নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মু‘জিযা ( معجزة الرسول صـ)
এ যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ) থেকে মু‘জেযা প্রকাশিত হয়। যেমন মদীনায় খবর পৌছার পূর্বেই তিনি সকলকে সেনাপতিদের পরপর শাহাদাতের খবর দেন এবং অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন,حَتَّى أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللهِ حَتَّى فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِمْ ‘অবশেষে ঝান্ডা হাতে নিয়েছে ‘আল্লাহর তরবারি সমূহের অন্যতম তরবারি’। অতঃপর আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দান করেছেন’ (বুখারী হা/৪২৬২)।[1]
[1]. প্রসিদ্ধ আছে যে, মুতার যুদ্ধ থেকে ফেরার সময় মদীনার নিকটবর্তী হ’লে রাসূল (ছাঃ) ও মুসলমানগণ তাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য এগিয়ে যান। এমতাবস্থায় লোকেরা সেনাবাহিনীর দিকে মাটি ছুঁড়ে মারতে থাকে এবং বলতে থাকে يَا فُرَّارُ، فَرَرْتُمْ فِي سَبِيلِ اللهِ؟ ‘হে পলাতক দল! তোমরা আল্লাহর রাস্তা থেকে পালিয়ে এসেছ? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, لَيْسُوا بِالْفُرَّارِ، وَلَكِنَّهُمْ الْكُرَّارُ إنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى ‘ওরা পলায়নকারী নয় বরং ওরা হামলাকারী হবে ইনশাআল্লাহ’ (ইবনু হিশাম ২/৩৮২; সীরাহ ছহীহাহ ২/৪৬৯)। বর্ণনাটি ‘মুরসাল’ (তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ১৬৩৮; মা শা-‘আ ১৮৩ পৃঃ)। বরং এটাই সত্য যে, মুতার যুদ্ধে শেষের দিকে খালেদ বিন অলীদ-এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ হয়। অতএব রাসূল (ছাঃ) যদি তাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য এগিয়ে যেয়ে থাকেন, তবে সেটি হবে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।