আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত রসূল (ﷺ) বলেছেন- বনী আদমের অন্তরে ফেরেশতার পক্ষ হতে ইলহাম হয়। শয়তানও বনী আদমের অন্তরে কুমন্ত্রনা ঢেলে দেয়। ফিরিস্তা তার সাথে কল্যাণের ওয়াদা করে, সত্যের সত্যায়ন করে এবং অন্তরে ভাল কাজের বিনিময়ে ছাওয়াবের আশা-আকাঙ্খা জাগ্রত করে। শয়তানের কুমন্ত্রনা হচ্ছে অন্যায় কাজের ওয়াদা করা, সত্যকে অস্বীকার করা এবং কল্যাণ অর্জন থেকে নিরাশ করা। সুতরাং তোমরা যখন অন্তরে ফিরিস্তার ইলহাম অনুভব কর তখন আল্লাহর প্রশংসা কর এবং আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা কর।
আর যখন শয়তানের ওয়াসওয়াসা অনুভব কর তখন আল্লাহর কাছে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।[1]
উছমান বিন আবুল আস নাবী (ﷺ) কে বললেন- আমার মাঝে এবং আমার সলাত ও কিরাআতের মাঝে শয়তান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
নাবী (ﷺ) তখন বললেন- এই শয়তানের নাম হচ্ছে খিনযাব। যখন তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং তোমার বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ কর।[2]
সাহাবীগণ নাবী (ﷺ) এর কাছে অভিযোগ করলেন যে, তাদের অন্তরে এমন জিনিসের উদয় হয়, যা মুখে উচ্চারণ করার চেয়ে তার কাছে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক প্রিয় বলে মনে হয়। নাবী (ﷺ) তখন বললেন- আল্লাহু আকবার। ঐ আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা, যিনি শয়তানের চক্রান্তকে ওয়াসওয়াসার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যার কাছে সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে ওয়াস্ওয়াসা এবং একের পর এক যদি এভাবে প্রশ্নের উদয় হয় যে, এই তো আল্লাহ্ সকল মাখলুক সৃষ্টি করেছেন, তাহলে কে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে? এমন পরিস্থিতিতে তিনি কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করার আদেশ দিয়েছেনঃ
هُوَ الأوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
‘‘তিনিই সর্বপ্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত’’। (সূরা হাদীদ-৫৭:৩) এমনিভাবে আবু যামীল ইবনে আববাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিল, এ কি জিনিস যা আমার বক্ষদেশে কিছু (ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রনা) অনুভব করছি। আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন- সেটি কী? তিনি বলেন- আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি এ ব্যাপারে কথা বলবনা। ইবনে আববাস তখন বললেন- সেটি কি কোন সন্দেহ? আমি বললামঃ হ্যাঁ। আল্লাহ্ তা‘আলা এ ব্যাপারে কুরআনের আয়াত নাযিল না করা পর্যন্ত কেউ এ থেকে রেহাই পায়নি। সুতরাং তুমি যখন তোমার অন্তরে এমন কিছু অনুভব কর তখন এই আয়াতটি পাঠ করবেঃ
الأوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
‘‘তিনিই সর্বপ্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত’’। (সূরা হাদীদ-৫৭:৩) এই আয়াতের মাধ্যমে নাবী (ﷺ) মুসলিমদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, স্বচ্ছ বিবেক তাসালসুল তথা আদি-অন্তহীন সৃষ্টির অসিত্মত্বকে বাতিল সাব্যস্ত করে। সৃষ্টির প্রারম্ভ এমন এক প্রথম সত্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, যার পূর্বে আর কোন সৃষ্টি নেই। এমনিভাবে এমন এক শেষ সত্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, যার পরে আর কোন সৃষ্টি নেই। অর্থাৎ যখন কোন মাখলুকের (সৃষ্টির) অসিত্মত্ব ছিল না তখন আল্লাহ্ ছিলেন আবার যখন কোন কিছুই থাকবেনা, সব কিছুই ধ্বংস হবে তখনও একমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন। তিনিই ‘যাহের’ এ কথার তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর উপরে অন্য কোন বস্ত্ত বা সৃষ্টি নেই। তিনি জ্ঞান ও শক্তির মাধ্যমে উর্ধ্ব জগতের সবকিছু বেষ্টন করে আছেন। আর তিনিই বাতেন, এ কথার তাৎপর্য হচেছ তিনি নিম্নজগতের সকল মাখলুককে (সৃষ্টিকে) এমনভাবে বেষ্টন করে আছেন, যার বাইরে অন্য কিছু নেই। এক কথায় ظاهر বলতে উর্ধ্বজগতের (আসমান ও তার মধ্যকার) সকল সৃষ্টির উপর আল্লাহর কর্তৃত্বকে বুঝানো হয়েছে আর باطن বলতে নিম্নজগতের (যমীন ও তার মধ্যকার) সকল বস্ত্তর উপর তাঁর কর্তৃত্বকে বুঝানো হয়েছে। তাঁর পূর্বে যদি কোন বস্ত্ত থাকত, তাহলে তা স্রষ্টার উপর প্রভাব বিস্তারকারী হয়ে যেত এবং সেই বস্ত্তই হত মহান সৃষ্টিকর্তা ও পরিচালক।
সুতরাং তিনিই সর্বপ্রথম, যার পূর্বে আর কেউ নেই, তিনিই শেষ, যার পরে আর কেউ নেই। সৃষ্টির ধারাবাহিকতা ও ক্রমবিকাশ এমন এক সৃষ্টিকর্তা পর্যন্ত গিয়ে অবশ্যই শেষ হবে, যিনি অন্যের প্রতি মুখাপেক্ষী নন, কিন্তু সবকিছুই তাঁর দিকে মুখাপেক্ষী, যিনি স্বনির্ভর, সকল বস্ত্ত তাঁর উপর নির্ভরকারী, তিনি নিজেই অসত্মীত্বশীল, কিন্তু অন্যসব বস্ত্ত তাঁর কারণেই অসত্মীত্বশীল। তিনি আদি থেকেই আছেন এবং তাঁর কোন শুরু নেই। তিনি ব্যতীত বাকী সবই অসত্মীত্বহীন থেকে অসত্মীত্বে এসেছে। তাঁর সত্তা স্থায়ী থাকবে এবং প্রত্যেক বস্ত্তর স্থায়িত্ব তাঁর কারণেই। সুতরাং তিনিই প্রথম, তাঁর পূর্বে আর কেউ নেই। তিনিই শেষ, তাঁর পরে আর কেউ নেই। তিনিই সবার উপরে, তাঁর উপরে আর কেউ নেই। তিনি আকাশের উপর আরশে সমুন্নত। তিনিই সকলের নিকটে, তার চেয়ে অধিক নিকটে আর কেউ নেই।[3]
নাবী (ﷺ) বলেন- লোকেরা পরস্পর জিজ্ঞেস করতে থাকবে। এক পর্যায়ে তাদের কেউ বলবে, এই তো আল্লাহ্ তা‘আলা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
তাহলে আল্লাহ্কে সৃষ্টি করেছে কে? যে ব্যক্তির হৃদয়ে এ ধরণের প্রশ্নের উদয় হবে, সে যেন আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং এ ধরণের কিছু চিন্তা করা হতে থেমে যায়। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘‘যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’[4]
শয়তান হচ্ছে দুই প্রকার। এক প্রকার শয়তানকে মানুষ চর্মচোখের মাধ্যমে দেখতে পায়। এরা হচ্ছে মানব জাতির অন্তর্ভুক্ত শয়তান। আরেক প্রকার শয়তান হচ্ছে, যা মানুষ চোখে দেখতে পায়না। এটি হচ্ছে জিন জাতির শয়তান (ইবলীস ও তার চেলারা)। মানুষ শয়তানের খপ্পর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলা নাবীকে তাদের থেকে দূরে অবস্থান করতে বলেছেন, সুকৌশলে এবং উত্তমভাবে তাদের মুকাবেলা করতে বলেছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আচরণে চোখ বন্ধ করে থাকার আদেশ দিয়েছেন। আর জিন শয়তানের অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। কারণ সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলে বাহ্যিকভাবে তার মুকাবেলা করা সম্ভব নয়। মানুষ তার মুকাবেলা করতে সক্ষমও নয়। তাই তার মুকাবেলায় এমন শক্তির প্রয়োজন, যিনি তার লাগাম ধরে টান দিতে সক্ষম এবং তার চক্রান্তকে ব্যর্থ করতে খুবই পরাক্রমশালী। তিনি হচ্ছেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা‘আলা। সুতরাং এই প্রকার শয়তান থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশ্রয় চাইতে হবে। কারণ তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তার উপর শক্তিশালী নয়। এ ক্ষেত্রে সুন্নাতে বর্ণিত সূরা নাস, ফালাক এবং বিভিন্ন যিকির-আযকার পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ্ তা‘আলা সুরা আ’রাফ, মুমিনূন এবং ফুস্সিলাতে এই উভয় প্রকার শয়তানকে একত্রে উল্লেখ করেছেন। সূরা আরাফে আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الإنْسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ
‘‘এমনিভাবে আমি প্রত্যেক নাবীর জন্যে শত্রু করেছি শয়তান, মানব ও জিনকে। তারা ধোঁকা দেয়ার জন্যে একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথাবার্তা শিক্ষা দেয়। যদি তোমার প্রতিপালক চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করতনা’’। (সূরা আনআম-৬:১১২) কোন এক আরব কবি বলেন-
فما هو إلا الإستعاذة ضارعاً
أو الدفع بالحسنى هما خير مطلوب
فهذا دواء الداء من شر ما يرى
وذاك دواء الداء من شر محجوب
‘‘বিনয়ের সাথে আউযুবিল্লাহ পড়া কিংবা উত্তমভাবে প্রতিহত করাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঐ রোগের মহাঔষধ, যা চোখে দেখা যায়। আর প্রথমটি হচ্ছে এমন রোগের চিকিৎসা, যা থাকে চোখের আড়ালে’’।
[2]. সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম।
[3]. আল্লাহর অন্যতম গুনবাচক নাম الظاهر والباطن এর বাংলা অনুবাদ করা হয় প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য শব্দ দিয়ে। এভাবে অনুবাদের মাধ্যমে এই নাম দু’টির যথাযথ অর্থ প্রকাশিত হয় না। আলেমগণ এই নাম দু’টির যে ব্যাখ্যা করেছেন, তা বাংলা ভাষায় ইতিপূর্বে কোন বই-পুস্তকে খোলাসা করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাই বাংলাভাষী মুসলিম ভাইদের জন্য এখানে এই গুরুত্বপূর্ণ নাম দু’টির অর্থ বর্ণনায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের আলেমদের মতামত তুলে ধরছি।
১. কেউ কেউ বলেনঃ الظاهر অর্থ হাদীছে বর্ণিত হয়েছেঃ وأنت الظاهر فليس فوقك شيء হে আল্লাহ্! তুমি সবার উপরে তোমার উপরে আর কিছু নেই। সুতরাং যাহের নামের মাধ্যমে বুঝানো হচ্ছে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার অবস্থান সকল মাখলুকের উপর। সাত আসমানের উপরে আরশে আযীমে তিনি সমুন্নত। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তিতেও তিনি সকল সৃষ্টির উপরে।
২.কেউ কেউ বলেনঃ যাহের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ উর্ধ্বজগতের সকল বিষয়কে বেষ্টন করে আছেন। সুতরাং সাত আসমান ও তাতে যা আছে তার সবকিছুই আল্লাহ্ তআলা স্বীয় জ্ঞান ও ক্ষমতার মাধ্যমে পরিবেষ্টন করে আছেন। উর্ধ্ব জগতের কোন কিছুই তার জ্ঞান ও ক্ষমতার বাইরে নয়।
আর الباطن বাতেন অর্থ হচ্ছে, (১) যা সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, وأنت الباطن فليس دونك شيء হে আল্লাহ্! তুমিই বাতেন তথা সকল গোপন বিষয়কে পরিবেষ্টনকারী। তোমার বেষ্টনীর বাইরে কেউ নেই। সুতরাং অধঃস্তন ও নিম্ন জগতের সকল বিষয়কে তিনি জ্ঞান ও ক্ষমতার মাধ্যমে বেষ্টন করে আছেন। সাত যমীন ও তার মধ্যে অবস্থানকারী কোন বস্ত্তই তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতার বাইরে নয়। তিনি যমীনের সকল মাখলুকের গোপন রহস্যও সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ বিষয় সম্পর্কেও অবগত আছেন।
(২) কোন কোন আলেম বলেনঃ الباطن অর্থ হচ্ছে নিকটে। এই অর্থে আল্লাহ্ তা‘আলা সকল মাখলুকের নিকটে। তিনি জ্ঞানের মাধ্যমে সৃষ্টির অতি নিকট থেকে তাদেরকে বেষ্টন করে আছেন। তাদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব কিছুই জানেন। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ
وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিমত্মু তোমরা দেখ না। (সূরা ওয়াকিআঃ ৮৫) আল্লাহ্ তা‘আলা আরও বলেনঃ
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهِ نَفْسُهُ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيد
আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী। (সূরা কাফ-৫০:১৬) এমনি আরও যে সমস্ত আয়াতে দয়াময় আল্লাহ্ তা‘আলা বান্দার নিকটে থাকার কথা বলা হয়েছে, তার মর্ম হচ্ছে তিনি জ্ঞান ও ক্ষমতার মাধ্যমে সকলের অতি নিকটে। অথচ তিনি স্বীয় সত্তায় সকল মাখলুকের উপরে আরশে আযীমে সমুন্নত। উভয় প্রকার আয়াতের মধ্যে আলেমগণ এভাবেই সমন্বয় করেছেন। তিনি মাখলুকের সাথে মিশে একাকার হয়ে থাকা হতে পবিত্র। আল্লাহই ভাল জানেন।
[4]. সূরা হা-মীম সাজদাহ-৪১: ৩৬