নাবী (ﷺ) বাড়িতে কিংবা সফরে থাকা অবস্থায় কখনও রাতের তাহাজ্জুদ সলাত বর্জন করেন নি। রাতে যখন তাঁর ঘুম এসে যেত বা অসুস্থতা অনুভব করতেন তখন তিনি দিনের বেলায় বার রাকআত সলাত আদায় করতেন। আমি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়া (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, এতে দলীল রয়েছে যে, তাহিয়াতুল মসজিদ, সূর্য গ্রহণের সলাত এবং বৃষ্টির প্রার্থনার সলাতের ন্যায়ই বিতর সলাতের সময় চলে গেলে তা কাযা করা যাবেনা। কেননা বিতর সলাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে তা যেন রাতের শেষ সলাত হয় (সুতরাং রাত চলে যাওয়ার কারণে তা আদায় ও কাযা করার সময় শেষ হয়ে গেছে)[1]। তিনি রাতে এগার অথবা তের রাকআত সলাত আদায় করতেন। এগার রাকআতের ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। শেষ দুই রাকআতের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। তা কি ফজরের দুই রাকআত ছিল? না অন্য কোন সলাত?
ফরয সলাতের রাকআত সংখ্যার সাথে রাতের সলাতের রাকআত সংখ্যা এবং সুন্নাতে রাতেবার (মুআক্কাদার) রাকআত সংখ্যা যদি মিলানো হয় তাহলে দেখা যায় যে, রাত ও দিনের সলাত সব মিলে চল্লিশ রাকআত হয়। এই মোট চল্লিশ রাকআত সলাত তিনি যত্নসহকারে আদায় করতেন। এর বাইরে তিনি যে সমস্ত সলাত পড়েছেন তা নিয়মিত পড়েন নি। সুতরাং মুসলিম বান্দার উচিৎ মৃত্যু পর্যন্ত এই সলাতগুলো আদায় করা। যে ব্যক্তি দিনে ও রাতে আল্লাহর দরজায় চল্লিশবার করাঘাত করবে আশা করা যায় যে, তার জন্য দ্রুত সেই দরজা খুলে দেয়া হবে এবং তার কথা শ্রবণ করা হবে। রাতে যখন তিনি জাগ্রত হতেন তখন এই দু’আ পাঠ করতেনঃ
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِي وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ اللّٰهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا وَلا تُزِغْ قَلْبِي بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِي وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
‘‘হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার গুনাহ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি তোমার রহমত কামনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও। আমাকে সঠিক পথ দেখানোর পর আমার অন্তরকে বক্র করে দিওনা। তোমার পক্ষ হতে আমাকে রহমত দান করো। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা’’।[2]
[2] . আবু দাউদ, আলএ. হা/১১০৪, শাইখ আলবানী এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।