শাদ্দাদ বিন হাদ (রাঃ) বলেন, জনৈক বেদুঈন মুসলমান হ’লে খায়বরের যুদ্ধের গণীমতের অংশ তাকেও দেয়া হয়। সে দুম্বা চরাত। গণীমতের মাল নিয়ে সে রাসূল (ছাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হ’ল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো এজন্য আপনার সাথী হইনি। আমি তো এসেছিলাম এজন্য যাতে আমার কণ্ঠনালীতে একটা তীর লাগে। আর আমি শহীদ হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করি’। রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি তুমি সত্য হও, তাহ’লে আল্লাহ তোমার আকাংখা পূর্ণ করবেন। এরপর সে যুদ্ধে গমন করল এবং কণ্ঠনালীতে তীর লেগে সে শহীদ হয়ে গেল। তার লাশের পাশ দিয়ে যাবার সময় রাসূল (ছাঃ) তাকে চিনতে পেরে বলেন, এ ব্যক্তি কি সেই-ই? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, আল্লাহর সঙ্গে তার কারবার সত্য ছিল। আল্লাহ তার আকাংখা পূর্ণ করেছেন। অতঃপর তিনি স্বীয় জুববা দিয়ে তার কাফন পরান ও জানাযা করেন। তার জন্য তিনি দো‘আ করেন, হে আল্লাহ! এটি তোমার বান্দা। বেরিয়েছিল তোমার রাস্তায় মুহাজির হিসাবে। অতঃপর শহীদ হয়ে গেছে। আমি তার সাক্ষী’।[1]
একই ঘটনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে খায়বর যুদ্ধে ছিলাম। অতঃপর একটি ছোট সেনাদল বেরিয়ে যায়। তারা একজন মেষচারককে ধরে আনে। সে রাসূল (ছাঃ)-কে এসে বলে যে, আমি আপনার উপর ঈমান এনেছি এবং যুদ্ধ করে শহীদ হ’তে চাই। কিন্তু আমার এই মেষপালের উপায় কি হবে? এগুলি আমার নিকট অন্যের আমানত। জবাবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি এগুলি স্ব স্ব মনিবের বাড়ীর উদ্দেশ্যে হাঁকিয়ে দাও’। সে তাই করল। রাসূল (ছাঃ) তাদের সম্মুখ দিকে একমুষ্টি মাটি ছুঁড়ে মারলেন। অতঃপর প্রত্যেকটি দুম্বা স্ব স্ব মালিকের বাড়ীতে পৌঁছে গেলে সে ফিরে এল এবং যুদ্ধে যোগদান করল। অতঃপর সে একটি তীর বিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়ে গেল। অথচ ঐ ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কখনো একটি সিজদাও করেনি’(وَلَمْ يُصَلِّ لِلَّهِ سَجْدَةً قَطُّ)।[2]
[2]. হাকেম হা/২৬০৯। হাকেম ‘ছহীহ’ বলেছেন। কিন্তু যাহাবী একজন রাবী শুরাহবীল বিন সা‘দকে ‘মিথ্যায় অপবাদগ্রস্ত’ বলেছেন; বায়হাক্বী হা/১৮২০৫, ৯/১৪৩ পৃঃ সনদ ‘মুরসাল’।