৩৬৫, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১১-১১২, ১৭৩, নাবাবী, আল-আযকার, পৃ. ১১৩।

[19] মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৬/৫০, মুসনাদু আবী ইয়ালা ১৩/২৫৭, নং ৭২৭৩, তাবারানী, আল-মু’জামুস সাগীর ২/১৯৬, আল-মু’জামুল আউসাত ৭/৭৩, কিতাবুদ দু’আ পৃ. ২০৯, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১০৯।

[20] মুসনাদু আহমাদ ৬/৬১, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৬/৪০, তাবারানী, আল-মু’জামুল আউসাত ৪/১৫৬, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১০, যাকারিয়্যা, আল-ইখবার ফীমা লা ইয়াসিহহু, পৃ. ৪৯-৫০।

[21] তাবারানী, কিতাবুদ দু’আ পৃ. ২০৮, আল-মু’জামুল আউসাত ২/২৫২, সহীহুল জামিয়িস সাগীর ১/২৭৪, সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহীহাহ ৪/৫৬-৫৭।

[22] তাবারানী, কিতাবুদ দু’আ পৃ. ২১০, ইবনু হিব্বান, কিতাবুস সিকাত ৯/২৬৫।