উত্তর: এ ধরনের কাজ হারাম; কেননা, তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত; আর প্রশ্নকর্তার বক্তব্যের আলোকে তাতে দুই কারণে সুদ হয়। প্রথম কারণ: বাড়তি স্বর্ণ, যেহেতু এখানে মূল্যবান পাথর বা অনুরূপ কিছুর পরিবর্তে স্বর্ণের বিনিময় হয়েছে; আর তা ঐ হার বা নেকলেসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা ফুদালা ইবন ‘উবাইদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে আলোচনা করা হয়েছে, যেমন তিনি বলেন:
« اشْتَرَيْتُ يَوْمَ خَيْبَرَ قِلاَدَةً بِاثْنَىْ عَشَرَ دِينَارًا فِيهَا ذَهَبٌ وَخَرَزٌ , فَفَصَّلْتُهَا فَوَجَدْتُ فِيهَا أَكْثَرَ مِنِ اثْنَىْ عَشَرَ دِينَارًا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم , فَقَالَ : « لاَ تُبَاعُ حَتَّى تُفَصَّلَ » . ( رواه مسلم ) .
“খাইবার বিজয়ের দিন আমি বারো দ্বীনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিয়ে একটি হার ক্রয় করি, যাতে স্বর্ণ ও মুক্তা ছিল; অতঃপর আমি স্বর্ণ ও মুক্তা আলাদা করে দেখলাম যে, তাতে বারো দ্বীনারের বেশি স্বর্ণ আছে; তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জানালাম; তিনি বললেন: স্বর্ণ ও মুক্তা পৃথক না করে তা বিক্রয় করা যাবে না।”[1]
আর দ্বিতীয় কারণ: আর দ্বিতীয় বাড়তি হল গহনা তৈরি করার পারিশ্রমিকের নামে বাড়তি কিছু গ্রহণ; কেননা, বিশুদ্ধ মতে- (বানানো গহনা ক্রয়ের সময়) পারিশ্রমিকের নামে বাড়তি কিছু গ্রহণ করা বৈধ নয়; কারণ, তৈরির বিষয়টি যদিও ব্যক্তি বিশেষের কাজ, কিন্তু তা সুদের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে একটি অতিরিক্ত গুণ, যা আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টির বিশেষ বাড়তি গুণের সাথে তুলনীয়; আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নমানের দুই সা‘ খেজুরের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট মানের এক সা‘ খেজুর ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।[2]
আর মুসলিম ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হল সুদের বিষয়ে সতর্ক হওয়া এবং তা থেকে দূরে থাকা; কেননা, সুদ মহাপাপসমূহের অন্যতম একটি।
[1] মুসলিম, অধ্যায়: বাগান বর্গাচাষ বা পানি সিঞ্চন ( كتاب المساقاة ), পরিচ্ছেদ: মুক্তা ও স্বর্ণ মিশ্রিত হার বিক্রয় প্রসঙ্গে (باب بَيْعِ الْقِلاَدَةِ فِيهَا خَرَزٌ وَذَهَبٌ ), হাদিস নং- ৪১৬০
[2] বুখারী ও মুসলিম।