সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সুপ্রসিদ্ধ বুযুর্গ ও আল্লাহর প্রিয় ওলী-রূপে প্রসিদ্ধ আলিমগণের বিষয়ে। যেহেতু তাঁরা ‘সাহেবে কাশফ’ বা কাশ্ফ সম্পন্ন ওলী ছিলেন, সেহেতু আমরা ধারণা করি যে, কাশফের মাধ্যমে প্রদত্ত তথ্যের বিশুদ্ধতা যাচাই না করে তো আর তাঁরা লিখেন নি। কাজেই তাঁরা যা লিখেছেন বা বলেছেন সবই বিশুদ্ধ বলে গণ্য হবে।
আল্লামা সুয়ূতী (৯১১ হি), আব্দুল হাই লাখনবী (১৩০৪ হি) প্রমুখ আলিম এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ইমাম গাযালীর (রাহ) ‘‘এহ্ইয়াউ উলুমিদ্দীন’’ ও অন্যান্য গ্রন্থে, আব্দুল কাদির জীলানী (রাহ) লিখিত কোনো কোনো গ্রন্থে উল্লিখিত অনেক মাউযূ বা বানোয়াট হাদীসের আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন যে, কেউ হয়ত প্রশ্ন করবেন: এত বড় আলিম ও এত বড় সাহেবে কাশফ ওলী, তিনি কী বুঝতে পারলেন না যে, এ হাদীসটি বানোয়াট? তাঁর মত একজন ওলী কী-ভাবে নিজ গ্রন্থে মাউযু হাদীস উল্লেখ করলেন? তাঁর উল্লেখের দ্বারা কি বুঝা যায় না যে, হাদীসটি সহীহ? এই সন্দেহের জবাবে তাঁরা যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ: