২. ১. ১. ইখলাসুল ইবাদাত: ইবাদাতের বিশুদ্ধতা

ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত ইবাদতকারীকে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হতে হবে এবং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই ইবাদতটি পালন করা হবে। কুরাআন-হাদীসে এ বিষয়ে অগণিত নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ বলেন:


فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلا صَالِحًا وَلا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا


‘‘অতএব যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ আশা করে সে নেক কর্ম করুক এবং তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করুক।’’[1]

অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন:


وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلا يَخَافُ ظُلْمًا وَلا هَضْمًا


‘‘আর যে ব্যক্তি মুমিন হওয়া অবস্থায় নেক কর্ম করবে সে কোনো জুলুম, ক্ষতি বা কমতির আশঙ্কা করবে না।’’[2]

এভাবে কুরআনে বারবার বলা হয়েছে যে, আমল কবুলের পূর্বশর্ত ঈমান। আর ঈমানের প্রথম অংশ তাওহীদের অর্থ ইবাদত শুধুই আল্লাহর জন্য করা।[3]

[1] সূরা (১৮) কাহ্ফ: ১১০ আয়াত।

[2] সূরা (২০) তাহা: ১১২ আয়াত।

[3] দেখুন: সূরা: (৪) নিসা: ১২৪ আয়াত; সূরা (১৬) নাহল: ৯৭ আয়াত; সূরা (১৭) ইসরা (বনী ইসরাঈল): ১৯ আয়াত; সূরা (২১) আম্বিয়া: ৯৪ আয়াত; সূরা (৪০) গাফির (মুমিন): ৪০ আয়াত ...।