মীকাত শব্দের অর্থ, নির্ধারিত সীমারেখা। স্থান বা কালের নির্ধারিত সীমারেখাকে মীকাত বলে। অর্থাৎ হজ বা উমরা পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য ইহরাম ছাড়া যে স্থান অতিক্রম করা যায় না, অথবা যে সময়ের পূর্বে হজের ইহরাম বাঁধা যায় না সেটাই মীকাত। আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি যেসব বিষয়ের সম্মানের নির্দেশ দিয়েছেন যথার্থভাবে সেগুলোর সম্মান প্রদর্শন করা ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত এবং কল্যাণ অর্জনের পথ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَمَن يُعَظِّمۡ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقۡوَى ٱلۡقُلُوبِ ٣٢ ﴾ [الحج: ٣٢]
‘এবং যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করবে, তাঁদের হৃদয়ের তাকওয়ার কারণেই তা করবে।’[1] মহান আল্লাহর বিশেষ নিদর্শন বাইতুল্লাহ্র সম্মানার্থে বেশ দূর থেকে ইহরাম বেঁধে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভার্থে তার দিকে ছুটে যাওয়ার জন্যই হজ বা উমরার মীকাতসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছে। নিম্নে মীকাতের বিবরণ দেয়া হল।
প্রথম : মীকাতে যামানী অর্থাৎ কালবিষয়ক মীকাত
মীকাতে যামানী বলতে সেই সময়সমূহকে বুঝায় যার বাইরে উযর ছাড়া হজের কোন আমলই সহীহ হয় না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞۚ ﴾ [البقرة: ١٩٧]
‘হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ।’[2]
এ নির্দিষ্ট মাসগুলো হল, পুরো শাওয়াল ও যিলকদ এবং কারও কারও মতে যিলহজের ১০ তারিখ পর্যন্ত হজের মাস। কিন্তু বিশুদ্ধ মতানুসারে যিলহজ মাসের পুরোটিও হজের মাস। কেননা হজের কিছু কাজ যেমন পাথর নিক্ষেপ, মিনায় রাত্রি যাপন ইত্যাদি রুকন ১০ জিলহজের পরে আইয়ামে তাশরীকে আদায় করা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ উদয় হওয়ার পূর্বে হজের ইহরাম বাঁধা কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী।
[2]. বাকারা : ১৯৭।