(৩) উম্মে উবাইস, যিন্নীরাহ, নাহদিয়াহ ও তার মেয়ে এবং বনু মুআম্মাল-এর জনৈকা দাসী মুসলমান হ’লে তারা সবাই বর্বরতম নির্যাতনের শিকার হন। ইবনু ইসহাক বলেন, যিন্নীরাহকে যখন তিনি মুক্ত করেন, তখন সে অন্ধ ছিল। কুরায়েশরা বলল, লাত-‘উযযার অভিশাপে সে অন্ধ হয়ে গেছে। তখন যিন্নীরাহ বলল, ওরা মিথ্যা বলেছে। আল্লাহর ঘরের কসম![1] লাত-‘উযযা কারু কোন ক্ষতি করতে পারেনা, উপকারও করতে পারেনা’। তখনই আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন’।[2]
এভাবে সর্বশেষ বেলালকে নিয়ে হিজরতের পূর্বে মোট ৭জন দাস-দাসীকে আবুবকর মুক্ত করেন (হাকেম হা/৫২৪১ হাদীছ ছহীহ)। এবিষয়ে একদিন তার পিতা আবু কুহাফা তাকে বলেন, বেটা! আমি দেখছি তুমি যত দুর্বল দাস-দাসী মুক্ত করছ। যদি তুমি শক্তিশালী ও সাহসী কিছু লোককে মুক্ত করতে, তাহ’লে তারা তোমাকে রক্ষা করত এবং তোমার পক্ষে যুদ্ধ করত! জবাবে আবুবকর বলেন, হে পিতা! আমি তো কেবল আল্লাহর জন্যই এগুলি করেছি। অতঃপর তাঁর সম্পর্কে ‘সূরা লায়েল’ নাযিল হয় (ইবনু হিশাম ১/৩১৮-৩১৯)। উল্লেখ্য যে, এসময় আবু কুহাফা ইসলাম কবুল করেননি। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি মুসলমান হন’ (মুসলিম হা/২১০২ (৭৯)।
এভাবে কুরায়েশ নেতারা মুসলিম দাস-দাসী ও তাদের পরিবারের উপরে সর্বাধিক নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করত। আবুবকর (রাঃ) এইসব নির্যাতিত দাস-দাসীকে বহু মূল্যের বিনিময়ে তাদের নিষ্ঠুর মনিবদের নিকট থেকে খরীদ করে নিয়ে মুক্ত করে দিতেন।
[2]. ইবনু হিশাম ১/৩১৮; আল-ইছাবাহ ক্রমিক ১১২১৬; মুহাক্কিক বলেন, যিন্নীরাহ্র ঘটনাটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার কারণে এর সনদ ‘হাসান’ স্তরে উন্নীত হ’তে পারে (তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ৩০৯)।