মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
বিবাহে অলী (অভিভাবকের) প্রয়োজনীয়তা
সুনানের কিতাবসমূহে নাবী (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়েছে, لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِىٍّ
অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।[1] আয়িশা (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত হয়েছে, যেই মহিলা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নিজেই বিবাহ করল, তার বিবাহ বাতিল। সুনানের কিতাবসমূহে আরও বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) বলেন-
لاَ تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلاَ تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِىَ الَّتِى تُزَوِّجُ نَفْسَهَا
‘‘কোন মহিলা (অভিভাবক সেজে) অন্য কোন মহিলাকে বিবাহ দিবেনা। আর কোন মহিলা নিজের বিবাহ নিজেই সম্পাদন করবেনা। কেননা যেই মহিলা নিজেই নিজের বিবাহ সম্পাদন করবে, সে ব্যভিচারীনীতে পরিণত হবে।[2]
নাবী (ﷺ) আরও বলেছেন- দুই জন অভিভাবক যদি পৃথকভাবে কোন মহিলার বিবাহ সম্পাদন করে, সে ক্ষেত্রে যার সাথে আগে বিবাহ সম্পাদিত হয়েছে মহিলাটি তার স্ত্রী হিসাবে গণ্য হবে।
[1]. তিরমিযী, অধ্যায়ঃ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ নয়।
[2]. ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ নয়। ইমাম আলবানী রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইরওয়াউল গালীল, হা/১৮৪১।
[2]. ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ নয়। ইমাম আলবানী রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইরওয়াউল গালীল, হা/১৮৪১।