তাবূক অভিযানের পর ১০/১৫ জনের এই দলটি মদীনায় আসে। বিখ্যাত গোত্র ক্বায়সে ‘আয়লান(قَيْسُ عَيْلاَنَ) এর অন্তর্ভুক্ত এই লোকেরা আগেই ইসলাম কবুল করেছিল। তাদের বাহন ও চেহারাসমূহ দুর্দশাগ্রস্ত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের এলাকার অবস্থা জিজ্ঞেস করলে তারা চরম দুর্ভিক্ষের কথা জানালো। তারা তাদের এলাকায় বৃষ্টি বর্ষণের জন্য রাসূল (ছাঃ)-কে আল্লাহর নিকটে দো‘আ করার আবেদন জানালো। তখন তিনি মিম্বরে দাঁড়িয়ে দু’হাত উঁচু করে (সম্ভবতঃ জুম‘আর খুৎবায়) নিম্নোক্ত দো‘আ করলেন, যে দো‘আটি পরবর্তীকালে ইস্তিসক্বার ছালাতে সচরাচর পড়া হয়ে থাকে।-
اللهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهَائِمَك وَانْشُرْ رَحْمَتَك وَأَحْيِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ- اللهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيْثًا مَرِيْئًا مَرِيْعًا نَافِعًا، طَبَقًا وَاسِعًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ-
‘হে আল্লাহ! তোমার বান্দাদের ও তোমার গবাদিপশুদের বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত কর। তোমার রহমতকে বিস্তৃত করো ও তোমার মৃত জনপদকে জীবিত কর’। হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন বৃষ্টি বর্ষণ কর, যা শান্তিদায়ক, কল্যাণকর, সমতল বিস্তৃত এবং যা উপকারী, ক্ষতিকর নয়। যা দ্রুত, দেরীতে নয়।[1]
[শিক্ষণীয় : বৃষ্টি বর্ষণ ও অভাব দূরীকরণের মালিক আল্লাহ। তাই সবকিছুর জন্য কেবল তাঁর কাছেই প্রার্থনা করতে হবে।]
যাদুল মা‘আদ ৩/৫৭০-৭১; আর-রাহীক্ব ৪৫০ পৃষ্ঠায় বর্ধিতভাবে বলা হয়েছে,
اللَّهُمَّ سُقْيَا رَحْمَةٍ لاَ سُقْيَا عَذَابٍ وَلاَ هَدْمٍ وَلاَ غَرَقٍ وَلاَ مَحْقٍ اللَّهُمَّ اسْقِنَا الْغَيْثَ وَانْصُرْنَا عَلَى الْأَعْدَاءِ- ‘হে আল্লাহ! রহমতের বৃষ্টি চাই, আযাবের বৃষ্টি নয়। যা ধ্বসিয়ে দেয় না, ডুবিয়ে দেয় না এবং নিশ্চিহ্ন করে না। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত কর এবং আমাদেরকে শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য কর’ (কানযুল ‘উম্মাল হা/২১৬০৪; বর্ণনাটির সনদ ‘মুরসাল’ আর-রাহীক্ব, তা‘লীক্ব ১৮০ পৃঃ)।