হজ সফরে সহজ গাইড প্রারম্ভিকা ও প্রস্তুতি মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান
হজ যাত্রার পূর্বে প্রচলিত ভুলত্রুটি ও বিদ‘আত
- হজ যাত্রাকে উপলক্ষ্য করে যাত্রা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে দুই রাকাত নফল সালাত পড়া এবং ১ম ও ২য় রাকাতে সূরা আল-কাফিরূন ও সূরা আল-ইখলাস নির্ধারিতভাবে তিলাওয়াত করাকে হজের নিয়ম মনে করা। তবে যে কোনো সফরে বের হওয়ার পূর্বে নফল সালাত পড়ে বের হওয়া সুন্নাত।
- হজযাত্রার আগে মিলাদ দেওয়া, মিষ্টি বিতরণ করা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কান্নাকাটি করা।
- হজে যাওয়ার সময় আযান দেওয়া অথবা এ উপলক্ষে ইসলামী সঙ্গীত বাজানো।
- কিছু সুফীদের মতো করে ‘একমাত্র আল্লাহকে সঙ্গী করে’ একাই হজযাত্রায় রওয়ানা হওয়া।
- একজন পুরুষের কোনো মহিলা হজযাত্রীর সঙ্গে তার মাহরাম হওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া।
- একজন মহিলা হজযাত্রী কোনো অনাত্মীয়কে ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাকে মাহরাম করা।
- নারীর ক্ষেত্রে কোনো একটি আস্থাভাজন মহিলা দলের সঙ্গে মাহরাম ছাড়াই হজে যাওয়া এবং একইভাবে এমন কোনো পুরুষের সঙ্গে গমন করা যিনি পুরো মহিলা দলের মাহরাম হিসেবে নিজেকে দাবি করেন।
- এ কথা মানা যে, হজের পরিপূর্ণতা হচ্ছে নিজ এলাকার ভিতরেই ইহরাম বাঁধা।
- হজ যাত্রার পূর্ব মুহূর্তে অথবা বিভিন্ন স্থানে পৌছানোর পর উচ্চস্বরে যিকির করা এবং উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি তোলা।
- এ কথা বিশ্বাস করা যে, পায়ে হেঁটে হজ করার সাওয়াব ৭০ হজ আর আরোহনে হজ করলে ৩০ হজের সাওয়াব।
প্রতি যাত্রা বিরতিতে দুই রাকাত সালাত আদায় করা এবং এ কথা বলা, (হে আল্লাহ তুমি আমার জন্য এ যাত্রা বিরতির স্থানকে তোমার আশির্বাদপুষ্ট কর এবং তুমিই উত্তম আশ্রয়দাতা।)