৩. ৮. তাকফীর বা কাফির কথন - (৩. ৮. ১. কুফর ও তাকফীর)

কুফর অর্থ অবিশ্বাস। আর তাকফীর অর্থ কাউকে অবিশ্বাসী বা ধর্মত্যাগী বলে আখ্যায়িত করা। যে ব্যক্তি নিজেকে মুমিন বলে দাবি করেন তাকে কাফির বলে আখ্যায়িত করাকে ‘‘তাকফীর’’ বলা হয়। কোনো কাজকে কুফরী বলে গণ্য করা এবং এ কাজের জন্য কোনো মুসলিমকে কাফির বলার মধ্যে আসমান-যমীনের পার্থক্য রয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি যে, খারিজীগণের পূর্বসূরী যুল খুওয়াইসিরা রাসুলুল্লাহ (ﷺ)এর কর্মের কঠিন সমালোচনা করে, যা ছিল সুস্পষ্ট কুফরী। আমরা যে কেউ বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্যায় করেছেন বলে ধারণা করা বা তাঁর প্রতি অবিশ্বাস ও কুধারণা পোষণ করা কুফরী। কিন্তু খালিদ ইবনু ওয়ালিদ যখন ধর্মত্যাগের শাস্তি হিসেবে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: ‘‘না। হয়তবা লোকটি সালাত আদায় করে।’’ খালিদ (রা) বলেন, ‘‘কত মুসল্লীই তো আছে যে মুখে যা বলে তার অন্তরে তা নেই।’’ তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘‘আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয় নি যে, আমি মানুষের অন্তর খুঁজে দেখব বা তাদের পেট ফেড়ে দেখব।’’ অর্থাৎ লোকটি নিজেকে মুসলিম দাবি করে এবং ইসলামের ব্যাহ্যিক কিছু কর্ম করে। কাজেই লোকটি যে কুফরী কথা বলেছে তার কোনো ওযর আছে বলে ধরে নিতে হবে।

পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ ব্যক্তির অনুগামীদের বিষয়ে জানান যে, এরা শিকারের দেহভেদকারী তীরের ন্যায় ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। তারা ইসলামে অনুসারীদের হত্যা করবে এবং প্রতিমা-পাথরের অনুসারীদের ছেড়ে দেবে। শেষে তিনি বলেন: ‘‘আমি যদি তাদেরকে পাই তবে সামূদ সম্প্রদায়কে যেভাবে নির্মুল করা হয়েছিল সেভাবেই আমি তাদেরকে হত্যা করে নির্মুল করব।’’ এ বিষয়টিও লক্ষণীয়। এ সকল মানুষ যখন মুসলিমদের হত্যাকান্ডে লিপ্ত হবে তখন তিনি তাদেরকে হত্যা করবেন বলে জানালেন। কিন্তু এরূপ পাপে লিপ্ত হওয়ার আগে তাদেরকে ধর্মত্যাগের অপরাধে মৃত্যুদন্ড দিতে রাজি হলেন না। কারণ যে ব্যক্তি নিজেকে মুমিন দাবি করছে তার কথার ওজর পাওয়া গেলে তা গ্রহণ করে তাকে মুসলিম বলে গণ্য করতে হবে। তবে সে যদি হত্যা, সন্ত্রাস বা অনুরূপ মৃত্যুদন্ড পাওয়ার মত কোনো অপরাধে লিপ্ত হয় তখন তাকে এ অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে হবে।

আমরা দেখেছি যে, পাপের কারণে মুমিনকে কাফির বলা খারিজী সন্ত্রাসের মূল ভিত্তি ছিল। পক্ষান্তরে সাহাবীগণ এবং তাঁদের পরে মুসলিম উম্মাহর ইমাম ও আলিমগণ একমত যে, পাপের কারণে মুমিনকে কাফির বলা যায় না। কারণ, কুরআন ও হাদীসে যেমন বিভিন্ন পাপকে ‘কুফরী’ বলা হয়েছে, তেমনি কঠিন পাপে লিপ্ত ব্যক্তিকেও মুমিন বলা হয়েছে। এ সকল আয়াত ও হাদীসের আলোকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহচার্যে লালিত সাহাবীগণ বলতেন যে, কুরআন কারীমে ব্যবহৃত কুফর, নিফাক, ফিসক ও জুলম দু অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে: কখনো তা অবিশ্বাস, ঈমানের অনুপস্থিতি ও চূড়ান্ত অন্যায় অর্থে এবং কখনো তা আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার পাপ, মুনাফিকের গুণ ও সাধারণ পাপ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ক আয়াত, হাদীস ও বিভিন্ন মতামত ‘‘কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা’’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।[1]

উক্ত গ্রন্থে বিভিন্ন হাদীসের আলোকে আমরা দেখেছি যে, ওযর, ব্যাখ্যা, অজ্ঞতা বা না-বুঝার কারণে সুস্পষ্ট কুফরী কর্ম বা কথা বলা সত্ত্বেও সংশি­ষ্ট ব্যক্তিকে কাফির বলে গণ্য করা হয় নি। এ দ্বারা উক্ত কর্ম বা কথাকে বৈধতা দেওয়া হয় নি, কিন্তু ব্যক্তির ওযর গ্রহণ করা হয়েছে। অজ্ঞতার ওযর সম্পর্কে এক হাদীসে হুযাইফা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

يدرُسُ الإسلامُ كما يدرُسُ وَشْيُ الثَّوبِ حتَّى لا يدري ما صيامٌ، ولا صلاةٌ، ولا نسُكٌ، ولا صدقةٌ، ولَيسري (ويسرى النسيان) على كتابِ اللَّهِ عزَّ وجلَّ في ليلةٍ فلا يبقى في الأرضِ منْهُ آيةٌ، وتبقى طوائفُ منَ النَّاسِ الشَّيخُ الْكبيرُ والعجوزُ يقولونَ: أدرَكنا آباءَنا على هذِهِ الْكلمةِ لا إلَهَ إلَّا اللَّهُ فنحنُ نقولُها فقالَ لَهُ صلةُ: ما تُغني عنْهم لا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَهم لا يدرونَ ما صلاةٌ ولا صيامٌ ولا نسُكٌ ولا صدقةٌ؟ فأعرضَ عنْهُ حذيفةُ، ثمَّ ردَّها عليْهِ ثلاثًا كلُّ يعرِضُ عنْهُ حذيفةُ ثمَّ أقبلَ عليْهِ في الثَّالثةِ فقالَ: يا صِلةُ تنجيهِم منَ النَّارِ ثلاثًا

‘‘কাপড়ের নকশি যেমন মলিন হয়ে মুছে যায় তেমনি মলিন ও বিলীন হয়ে যাবে ইসলাম। এমনকি মানুষ জানবে না যে, সালাত কী? সিয়াম কী? হজ্জ কী, যাকাত কী? এক রাতে কুরআন অপসারিত হবে (বিস্মৃতি কুরআনকে আবৃত করবে) ফলে পৃথিবীতে কুরআনের কোনো আয়াত অবশিষ্ট থাকবে না। অনেক বয়স্ক নারীপুরুষ রয়ে যাবে যারা বলবে, আমার আমাদের পিতাপিতামদেরকে ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’’ কালিমাটি বলতে শুনতাম কাজেই আমরা তা বলি।’’ তখন সিল্লাহ নামক এক শ্রোতা বলেন, ‘‘তারা সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত কিছুই জানে না, কাজেই তাদের জন্য ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ কোনো কাজে লাগবে না।’’ তখন হুযাইফা মুখ ফিরিয়ে নেন। সিল্লাহ তিনবার কথাটি বলেন এবং তিনবারই হুযাইফা মুখ ফিরিয়ে নেন। তৃতীয়বারে তিনি বলেন: ‘‘হে সিল্লাহ, এ কালিমাটি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবে।’’ তিনি তিনবার একথাটি বললেন।’’[2]
ঈমানের দাবিদারকে কাফির বলা সন্ত্রাস ও অশান্তির প্রথম পদক্ষেপ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ বিষয়ে তার উম্মাতকে সতর্ক করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:


إذا كفر الرجل أخاه فقد باء بها أحدهما إن كان كما قال وإلا رجعت عليه

‘‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে কাফির বলে, তবে এ কথা দু জনের একজনরে উপর প্রযোজ্য হবে। যদি তার ভাই সত্যিই কাফির হয় তবে ভাল, নইলে যে তাকে কাফির বলল তার উপরেই কুফরী প্রযোজ্য হবে।’’[3]
কোনো ঈমানের দাবিদারকে কাফির বলা তাকে হত্যা করার মতই কঠিনতম অপরাধ। সাবিত ইবনু দাহহাক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

من رمى مؤمنًا بكفرٍ فهو كقتلِه

‘‘যদি কেউ কোনো মুমিনকে কুফরীতে অভিযুক্ত করে তবে তা তাকে হত্যা করার মতই অপরাধ।’’[4]
এ অর্থে ৮/১০ জন সাহাবী থেকে বিভিন্ন সহীহ সনদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কুরআন-হাদীসের এ সকল নির্দেশনার আলোকে এবং কুরআন-হাদীসের সকল বক্তব্যের সামগ্রিক ও সমন্বিত অর্থের উপর নির্ভর করে সাহাবীগণ এবং তাদের অনুসারী পরবর্তী সকল যুগে মুসলিম উম্মাহর মূলধারার, অর্থাৎ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মুসলিমগণ ঈমানের দাবিদার কাউকে কাফির বলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।

তাদের মুলনীতি এ-ই যে, মুমিন নিজের ঈমানের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন। সকল কুফর, শিরক, পাপ, অন্যায়, অবাধ্যতা ও ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী চিন্তাচেতনা থেকে সতর্কতার সাথে আত্মরক্ষা করবেন। কিন্তু অন্যের ঈমানের দাবি গ্রহণ করার বিষয়ে বাহ্যিক দাবির উপর নির্ভর করবেন। কোনো ঈমানের দাবিদারকেই কাফির না বলার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ভুল করে কোনো মু’মিনকে কাফির মনে করার চেয়ে ভুল করে কোনো কাফিরকে মুসলিম মনে করা অনেক ভাল ও নিরাপদ। প্রথম ক্ষেত্রে কঠিন পাপ ও নিজের ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কোনোরূপ পাপ বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এক্ষেত্রে মানুষের মুখের দাবির উপর নির্ভর করতেই হাদীসে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পেট চিরে মনের কথা বের করার নির্দেশ দেওয়া হয় নি।
এ নীতির ভিত্তিতে তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, যে ব্যক্তি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করছেন, তাকে কোনো পাপের কারণে ‘অমুসলিম’, কাফির বা ধর্মত্যাগী বলে গণ্য করা যাবে না, তিনি তার পাপ থেকে তাওবা করুন, অথবা নাই করুন, যতক্ষণ না তিনি সুষ্পষ্টভাবে ইসলামী বিশ্বাসের পরিপন্থী কোনো বিশ্বাস পোষণ করার ঘোষণা দিবেন। ইসলামী আইন লঙ্ঘনকারী, বা আল্লাহর নির্দেশ অমান্যকারী মুসলিম পাপী মুসলিম বলে গণ্য হবেন। কখনোই তাকে পাপের কারণে ‘অমুসলিম’ বা ধর্মত্যাগী বলে গণ্য করা হবে না। তবে যদি তার এ পাপ বা অবাধ্যতাকে তিনি বৈধ মনে করেন বা ইসলামী বিধানকে বাজে, ফালতু, অচল বা অপালনযোগ্য বলে মনে করেন, তবে তা কুফরী বা ধর্মত্যাগ বলে গণ্য হবে।

তিনি যদি এমন কোনো মতবাদ, বিশ্বাস, আকীদা বা মতাদর্শ গ্রহণ করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন যা ইসলামী বিশ্বাসের সাথে বাহ্যত সাংঘর্ষিক হলেও তার একটি ইসলাম গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান সম্ভব তবে তাকে তার এ মতবাদ বা আকীদার কারণে কাফির বলা হবে না, বরং বিভ্রান্ত বলা হবে। কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী বিশ্বাস পোষণ করা বা কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত বিশ্বাস বা কর্ম অস্বীকার করার ক্ষেত্রে জেনে বুঝে সরাসরি অস্বীকার করা, ব্যাখ্যা সাপেক্ষ অস্বীকার করা এবং না জেনে অস্বীকার করার মধ্যে পার্থক্য করেছেন মুসলিম উম্মাহর ইমাম ও আলিমগণ।[5]

ঈমানের দাবিদার জেনে শুনে কুফরী করবেন না বলেই ধরে নিতে হবে। কারো কথা, মতামত বা কর্ম বাহ্যত কুফরী হলেও যদি তার কোনোরূপ ইসলাম সম্মত ব্যাখ্যা দেওয়া যায় তবে দূরবর্তী হলেও ইসলামী ব্যাখ্যা গ্রহণ করে তাকে মুমিন বলে মেনে নিতে হবে। সর্বোপরি ঈমানের দাবিদার কোনো ব্যক্তি যদি সুস্পষ্ট কোনো কুফরী বা শিরকী কাজে লিপ্ত হয়, তবে তার কর্মকে কুফরী বলা হলেও ব্যক্তিগতভাবে তাকে কাফির বলার আগে এ বিষয়ে তার কোনো ওযর আছে কিনা তা জানতে হবে। সে ব্যক্তি অজ্ঞতা, ভয়, ব্যাখ্যা বা অন্য কোনো ওজরের কথা উল্লেখ করলে তা গ্রহণ করা হবে। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত বা মূলধারার মুসলিম উম্মাহর দৃষ্টিতে এ হলো ইসলামের অন্যতম মূলনীতি।[6]

এ মূলনীতির কারণেই সাহাবীগণ কখনো খারিজীদেরকে কাফির বলেন নি। খারিজীগণ কুরআন-সুন্নাহর সাথে ব্যাহত সাংঘর্ষিক মতবাদ গ্রহণ করেছে, সাহাবীগণকে কাফির বলেছে, নির্বিচারে মুসলিমদেরকে হত্যা করেছে, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, তারা ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করে আবার তা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে যাবে, তিনি এদের সাথে যুদ্ধ করতে ও এদেরকে হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন, সাহাবীগণ তাদের বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধ করেছেন, কিন্তু কখনো আলী (রা) বা অন্য কোনো সাহাবী তাদেরকে কাফির বলে ফাতওয়া দেন নি। বরং তাঁরা এদের সাথে মুসলিম হিসেবেই মিশেছেন, কথাবার্তা বলেছেন, আলোচনা করেছেন। এমনকি এদের ইমামতিতে সালাত আদায় করেছেন। যুদ্ধের ময়দানে বা বিচারের কাঠগড়ায় ছাড়া কখনোই এদেরকে হত্যা করার অনুমতি দেন নি।[7]

[1] কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকিদা, পৃ. ৩৫৪-৫২২।

[2] ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১৩৪৪, হাকিম, আল-মুসতাদরাক ৪/৫২০, ৫৮৭; ইবনু কাসীর, আন-নিহায়াতু ফিল ফিতানি ওয়াল মালাহিম ১/১০; বুসিরী, মিসবাহুয যুজাজাহ ৪/১৯৪; আলবানী, সহীহাহ ১/৮৭ সহীহু সুনানি ইবন মাজাহ ২/৩৭৮।

[3] বুখারী, আস-সহীহ ৫/২২৬৩-২২৬৪; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৭৯।

[4] বুখারী, আস-সহীহ ৫/২২৪৭, ২২৬৪।

[5] কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকিদা, পৃ. ৫১৭-৫২২, ৫৬৭-৫৬৮, ৫৯৭-৫৯৮।

[6] আবু হানীফা নুমান ইবনু সাবিত (১৫০ হি.), আল-ফিকহুল আকবার আকবার, মুল্লা কারীর শারহ সহ, পৃ. ১১৭; আবু জা’ফর তাহাবী, আহমদ ইবনু মুহাম্মাদ (৩২১ হি.), আল-আকীদা আত-তাহাবীয়্যাহ, ইবনে আবীল হজ্জ হানাফীর শারহ সহ, পৃ. ৩১৬।

[7] তিরমিযী, আস-সুনান ৪/১২৫; আবু দাউদ, আস-সুনান ৩/৭৪, ১৪৬; ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ১১/১৫৫; ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৮/৩১০, ৫৫৯, ৬৮৬; ইবনু তাইমিয়্যা, মাজমূউল ফাতাওয়া ৭/২১৭-২১৮; ড. নাসির আল-আকল, আল-খাওারিজ, পৃ. ৪৭-৫৬।