মুসাফাহাহ হল সাক্ষাৎ ও বিদায়ের সময় বিধেয়। অবশ্য মুসাফাহা সাক্ষাতের সময় সুন্নাত এবং বিদায়ের সময় মুস্তাহাব।[1]
এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ নিজ বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার জন্য কি প্রণত হবে?’ আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, ‘‘না।’’ লোকটি বলল, ‘তাহলে কি তাকে জড়িয়ে (ধরে মুআনাকা) করবে এবং চুম্বন করবে?’ তিনি বললেন, ‘‘না।’’ লোকটি বলল, ‘তাহলে কি মুসাফাহা করবে?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, (ইচ্ছা করলে) মুসাফাহাহ করবে।’’[2]
সুতরাং সাক্ষাৎ (ও বিদায়) ছাড়া অন্য সময়ে তা বিধেয় নয়; বিদআত। যেমন ফরয নামাযের সালাম ফিরার পর পর ইমাম সাহেব অথবা ডান ও বাম পাশের নামাযীর সাথে মুসাফাহাহ করা বিদআত।[3]
যেমন ঈদের নামাযের পর (খাস ঈদের জন্য) মুসাফাহাহ ও মুআনাকা বিদআত।[4]
অবশ্য কেউ নামাযে শামিল হওয়ার পূর্বে সালাম-মুসাফাহাহ করার সুযোগ না পেয়ে যদি নামাযের পর তা করে, তাহলে তা প্রথম সাক্ষাতের সালাম-মুসাফাহাহ, বিধায় তা বিদআত নয়।[5]
[2]. আহমাদ ৩/১৯৮, তিরমিযী হা/২৭২৮, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩৭০২, বাইহাক্বী ৭/১০০
[3]. শারহুল আদাবিল মুফরাদ ২/৪৩০-৪৩১
[4]. তুহফাতুল আহওয়াযী ৭/৪২৭, আউনুল মা’বূদ ১৪/৮২
[5]. সিলসিলাহ সহীহাহ ১/৫৩