কুরআন কারীমের অন্যতম নাম ‘যিকর’ ও ‘আল্লাহর যিকর’। কুরআনই যিকর, কুরআনই ওয়ায, কুরআনই উপদেশ। ইরশাদ করা হয়েছেঃ
ذَٰلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ الْآيَاتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيمِ
“ইহা প্রজ্ঞাময় কুরআন ও যিকর যা আমি আপনার উপর তিলাওয়াত করি।”[1]
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
নিশ্চয় আমি যিকর নাযিল করেছি এবং আমিই তাকে রক্ষা করব।[2]
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ
“এবং আমি আপনার প্রতি যিকর নাযিল করেছি যেন আপনি মানবজাতিকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেন তাদের উপর যা নাযিল হয়েছে।”[3]
وَهَٰذَا ذِكْرٌ مُّبَارَكٌ أَنزَلْنَاهُ
“এবং ইহা একটি বরকতময় যিকর যা আমি নাযিল করেছি।”[4]
এভাবে আরো অনেক স্থানে কুরআন কারীমকে যিকর ও আল্লাহর যিকর বা উপদেশ ও ওয়ায হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ করা হয়েছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُم مِّن ذِكْرِ اللَّهِ
“ধ্বংস ও ক্ষতি তাদের জন্য যাদের অন্তর আল্লাহর যিকর থেকে শক্ত হয়ে গিয়েছে।”[5]
এখানেও যিকর বলতে কুরআন বুঝানো হয়েছে। ইমাম তাবারী বলেনঃ আল্লাহর যিকর অর্থ কুরআন, যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন এবং তার দ্বারা তাঁর বান্দাদেরকে স্মরণ করিয়েছেন ও উপদেশ প্রদান করেছেন।’[6]
কুরআন কারীমের একাধিক স্থানে মসজিদগুলিকে ‘আল্লাহর নামের যিকরের স্থান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, ইরশাদ করা হয়েছেঃ
فِي بُيُوتٍ أَذِنَ اللَّهُ أَن تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ
“সেই গৃহসমূহে (মসজিদসমূহে) যেগুলিকে উচ্চ করার ও যেগুলির মধ্যে আল্লাহর নামের যিকর করার অনুমতি (নির্দেশ) আল্লাহ প্রদান
করেছেন...।”[7]
এর তাফসীরে ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহর নামের যিকর করা হয় অর্থ আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করা হয়।”[8]
[2] সুরা হিজরঃ ৯।
[3] সূরা নাহলঃ ৪৪।
[4] সূরা আম্বিয়াঃ ৫০।
[5] সূরা যুমারঃ ২২।
[6] তাবারী, তাফসীর ২৩/২০৯।
[7] সূরা নূরঃ ৩৬। দেখুন সূরা বাকারাঃ ১১৪, সূরা হাজ্জঃ ৪০।
[8] তাফসীরু ইবনি কাসীর ৩/২৯৫।