আল্লাহর রসূল (ﷺ) কর্তৃক বিভিন্ন প্রকার সুতরাহ্ প্রমাণিত। যেমন, কখনো তিনি মসজিদের থামকে সামনে করে নামায পড়তেন। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৮২পৃ:) ফাঁকা ময়দানে নামায পড়লে এবং আড়াল করার জন্য কিছু না পেলে সামনে বর্শা গেড়ে নিতেন। আর লোকেরা তাঁর পিছনে বিনা সুতরায় নামায পড়ত। (বুখারী ৪৯৪, ৪৯৮নং, মুসলিম, ইবনে মাজাহ্, সুনান) কখনো বা নিজের সওয়ারী উটকে আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে তাকে সুতরাহ্ বানিয়ে নামায পড়তেন। (বুখারী ৫০৭ নং, আহমাদ, মুসনাদ) কখনো জিনপোশ (উটের পিঠে বসবার আসন) কে সামনে রেখে তার কাষ্ঠাংশের সোজাসুজি নামায পড়তেন। (বুখারী ৫০৭নং, মুসলিম, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, আহমাদ, মুসনাদ) তিনি বলতেন, “তোমাদের কেউ যখন তার সামনে জিনপোশের শেষে সংযুক্ত কাষ্ঠখন্ডের মত কিছু রেখে নেয়, তখন তার উচিৎ, (তার পশ্চাতে) নামায পড়া এবং এরপর তার সম্মুখ বেয়ে কেউ পার হয়ে গেলে কোন পরোয়া না করা।” (মুসলিম, সহীহ ৪৯৯ নং, আবূদাঊদ, সুনান) একদা তিনি একটি গাছকে সুতরাহ্ বানিয়ে নামায পড়েছেন। (নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ) কখনো তিনি আয়েশা (রাঃ) এর খাটকে সামনে করে নামায পড়েছেন। আর ঐ সময় আয়েশা (রাঃ) তার উপর চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে থাকতেন। (বুখারী ৫১১ নং, মুসলিম, সহীহ)
সুফয়্যান বিন উয়াইনাহ্ বলেন, তিনি শারীককে কোন ফরয নামায পড়ার সময় তাঁর টুপীকে সামনে রেখে সুতরাহ্ বানাতে দেখেছেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৬৯১নং)
প্রকাশ যে, কিছু না পেলে দাগ টেনে নেওয়ার হাদীস সহীহ নয়। (যইফ আবূদাঊদ, সুনান ১৩৪, যইফ ইবনে মাজাহ্, সুনান ১৯৬, ৯৪৩, যইফ জামে ৫৬৯নং)
সুতরাহ্ হবে উটের পিঠে স্থাপিত জিনপোশের পেছনে সংযুক্ত কাষ্ঠখন্ডের মত (কম-বেশী একহাত, আধ মিটার বা ৪৭ সেমি. উঁচু) কোন বস্তু । কোন দাগ সুতরাহ্ বলে গণ্য হবে না। তবে যে বস্তু মাটি বা মুসাল্লা থেকে একটুও উঁচু হয়ে থাকে তাকেই সুতরাহ্ বলে ধরে নেওয়া যাবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩৮৪)
প্রকাশ যে, মুসাল্লা, চাটাই বা কার্পেটের শেষ প্রান্তকে সুতরাহ্ বলে গণ্য করা যাবে না। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩১৭)